Monday, April 25, 2016

দৌলখাঁড়কে মডেল ইউনিয়নে পরিণত করলেন সিরাজুল আলম

স্টাফ রিপোর্টার,  প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম 

:  কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায় সব্বোর্চ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে এলাকার সাংসদ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) নিরলস  কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ণাঙ্গ সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়ন পরিষদ । দৌলখাঁড় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যকরি ভূমিকা আজ সর্বত্র প্রশংসিত। যে কারণে এক সময়ের অবহেলিত দৌলখাঁড় ইউনিয়ন এখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। ইউনিয়ন পরিষদের এই উন্নয়নে লোটাস কামালের সহযোগী হয়ে কাজ করছেন দৌলখাঁড় ইউনিয়ন পরিষদের  সুযোগ্য চেয়ারম্যান এনকেএম সিরাজুল আলম।

আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে গত বছরের জুন মাসে অনুষ্ঠিত দৌলখাঁড় ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সিরাজুল আলম। নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এলাকার উন্নয়নে নতুনমাত্রা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ লোকজন। এছাড়াও ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট নিরসনে চেয়ারম্যান সিরাজুল আলমের ভূমিকা এলাকায় বেশ প্রশংসিত হয়েছে।

চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। বটতলী এ মতিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকাকালীন ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষের কাছেও বেশ জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পান। এলাকার তরুণ সমাজ সিরাজুল আলমকে তাদের আদর্শ হিসেবে বেছে নিয়েছে।
জানা যায়, ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন সিরাজুল আলম। যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ করেন তিনি। এ কারণেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের কাছে তিনি সমান জনপ্রিয়।

সিরাজুল আলমের সম্পর্কে স্থানীয় শিক্ষক আবুল খায়ের (বিএসসি) বলেন, সিরাজুল আলমের মতো চেয়ারম্যান পাওয়া আমাদের জন্য খুবই সৌভাগের। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় যে উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তা অতীতের কোনো চেয়ারম্যান করতে পারেনি। তাই আসন্ন নবগঠিত বটতলী ইউনিয়ন নির্বাচনে সিরাজুল আলমকে চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকাবাসীর প্রয়োজন।
এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে চেয়ারম্যান সিরাজুল আলম  বলনে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের যে স্বপ্ন ভিশন-২০২১ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তা বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে চাই। চেষ্টা করছি আরো বেশি করে জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে। এলক্ষ্যে ইতিমধ্যে দৌলখাঁড় ইউনিয়নকে সম্পূর্ণ ভ্যাটমুক্ত ইউনিয়নে পরিণত করেছি। এখানে জনগণের কাছ থেকে বাড়ি, গাড়ি, হোল্ডিং ট্যাক্স সম্পূর্ণ ফ্রি রাখা হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সাটিফিকেট, ওয়ারিশনামাসহ অন্যান্য সব সেবা  বিনামূল্য দেওয়ার কারণে পরিষদের প্রতি সাধারণ জনগণের আগ্রহ বেড়েছে ।  এ সরকার আমলেই স্থানীয় সাংসদ আ.হ.ম. মোস্তাফা কামাল (লোটাস কামাল) এর নেতৃত্বে কয়েকশত কোটি টাকার উন্নয়ন বদলে দিয়েছে ইউনিয়নের মানচিত্র।
এক প্রশ্নের জবাবে সিরাজুল আলম বলেন,  আমার এই ক্ষুদ্র রাজনৈতিক জীবনে   জনগণের যে ভালোবাসা পেয়েছি, এজন্য নিজেকে ধন্য মনে করছি। এলাকাবাসী  চাইলে  আসন্ন বটতলী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবারো জয়ী হয়ে  জীবনের বাকি সময়টুকুও জনগণের পাশে থেকে  সেবা করে যেতে চাই।
Share:

ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে পাঁচে বাংলাদেশ


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স: আইসিসি’র ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে সাত থেকে পাঁচে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে সাতে উঠেছিল টাইগাররা।

এরপর আর কোনো ওয়ানডে সিরিজ না খেলেই এবার র‌্যাংকিংয়ে আরো দুই ধাপ উপরে উঠে এলো মাশরাফির দল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি বছরের একটা পর্যায়ে র‌্যাংকিংয়ের হালনাগাদ করে। সর্বশেষ হালনাগাদের ফলেই বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০১। এর ফলেই শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডকে টপকে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে গেলো লাল-সবুজ বাহিনী।

১২৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর আছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড (১১৭ রেটিং), ভারত (১১৫), দক্ষিণ আফ্রিকা (১১৪)।

আইসিসির সভা থেকে ফিরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিশ্চিত করেন এ খবর।

র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি যেভাবে:
হালনাগাদ করার সময় গত এক বছরের সবক’টি ম্যাচের শতভাগ পয়েন্ট এবং এর আগের দুই বছরের ম্যাচগুলোর ৫০ শতাংশ পয়েন্ট যুক্ত করে আইসিসি।

হালনাগাদের সময়কালটা তো বটেই, সাম্প্রতিক সময়ে একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের দুর্দান্ত সাফল্যের ছাপ পড়েছে তাই র‌্যাংকিংয়ে।

গত বছরের আগে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ও র‌্যাংকিংয়ের অবস্থান তলানিতে ছিল। পক্ষান্তরে শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স ছিলো বাংলাদেশের চেয়ে যথেষ্ট ভালো। কিন্তু ২০১৫ সালে দল দুটির বাজে পারফরম্যান্সের কারণে আইসিসির সর্বশেষ হালনাগাদে র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়লো শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ড।

সূত্র: বাংলানিউজ
Share:

খুলনায় হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স: একটি হত্যা মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনার বিশেষ দায়রা জজ আদালত ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আফজাল হাওলাদার, জাহিদ ওরফে পিচ্চি জাহিদ, সনু বিহারী ও লাভলু আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিন আসামি কাজল, মনির হোসেন ও ছোট শাহীন ওরফে শাহীন পলাতক।

রায়ে আদালত আফজাল হাওলাদার, জাহিদ ওরফে পিচ্চি জাহিদ, সনু বিহারী ও লাভলুকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে পলাতক আসামি কাজল, মনির হোসেন ও ছোট শাহীন ওরফে শাহীনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ এপিপি অ্যাডভোকেট মো. আখতারুজ্জামান খান। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সফিকুর রহমান সফি ও অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার। পলাতক আসামিদের পক্ষে (স্টেট ডিফেন্স) ছিলেন অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৭ জুন রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে নগরীর খালিশপুর চন্দন প্রতাপ এলাকার আইজার দোকান সংলগ্ন মেহেরুন্নেছার বাড়ি থেকে দুর্বৃত্তরা তার স্বামী আশিক মোল্লা ওরফে সবুরকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ খালিশপুর টিভি সেন্টারের উত্তর পাশে তিনতলা ভবনের সামনে শিশুপার্ক রোডে ফেলে যায়। এ ঘটনার পরদিন ২৮ জুন খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

সূত্র: বাংলানিউজ

Share:

আমি যা বলি সেটাই আসল জিনিস: লোটাস কামাল

লোটাস কামাল
 প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স: পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমি যা বলি তা কোন অ্যাজামশন থেকে বলি না। ‘আই টক বেইজ অন ফ্যাক্ট’। আমি যা বলি সেটাই আসল জিনিস।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমামের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা ৭.০৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষত হবো। মন্ত্রীর এই কথার প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্নকর্তা বলেন এটা কতটুক যৌক্তিক?

উত্তরে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে বিশ্ব ব্যাংক বলছে ৬.৩ ভাগ অর্জন করতে পারবো, এর কিছুদিন পর তারাই আবার বলেছে বলেছে ৬.৬ ভাগ। আইএমএফ বলেছে ৬.৭ ভাগ, এডিপি বলেছে ৬.৭, আর  হংকং সাংহাই ব্যাংক বলেছে এই বছর আমরা ৭ ভাগ অর্জন করতে পারবো। এরা আমাদের দাতাগোষ্ঠী। তারা তাদের নিজস্ব প্রজেকশন থেকে এসব কথা বলে। কিন্তু যা বলবো সেটা হলো আসল জিনিস।

তিনি বলেন, হোয়েন আই টক, আই টক বেইজ অন ফ্যাক্ট। আমি বলি পরিসংখ্যান ব্যুরোতে যে ডাটা মেইনটেইন করা হয়, সেই তথ্য থেকে। সেটি হচ্ছে আসল জিনিস। আমি যে  তথ্য দেই সেগুলো অনুমান নির্ভর না, ডাটার ভিত্তিতেই তথ্য দেই।

কামাল বলেন, আমি বেইজ অন অ্যাজামশন থেকে কোনো কোন তথ্য দেই না। সেখানে কোন তথ্যের পরিবর্তন করা হয় না। তবে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ কারো সাথেই আমাদের তথ্যের অমিল হবে না। বরং মিল হবে বছরান্তে, সেটা আমরা দেখতে পাবো।

তিনি আরও বলেন, আমি বলেছি ৭.০৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবো। এ পর্যন্ত এ নিয়ে বিশ্বব্যাংক কখনো আপত্তি করেনি, একবারও তারা বলেনি আমরা অর্জন করতে পারবো না। বরং তারা কতগুলো আশঙ্কা করে বলেছে এগুলো আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমরা অর্জন করবো। তাই আমি সার্টেনলি যে নম্বর দিয়েছি তা আমরা অর্জন করবো। বিশ্বব্যাংক আমার এই ফিগার মানবেই।

সরকার দলীয় সদস্য আব্দুল মান্নানের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের। আমাদের বিনিয়োগের পরিমাণ কমেনি।

বিনিয়োগের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে ৬ বছর আগে আমাদের বিনিয়োগ ছিল ২৭ ভাগ, এখন বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৮৯ ভাগ। আমাদের সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় ২০০৮-০৯ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৩ বিলিয়ন ডলার, এখন তা দাঁড়িয়েছে ৬৪ বিলিয়ন ডলার। তবে প্রাইভেট সেক্টরে কয়েক পয়েন্ট কমেছে, যেটা কমেছে সেটা পাবলিক কভার করেছে।

মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বেই প্রাইভেট সেক্টর একটু স্লো হয় তখন সরকারকেই চালকের আসনে বসতে হয়। সেই কাজটিই বাংলাদেশ সরকার করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় এডিপি বাস্তবায়নের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। গতবার আমরা বাস্তবায়ন করেছি ৭৫ হাজার কোটি, এবার বাস্তবায়ন করবো ৯৪ হাজার কোটি টাকা। তাই আমাদের বিনিয়োগ কমেনি।


সূত্র: বাংলানিউজ


Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন