Sunday, August 28, 2016

অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নয়, গাঁজা পাঁচার!


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক:
  রোগী পরিবহনের ভান করে অ্যাম্বুলেন্সে করে গাঁজা পরিবহনের পথ বেছে নিয়েছিল একদল মাদক ব্যবসায়ী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড মোড় থেকে ৬৪ কেজি গাঁজাসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

রোববার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে গাঁজাসহ অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করা হয়। তবে অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ মাদক পাচারকারীরা পালিয়ে গেছে।

খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ূন কবীর জানান, সকালে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে টহলরত হাইওয়ে পুলিশ সিলেট থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সকে থামার সংকেত দেয়। এসময় অ্যাম্বুলেন্সটি সংকেত অমান্য করে ঢাকার দিকে ছুটতে থাকে। পুলিশ ধাওয়া করলে খাটিহাতার কাছে ফাঁকা জায়গায় গাড়ি থামিয়ে চালক ও পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশি চালিয়ে সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ২৪ প্যাকেট গাঁজা (৬৪ কেজি) উদ্ধার করা হয়।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

চারুলার ছাত্রী ভাবনা


প্রথম আলো২৪

বিনোদন ডেস্ক: 
চারুকলায় যারা পড়াশোনা করে তাদের চলাফেরা সাজগোজ একটু অন্যরকম হয়। তাদের একটু অন্যরকম চোখেও দেখে কিছু কিছু মানুষ। এবার চাড়ুকলার ছাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মডেল এবং অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। আর এই চরিত্রের জন্য আড়ং থেকে তিনটি নোলক বানিয়েছেন শনা হাবিব ভাবনা। ‘চিলেকোঠার গল্প’ নামের নাটকে তাকে এগুলো পড়তে দেখা যাবে।

এখানে ভাবনার চরিত্রের নাম রানু। সে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ছাত্রী। বাবা-মা থাকেন গ্রামে। রাত জেগে ছবি আঁকে। দিনে টিউশনি করে, ছবি বিক্রি করে, ফ্রিল্যান্স আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে দিনরাত কাজ করে কোনোভাবে চলে।

ঢাকায় পড়াশোনা করতে এসে যে সমস্যাটা রানুকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে তার নাম আবাসন। চারুকলায় পেইন্টিং নিয়ে পড়ার কারণে তার জীবনযাত্রার ধরন ও অনুষঙ্গ একটু অন্যরকম।

মেয়েদের হোস্টেলের সীমিত সুযোগে সৃষ্টিশীলতার চর্চা যথাযথভাবে হয়ে উঠবে না সেটা ভালোই বুঝতে পেরেছিলো রানু। তারপর থেকেই নানারকম প্রচেষ্টা। কয়েকজন মিলে ফ্ল্যাট ভাড়া, আত্মীয়ের বাসায় পেইং গেস্ট, বান্ধবীর বাসায় সাবলেট। সবখানেই প্রথম কিছুদিন খুব সুন্দর যায়, তারপর মাস শেষ না হতেই শুরু হয় নানারকম সমস্যা।

তাই রানু চাইছে নিজের মতো করে থাকার জন্য আলাদা এক টুকরো জায়গা। সেটা চিলেকোঠা হলে বেশি ভালো হয়। অনেক ঘুরে অবশেষে ছয়তলা বাড়ির ছাদে এক রুমের একটি চিলেকোঠা ভাড়া নিতে পারে রানু। এটা পেতে লম্বা সাক্ষাৎকারের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মালিকের প্রধান শর্ত একটাই- কোনো ব্যাচেলর ভাড়া দেবেন না। ‘বাচ্চা-কাচ্চাহীন শিক্ষিত দম্পতির অগ্রাধিকার।’

পরিচিত বড় ভাই রাশেদের বুদ্ধিতে তাকেই স্বামী সাজিয়ে চিলেকোঠা ভাড়া পায় রানু। প্রেমিক জামাই সেজে মিথ্যে কথা বলতে চায় না। পরে ধরাও পড়ে। একদিন বাড়িওয়ালার কাছ থেকে বাসা ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ আসে। নিয়তি মেনে আবার নতুন বাসা খুঁজতে পথে নামে রানু। এবার প্রকৃতই তার সঙ্গী হয় রাশেদ।

নাটকটিতে রাশেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর রাব্বী। এ ছাড়াও আছেন ঝুনা চৌধুরী, ফারহানা মিঠু প্রমুখ। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন প্রসূন রহমান, পরিচালনায় ফয়সাল রাজিব।

গত ২৫ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নাটকটির দৃশ্যধারণ হয়েছে। আসছে ঈদুল আজহায় দেশ টিভির বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় প্রচার হবে ‘চিলেকোঠার গল্প’

তথ্য: ইন্টারনেটে থেকে সংগৃহীত
Share:

এবার জাজের ছবি থেকেই বাদ পরীমনি


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

বিনোদন ডেস্ক:
‘রক্ত’র শুটিং চলাকালিন নতুন খবর আসে জাজ মাল্টিমিডিয়ার আরো একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন হালের ক্রেজ অভিনেত্রী পরীমনি। কিন্তু হঠাৎ করেই শোনা গেলো জাজের ‘পাষান’ ছবি থেকে বাদ পড়ছেন পরী। নতুন নায়িকা হিসেবে নেয়া হয়েছে এমিকে। জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার উত্তরার একটি লোকেশনে এই নতুন নায়িকাকে নিয়ে ছবিটির শুটিং শুরু করেছেন পরিচালক সৈকত নাসির।

জানা গেছে, চার মাস আগে ‘পাষাণ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন পরীমনি। বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাদ দেওয়ার বিষয়টিকে উড়িয়ে দেন তিনি।

পরীমনির বলেন, বাদ দেওয়া হয়নি। নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য হাতে শিডিউল না থাকার কারণে নিজ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। পরীমনি বলেন, ‘একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ‘রক্ত’ ছবিটি কিন্তু ঈদে মুক্তি পাচ্ছে। এখনো এই ছবির শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া হাতে আরও চারটি ছবির কাজ রয়েছে। তাই সরে দাঁড়াতে হয়েছে।’

নায়িকা বাদ দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালেন ছবিটির পরিচালক সৈকত নাসির। পরিচালক কথা না বললেও প্রযোজক ঠিকই কথা বলেছেন। আবদুল আজিজ বলেন, ‘সময়মতো শুটিংয়ে আসেন না পরীমনি। তিনি আমাকে নানাভাবে ভুগিয়েছেন। তাঁর কারণেই ‘রক্ত’ ছবিতে প্রায় এক কোটি টাকা বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে। নতুন কোনো ছবিতে তাঁকে নিয়ে আর ভুগতে চাই না। তাই বাদ দিয়েছি।’

‘পাষাণ’ ছবিতে আরও অভিনয় করছেন কলকাতার ওম, বাংলাদেশের বিপাশা কবির, মিশা সওদাগর, সাদেক বাচ্চু, শিমুল খান, মিজু আহমেদ প্রমুখ।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
Share:

প্রত্যাহার হচ্ছে জিয়ার স্বাধীনতা পুরস্কার, সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কবরও

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম। নিউজ ডেক্স

ঢাকা:
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারে এরইমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এবার জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে তার কবর সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানালেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৭ আগস্ট) গাজীপুরের কাশিমপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে, গত বুধবার (২৪ ‍আগস্ট) মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জিয়ার স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং যুদ্ধপরবর্তী বিতর্কিত ভূমিকা প্রমাণ করে, তিনি স্বাধীনতা চাননি। এ ধরনের বিতর্কিত ব্যক্তির কবর পবিত্র সংসদ এলাকায় থাকতে পারে না। তাই সংসদ এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরানো হবে।

বঙ্গবন্ধু হত্যায় যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচার হলেও নেপথ্যে যারা ছিল তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে দেশি বা বিদেশি যারা জড়িত ছিল তাদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করা হবে।

এর আগে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

অন্যদিকে, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারে মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে বিষয়টি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। তখন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

২০০৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জিয়াউর রহমানকে পুরস্কার দেওয়ায় আপত্তি জানিয়ে তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ ওই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে। তখন এই পদক দু’টি বিতরণ না করে প্রদর্শন ও সংরক্ষণের জন্য জাতীয় জাদুঘরে দিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমানের পদকটি গ্যালারি থেকে সরিয়ে গুদামে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মন্ত্রিসভা কমিটি জিয়াউর রহমানের পুরস্কার প্রত্যাহারের পাশাপাশি জাতীয় জাদুঘর থেকে ওই পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্রও সরিয়ে ফেলার সুপারিশ করেছে।

সূত্রমতে, মন্ত্রিসভা কমিটি মনে করে একইসঙ্গে দু‘জনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে জিয়াউর রহমানকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছাকাছি মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তাছাড়া, স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। যারা দেশ ও মানুষের কল্যাণে অসাধারণ অবদান রেখেছেন তারাই পান এই পুরস্কার। জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রপতি পদ বা রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আরোহণের বিষয়টি হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করায় তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আমলে নিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এ জন্যই কমিটি পুরস্কার প্রত্যাহার এবং মেডেল ও সম্মাননাপত্র জাদুঘরে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কমিটি মনে করে, এই পুরস্কার যদি জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে আগামী প্রজন্মের কাছে ভুল ইতিহাস উপস্থাপিত হবে এবং একটি ভুল বার্তা যাবে।

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন