Sunday, June 19, 2016

ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় ক্রিকেটার গ্রেফতার

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর ডেক্স:

ঢাকা: জিম্বাবুয়েতে সফররত ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের এক ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত দলের হারের পরদিন রোববার দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘নিউ জিম্বাবুয়ে’ এ খবর প্রকাশ করে।


 
জিম্বাবুয়ের এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার হারারেতে ওই ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। হারারের সহকারী পুলিশ কমিশনার চ্যারিটি চারাম্বা গ্রেফতারের নিশ্চিত করলেও ওই ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেননি।

নিউ জিম্বাবুয়ে-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হারারের মেইকলেস হোটেলে ঘটেছে এ ঘটনা। ওই নারীর অভিযোগ রক্তাক্ত অবস্থায় এক ভারতীয় ক্রিকেটারের রুমে তার জ্ঞান ফেরে। তিনি ওখানে কীভাবে গেছেন, সেই ধারণাও নেই তার। ওই হোটেলেই বর্তমানে ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দল রয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা চ্যারিটি চারাম্বা বলেন, অভিযোগকারী নারী এক ভারতীয়র কথা বলেছে। আইনি বাধার কারণে আমি এ মুহূর্তে জানাতে পারছি না তিনি ভারতীয় খেলোয়াড় না কর্মকর্তা। তবে অভিযুক্তকে শনিবার আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, এ ঘটনার তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ। আর আদালতেই বিষয়টির সুরাহা হবে। বিষয়টি কূটনৈতিক পর্যায়ে রয়েছে।

তথ্য: সংগৃহীত
Share:

গর্ভ ভাড়া দেওয়াই চার বোনের পেশা..!

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

গর্ভ ভাড়া দিয়ে নিঃসন্তান দম্পতির মুখে হাসি ফোটান তাঁরা। আর এতেই চলে তাঁদের সংসার। শুধু গর্ভ ভাড়া দিয়েই প্রতি বছর ১০ হাজার পাউন্ড (১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা) আয় করেন মেক্সিকোর চার বোন।

এনিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের দৈনিক ডেইলি মেইল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মেক্সিকোর উন্নত অঞ্চলগুলোর অন্যতম টাবাসকোতে গর্ভ ভাড়া বা ‘সারোগেসি’ বাণিজ্যের বাজার এখন প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের। সেখানে হারনান্দেজ বোনদের মতো অনেকেই গর্ভ ভাড়া দিয়ে রুটিরুজি জোগান।

ওই চার বোন ডেইলি মেইলকে জানান, গর্ভ ভাড়া দিয়ে তাঁরা নয় মাসে যা রোজগার করেন, সেই পরিমাণ অর্থ আয় করতে তাঁদের ভাইদের ২০ বছর সময় লাগবে।
হার্নান্দেজ বোনদের সবচাইতে বড় জন মিলাগ্রোস (৩০) জানান, তাঁর হাত ধরে বাকি তিন বোনের এই ব্যবসায় আসা। এখন মার্থা (২৯), মারিয়া (২৭) এবং পাউলিনা (২২) এই ব্যবসায় বেশ আয় করছে।

মিলাগ্রোস আরো বলেন, ‘প্রতিটি নারীর কাছে তাঁর সন্তান অমূল্য ধন। কিন্তু আধুনিক যুগে সন্তান ধারণে অক্ষম নারীদের মা হওয়ার ধরন পাল্টেছে। দিন যত এগোচ্ছে, প্রযুক্তি ততই মানুষের অপূর্ণতাকে পূর্ণতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই জমি ভাড়া নিয়ে ফসল উৎপাদনের মতো মায়ের গর্ভ ভাড়া নিয়ে সন্তান উৎপাদন আজ আর অবাক হওয়ার কোনো বিষয় নয়।’

মিলাগ্রোস জানান, নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তানের জন্য একটি ব্যবস্থা গর্ভ ভাড়া বা সারোগেশন। সারোগেশনের অর্থ হলো গর্ভধারণে সক্ষম মায়ের ভ্রুণে শুক্রাণু প্রতিস্থাপন করে সন্তান লাভ। তবে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে সারোগেশনের ব্যয় খুব বেশি। আর তাই ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রের সন্তান ধারণে অক্ষম নারীরা সারোগেশনের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর দিকে ঝুঁকছে বেশি।

হার্নান্দেজ বোনদের মেঝো জন সার্গস মার্থা বলেন, ২৩ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের এক নিঃসন্তান দম্পতির জন্য গর্ভধারণ করেছিলেন তিনি। ৩৬ বছর বয়েসের ওই নারী ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। ক্যান্সারের কারণে তাঁর গর্ভাশয়ের একটি অংশ অপসারণ করতে হয়। এতে চিরদিনের মতো সন্তান ধারণে অক্ষম হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু তাঁর যে একটা সন্তান চাই। শেষে মেক্সিকোর এক এজেন্টের (চিকিৎসক) মাধ্যমে তাঁর (মার্থা) সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই নারী। শেষে তাঁর মাধ্যমেই সন্তানের মুখ দেখেছিলেন ওই নারী।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদককে মার্থা জানান, চুক্তি অনুযায়ী জন্মদানের পর শিশুটি ১০ দিন তাঁর কাছে ছিল। বুকের দুধ খাওয়াতে হয়েছিল শিশুটিকে, এরপর সদ্যোজাত শিশুটিকে পরিবার নিয়ে যায়।

হার্নান্দেজ বোনদের আরেকজন বলেন, এটা তাদের পারিবারিক ব্যাবসায় পরিণত হয়েছে। যদিও তা চার দেয়ালের বাইরে বলার মতো বিষয় নয়।
মার্থা জানালেন, গর্ভধারণের বিষয়ে কখনো কখনো অভিযোগের শিকার হতে হয়। বর্তমানে এক ফরাসির চার মাসের শিশুকে গর্ভে নিয়ে বেড়ানো এই নারী বলেন, ‘একবার প্রতিবেশিরা আমাকে শিশু পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করেছিল।’

‘‘আমরা কোনও অন্যায় করছি না। কিন্তু আমরা চার বোনই বেকার ‘অবিবাহিত মা’ যারা আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবছি।’’
দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে গর্ভ ভাড়া দেওয়া আইনত অবৈধ। তবে এই অঞ্চলের দরিদ্র নারীদের অভাবের সুযোগ নিয়ে তাদের দিয়ে এই কাজটি করিয়ে নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আর পরিবারে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য আনতে নিজেদের গর্ভ ভাড়া দেন দরিদ্র নারীরা। আর এই দরিদ্র নারীদের দিয়েই ব্যবসা করে যাচ্ছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও বেসরকারি হাসপাতাল।

কিন্তু এই যে এত টাকার বাণিজ্য হচ্ছে, তার খুব সামান্যই পাচ্ছেন গর্ভ ভাড়া দেওয়া নারীরা। শুধু তাই নয়, এসব নারীরা দরিদ্র ও অল্পশিক্ষিত হওয়ায় অনেক সময় তাঁদের না জানিয়েই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় জানা যায়, কিছুসংখ্যক চিকিৎসক নিশ্চিত সাফল্যের আশায় অনেক নারীকে না জানিয়েই গর্ভে পাঁচ থেকে ছয়টি ভ্রূণ প্রবেশ করিয়ে থাকেন। অথচ চিকিৎসাশাস্ত্র বলছে, এটি ঠিক নয়। এ ক্ষেত্রে গর্ভ ভাড়া দেওয়া নারীর জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।

(সংগৃহীত)
Share:

এককাপ চায়ের দাম ৮ লাখ টাকা..!

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা:
সকালে ঘুম থেকে উঠে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক ছাড়া অনেকের যেন দিন শুরু হয় না। আবার দিনের বেলা কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রামের ছুতোয় কিংবা ক্লান্তি দূর করতে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে থাকেন অনেকেই। আমাদের দেশে পথে ঘাটে চোখে পড়ে অনেক চায়ের দোকান। শহরে ৫-৬ টাকায়, গ্রামে ২-৩ টাকায় মেলে এক কাপ গরম চা। একটু দামি রেস্তরাঁ বা ফাস্ট ফুডের দোকান হলে এক কাপ চায়ের জন্য মূল্য দিতে হতে পারে ৫০-১০০ টাকা। কিন্তু এক কাপ চা পানে যদি পকেট থেকে বের হয়ে যায় লাখ টাকা তবে তা ভাবার বিষয়।




চায়নার ‘ডং হং পাও’ এমন এক ধরনের চা, যার এক কাপ করতে দিতে হবে অবিশ্বাস্য মূল্য। এক কাপ চায়ের দাম ১০ হাজার মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ৮০ টাকা ধরলে বাংলাদেশি টাকায় ৮ লাখ টাকা! এটাই বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দামি চা।
এক কেজি ‘ডং হং পাও’ চায়ের দাম ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। যদি আপনি সোনার দামের সঙ্গে এই চায়ের দাম তুলনা করেন, তাহলে দেখা যায় এক গ্রাম সোনার যে দাম তার থেকে এক গ্রাম ডং হং পাও চায়ের দাম ৩০ গুণ বেশি।

বিবিসি-র এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০২ সালে এক ভদ্রলোক ২৮ হাজার ডলার দিয়ে মাত্র ২০ গ্রাম চা কিনেছিলেন। এই চা চীনের উইয়ি পর্বতমালায় চাষ করা হয়। ঔষধি গুণাগুণের জন্যই এই চায়ের রয়েছে জগৎজোড়া খ্যাতি।

চীনা উপাখ্যান অনুযায়ী, মিং সাম্রাজ্যের এক রাজার মা মুমূর্ষু অবস্থায় এই চা পানে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেন। এরপরই এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। সেই থেকে নানা রোগের ওষুধ হিসেবে এই চা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

চীনের উইয়ি পর্বতের উচ্চতম স্থানে ছয়টি ঝোপে এই চা চাষ করা হয়। মিং শাসনামল থেকে চা চাষের স্থানগুলোকে অত্যন্ত সুরক্ষিত অবস্থায় লাল গাউন দিয়ে আচ্ছাদিত করে রাখা হয়। এ জন্য এই চা পাতাকে ইম্পেরিয়াল রেড রোবও বলা হয়ে থাকে।

বর্তমানে এই চা অত্যন্ত দুর্লভ এক বস্তু, যা চীনাদের জাতীয় সম্পদ। বিবিসির প্রতিবেদনে থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের পর প্রাচীন ওই ঝোঁপ থেকে নতুন করে কোনো চা উৎপাদিত হচ্ছে না, আর হবেও না।

বিশ্বে গুটিকয়েক ভাগ্যবান মানুষের কাছে এই চা সংরক্ষিত আছে। ২০০৫ সালের আগেই তারা এ চা কেনেন। তারা পরম যত্নে এই চা সংরক্ষণ করছেন। কারণ তাদের সংরক্ষণকৃত চা শেষ হলে পৃথিবী থেকে শেষ হয়ে যাবে মহামূল্যবান ‘হং ডং পো’ চা। আর সে কারণেই এর মূল্য আকাশ ছোঁয়া। আর কিছু দিন গেলে এই চা হীরার চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হবে- এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই!!

তথ্যসূত্র: সময়ের কণ্ঠস্বর

Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন