Saturday, January 23, 2016

আসছে সিম্পোনীর সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের আরও দু দুটি সেট


একের পর এক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস এনে দেশের বাজারে এরই মাঝে বেশ ভাল একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড Walton। এবার তাদের সাথে পাল্লা দিতে Symphony ও ক্রমাগত নতুন সব ডিভাইস নিয়ে হাজির হচ্ছে। এরই মাঝে Walton এর ফ্যাবলেট Primo N1 এর বিপরীতে তারা বাজারে এনেছে Symphony W150।

তবে এতদিন সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে সম্বলিত Walton Primo X1 এর বিকল্প কোন ডিভাইস না থাকলেও সবার অপেক্ষার পালা হয়তো শেষ হতে যাচ্ছে। কারন এবার Symphony ও নিয়ে আসছে ফুল এইচডি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও গোরিলা গ্লাস সম্বলিত Symphony Xplorer ZI ও Xplorer ZII নামের দু দুটি ডিভাইস।

Symphony Xplorer ZI

Symphony Xplorer ZI ও Xplorer ZII ডিভাইস দুটিতে যথাক্রমে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.২ ও অ্যান্ড্রয়েড ৪.২.১ জেলি বিন। এছাড়া দুটি ডিভাইসেই দেয়া হচ্ছে ১.২ গিগাহার্জের কর্টেক্স এ৭ কোয়াড কোর প্রসেসর, পাওয়ারভিআর এসজিএক্স৫৪৪ জিপিইউ, ১ গিগাবাইট র‍্যাম ও ১৬ গিগাবাইট রম।

আর Xplorer ZII তে থাকছে গোরিলা গ্লাস সমৃদ্ধ ৪.৮ ইঞ্চি প্রসস্ত সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে এবং Xplorer ZI – এ থাকছে ৪.৮ ইঞ্চি প্রসস্ত শুধু সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে। অর্থাৎ Xplorer ZII তে গোরিলা গ্লাস ব্যবহার করা হলেও Xplorer ZI – এ সেটি ব্যবহার করা হয়নি। তাই Xplorer ZI এর দাম তুলনামূলক কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দুটি ডিভাইসের রেজুলেশনই হবে ১২৮০x৭২০।

Symphony Xplorer ZII

এছাড়া Xplorer ZI ও Xplorer ZII – তে দেয়া হবে যথাক্রমে ৮ ও ১৩ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা আর 720p ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সেকেন্ডারি ফ্রন্ট ক্যামেরা। তবে অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ জেলি বিনের Photo Sphere Camera ব্যবহার করার জন্য ডিভাইস দুটিতে জায়রোস্কোপ সেন্সর আছে কিনা সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আর ব্যাকআপ হিসেবে Xplorer ZI ও Xplorer ZII তে যথাক্রমে 2000mAh ও 2200mAh ব্যাটারি থাকছে। তাছাড়া থ্রিজি, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, জিপিএস, প্রক্সিমিটি সেন্সর, অ্যাক্সেলেরোমিটার সেন্সর, এফএম রেডিও, ফুল এইচডি ভিডিও ও গেম সাপোর্টসহ সাধারণ ফিচারগুলো তো থাকছেই আর সাথে থাকছে MUSE নামের একটি আলাদা ইউজার ইন্টারফেস।

তবে ডিভাইস দুটির দাম কেমন হতে পারে সে ব্যাপারে Symphony থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আপনার কী মনে হয় Symphony এই ডিভাইস দুটির মাধ্যমে দেশের অ্যান্ড্রয়েড বাজারে ভাল একটা অবস্থান তৈরি করে নিতে পারবে ? ডিভাইস দুটি সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও দাম সম্পর্কে আপনাদের ধারণা আমাদের অবশ্যই জানাবেন।
Share:

মেয়েরা ভালোবাসার কথা মুখে না বললেও যে ৮টি সংকেতের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়

প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন । কিন্তু আগ বাড়িয়ে মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেবেন সে সাহস নেই। দেখলেই কেমন যেন ‘ভ্যাবলা’ হয়ে যান। পেন্ডুলামের মতো দোদুল্যমান মনে টানাপোড়েন। মেয়েটিও কি ভালোবাসে? সে-ও কি প্রেমে পড়েছে? নাকি সবটাই একতরফা? নিজেরই শুধু ভালোলাগা? পড়াশোনায় মন বসছে না। খালি উচাটন। ক্লাসে লেকচার শোনায় মন নেই। কী করবেন? করণীয় কী? বলেই ফেলবেন, আই লভ ইউ? তা না হয় বলবেন। কিন্তু, বুঝবেন কী করে, তারও দুর্বলতা আছে? আসলে মেয়েরা ভালোবাসার কথা কখনো মুখে বলে না। তবে ভালোবাসার আগে মেয়েরা তার পছন্দের মানুষটিকে অনন্ত ৮ টি ইঙ্গিতের মাধ্যেমে বুঝানোর চেষ্ট করে যে সেও আপনাকে ভালবাসে।

১. সেজেগুজে কফিশপে ঠিক করেছেন কলেজ-শেষে একসঙ্গে দু’জনে কফি খেতে যাবেন। মেয়েটিও রাজি। দেখলেন বেশ সেজেগুজে এসেছে। একবার নয়, আপনার সঙ্গে কোথাও যাওয়ার কথা হলেই, মেয়েটি খুব সচেতন ভাবেই সাজগোজ করে আসে।

২. চুল নিয়ে খেলা নিরিবিলিতে থাকলে দেখবেন, মেয়েটি একটু ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে। আপনার সঙ্গে কথা বলার সময় চুল নিয়ে খেলে যাচ্ছে আনমনে। চোখের দিকে তাকালে বুঝবেন, তার শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছে, কী চায় আর কী চায় না। নির্ভাবনায় তাকে বলতে পারেন।

৩. চোখে চোখে কথা বলো এটা ঘটনা, আপনাকে যদি অপছন্দ হয়, কোনও মেয়েই আপনার সঙ্গে ঘুরতে যেতে রাজি হবে না। যদি, দেখেন মেয়েটি আপনার কথা মন দিয়ে শুনছে, পলক পড়ছে না, একদৃষ্টে আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে, বুঝবেন তার মনে আপনার জন্য একটা জায়গা রয়েছে।

৪. চলো না কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসি যদি দেখেন, মেয়েটি আপনাকে বারবার বলছে, কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য, বুঝবেন, স্বস্তি বোধ না-করলে কখনোই বলত না। জানবেন, নিরিবিলিতে আপনার সঙ্গ পেতেই এভাবে পীড়াপীড়ি।

৫. প্রেমের পরশ যখন কোনও অছিলায় বা ছুঁতোনাতায় মেয়েটি আপনাকে স্পর্শ করবে, বুঝবেন তলে তলে জল অনেক দূর গড়িয়েছে।

৬. কথায় কথায় হেসে লুটোপুটি ধরুন কলেজ ক্যান্টিনে বা কফিশপে বসে বন্ধুরা চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। সেখানে সেই মেয়েটিও আছে। তার মনোযোগ কাড়তে আপনি হয়তো মজা করে কিছু বলার চেষ্টা করছেন। জানেন যদিও তাতে কারও হাসি পাবে না। দেখলেন কেউ হাসলও না। একমাত্র সে ছাড়া। বুঝবেন, এ-ও প্রেমেরই লক্ষণ।

৭. রেগে আগুন তেলে বেগুণ : মেয়েটির সামনে ভুলেও যদি অন্য মেয়ের প্রশংসা করেছেন বা কিঞ্চিত আগ্রহ দেখিয়েছেন, দেখবেন হাসিখুশি মুখটা কেমন বর্ষার মেঘের মতো কালো হয়ে যায়। রাগের মাথায়, যা নয় তাই দু-কথা আপনাকে শুনিয়েও দিতে পারে। নিশ্চিত থাকুন, মেয়েটি আপনাকে ভালোবাসে।

৮. ‘আমায় একটু বাড়ি অবধি পৌঁছে দেবে?’ যদি কখনও এমন প্রস্তাব পান, ষোলআনার ওপর আঠারোআনা নিশ্চিত থাকুন মেয়েটিও আপনাকে ভালোবাসে। এই আটটি লক্ষণ যদি মিলে যায়, দেরি না-করে, সংকুচিত না-হয়ে স্মার্টলি বলেই ফেলুন। কারণ, প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে, প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই। হতেই পারে সে-ও আপনার বলার অপেক্ষায়। ভালোবাসা তো আর অপরাধ নয়।
Share:

নিজ সন্তানকে অভিশাপ দিলে কি হতে পারে?

অসতর্কভাবে নিজ সন্তানকে অভিশাপ দিলে কি হতে পারে? সন্তারে জন্যে মা পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন। মায়ের কাছে তার কোলের সন্তানের থেকে প্রিয় কিছু আর নাই। নিজের জীবনকে ত্যাগ করে হলেও মা সব সময় চান তার সন্তান সুস্থ, সবল ও নিরাপদ থাকুক।

দরিদ্র ঘরের মাকে দেখা যায়, নিজে না খেয়ে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন অবলীলায়। সন্তানের অসুখে রাত জেগে তার শিয়রে বসে মাথায় পানি দিচ্ছেন। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা যুগে যুগে অনেক রূপকথা ও প্রবাদের জন্ম দিয়েছে, দিয়েই চলেছে।

এই সন্তানকেই তিনি প্রায় একটি বছর অসহ্য কষ্টে গর্ভধারণ করেছেন। এরপরে সন্তান যখন পৃথিবীর আলোতে চোখ মেলে তাকিয়েছে, তখন তিনি সব কষ্ট ভুলে গেছেন। তাকে লালন পালন করেছেন প্রতিটি ঘাম, প্রতি ফোটা অশ্রুবিন্দু বিসর্জন দিয়ে।

কিন্তু শৈশবের বালখিল্যতা কিংবা কৈশরের দুরন্তপনায় অনেক সময়ই সেই মা সন্তানের অধৈর্য হয়ে সন্তানের প্রতি অভিশাপ দিয়ে বসেন। আমাদের গ্রাম-অঞ্চলে প্রায়েই দেখা যায়, মা তার দুরন্ত ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ‘তোর মুখ আমি যেনো আর না দেখি’, ‘তোর কেনো মরণ হয় না’ ইত্যাদি ধরনের নানা অভিশাপ বাক্য। অথচ তিনি নিজেও হয়তো কখনো সচেতনভাবে তেমনটি কামনা করেন না। অনেক সময় দেখা যায়, সত্যি যদি মায়ের অভিশাপের পরে সন্তান তেমন কোনো দুর্ঘটনায় পড়ে, তখন আর মায়ের অনুশোচনার শেষ থাকে না।

প্রতিটি ছোট থেকে বড় বিষয়ের মতো এ বিষয়টিকেও ইসলাম এড়িয়ে যায় নি। এ ব্যাপারেও ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয়। ইসলাম কখনো কারো বিরুদ্ধে অভিশাপ দেয়া বা বদ দোয়া করাকে সমর্থন করে না। আপন সন্তান তো বটেই সামান্য জীবজন্তু বা পোকা-মাকড়, এমনকি জড় পদার্থকে অভিশাপ দেয়াও সমর্থন করে না।

হাদিসে আছে, জাবের বিন আব্দুল্লা [রা] বলেন, ‘বাতনে বুওয়াতের সফরে রাসুল [স] মাজদি ইবন ‘আমর জুহানিকে খুঁজছিলেন। উকবা আনসারি তাঁর উটের পাশ দিয়ে চক্কর দিয়ে তাকে থামায়। তারপর তার পিঠে উঠে আবার তাকে চলতে নির্দেশ দেয়। হঠাৎ উটটি একেবারে নিশ্চয় হয়ে গেলো। তিনি বিরক্ত হয়ে বললেন, তোর ওপর আল্লাহর অভিশাপ। রাসুল [স] একথা শুনে বললেন, কে নিজের উটকে অভিশাপ দিলো ? তিনি বললেন, আমি হে আল্লাহর রাসুল। রাসুল [স] বললেন, ‘তুমি এই উটের পিঠ থেকে নামো। তুমি আমাদের কোনো অভিশপ্তের সঙ্গী করো না। তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে, তোমাদের সন্তান-সন্তুতির এবং তোমাদের সম্পদের বিরুদ্ধে বদ দোয়া করো না।’ (মুসলিম)

হাদিস বিশারদগণ এর ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে যে, হতে পারে যে সময় বদ দোয়া করা হয়েছে, তা দিনের এমন সময়ে কেো হয়েছে, যখন খারাপ বা ভালো সব দোয়াই কবুল করা হয়। (মিরয়াতুল মাফাতিহ)

নি:সন্দেহে বলা যায়, এই হাদিসটি রাগের মাথায় মানুষের তার পরিবার ও সম্পদের বিরুদ্ধে দোয়া করার নিষিদ্ধতা প্রমাণ করে। তাছাড়া নিজের সন্তানের বিরুদ্ধে দোয়া করার অর্থ তো নিজেই নিজের বিরুদ্ধে দোয়া করা। প্রকারন্তরে নিজেকেই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তোমরা নিজ হাতে নিজদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৯৫)

অতএব আমাদের মায়েদের ভেবে রাখতে হবে, যদি তারা তাদের সন্তানদের উদ্দেশ্যে কোনো অভিশাপ দিয়েই ফেলে, হোক সেটা রাগের বশেই, আর সেই বদ দোয়া বা অভিশাপটি এমন মুহূর্তে হয়ে গেলো, যখন আল্লাহ তায়ালা তার বান্দার প্রতিটি দোয়াই কবুল করে নেন, তখন ব্যাপারটা কেমন হবে ? যদি সত্যিই সন্তান ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে কি মা তখন সহ্য করতে পারবে। তাই প্রতিটি মায়ের উচিত, এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সংযম ও সতর্কতা অবলম্বন করা।

সূত্র: এডভাইসবিডি.কম
Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন