Monday, January 25, 2016

খালেদার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আদালতে



 বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যের কারণে এক আইনজীবীর করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা আমলে নিয়ে খালেদা জিয়াকে তলব করেছে আদালত।
 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদাকে আগামী মার্চের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন ঢাকার মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদার।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী, যিনি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।

সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর সোমবার সকালে আদালতে গিয়ে তিনি এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অভিযোগ দাখিল করেন।

বিচারক পরে বাদীর জবানবন্দি শুনে আদেশ দেন বলে বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী আমিন উদ্দিন মানিক জানান।

এদিকে বিচারক খালেদার বিরুদ্ধে মামলা আমলে নেওয়ায় আদালতের বাইরে বিক্ষোভ করেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। সময় তারা সরকারের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন। 

গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীতে একটি আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, “আজকে বলা হয় এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে।

ওই বক্তব্যেদেশদ্রোহীমনোভাবের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে গত ২৩ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী নেতা মেহেদী। 

ওই নোটিসে খালেদাকে জাতির কাছেনিঃশর্ত ক্ষমাচেয়ে সাত দিনের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়।

নোটিসের জবাব না পেয়ে গত সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মামলা দায়েরের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেন মেহেদী। এর ধারাবাহিকতায় গত ২১ জানুয়ারি অনুমোদন মেলে।

বাংলাদেশের আইনে যে কোনো বিচারপ্রার্থী আদালতে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে প্রতিকার চাইতে পারেন। তবে কারও বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে চাইলে সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন হয়।

মেহেদীকে সেই অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল রোববার সাংবাদিকদের বলেন, “ সংক্রান্ত একটি চিঠি আমাদের কাছে এসেছিল। আমরা একটা গাইডলাইন দিয়েছি। বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলা হলে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবশ্য বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোন্দকার মাহবুব হোসেনের দাবি, খালেদার ওই রাষ্ট্রদ্রোহ আইনেরসংজ্ঞায় পড়ে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনের দিকটি খতিয়ে না দেখেআবেগের বশেসিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এটি ভুল ধারণার ওপর করা হয়েছেএবং সরকারও আবেগের বশবর্তী হয়ে এই মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন আইনের বিধান মোতাবেক। এটি সঠিক হয় নাই।


 

Share:

মেলায় বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুললেই টিকিট ফ্রি



ঢাকা: বাণিজ্য মেলায় মোবাইলে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুললেই মেলায় প্রবেশের টিকিট ফ্রি পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া গ্রাহকদের জন্য টাকা উত্তোলনের ব্যবস্থাও করেছে সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার (০৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মেলায় ঘুরে চিত্র দেখা গেছে।
 
মেলার প্রধান ফটকের এক দুই নম্বর গেটের সামনে গেলেই চোখে পড়েবিকাশ ওয়ালেট খুললে মেলায় প্রবেশ টিকিট ফ্রিলেখা কাউন্টার।

সেখানে কয়েকজন কর্মীও নিয়োজিত রয়েছেস, যারা বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতীয় পরিচপত্র অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা পাসপোর্টের মূল ফটোকপি এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সঙ্গে থাকলেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।

তবে ছবি কাছে না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। ছবি তোলার ব্যবস্থা বিকাশ কর্তৃপক্ষ করেছে।

বিকাশের এমনই সব আয়োজনে দর্শনার্থীদের বেশ খুশি মনে হয়েছে। আর মেলাতে স্টল খুলে বেশ সাড়া পাওয়ার কথাও জানালেন সংশ্লিষ্টরা। 

দুপুরে বিকাশ বুথ থেকে টাকা তুলে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্টলে ঘুরছিরেন মহাখালীর আরিফুল ইসলাম।

জানালেন, মেলায় এসে একটি পোশাক পছন্দ হয়ে গেলো। কাছে নগদ টাকা ছিল না, বিকাশ অ্যাকাউন্টে ছিল। টাকা ক্যাশ করে তা কিনতে যাচ্ছি।

এদিকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে মেলায় ফ্রি প্রবেশ করতে পারায় খুবই খুশি ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম।

উল্লসিত এই ব্যবসায়ী বলেন, অনেকদিন ধরে একটা বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলবো, খুলবো করছি। কিন্তু সময় আর সুযোগের  অভাবে তা খোলা হচ্ছিল না। আজ সময় সুযোগ দুটোই হলো। সঙ্গে মেলায় প্রবেশের টিকিটও ফ্রি পেয়েছি।

বিকাশের মুখপাত্র জাহেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, অনেকেই নগদ টাকা নিয়ে মেলায় আসা নিরাপদ মনে করেন না। তারা ইচ্ছে করলেই বিকাশের মাধ্যমে মেলা থেকে টাকা উত্তোলন করে কেনাকাটা করতে পারবেন। আবার দেখা গেলো হঠাৎ করে টাকা দরকার হলো কাউকে বললো বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে, আর ওই ব্যক্তি মেলার বুথ থেকে তা উত্তোলন করতে পারবেন।

তিনি জানান, শুধু নগদ টাকার লেনদেনই নয় বিকাশের মাধ্যমে শপিং মলে কেনাকাটা, রেস্টুরেন্টে বিল, ট্যাক্সি ক্যাবের ভাড়া পরিশোধসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হচ্ছে।

বিকাশের মাধ্যমে সবাইকে সর্ব্বোচ্চ সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে ৩১ তারিখ পর্যন্ত।


Share:

শত কোটি টাকার সরকারি জমি হাতিয়ে নিল বিএসআরএম



ঢাকা: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি কারখানার প্রায় এক কোটি টাকা দামের জমি মাত্র ১৭ কোটি টাকায় খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমিটি কেনাবেচার ক্ষেত্রে বড় ধরনের অনিয়ম জালিয়াতি হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
জমিটি পাট বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ক্যারোলিন সিল্ক মিল নামে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার। শ্রমিক-কর্মচারিদের কাছে হস্তান্তর করা জমিটি পানির দরে বিক্রি করে দেয়ার বিষয়টি জানতে পেরে এখন মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করছে।  মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জমিটি ফেরত নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসআরএম নির্বাহী পরিচালক তপন সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাইবাছাই করে সম্পূর্ণ আইনানুগভাবেই জমি কেনা হয়েছে।  আমরা কারখানা কিনিনি, শুধুমাত্র জমি কিনেছি।  এক্ষেত্রে কোনো ধরনের আইন লঙ্ঘন হয়নি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের ফৌজদারহাটে .৬৯ একর জমির ওপর ক্যারোলিন সিল্ক মিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।  কিন্তু অব্যাহত লোকসানের মুখে সরকার ২০১০ সালে সেটি শ্রমিক-কর্মচারীদের কাছে বিনা মূল্যে হস্তান্তর করে।  চুক্তির শর্ত ছিল, মিলটি বা মিলের হস্তান্তরযোগ্য-অযোগ্য কোনো সম্পদ বিক্রি করা যাবে না।

কিন্তু সম্প্রতি মিলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসাহাক (শ্রমিক নেতা) বিএসআরএম কাছে ১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা দামে মিলের পুরো জমি বিক্রি করে দেন।  স্থানীয়দের দাবি, বর্তমানে ফৌজদারহাট এলাকায় ওই জমির বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।  অনিয়মের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার জমি পানির দরে পেয়েছে বিএসআরএম।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, কেনার পর বিএসআরএম জমিটির দখলও নিয়েছে।  তারা সিসিটিভি ক্যামেরায় কারখানার পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে।

এদিকে মিলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসহাকের বিরুদ্ধে অন্যান্য পরিচালকদের স্বাক্ষর জাল করে জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।  এজন্য ৩৫ জন পরিচালক মিলে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সূত্র জানায়, কারখানায় সরকারের মালিকানা শেয়ারও আছে।  বিএসআরএম জমি কিনেছে মোহাম্মদ ইসহাকের কাছ থেকে।  ইসহাকের সরকরি শেয়ারসহ জমি বিক্রির বৈধতা আছে কিনা তা কেনার সময় বিএসআরএম যাচাই করে দেখেনি।



Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন