Thursday, August 18, 2016

অফিসে সিনেমায় দেখায় মগ্ন কর্মকর্তা, পিছনে চুপে চুপে এসে হাজির মন্ত্রী , অতঃপর কি ঘটল দেখুন ভিডিওতে


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলিতে মাঝেমধ্যেই আচমকা হানা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজে ফাঁকি চোখে পড়লে হাসপাতালের বড় কর্তা থেকে শুরু করে সাফাইকর্মী, কাউকেই রেয়াত করেন না তিনি। এই দৃশ্যের সঙ্গে কলকাতা-সহ রাজ্যবাসী পরিচিত। এবার একই ধরনের ঘটনা দেখা গেল দিল্লিতে।

সরকারি হাসপাতালের বাইরে রোগীদের ভিড়, দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে অপেক্ষা— এগুলোই পরিচিত ছবি। কিন্তু সেই সময়ে হাসপাতালের ভিতরে কর্মীরা কী করেন? সবাই যে ফাঁকি মারেন, এমনটা নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু কয়েকজন কর্মী যে সরকারি চাকরির সুবিধে নিয়ে অফিসে এসে কাজে চূড়ান্ত ফাঁকি দেন, তার প্রমাণ আবারও হাতেনাতে পাওয়া গেল। সাক্ষী থাকলেন খোদ দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া। দিল্লির একটি সরকারি হাসপাতালে সম্প্রতি আচমকা হানা দিয়েছিলেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী।

হাসপাতালের তখন রোগীদের যথেষ্টই ভিড় ছিল। কাউন্টারে, কাউন্টারে পরিষেবা পাওয়ার জন্য লম্বা লাইন। এরই মধ্যে মণীশ শিশোদিয়ার নজর যায় এক কর্মীর দিকে। বাইরে যখন রোগীদের লম্বা লাইন, তখন নিজের আসনে বসে দিব্যি কম্পিউটারে সিনেমা দেখছিলেন ওই কর্মী।

সিনেমা দেখায় ওই কর্মী এতটাই মগ্ন ছিলেন যে খোদ উপ-মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পিছনে এসে দাঁড়ালেও তিনি টের পাননি। মণীশ শিশোদিয়া তাঁকে হাল্কা ধাক্কা দিয়ে ডাকতেই সম্বিত ফেরে ওই কর্মীর।

ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়ে যতক্ষণে কম্পিউটারে চলতে থাকা সিনেমা বন্ধ করলেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এরপরেই দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমকাতে শুরু করেন। ওই কর্মীর তখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। ওই কর্মী কোন আধিকারিকের অধীনে কাজ করেন তাও জানতে চান মণীশ। বাইরে যখন রোগীদের লম্বা লাইন, তখন কীভাবে তিনি অফিসে এসে সিনেমা দেখছেন, ওই কর্মীকে সেই প্রশ্নও করেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী।

অভিযুক্ত কর্মীটি বারবার অনুরোধ করলেও কাজ হয়নি। ওই দফতরের ইন্সপেক্টরকে অবিলম্বে ওই কর্মীকে সরিয়ে দিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। গোটা পর্বের ভিডিওটি আম আদমি পার্টির নিজস্ব ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: এবেলা
Share:

এবার ট্রেনের চাকায় মারা গেলো চার হাতি

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স
ঢাকা: বাংলাদেশে হাতি বঙ্গবাহাদুর মৃত্যুর একদিন পরেই শ্রীলঙ্কায় প্রাণ গেলো তিন শাবকসহ এক বয়স্ক হাতির। ট্রেনে কাটা পড়ে হাতি চারটির মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী কলম্বোর উত্তর অংশে সদ্য উন্নয়ন করা রেললাইনের মধ্যে কাটা পড়ে হাতি চারটির নির্মম মৃত্যু হয়।

লঙ্কান বন্যপ্রাণি বিভাগের পরিচালক ডাব্লুউএসকে পাঠিরাত্না বলেছেন, মূলত ট্রেনটি রাতে না দেখার কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে হাতি চলাচলের রাস্তায় রাতে ট্রেন চলাচলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হবে; প্রয়োজনে দেওয়া হবে বিশেষ আলোক ব্যবস্থা।

দেশটিতে প্রতি বছর বহু হাতির মৃত্যু হচ্ছে। এরমধ্যে মানবসৃষ্ট কারণে মৃত্যু কমপক্ষে ২০০ হাতির। এছাড়া ৫০টি হাতির মৃত্যু হয় স্বাভাবিক নিয়মে। এতে করে হাতির সংখ্যা কমতে কমতে শ্রীলঙ্কায় এখন দাঁড়িয়েছে মাত্র সাত হাজারে। যা ১৯৯০ সালে ছিল ১২ হাজারের মতো।

সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হল শেয়ার করুন
Share:

জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৫৮২৭৬


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স
ঢাকা: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার মেধা তালিকায় সর্বোচ্চ ৫৮ হাজার ২৭৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর মধ্যে ৮টি সাধারণ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৫০ জন শিক্ষার্থী। আর মাদ্রাসা, কারিগরি মিলে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩২৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতবারের তুলনায় এবার ১৫ হাজার ৩৮২ জন বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

ঢাকা বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৮ হাজার ১১০ জন। এর মধ্যে ছেলে ১৫ হাজার ২৪৫ জন এবং মেয়ে ১২ হাজার ৮৬৫ জন। ২০১৫ সালে এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৮ হাজার ৮৯৩ জন। তার মধ্যে ছেলে ১০ হাজার ৩০২ জন এবং মেয়ে ৮ হাজার ৫৯১ জন।

রাজশাহী বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৫ জন। ছেলে ৩ হাজার ৫৮০ জন, মেয়ে ২ হাজার ৪৯৩ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া ৫ হাজার ২৫০ জনের মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৮৬৫ জন, মেয়ে ২ হাজার ৩৮৫ জন।

কুমিল্লা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৯১২ জন। ছেলে ৯৫৮ জন এবং মেয়ে ৯৪৪ জন। গত বছর ছিল ১ হাজার ৪৫২ জন। যার মধ্যে ছেলে ৭৫৪ জন, মেয়ে ৬৯৮ জন।

যশোর বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৬ জন। এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৬১৬ জন, মেয়ে ১ হাজার ৯৭০ জন। গত বছর বোর্ডটিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৯২৭ জন শিক্ষার্থী। তার মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৯৮ জন, মেয়ে ৮২৯ জন।

বরিশাল বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৮৭ জন। এর মধ্যে ছেলে ৪১৬ জন, মেয়ে ৩৭১ জন। ২০১৫ সালে একই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৩১৯ জন। তার মধ্যে ছেলে ৬৬০ জন এবং মেয়ে ৬৫৯ জন।

সিলেট বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৩০ জন। এর মধ্যে ছেলে ৭৯৪ জন, মেয়ে ৫৩৬ জন। ২০১৫ সালে সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৩৫৬ জন। যার মধ্যে ছেলে ৭৯৮ জন, মেয়ে ৫৫৮ জন।

দিনাজপুর বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৯৯ জন। এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৩৩৪ জন, মেয়ে ১ হাজার ৫৬৫ জন। ২০১৫ সালে এ শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ৩৯৫ জন। তার মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৫০৮ জন, মেয়ে ৮৮৭ জন।

এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৪১৪ জন। এর মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৭৬৭ জন, মেয়ে ৬৪৭ জন। এইচএসসি ভকেশনাল এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৭ জন। এর মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ২৩৪ জন, মেয়ে ৩ হাজার ৩৫৩ জন।

অন্যান্য ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২৫ জন। এর মধ্যে ছেলে ১৮৩ জন এবং মেয়ে ১৪২ জন।


সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হল শেয়ার করুন
Share:

বঙ্গ বাহাদুরের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা:
ভারত থেকে আসা বন্য হাতি বঙ্গ বাহাদুরের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং এক কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) হাইকোর্টে বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুচ আলী আকন্দ।

পরে ইউনুচ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সরকার। কিন্ত ভারত থেকে আসা হাতিটি সংরক্ষণ ও তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি। তাই এ রিট দায়ের করা হয়েছে।

রিটে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সভাপতি করে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আবেদন জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি বণ্যহাতিটির মৃত্যুর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

রিটে মৎস ও পশু সম্পদ, বন ও পরিবেশ, স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  এবং জামালপুরের জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়েছে।

গত ২৬ জুন বন্য হাতিটি ভারতের আসাম থেকে বন্যার পানিতে ভেসে কুড়িগ্রাম সীমান্ত হয়ে বিভিন্ন জেলা ঘুরে শেষে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার কামড়াবাদ ইউনিয়নের কয়বা গ্রামে গত ১৬ আগস্ট মারা যায়।


সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন
Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন