Wednesday, September 21, 2016

সত্যিই পাওয়া গেলো টাকার গাছ!



প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক: কথায় কথায় আমরা বলে থাকি ‘টাকা কি গাছে ধরে?’। টাকা আসলেই কোন গাছে ধরে না। কিন্তু স্কটিশ হাইল্যান্ড পার্কে এমন এক গাছ আছে যেখান থেকে ঝড়ে পড়ে টাকা! কী মুশকিলের কথা তাই না? অজস্র মুদ্রায় ছেয়ে রয়েছে বিশাল প্রাচীন গাছটি। এই গল্পের শুরু ১৭০০ বছর আগে-স্কটল্যান্ডে।

স্কটিশ হাইল্যান্ড পার্কটি ঘিরে কৌতূহলের শেষ নেই। পার্কের বিশাল বিশাল গাছগুলো বহু প্রাচীণ। তারই মধ্যে নজর কাছে লক্ষ লক্ষ মুদ্রায় মোড়া ১৭০০ বছরের পুরনো গাছটি। যে দেখে সেই চমকে যায়। সত্যি করেই এ এক আস্ত টাকার গাছ। সংস্কারের বশে গাছটিতে মুদ্রা গেঁথে দেওয়ার পর্ব চলছে। বহু প্রাচীন ব্রিটিশ মুদ্রা যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে বিভিন্ন দেশের মুদ্রা। ফলে গাছটি এক বিস্ময়। মনে করা হয় এই গাছে ভুত রয়েছে। তার পছন্দ হল মুদ্রা। তাকে খুশি করতেই হাজার বছর ধরে মুদ্রা উপহারে মুড়ে দেওয়া হয়েছে গাছটি।

অনেকে মনে করেন গাছটিতে দৈব শক্তি রয়েছে। তাই আশীর্বাদ পেতে এখানে কয়েন দেওয়া হয়। বিশেষ করে বড়দিনের উৎসবে এই উপহার দেওয়ার চল রয়েছে। আবার অনেক মনে করেন, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে এই গাছের আশীর্বাদ খুবই জরুরি। তার বদলেই মুদ্রা গেঁথে দেওয়া হয় গাছটিতে। বিশ্বের মুদ্রা বিবর্তনের রেখাচিত্রে গত ১৭০০ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  ব্রিটিশ মুদ্রার পরিবর্তনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও ক্রমাগত মুদ্রা পাল্টে গিয়েছে। অজান্তেই সেই ইতিহাস ধরা রয়েছে স্কটিশ হাইল্যান্ড পার্কের টাকার গাছে। সেদিক থেকেও গাছটি নিজেই এক ইতিহাস।

সূত্র: ইন্টারনেট
Share:

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াইয়ে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে তখনই ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারী ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গিদের নারকীয় সন্ত্রাসী হামলায় দেশী-বিদেশী নিরপরাধ ২৬ জনসহ ৪ পুলিশ নিহত হয়েছে।

বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার খুব সাফল্যের সঙ্গে দেশের আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখেছে এবং সাম্প্রতিক কালের সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরো জোরদার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে কয়েকটি জঙ্গি হামলার পরে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে যারা রাষ্ট্র এবং এর জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সেইসব জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারও সামাজিকভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে এবং জঙ্গিবাদের মূল দর্শন যে ভ্রান্ত তা বোঝাতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে জনগণকে সচেতন করতে কাজ শুরু করেছে।

এই বিশেষ প্রতিবেদনটাতে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ও দল কিভাবে জনসম্প্রক্ত কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।

আইনী পদক্ষেপ:
বাংলাদেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে আইনী পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি হামলার মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৩৭ টি মামলার মধ্যে ১২টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রংপুরে জাপানী নাগরিক হোসিও কুনিও হত্যা মামলা এবং ঢাকার গুলশানে ইতালীর নাগরিক সিজার তাবেল্লা হত্যা মামলা। বাকি মামলাগুলোর তদন্ত খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। এটাও স্মরণ করা যেতে পারে যে, তদন্ত চলাকালে বেশ কিছু জঙ্গিরা ধরাও পরেছে। কিছু চাঞ্চ্যলকর হত্যা মামলার বেশ অগ্রগতি হয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েকটি জঙ্গি হামলার ঘটনার মামলায় অভিযোগ পত্র দেয়া হয়েছে। যেমন:

১. ৩০ জুন ২০১৬ তে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ- জেএমবি’র ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দিয়েছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বরে রংপুরের বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল আমিনকে হত্যার জন্য এই অভিযোগ আনা হয়। তারা জাপানী নাগরিক কুনিও হোসি এবং খাদেম রহমত আলীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

২. দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা রংপুরের কুনিয়া উপজেলাতে মাজারের খাদেম হত্যা মামলায় দায়ের করা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র ১৪ সদস্যের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে জুলাইয়ের ৩ তারিখে অভিযোগ পত্র দিয়েছে পুলিশ।

৩. রংপুরের দেবীগঞ্জে জগশ্বর রায়কে হত্যার ঘটনায় ১০ জুলাই ২০১৬ তারিখে জরিত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ পত্রে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন: জাহাঙ্গীর হোসাইন, মো: রমজান আলী, মো: হারেস আলী, খলিলুর রহমান, মো: রানা এবং মো: সাইফুল আলম। হত্যাকারীদের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবি, জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের লোক রয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন পুরোহিত হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

৪. ১০ জুলাই ২০১৬ তারিখে রংপুরের কাউনিয়ার পুলিশ ৮ জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে জাপানী নাগরিক হোসে কুনিও হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ৮ জন জঙ্গির মধ্যে ৩ জন ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে। উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে রংপুরে জাপানী নাগরিক হোসে কুনিও’কে হত্যা করে জঙ্গিরা।

জঙ্গিদের গ্রেফতার:
বাংলাদেশের আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী উগ্রবাদীদের ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এখানে কিছু উল্লেখযোগ্য অভিযানের খবর দেওয়া হলো:

•    ১০ জুন ২০১৬ তারিখে সপ্তাহব্যাপী জঙ্গিদের ধরতে অভিযানে ১৯৪ জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে ধরতে সক্ষম হয় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি, হিযবুত তাহরির, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, আনসার আল ইসলাম, হরকাতুল জিহাদ, আল্লাহর দলসহ বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের জঙ্গিরা। পুলিশের এই অভিযানের সময় অস্ত্র, গোলা-বারুদ এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়াই এমন কিছু জিহাদী বইও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

•    ৫ জুলাই ২০১৬ তারিখে টাঙ্গাইলের কালিহাতি থেকে পুলিশ জেএমবির তিন আত্মঘাতী নারী সদস্যকে গ্রেফতার করে। অভিযানের সময় পুলিশ জোকারচর লেবেল ক্রসিংয়ের কাছে একটি বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে জেএমবির ওই তিন নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ছুরি এবং মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইলে কিভাবে বোমা বানানোর কৌশল বিষয়ক ভিডিও ক্লিপও পাওয়া যায়। সেখানে ছুরি দিয়ে কিভাবে মানুষ খুন করতে হয় সেই ভিডিও পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে সেই তিন মহিলার স্বামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার কারণে।

•    ১১ জুলাই ২০১৬ তারিখে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকা থেকে আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সন্দেহভাজন চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের অভিযানে তারা ধরা পরে। অভিযানের সময় চার জঙ্গিদের কাছ থেকে হাতে তৈরী বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই সেই চার জঙ্গির নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী।

•    ১২ জুলাই ২০১৬ তারিখে পুলিশ টাঙ্গাইল ও দিনাজপুর থেকে জঙ্গিবাদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে একজন জামায়াতের নারী নেত্রীসহ ৬ জন শিবির নেতাকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরীর সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক এবং জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়।

•    ১৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে খুলনার কয়রা উপজেলাতে পুলিশ সন্দেহভাজন চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে একটি শর্টগান, তিন রাউন্ড গুলি এবং জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে।

•    ১৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে র্্যাব ঢাকার উত্তরা থেকে আনসার উল্লাহ্ বাংলা টিম এবং জেএমবির দুই নেতাকে আটক করে। তাদেও কাছ থেকে পিস্তল, গুলি এবং হাতে তৈরী বোমা উদ্ধার করে র্যাব।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারঃ
সাম্প্রতিক সময়ে গুলশান হামলা ও শোলাকিয়ায় হামলার পওে সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছে। নিয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কিছু পদক্ষেপ নিচে তুলে দেওয়া হলো:

•    আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী আমদানি কারক, রপ্তানি কারক এবং বিদেশীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে বলেছে সংশ্লিষ্টদের। গুলশানসহ ঢাকা শহরের আবাসিক এলাকা থেকে অতিসত্তর সকল প্রকার অনুমোদনহীন ও অবৈধ স্থাপনা, রেস্টুরেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হোটেল, গেস্ট হাউজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

•    সকল প্রকার কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন (কেপিআই), গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, রেলওয়ে স্টেশন, সারাদেশের রেল লাইন, বিমানবন্দর, পাবলিক প্লেস, বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল এবং সাধারণত যেসব জায়গাতে জনসমাগম ঘটে সেইসব জায়গাতে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছে।

•    নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর জোর দিয়ে সকল প্রকার অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। এখন থেকে কোন বিমান যাত্রীকে বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে একাধিক নিরাপত্তা বলয় পার হয়ে বিমানবন্দরের মূল প্রবেশ পথে ঢুকতে হবে। এই ব্যবস্থা অভ্যন্তরীণ ১২ টি এবং ৩ টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সবগুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। সব মিলে দেশের অভ্যন্তওে দেশী-বিদেশী মিলে ৩৮ টি কোম্পানীর বিমান চলাচল করছে।

•    ১১ জুলাই বাংলাদেশের সন্ত্রাস দমনের বিশেষায়িত বাহিনী র্যাব যেকোন সন্ত্রাসবাদ দমনে জনগণকে সম্প্রক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নিখোঁজ ব্যক্তি, খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক দ্রব্যেও ব্যবসা, অপহরণ বা যেকোন ধরনের অপরাধের কোন তথ্য যদি সাধারণ মানুষের কাছে থাকে তবে তা র্যাবকে জানানোর জন্য ‘রিপোর্ট টু র্যাব’ নামে একটি বিশেষ অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে র্যাব। এখন থেকে যে কেউ চাইলে তার কাছে থাকা জঙ্গিদের তথ্য র্যাবকে দিয়ে সন্ত্রাস দমনে সাহায্য করতে পারবে। এই অ্যাপে ছবি, ভিডিও পাঠিয়ে র্যাবকে সাহায্য করা যাবে। উল্লেখ্য, সাধারণ নাগরিক এবং তথ্যদাতার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সর্বোচ্চ পরিমাণে নিশ্চিত করা হবে বলে র্যাব এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। র্যাব অফিসিয়াল ওয়েব সাইট (www.rab.gov.bd) বা গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউন লোড করে নিতে পারবেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ১১ জুলাই রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ করে। সেখানে গুলশান হামলা ও পবিত্র ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গিহামলার প্রতিবাদে হাজার হাজার দলীয় নেতা-কর্মীর পাশাপাশি সকল গণতান্ত্রিক এবং প্রগদিশীল সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ যেকোন মূল্যে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদকে উৎখাতের দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধেও মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে সবাই একমত পোষন করেন ওই সমাবেশে। বাংলাদেশ যেকোন ধরনের সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে জানে বলে জানানো হয় ওই সমাবেশে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল প্রতিটি জেলা-থানা গ্রাম পর্যায়ে সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি গঠনের ঘোষণা করে ১২ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। ওই কমিটিতে ডাক্তার, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, সুশীল সমাজের মানুষসহ সমাজের সব পর্যায়ের লোকদের নিয়ে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ বিরোধী একটি কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরীর ঘোষণা দেওয়া হয়। কমিটির কাজ হবে সমাজের মানুষকে জঙ্গিবাত বিরোধী জনসচেতনতা সৃষ্টি করার পাশাপাশি আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করা। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাতে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ, নৈরাজ্য এবং গুপ্ত হত্যার বিরুদ্ধে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ২৪ জুলাই থেকে।

প্রশাসনিক ব্যবস্থা:
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বেশ কিছু প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে। নিচে তার কয়েকটা তুলে ধরা হলো:
•    সরকার দেশব্যাপী সকল সরকারী প্রসিকিউটরদের নির্দেশ দিয়েছে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ বা স্পর্শকাতর মামলাগুলোতে খুব সতর্কতার সঙ্গে নিষ্পত্তির জন্য। তাদের জামিনের ব্যাপারেও যেন যথাযথ আইনী বিষয়গুলো দেখা হয় যাতে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে তারা জামিন পেয়ে পরবর্তীতে কোন ধরনের নাশকতা করতে না পারে।

•    শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে কোন শিক্ষার্থী যদি উপযুক্ত কোন কারণ ছাড়া ১০ দিন অনুপস্থিত থাকে তবে তাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। নিয়মিত বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মন্ত্রণালয় মিটিং করছে। কোন শিক্ষাঙ্গণ সন্ত্রাসের চারণ ভূমি হতে পারে না এইটা নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

•    শুক্রবারে জু’মার নামাজের আগে ও পরে মসজিদে ইমামদের খুৎবা এখন থেকে সরকার পর্যবেক্ষণ করবে। সরকার ইমামদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে তারা যেন ইসলামের মূল বাণী শান্তি ও কল্যানের দিকটি মাথায় রেখে তাদেও বক্তব্য দেন একই সাথে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা ইসলাম সমর্থন করে না, যারা করছে তারা ভুল পথে পা দিয়েছে তাদেরকে ইসলামের আলোকে উগ্রবাদের পথ থেকে সরে আসার জন্য ইমামরা যেন বক্তব্য দেয় তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদেও প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।

•    ১৫ জুলাই দেশব্যাপী প্রায় ৩ লক্ষ মসজিদে ইমামরা জু’মা নামাজের আগে এবং পরে কুরআন এবং হাদিসের আলোকে সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে খুৎবা দিয়েছেন। খুৎবায় ইমামরা জঙ্গিবাদের ভয়াবহতা সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করেন। এর আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুরআন ও হাসিদের আলোকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের বিপক্ষে খুৎবা প্রতিটি মসজিদে পাঠিয়ে দেয়। প্রতিটি মসজিদে খুৎবায় ইমামরা মা-বাবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাদের সন্তানদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য যাতে কোন সন্তান বিপথগামী না হয়।

•    সরকার ইতিমধ্যে একটি মনিটরিং সেল খুলেছে যেখানে অভিযোগ জানানো যাবে এবং সেই অনুযায়ী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য যা জঙ্গিবাদ উস্কে দেয় এমন ধরনের সব বক্তব্যকে নজরদারি করা হচ্ছে। এই নীতি অনুযায়ী সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া দুই জঙ্গি পিস টিভির বির্তকিত বক্তব্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়ার পর ওই ধরনের সব বক্তব্যকে বাতিল করা হয়েছে।

•    বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশেষ প্রয়োজনে যেকোন জায়গাতে এক মিনিটের মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মত সক্ষমতা বাড়ানোর। কোন জায়গায় যদি জঙ্গি হামলা হয় তবে সেই এলাকায় তাৎক্ষনিকভাবে মোবাইল সংযোগসহ ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেবে বিটিআরসি। বর্তমানে এই কাজ করতে ৩-৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়। সরকারও বিটিআরসির এই সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।

•    সরকার ঘোষণা দিয়েছে তারা মাঠ পর্যায়ের অফিসার, সরকারী কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার, রুলাল ডেভলোপমেন্ট এবং সমবায়ীদেরকে পুরস্কৃত করবে যদি তারা জঙ্গিবাদের কোন তথ্য দিয়ে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য করে। সরকারের স্থানীয় পর্যায়ের নানা ধরনের অংশগুলোকে জঙ্গিবাদ বিরোধী কর্মকাণ্ডে কাজে লাগানোর কাজ শুরু করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান:

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পরে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি পুর্ন:ব্যক্ত করেছেন। ওই হামলার পরে তিনি বিভিন্ন সময় তাঁর বক্তব্যে সন্ত্রাসের শেকড় উপড়ে ফেলার কথা বলেছেন। গুলশান হামলার পরে জাতির উদ্দেশ্যে তিনি ভাষণ দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, রেডিওসহ সকল গণমাধ্যমে প্রচারিত সেই ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির সামনে তাঁর বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণের বিষয় তুলে ধরেছেন। প্রধানন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, যখন বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করেছে একটি আত্মনির্ভরশীল এবং আত্মমর্যদাশীল দেশ হিসেবে তখনই এই অগ্রযাত্রাকে বাঁধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী তাদের অপতৎপরতা শুরু করেছে। শন্তিপ্রিয় বাংলাদেশের মানুষের কাছে কখনো কোন জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদের মদদ দাতাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দিবে না বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন যারা এই উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদের পিছনে কলকাঠি নাড়ছেন তাঁরা সমাজের খুবই ক্ষুদ্র অংশ, তাই আমাদের এখন সম্মিলিতভাবে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। তিনি প্রতিটি জেলা, উপজেলায় সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার উপর জোড় দিয়েছেন। সমাজের সবাইকে নিয়েই এক সঙ্গে জঙ্গিবাদ মোকাবেলার ঘোষণা দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রতিটা মা-বাবার প্রতি সন্তানদেরকে সুশিক্ষা দেওয়ার আহবান জানান তাঁর ওই ভাষণে। সন্তানদেও প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে প্রতিটি মা-বাবাকে অনুরোধ জানান তিনি যাতে করে তারা জঙ্গিবাদের দিকে না পা বাড়ায়। যারা ইতিমধ্যে বিপথগামী হয়েছে তাদেরকে সেই পথ ছেড়ে সুপথে ফিরে আসার আহবান প্রধানমন্ত্রীর। জঙ্গিবাদের পথ ছেড়ে দিলেই ধর্মের মর্যদা রক্ষা হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি দ্বার্থ্যহীন ভাষায় জঙ্গিবাদের সকল শেকড় উপড়ে ফেলার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবো। বাংলাদেশকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশের অগ্রগতিকে রুখতে পারবে না। সকল বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদের মোকাবেলা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবার প্রতি আহ্বান জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা:

ঢাকা এবং শোলাকিয়ায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসকদেরকে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তার নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে;

•    জনগণ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। তারা সরকারের প্রতি জঙ্গিবাদ নির্মূলের জন্য সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সরকার ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এক হলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব।

•    জনগণের ক্ষমতাই সর্বোচ্চ ক্ষমতা। তাই সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয় তবে সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না এই দেশে।

•    সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে হবে; পালন করতে হবে অগ্রনী ভূমিকা। বিশেষ করে শিক্ষকদেরকে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে হবে এবং তাদের সজাগ দৃষ্টিই রুখতে পারে সমাজের যুব সমাজের অবক্ষয়ের হাত থেকে।

•    গ্রাম পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ প্রশাসনকে প্রতিনিয়ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে যদি তাঁর এলাকায় কোন রকম সন্দেহজনক কোন কিছুর খোঁজ পায় তারা ।

•    জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রচারণা এবং কমিউনিটি পুলিশিং জোর করা করা হবে।

•    বিপথগামী তরুণদেরকে মানসিক চিকিৎসা করা হবে, তারা যদি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে সে ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

•    আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য কোর কমিটি করা হবে প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে। তারা জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকাতে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে সব সময় এবং তা আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীকে জানাবে।

•    এই কমিটি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সকলকে নিয়ে কাজ করবে এবং জনগণের মধ্যে জঙ্গিবাদ বিরোধী জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।

•    জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণায় দেশের সকল মসজিদকে সম্পৃক্ত করা হবে।

•    সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণার কাজ করার ক্ষেত্রে ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতির আলোকের করতে হবে যাতে করে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার কোন ক্ষতি না হয়।

•    বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল বিদেশীদের সকল প্রকার নিরপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

•    মা-বাবা, অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরকে আরো বেশি করে সতর্ক হতে হবে তাদের সন্তান ও শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে। যাতে করে তারা কোন অপশক্তির টার্গেট হয়ে বিপথে পা না বাড়ায়।

•    বাংলাদেশে সকল ধর্মের ও মতের যে ঐতিহ্য চলে আসছে হাজার বছর ধরে তা রক্ষা করতে হবে। এই বৈচিত্রই বাংলাদেশের আসল সৌন্দর্য।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন:

সম্প্রতি মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলাবাটোরে ১১তম আসেম সম্মেলন শেষে দেশে ফিরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ১৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাস ভবন গণভবনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটা মন্তব্য করেন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে। সেই সংবাদ সম্মেলনের মূল বিষয়গুলো এ রকম:

•    জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ এখন আর কোন এক দেশের ব্যাপার নয়। সমগ্র বিশ্বই সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহতা সম্পর্কে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে এই জঙ্গিবাদ ইস্যু নতুন করে ভাবাচ্ছে সব দেশকে। বিশ্বের সব দেশই ইতিমধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।

•    বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে একটি স্বাভাবিক ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা হয়েছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। যারা এই জঙ্গিবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা এবং মদদ দাতা তারা ছাড়া সবাই এই দানবকে রুখতে একজোট হয়েছে। যুদ্ধাপরাী এবং অতীতে যারা অগ্নি সংস্ত্রাস করেছে তারা ছাড়া সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাই সচ্চার ভূমিকা পালন করছে।

•    আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের উপর জোর দিয়েছে যাতে করে বের হয়ে আসে কারা আছে এইসব জঙ্গিবাদের পেছনে। কারা তাদের অর্থ দিচ্ছে, কারা তাদের অস্ত্র দিচ্ছে কারাই বা তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ধর্মের নামে সাধারণ নিরাপরাধ মানুষ মারার জন্য।

•    বাংলাদেশ আইনের শাসন এবং শান্তিপূর্ণ অবস্তানের কারণে সারা বিশ্বে স্বীকৃত। বাংলাদেশ সব সময়ই প্রস্তত রয়েছে বিশ্বের যেকোন বন্ধুপ্রতিম দেশেই সন্ত্রাসী হামলা হোক না কেন সেখানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।

•    জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সকল প্রকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাদের জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে।

তথ্যসূত্র: albd.org (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া)


Share:

উপকূলীয় এলাকায় আরও ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক:
উপকূলীয় এলাকায় আরও ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সিডর ২০০৭ সাল পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মূল্যায়নে গঠিত উপকূলীয় এলাকায় আরও দুই হাজার ৯৭টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে।

যার মধ্যে এক হাজার ৭২টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা কমিশন নির্দেশ দিয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে আরও ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৮৮ কোটি টাকা।
জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ মেয়াদে এগুলো নির্মাণ করা হবে।  

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের সময় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ আশ্রয়, গবাদিপশু এবং গৃহস্থালীর মূল্যবান সম্পদ দুর্যোগের ক্ষতি থেকে রক্ষায় এ উদ্যোগ। দুর্যোগ পরবর্তী এবং স্বাভাবিক সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা ও অন্যান্য জনহিতকর কার্যক্রম সম্পন্ন করা, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণকালীন সময়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাময়িক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

সরকারে অর্থায়নে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১৬টি জেলার ৮৬টি উপকূলীয় উপজেলায় ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি-২) মোহসীন  বলেন, আমাদের দেশে বার বার নানা ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে হলে আমাদের পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানো আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আশ্রয়কেন্দ্র আরও বেশি নির্মাণ করলে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমে যাবে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা প্রায় পাঁচ হাজার। সেই কৌটা পূরণের লক্ষ্যেই আমরা আরও ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছি। আশা করছি যথাযথ সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবো।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিটা আশ্রয়কেন্দ্র  তিন তলা বিশিষ্ট মোট আয়তন ৭৩৯ দশমিক ৫০ বর্গমিটার। দুর্যোগ কবলিত এলাকায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এ সব আশ্রয়কেন্দ্র দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একইভাবে দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন