Thursday, May 5, 2016

ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে ৮ জন নিহত


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স: ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জের মুদারপুর এলাকায় ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দু’জন শিশুসহ এক নারী ও পাঁচ পুরুষ রয়েছেন।

নিহতরা হলেন, অটোরিকশা চালক সাদেকুল (২৮), অটোরিকশার মালিক আশরাফুল (২৯), কাজল (৩৫), শিরিনা (২৫), শিরিনার দুই সন্তান তাহসিন (৭) ও মোফাজ্জল ওরফে তৌহিদ (৪), শিরিনার ভাই উজ্জ্বল (১৮) ও আব্দুল হালিম (২৪)।

নিহতদের মধ্যে পাঁচজন একই পরিবারের সদস্য। তাদের সবার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা গ্রামে, জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (০৫ মে) দুপুর ১২টার দিকে মুদারপুরে পৌঁছালে ময়মনসিংহগামী অটোরিকশাটিকে চাপা দেয় নেত্রকোনাগামী ঘাতক ট্রাক।

ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ঘাতক ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মঈনুল হক।

সূত্র: বাংলানিউজ
Share:

সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে দুদকের ‍মামলা

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম: ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিয়মবহির্ভূত ভাবে রাজধানীর ১০টি মার্কেটের ১৩৮টি দোকান বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ‍মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদুক।

বৃহস্পতিবার (০৫ মে) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম।
 
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব ভট্টাচ‍ার্য  মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাদেক হোসেন খোকা মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১০টি মার্কেটের ১৩৮টি দোকান বরাদ্দ দেন। সিটি করপোরেশনের কোটা পদ্ধতি ব্যবহার করে নিয়মনীতি অনুসরণ না করে এসব দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়।

দোকানগুলো হচ্ছে- সরকারি কবি নজরুল ইসলাম কলেজ মার্কেটে ৫টি, আহসান মঞ্জিল সুপার মার্কেটে ৬২টি, সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে ২টি, নবাব ইউসুফ এক্সটেনশন মার্কেটে ১টি, ৭৬ নম্বর খেলার মাঠ মার্কেটে ৬টি, বঙ্গবন্ধু ফোয়ারা পাতাল সড়ক সুপার মার্কেটে ১টি, মহাখালী কমিউনিটি সেন্টার মার্কেটে ৫টি, মিরপুর সুপার মার্কেটে ৩৫টি, বনানী সুপার মার্কেটে ১৩টি ও বনানী কমিউনিটি সেন্টার ও কাঁচা বাজারে ৮টিসহ মোট ১৩৮টি দোকান অবৈধভাবে বরাদ্দ দিয়েছেন বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়।


খোকার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় খোকাকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে বলে প্রণব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।
 
সূত্র: বাংলানিউজ
Share:

রবিবার দেশব্যাপী জামায়াতের হরতাল

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স:  মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বহাল রাখার প্রতিবাদে রোববার (৮ মে) সকাল থেকে সোমবার ( ৯ মে) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার (মে ০৫) নিজামীর ফাঁসির রায় বহালের সুপ্রিম কোর্ট অাপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের পরপরই এক বিবৃতিতে এই হরতালসহ অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জামায়াতে ইসলামী।

এক যুক্ত বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান শুক্রবার (৬ মে) দেশব্যাপী দোয়া দিবস, শনিবার (৭ মে) দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ এবং আগামী রোববার (৮ মে) সকাল ৬টা থেকে সোমবার ( ৯ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ সর্বাত্মক হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের এম. আলম স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ী, হাসপাতাল, ঔষধের দোকান, ফায়ার সার্ভিস ও সংবাদপত্রের গাড়িকে হরতালের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
সূত্র: বাংলানিউজ

Share:

নিজামীর রিভিউ খারিজ, যে কোন মূহুর্তে ফাঁসি


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

নিজামীর করা রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার (০৫ মে) এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। অন্য তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।  

মঙ্গলবার (০৩ মে) রিভিউ আবেদনটির শুনানি শেষে রায়ের দিন বৃহস্পতিবার ধার্য করেন একই আপিল বেঞ্চ।
সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি করেন আসামিপক্ষে নিজামীর প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ২৯ মার্চ ৭০ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনটি করেন নিজামীর আইনজীবীরা। এতে মোট ৪৬টি কারণ দেখিয়ে আপিল বিভাগের ফাঁসির রায় বাতিল করে খালাস ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আরজি জানানো হয়েছে।

গত ৩ ও ১০ এপ্রিল রিভিউ আবেদনটি কার্যতালিকায় এলেও আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনে দু’দফা পিছিয়ে যায় শুনানির দিন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গত ০৬ জানুয়ারি নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সংক্ষিপ্ত আকারে চূড়ান্ত রায় দেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির একই আপিল বেঞ্চ।
গত ১৫ মার্চ আপিল মামলাটির ১৫৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সর্বোচ্চ আদালত।

রায়টি রাতেই বিচারিক আদালতে গেলে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-১। এর পর পরই মৃত্যু পরোয়ানাসহ পূর্ণাঙ্গ রায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়, ঢাকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পরদিন ১৬ মার্চ সকালে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর কনডেম সেলে থাকা নিজামীকে মৃত্যু পরোয়ানা ও পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ে শোনানো হয়।
নিজামীকে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত ৮টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে ৪টিতে ফাঁসি ও ৪টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ৩টিতে ফাঁসি ও ২টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। অন্য তিনটিতে চূড়ান্ত রায়ে দণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন নিজামী, যার মধ্যে একটিতে ফাঁসি ও দু’টিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ছিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নিখিল পাকিস্তানের সভাপতি হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন নিজামী। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ছাড়াও সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) হিসেবে আলবদর বাহিনী ও ছাত্রসংঘের অপরাধের দায়ও তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে বিচারিক ও আপিল আদালতের রায়ে।
নিজামীর বিরুদ্ধে মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ৮টি অর্থাৎ ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮ ও ১৬ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে।

প্রমাণিত চারটি অর্থাৎ সাঁথিয়া উপজেলার বাউশগাড়িসহ দু’টি গ্রামে প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষকে গণহত্যা ও প্রায় ৩০-৪০ জন নারীকে ধর্ষণ (২ নম্বর অভিযোগ), করমজা গ্রামে ১০ জনকে গণহত্যা, একজনকে ধর্ষণসহ বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ (৪ নম্বর অভিযোগ), ধুলাউড়ি গ্রামে ৫২ জনকে গণহত্যা (৬ নম্বর অভিযোগ) এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (১৬ নম্বর অভিযোগ) দায়ে নিজামীকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল।

এর মধ্যে ৪ নম্বর অভিযোগের দায় থেকে নিজামীকে খালাস দিয়ে বাকি তিনটিতে ফাঁসি বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
অন্য চারটি অর্থাৎ পাবনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা কছিমুদ্দিন হত্যা (১ নম্বর অভিযোগ), মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়মিত যাতায়াত ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র (৩ নম্বর অভিযোগ), বৃশালিখা গ্রামের সোহরাব আলী হত্যা (৭ নম্বর অভিযোগ) এবং রুমী, বদি, জালালসহ সাত গেরিলা যোদ্ধা হত্যার প্ররোচনার (৮ নম্বর অভিযোগ) দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

এর মধ্যে ১ ও ৩ নম্বর অভিযোগের দায় থেকে চূড়ান্ত রায়ে খালাস পেয়েছেন নিজামী। বাকি দু’টিতে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আনোয়ারুল হক ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন নিজামীকে।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ২৩ নভেম্বর আপিল করেন নিজামী। ছয় হাজার ২শ’ ৫২ পৃষ্ঠার আপিলে মোট ১শ’ ৬৮টি কারণ দেখিয়ে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছিলেন তিনি।
তবে সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ।

সূত্র: বাংলানিউজ
Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন