ঢাকা: ২০০ বছরেরও বেশি বেঁচেছিলেন চীনের বাসিন্দা লি চিং ইউয়েন। ১৬৭৭ সালে তার জন্ম। ১৯৩৩ সালে ২৫৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। এই দীর্ঘ জীবনে তিনি ২৩টি বিয়ে করেন। তার সন্তানের সংখ্যা ১৮০ জন।

কীভাবে এতবছর বেঁচেছিলেন লি? দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার মন্ত্র সম্পর্কে লি বলেছিলেন, ‘হৃদয় শান্ত রাখো, বসো কচ্ছপের মতো, কবুতরের মতো হাসিখুশিভাবে চলাফেরা করো এবং ঘুমাও কুকুরের মতো।’

চীনের সিচুয়ান প্রদেশের কুইজিয়াং জিয়ান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন লি চিং ইউয়েন। তার হৃদস্পন্দন ছিল অত্যন্ত ধীরগতির। তিনি শিল্প ও গাছপালা নিয়ে দিন কাটাতেন। একাধারে হারবালিস্ট, মার্শাল আর্টের শিক্ষক এবং যুদ্ধকৌশলী ছিলেন লি।
লি চিং দাবি করেছিলেন, তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৭৩৬ সালে। কিন্তু কাগজপত্রে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ ছিল ১৬৭৭ সাল। ১৬৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করলে তার বয়স দাঁড়ায় ২৫৬ বছর এবং ১৭৩৬ সালে হলে বয়স ১৯৭ বছর। তবে তিনি যখনই জন্মগ্রহণ করুন না কেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকা ব্যক্তি কিন্তু তিনিই। এতদিন কোনো ব্যক্তিরই বেঁচে থাকার রেকর্ড নেই।

ধারণা করা হয়, তার দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকার কারণ ছিল খাদ্যাভ্যাস। তিনি প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি, রাইস ওয়াইন এবং নানারকম বনজ ফলমূল খেতেন। এ ছাড়া তিনি মার্শাল আর্টের নানা কৌশল রপ্ত করায় শরীরের গঠন ঠিক ছিল তার। নিয়মিত সেগুলো চর্চা করতেন তিনি। তার বয়স যখন ৭১ বছর, তখন তিনি মার্শাল আর্টের শিক্ষক হিসেবে চীনের আর্মিতে যোগদান করেন।

‘টাইম’ ম্যাগাজিন ১৯৩০ সালে একটি লেখা ছাপায়। সেখানে লি চিং-ইউয়েনের জীবনযাপন এবং এত দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার বর্ণনা প্রকাশিত হয়েছিল
তথ্যসূত্র: নতুনসময়.কম
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন