Saturday, July 30, 2016

স্বামীর মৃত্যুতে ৩ সন্তানসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন স্ত্রী


আন্তজাতিক ডেক্স: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। স্বামী হারানোর বেদনা সহ্য করতে না পেরে তাই তিন সন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন স্ত্রী।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে ভারতের হায়দ্রাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩০ জুলাই) দেশটির স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, স্বামী সত্যনারায়ণ এবং তিন সন্তানসহ কারে যোগে হায়দ্রাবাদ যাচ্ছিলেন স্ত্রী মেরাবি (৪৫)। হায়দ্রাবাদ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ভঙ্গাইর নামে একটি স্থানে একটি হোটেলে রাতের খাবার খান তারা। খাবার খাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন সত্যনারায়ণ। পরে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।

এরপর হাসপাতাল থেকে হায়দ্রাবাদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিন সন্তানসহ রওয়ানা হন মেরাবি। এ সময় হায়দ্রাবাদ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ঘাটকেসার নামক স্থানে পৌঁছলে দুই মেয়ে এবং এক ছেলেসহ চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন মা মেরাবি। দুই মেয়ে হলেন- সোয়াত (৩১) ও নিলিমা (২৯) এবং ছেলের নাম সিভারাম কৃষ্ণ (২৩)।

তবে এ ঘটনায় স্ত্রী ও তিন সন্তানের শেষ পরিণতির কথা জানা যায়নি। মৃত সত্যনারায়ণ পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এবং হাউজিং বোর্ডের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
Share:

আরও দু’টি এলএনজি, ডিজেল যাবে বেসরকারি খাতে


নিউজ ডেক্স: পায়রা ও কক্সবাজারের মহেশখালীতে আরও দু’টি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘এক্সিলারেট এনার্জি’র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে এক্সিলারেট এনার্জি প্রায় ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে, যা বাংলাদেশে শেভরনের পর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানির সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হতে যাচ্ছে।
 
এক্সিলারেট এনার্জি টার্মিনাল নির্মাণের পর বাংলাদেশ তা ১৫ বছর ব্যবহারের জন্য চুক্তি করেছে। প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার এলএনজি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন টার্মিনালটি থেকে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।

নগরীর শেরেবাংলা নগরে নিজ কার্যালয়ে বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, রামপাল, মাতারবাড়ী, পেকুয়া ও গজারিয়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

তিনি বলেন, ‘জ্বালানি খাত আরও উন্নত হবে। ডিজেল আমদানি বেসরকারি খাতকে দিয়ে দেবো। আমরা গ্যাস আমদানিতে বিশেষ নজর দেবো, যেজন্য এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে’।

মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাত স্বচ্ছন্দেই ডিজেল আমদানি করতে পারবে। ৪ হাজার ৯শ’ ৩৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গল পয়েন্ট মরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন প্রকল্পের’ অনুমোদন দিয়েছি। এটি বাস্তবায়িত হলে ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে প্রকল্পের খরচ উঠে আসবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে বন্দর থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে তেল সরবরাহের বিষয়টিও সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন’।

‘বর্তমানে আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের একটি জাহাজ খালাস করতে প্রায় ১১ দিন সময় লাগে। কারণ, যেসব বড় জাহাজে করে তেল আসে, তা কর্ণফুলী নদীতে প্রবেশ করতে পারে না। ওই জাহাজ গভীর সমুদ্রে রেখে লাইটারেজ ভেসেল নিয়ে বন্দরে আনা হয়। এতে ব্যয় ও সময় দু’টিই অনেক বেশি হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর মাত্র দু’দিনে একটি জাহাজ খালাস করা সম্ভব হবে। লাইটারেজ থেকে যে তেল চুরি হতো, সেটা বন্ধ হবে। বছরে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে’।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি(এডিপি) বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কোনো কোনো মন্ত্রণালয় শতভাগের ওপরে চলে গেছে। এ বছর যে ঘাটতি আছে তা হলো পিএ (প্রকল্প সাহায্য)। বিদেশি অনুদান ও প্রকল্প সাহায্যের টাকা সেভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। এ বছর নতুন পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী সপ্তাহে সচিবদের নিয়ে বসবো, যেন প্রকল্পের টাকা বছর শেষে শতভাগ বাস্তবায়ন করা যায়। প্রকল্প সাহায্যের টাকা খরচের নিয়ম-নীতি শেখানোর লক্ষ্যে পিডিদের (প্রকল্প পরিচালক) প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করবো। তবে সরকারি অর্থায়নের (জিওবি) অর্থ খরচের পরিমাণ ভালো।’।

‘কোথায় কি সমস্যা আছে সেগুলো চিহ্নিত করবো। মন্ত্রী, সচিব ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মিটিং করবো। যে সমস্ত মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে সাহায্যের পরিমাণ বেশি, সেসব মন্ত্রণালয় ভিজিট করবো’।

মন্ত্রীর আশাবাদ, ‘জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ থেকে আরও ওপরে উঠবে। এটা ৭ দশমিক ১০ থেকে ৭ দশমিক ১২ শতাংশও হতে পারে। রফতানি বাণিজ্য ও এডিপি বাস্তবায়ন ভালো হয়েছে বলেই প্রবৃদ্ধি বাড়বে। ব্যক্তি বিনিয়োগও অনেক বেড়েছে’।

‘বাংলাদেশে ব্যাংকে প্রাক্কলিত ঋণ সঞ্চালনের পরিমাণ ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এটা বেড়ে হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ’।

মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তদারকি করছেন। প্রতিটি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রতিমাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি মেগা প্রকল্পেরই কাজ সুন্দরভাবে চলছে, বাস্তবায়নের গতিও ভালো’।

‘এবার বড় প্রকল্প আসবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণ প্রকল্প। চলতি বছরেই এটা অনুমোদন দিয়ে দেবো। প্রকল্পটির ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) করা হচ্ছে। এরপরেই ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) তৈরি করবো। পদ্মাসেতু হয়ে গেলে এ অঞ্চলে (গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর) আরও একটি অর্থনৈতিক হাব হবে। পদ্মাসেতুর পাড় মিনি ঢাকার চেয়ে বড় হওয়ায় এটি আরও একটি ঢাকা হবে’।

‘এ অঞ্চলটি ভারতের পাশেই। সুতরাং কলকাতাসহ ভারতের নানা অঞ্চলে বাণিজ্যিক কার্যক্রমও করতে পারবো’।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম


Share:

কুমিল্লায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, ৩ জনকে আটক


নিউজ ডেক্স: কুমিল্লা শহরের শুভপুর এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সেখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করছে।

৩০ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে কুমিল্লার র‌্যাব সদস্যরা নগরীর শুভপুর এলাকার মসজিদের পাশের নয়ন ভিলা নামে বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করছে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় জানায়নি র‌্যাব।

এ বিষয়ে কুমিল্লা র‌্যাব-১১, এর কমান্ডার মুস্তাফা কায়জার জানান, র‌্যাবের অভিযান এখনও চলছে।
Share:

বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন ও করণীয়

স্বাস্থ্য ডেক্স: বুক  ধড়ফড় করা কোন রোগ নয়। রোগের উপসর্গ। আমাদের দেশে এ সমস্যা প্রচুর দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। বুক ধড়ফড় করলে সবাই ভয় পেয়ে যান। এই বুঝি প্রাণটা গেল। কিন্তু সবসময় যে জটিল কোন রোগের কারনে বুক ধড়ফড় করে তা নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ কিছু কারনে বুক ধড়ফড় হয়।

বুক ধড়ফড় আক্রান্ত রোগী এ সমস্যার বিভিন্ন রকম বর্ণনা দেন। অর্থাৎ বুক ধড়ফড় আক্রান্ত রোগীরা বিভিন্নভাবে তাদের সমস্যা চিকিৎসকের কাছে উপস্থাপণ করেন। কেউ শ্বাসকষ্টের কথা বলেন। কেউ বুকে ব্যথার কথাও বলেন। তাই চিকিৎসককে প্রথমেই সমস্যাটি ভালোভাবে বুঝে নিতে হয়।

বুক ধড়ফড় করার কারন:
১. বুক ধড়ফড় করার সবচেয়ে প্রধান কারন দুশ্চিন্তা।
২. রক্তস্বল্পতা থাকলেও বুক ধড়ফড় করে।
৩. অনেক সময় গর্ভাবস্থায় এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪. কারো থাইরোটক্সিকোসিস (দেহে অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোন তৈরির জন্য সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা) থাকলে বুক ধড়ফড় করে।
৫. আমাদের হৃৎপিন্ডে বিভিন্ন ভালব থাকে। ভালবগুলো একমুখী রক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করে। এই ভালবে সমস্যার কারনেও বুক ধড়্ফড়্ করে।
৬. হৃৎপিন্ডের বিভিন্ন জটিল রোগ (যেমন: AF, SVT, VT প্রভৃতি) থাকলে বুক ধড়ফড় করতে দেখা যায়।
৭. এছাড়া হৃৎপিন্ডের অলিন্দ এবং নিলয়ে যদি অতিরিক্ত সংকোচন হয় তবে মাঝে মাঝে খুব অল্প সময়ের জন্য বুক ধড়্ফড়্ হতে পারে। যারা অ্যালকোহল গ্রহণ করেন এবং ধূমপান করেন তাদের এমন বেশি হয়।
৮. অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভুগলেও হৃৎপিন্ডের অতিরিক্ত সংকোচন হয় এবং এতে বুক ধড়ফড় হতে পারে।

বুক ধড়ফড়-এর পেছনে ঠিক কি কারন লুকিয়ে আছে তা অভিজ্ঞ চিকিৎসক সহজেই বের করতে পারেন। একজন দক্ষ চিকিৎসক রোগীর ইতিহাস জেনে এবং শারীরিক পরীক্ষা করে উপরোক্ত রোগগুলো নির্ণয় করতে পারেন। তবে অনেক সময় নিশ্চিত হবার জন্য এক্সরে, ইসিজি, ইকো-কার্ডিওগ্রাম, এনজিওগ্রাম, ইটিটি টেস্ট এবং রক্তের কিছু পরীক্ষা করার দরকার হয়।

বুক ধড়ফড় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বড় কোন কারনে হয় না। তাই ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তবে যেহেতু হৃৎপিন্ডের জটিল কিছু রোগের কারনে এমনটি হতে পারে, তাই বুক ধড়ফড় করলে অবহেলা করা উচিত নয়। দ্রুত একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখানো উচিত এবং কারন খুঁজে চিকিৎসা করা উচিত। তা না হলে অকালেই ঝরে যেতে পারে অমূল্য প্রাণ।
 
লেখক: ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির ভূঁইয়া, সহকারী রেজিস্ট্রার, লিভার রোগ বিভাগ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
Share:

শিশুর ডায়রিয়া হলে ৭টি করণীয়

হেলথ ডেক্স: ডায়রিয়া বাচ্চাদের খুব পরিচিত একটা রোগ। এই সময় রোগটির প্রকোপও বেশি। ডায়রিয়া মূলত খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ। অর্থাৎ খাবার ও পানির মাধ্যমে জীবাণু শরীরের ভেতর প্রবেশ করে। ডায়রিয়া সাধারণত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। ডায়রিয়ার সবচেয়ে বড় জটিলতা হচ্ছে পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতা হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে, এমনকি শিশু মারাও যেতে পারে। ডায়রিয়া সাধারণত তিন ধরনের। যেমন:

১. একিউট ওয়াটারি ডায়রিয়া (Acute Watery Diarrohea): পাতলা পায়খানা যদি ১৪ দিনের কম স্থায়ী হয় এবং পায়খানার সাথে কোন রক্ত না যায়।

২. পারসিসটেন্ট ডায়রিয়া (Persistent Diarrohea): পাতলা পায়খানা ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হলে।

৩. ডিসেন্ট্রি (Dysentery): রক্তমিশ্রিত পায়খানা।

চলুন জেনে নেয়া যাক একিউট ওয়াটারি ডায়রিয়া (Acute watery Diarrhea) বা সাধারণ পাতলা পায়খানার লক্ষণ ও হলে কি করনীয়।

কোন শিশুর দিনে ৩ বারের অধিক পাতলা পায়খানা হলে এবং পায়খানার সাথে কোন রক্তমিশ্রিত না থাকলে তা সাধারণ পাতলা পায়খানা হিসাবে ধরে নিতে হবে। এর কারন প্রধানত রোটা ভাইরাস, E. coli বা Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়া। এ সময় পাতলা পায়খানার সাথে শিশুর হালকা জ্বর ও বমি থাকতে পারে।

বিপদজনক লক্ষণ:

 ডায়রিয়ার কিছু বিপদজনক লক্ষণ আছে যা সবার জানা প্রয়োজন। এর কোন একটা লক্ষণ দেখামাত্র চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে। লক্ষণগুলো হচ্ছে-

১. শিশুর নিস্তেজ হয়ে পড়া,

২. চোখ বসে যাওয়া,

৩. বুকের দুধ টেনে খেতে না পারা,

৪. অন্য কোন তরল খাবার না খাওয়া বা খুব কম পরিমানে খাওয়া,

৫. বারবার বমি করা।

করণীয়:

 ১. ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ায় পানিশূন্য হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ফলে শিশুকে বারবার তরল খাবার যেমন: ডাবের পানি, চিড়ার পানি, ভাতের মাড়, টক দই ও লবণ-গুড়ের শরবত ইত্যাদি বেশি করে খেতে দিতে হবে।

২. তরল খাবারের পাশাপাশি খাওয়ার স্যালাইন দিতে হবে। শিশুর ওরস্যালাইন এর পরিমান হচ্ছে, প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২৪ মাসের কম বয়সী শিশুর জন্য ৫০-১০০ মিলি, ২-১০ বছর বয়সী ‍শিশুর জন্য ১০০-২০০ মিলি এবং ১০ বছর এর অধিক বয়সীদের জন্য চাহিদা অনুযায়ী।

৩. যারা বুকের দুধ খায় তাদেরকে বারবার বুকের দুধ দিতে হবে।

৪. শিশু যদি বমি করে তাহলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার খাওয়াতে হবে।

৫. তাজা ফলের রস দিলে পটাশিয়াম এর ঘাটতি পূরণ হবে।

৬. ডায়রিয়া ভাল হয়ে গেলেও পরবর্তী ২ সপ্তাহ শিশুকে এরকমভাবে বাড়তি খাবার প্রতিদিন দিতে হবে।

৭.
চিকিৎসক এর পরামর্শ ব্যতীত কোন অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোন ওষুধ শিশুকে খাওয়ানো যাবে না (যেটা অনেক বাবা মা করে থাকেন)।

মনে রাখতে হবে, ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতার কারনে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর হার এখনো অনেক বেশি। কিছু সামাজিক কুসংস্কারের কারনে আক্রান্ত শিশুকে সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা হয় না বলেই আমাদের দেশের চিত্রটা এমন। কিন্তু সঠিক জ্ঞান থাকলে ঘরে থেকেই ডায়রিয়া জনিত পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

তথ্যসূত্র: সুস্বাস্থ্য২৪
Share:

সব দলের প্রতিনিধি নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি করা হবে: সৈয়দ আশরাফ


নিউজ ডেক্ষ: স্থানীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটিতে সবাইকে অর্ন্তভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ডিসিদের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। বৈঠকে জেলা প্রশাসকরা বাসস্থান, পরিবহন, চালকদের বেতনসহ অন্যান্য সুবিধা ও ছোটখাট বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এবং এসব চাওয়া পাওয়া পুরণের আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী কমিটি অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের এসব কমিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিটি ভূমিকা রাখবে।

সন্ত্রাসবিরোধী কমিটিতে নির্বাচিত বিএনপি-জামায়াতের জনপ্রতিনিধি অর্ন্তভুক্ত করা হবে কিনা জানতে চাইলে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘অফকোর্স করা হবে। স্থানীয় সরকার, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা সবাইকে অর্ন্তভুক্ত করা হবে। এটা (কমিটি) কোনো দলীয় অঙ্গ সংগঠন হবে না।’

জেলা পর্যায়ের সন্ত্রাসবিরোধী কমিটিতে সবদলকে রাখা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন স্থানীয়ভাবে এটা করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তাদেরকে নিয়ে এটি করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরো বিস্তার করা হবে।

তিনি বলেন, ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে প্রশাসন সবসময় গতিশীল থাকে। আমরা সবসময় যেটা বলি যে আমরা দেখতে চাই প্রশাসন যেন অলটাইম গতিশীল থাকে। সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা। সেই কাজে মাঠ প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছে।’ পুলিশের সঙ্গে ডিসিদের সমন্বয়হীনতা নেই বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জনমত গঠনে জেলা প্রশাসকরা গরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিশেষ নির্দশনার কথাও জানান সৈয়দ আশরাফ। তিনি বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে অনেকবার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীরাও এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। জেলা প্রশাসকদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা। মাঠ প্রশাসন এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে।’ এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় ডিসিরা সবসময় প্রস্তুত বলেও জানান মন্ত্রী।

জাতীয় ঐক্য নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা (ডিসি সম্মেলন) রাজনৈতিক প্লাটফরম তো না, সেটা এখানে এ বিষয়ে উল্লেখ করতে চাই না। নিশ্চয় কাল পরশু পাবেন এ বিষয়ে কথা বলতে। তিনি এ নিয়ে বেশি কথা বলতে রাজি হননি।

মন্ত্রী বলেন, গল্প করার জন্য কিন্তু এই ডিসি সম্মেলন না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু আসে এসব ইস্যু মোকাবিলা করার জন্য আমরা ওদের থেকে মাঠ পর্যায়ের অবস্থা জানতে চাই, তারাও আমাদের জানিয়ে থাকেন। আমরা সবকিছু সমন্বয় করে কাজ করতে চাই। একটা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব কিন্তু অনেক অনেক বেশি। আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সববিষয়ে তারা জড়িত। এখানে তারা সবকিছু নিয়েই তাদের বক্তব্য রাখেন আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন আমরাও শেয়ার করি। জেলা প্রশাসকের পদটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সঙ্গে ইন্টারেকশন বাড়াতে এই ডিসি সম্মেলন।

তথ্যসূত্র: নতুনসময়

Share:

পুরুষ জঙ্গীদের পাশাপাশি সক্রিয় হচ্ছে নারী জঙ্গিরা!

নিউজ ডেক্ষ: দেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক নারী জঙ্গিদের আটকের ঘটনায় উগ্র সংগঠনগুলোর নারী শাখার দিকে শঙ্কিত চোখে তাকাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জেলা পর্যায়ে পাড়ায়-মহল্লায় ধর্মপ্রচারের এবং ছোট-ছোট সাপ্তাহিক ধর্মসভার আড়ালে কার্যক্রম চালাচ্ছে নারী জঙ্গিরা। বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে নারীদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করার বিষয়ে কিছুটা বেগও পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। পুলিশ বলছে, নিয়মিত নজরদারির পর ভেবেচিন্তে এ নারীদের আটক করা হচ্ছে। এ নারীদের বিষয়ে এখন তাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য আছে।

নারী জঙ্গিদের আটক করা ও শনাক্ত করার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, সম্প্রতি ঢাকার বাইরে বেশকয়েকটি জায়গায় সন্দেভাজন নারীদের আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতায় নারীদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা হুট করে শনাক্ত করা মুশকিল। তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর রয়েছে। এবং কার্যক্রম নজরদারিতে রাখার পর তাদের আটক করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও হিজবুত তাহরির এখন অনেকবেশি নির্ভর করছে তাদের নারী সংগঠকদের ওপর। বেশকিছুদিন থেকেই নতুন রিক্রুটমেন্ট বা গোপন সভার খবরাখবর দেওয়ার কাজ নারীদের দিয়েই করানো হচ্ছে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরুষ নেতাকর্মীরা একটু গা ঢাকা দিয়ে নারীদের দিয়েই সাংগাঠনিক কাজগুলো সক্রিয় রাখছে। গোয়েন্দরা বলেন, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বা জেএমবি-র সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর যোগাযোগ থাকতে পারে।

এ সংগঠনগুলো নারীকর্মীদের দিয়ে দৃশ্যমান কাজগুলো করানোর প্রমাণ মেলে সিরাজগঞ্জে জঙ্গি সন্দেহে আটক নারীদের কর্মকাণ্ড থেকেও। খেটে খাওয়া মানুষদের কাছে তারা ধর্মের বাণী প্রচার করতেন তারা। কিন্তু এর আড়ালে চালাতেন জঙ্গি তৎপরতা। নারী হওয়ায় কেউ সন্দেহ করবে না এমন বিশ্বাসে সিরাজগঞ্জের একটি টিনশেড বাসা ভাড়া নিয়ে সপরিবারে খুব গোপনে দলে নতুন সদস্য বাড়ানোর চেষ্টাও চালাচ্ছিলেন চার নারী। পুলিশের দাবি, এই চার নারী নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।

গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে সন্দেহভাজন একাধিক জঙ্গিকে আটক করার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আটকের বিষয়ে বরাবরের মতোই মুখ বন্ধ করে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত রোববার ভোররাতে সিরাজগঞ্জ শহরের মাছুমপুর মহল্লার উত্তরপাড়ায় হুকুম আলীর ভাড়া বাড়ি থেকে আটক করা হয় চার নারীকে। তাদের হেফাজত থেকে ছয়টি হাতবোমা, গ্রেনেডের চারটি খোল, নয়টি জিহাদি বই, ডেটোনেটর, সুইচ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এরও আগে গুলশান হামলায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে নরসিংদী থেকে রুমা আক্তার (৩৫) নামে এক নারীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। যদিও তার পরিবারের দাবি, রুমা মানসিক ভারসাম্যহীন।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছে তারা। গত ২৩ জুলাই গোপন বৈঠককালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আটিয়াতলী এলাকার একটি বাসা থেকে জামায়াতের ১১ নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

এছাড়া, জামায়াতের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ায় অভিযান চালিয়ে জলি খাতুন (২৮) নামে জামায়াতের এক নারীকর্মীকে আটক করে পুলিশ। জলি খাতুন জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী। সে দীর্ঘদিন এ এলাকায় তার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছিলো। তবে কী ধরনের প্রশিক্ষণ তা এখনও জানা যায়নি। নারী হওয়ায় তার কর্মকাণ্ড সন্দেহের চোখে দেখা হয়নি বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

বছর দুয়েক ধরে হিযবুত তাহরীরের নারী সংগঠন কাজ করছে। যদিও ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে রাজধানীসহ সারাদেশে সংগঠনটির কর্মীরা যেমন সক্রিয় আছে ঠিক তেমনই বাড়ছে নারীকর্মী যাদের তারা মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।

এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, আমরা আগে থেকেই বলে আসছি এ ধরনের জঙ্গি সংগঠনগুলো নানা কৌশলে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে। কঠোর হাতে এদের দমনের বাইরে এ কৌশল থামানোর আর কোনো উপায় নেই। তারা যখন সমাজে নানা কারণেই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তখন কার্য হাসিলের জন্য নারী উইংকে ব্যবহার করছে।

তথ্যসূত্র: নতুনসময়

Share:

গুলশান হামলার ‘মূলহোতা’ তামিম ভারতে

নিউজ ডেক্স: গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) অন্তত পাঁচ সদস্য ভারতে প্রবেশ করেছে বলে সন্দেহ করছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে সেই পাঁচ সন্দেহভাজনের নামের তালিকা ভারত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সে দেশে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য নুরুল হক মণ্ডল ওরফে নাইমকে ফেরত দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ভারত সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এক বৈঠকে সন্দেহভাজন ৫ জেএমবি সদস্যের ব্যাপারে আলোচনা করেন। সেই বৈঠকেই নাইমকে দেশে ফেরত পাঠানোর এ অনুরোধ জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সংক্রান্ত দুইটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সে দেশে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য নুরুল হক মণ্ডল ওরফে নাইমকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর কলকাতা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শাকিল গাজী ও করিম শেখ নামের দু্ই ব্যক্তি নিহত হন। এনআইএর দাবি অনুযায়ী তারাও জেএমবির সদস্য ছিলেন। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএর দাখিল করা অভিযোগপত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে হটানোর বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অন্যতম নেপথ্য ব্যক্তি এই নাইম।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপটে নাইমকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। অনুরোধ বিবেচনা করে দেখতে সম্মত হয়েছেন রাজনাথ সিং।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার দাবি অনুযায়ী, এনআইএর জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছিলেন, তিনি বাংলাদেশে গিয়ে যাত্রাবাড়ী ও মিরপুরে প্রায় দেড় বছর কাটিয়েছিলেন। সেখানে বশির ওরফে তালহা ও আনিস ওরফে কাউসারের কাছে বোমা তৈরির ওপর প্রশিক্ষণ নেন। বশির জেএমবির জ্যেষ্ঠ সদস্য সাইদুর রহমানের ছেলে।

অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুলশান হামলার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়ার মতো ভারতীয় রাজ্যগুলোকে সতর্কতায় রাখা হয়েছে। সে সতর্কতার মধ্যেই এবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ সন্দেহভাজন জঙ্গির তালিকা ভারতকে দেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) যে ৬৮ জন নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করেছে তার মধ্যে ওই পাঁচজনের নাম রয়েছে। বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী, তারা সবাই জেএমবির কর্মী। তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ।

পাঁচ সন্দেহভাজনের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরীও রয়েছেন। তাকে গুলশান হামলার হোতা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠী এবং আইএস-এর সঙ্গে তার সংযোগ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
খবরে বলা হয়, তামিম চৌধুরী আবু ইব্রাহিম আল হানিফ চৌধুরী নামেও পরিচিত। ২০১৬ সালে আইএসের কথিত প্রপাগান্ডা ম্যাগাজিন দাবিক-এ তার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। কানাডাবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসে।

তথ্যসূত্র: নতুন সময়
Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন