Sunday, May 29, 2016

২৫৬ বছরে ২৩ টা বিয়ে!

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা:
২০০ বছরেরও বেশি বেঁচেছিলেন চীনের বাসিন্দা লি চিং ইউয়েন। ১৬৭৭ সালে তার জন্ম। ১৯৩৩ সালে ২৫৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। এই দীর্ঘ জীবনে তিনি ২৩টি বিয়ে করেন। তার সন্তানের সংখ্যা ১৮০ জন।

কীভাবে এতবছর বেঁচেছিলেন লি? দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার মন্ত্র সম্পর্কে লি বলেছিলেন, ‘হৃদয় শান্ত রাখো, বসো কচ্ছপের মতো, কবুতরের মতো হাসিখুশিভাবে চলাফেরা করো এবং ঘুমাও কুকুরের মতো।’

চীনের সিচুয়ান প্রদেশের কুইজিয়াং জিয়ান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন লি চিং ইউয়েন। তার হৃদস্পন্দন ছিল অত্যন্ত ধীরগতির। তিনি শিল্প ও গাছপালা নিয়ে দিন কাটাতেন। একাধারে হারবালিস্ট, মার্শাল আর্টের শিক্ষক এবং যুদ্ধকৌশলী ছিলেন লি।

লি চিং দাবি করেছিলেন, তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৭৩৬ সালে। কিন্তু কাগজপত্রে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ ছিল ১৬৭৭ সাল। ১৬৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করলে তার বয়স দাঁড়ায় ২৫৬ বছর এবং ১৭৩৬ সালে হলে বয়স ১৯৭ বছর। তবে তিনি যখনই জন্মগ্রহণ করুন না কেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকা ব্যক্তি কিন্তু তিনিই। এতদিন কোনো ব্যক্তিরই বেঁচে থাকার রেকর্ড নেই।

ধারণা করা হয়, তার দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকার কারণ ছিল খাদ্যাভ্যাস। তিনি প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি, রাইস ওয়াইন এবং নানারকম বনজ ফলমূল খেতেন। এ ছাড়া তিনি মার্শাল আর্টের নানা কৌশল রপ্ত করায় শরীরের গঠন ঠিক ছিল তার। নিয়মিত সেগুলো চর্চা করতেন তিনি। তার বয়স যখন ৭১ বছর, তখন তিনি মার্শাল আর্টের শিক্ষক হিসেবে চীনের আর্মিতে যোগদান করেন।

‘টাইম’ ম্যাগাজিন ১৯৩০ সালে একটি লেখা ছাপায়। সেখানে লি চিং-ইউয়েনের জীবনযাপন এবং এত দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার বর্ণনা প্রকাশিত হয়েছিল

তথ্যসূত্র: নতুনসময়.কম



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
Share:

স্ত্রীকে দাফনের সময় স্ত্রীর ফোন!

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা: স্
ত্রীর লাশ ভেবে এক নারীকে দাফন করার সময় হঠাৎ আসল স্ত্রীর ফোন আসে মুঠোফোনে। আর তখনই বন্ধ হয়ে যায় ওই নারীর দাফন কাজ এবং ফিরিয়ে দেয়া হয় হাসপাতাল মর্গে।
ছবি প্রতিকি
শুক্রবার (২৭ মে) রাতে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কাটাশকোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কাটাশকোল গ্রামের নজরুল ইসলাম নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে তার স্ত্রীর লাশ ভেবে এক নারীর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেই লাশ ঘিরে আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা আহাজারি করছিলেন। লাশ দাফনের জন্য কবর খনন করা হয়। এমন সময় নজরুলের মুঠোফোনে ফোন আসে তার স্ত্রীর কাছ থেকে।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনা বেগম বলেন, গত বুধবার বাগাতিপাড়া উপজেলার বিলগোপালহাটি এলাকা থেকে মস্তকবিহীন এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটির কোনো ওয়ারিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার নজরুল দাবি করেন, লাশটি তার স্ত্রী আশরাফুন বেগমের। তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে শুক্রবার বিকেলে তাকে লাশ দিলে তিনি লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন। রাতে দাফনের জন্য কবরও খোঁড়া হয়।

হেলেনা বেগম বলেন, আশরাফুনের মেয়ে তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে রাতেই ঢাকা থেকে নাটোরের উদ্দেশে রওনা দেন। বাসে আসার পথে হঠাৎ মা আশরাফুনের ফোন পান মেয়ে। মেয়ের কাছে বিস্তারিত জেনে আশরাফুন তার স্বামী ও স্বজনদের কাছে ফোন করেন। পরে সবাই নিশ্চিত হন ওই মস্তকবিহীন লাশটি আশরাফুনের নয়। পরে শনিবার সকালে আশরাফুন বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর লাশটি পুনরায় নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নজরুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রী আশরাফুন বেগম পাঁচ দিন আগে তার সঙ্গে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, মস্তকবিহীন লাশটি দাফনের জন্য আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: নতুনসময়.কম


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন