
দলমত নির্বিশেষে যিনি দৌলখাঁড় ইউনিয়ন বাসীর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দৌলখাঁড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়েরের মৃত্যুর পর মাত্র ১ বছরের জন্য উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। দায়িত্ব গ্রহনের পর এই এক বছরে তিনি দৌলখাঁড় ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। মানুষের সুখে দুখে তিনি তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি একজন সফল শিক্ষক হিসেবে
দীর্ঘদিন বটতলী এ.মতিন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ছাত্রজীবন থেকে সিরাজুল আলম
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বর্তমানে নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের জন্য কাজ করে
যাচ্ছেন। অতীতে আওয়ামীলীগের দু:সময়ে যখন অনেকেই না্ঙ্গলকোটের সাবেক এমপি মরহুম
জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়াকে ছেড়ে অর্থ –বিত্তশালীদের পিছু নিয়ে দল ভাঙ্গার চেষ্টা করেছেন।
তখনো সিরাজুল আলম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার পাশে থেকে দলকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা
করেছেন।
দলের প্রতি সিরাজুল আলমের একাগ্রতা দেথে নাঙ্গলকোটের বর্তমান এমপি ও সরকারের
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামাল (লোটাস কামাল) সিরাজুল আলমকে চেয়ারম্যান
হিসেবে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দিয়েছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর সিরাজুল আলম বলেন, আমার
কাছে আওয়ামীলীগ বা বিএনপি বলে কোন কথা নেই। সবাই আমার নির্বাচনী এলাকার জনগন এটাই
বড় পরিচয়।
আলোকিত সমাজ সংগঠক, শিক্ষক এনকেএম সিরাজুল আলমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়
দৌলখাঁড় ইউনিয়নে ইতিমধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খেলধুলা, জন্মনিয়ন্ত্রণ, কৃষি,
রাস্তাঘাটের উন্নয়নের মাধ্যমে জনগনের জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম সবমহলে প্রশংসা
অর্জন করেছে। বাল্য বিবাহ, যৌতুকপ্রথা বিলোপ, নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধ, আইনশৃঙ্খলা
রক্ষা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন, সকল প্রকার পারিবারিক বিবাদ শালিস বৈঠকের মাধ্যমে
সফল ভাবে নিস্পত্তি করে সত্যিকারের জনপ্রতিনিধি হিসেবে যথাযথ দ্বায়িত্ব তিনি পালন
করে আসছেন।
আর এ ব্যাপারে সিরাজুল আলম প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, এবারও তিনি দলীয় মনোয়ন পাবেন। তিনি মনে করেন, উল্লেখিত ইউনিয়নের দলমত নির্বিশেষে সকলের কথা তিনি রাখতে চেষ্টা করেছেন। আর আগামী নির্বাচনেও বিপুল ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়ে জনগনের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেবেন।
ইতিমধ্যে দৌলখাঁড় ইউনিয়নকে ভেঙে বটতলী ইউনিয়ন নামে আরো একটি নতুন ইউনিয়ন করা
হয়েছে । নবগঠিত বটতলী ইউনিয়নের নির্বাচন কয়েক মাসের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এলাকার জনগন সিরাজুল আলমের উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে তাকে আবারও এলাকার চেয়ারম্যান
হিসেবে প্রত্যাশা করছেন।
এ ব্যাপারে এলাকার যুবলীগ নেতা
মামুন বলেন, সিরাজুল আলমের মতো
একজন সাহসী ও সৎ চেয়ারম্যান আমাদের প্রয়োজন, যে বটতলী এক সময় কতিপয় মাদকসেবীদের
আড্ডা খানা ছিল, সিরাজুল আলম চেয়ারম্যান হওয়ার পর সেটা বন্ধ করেছেন। তাই সিরাজুল
আলমকে আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।