বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যের
কারণে এক
আইনজীবীর করা
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা আমলে নিয়ে খালেদা
জিয়াকে তলব
করেছে আদালত।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদাকে
আগামী ৩
মার্চের মধ্যে
আদালতে হাজির
হয়ে অভিযোগের
বিষয়ে ব্যাখ্যা
দিতে বলেছেন
ঢাকার মহানগর
হাকিম রাশেদ
তালুকদার।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে
এই মামলা
করেছেন সুপ্রিম
কোর্ট আইনজীবী
সমিতির সাবেক
সম্পাদক মোমতাজ
উদ্দিন মেহেদী,
যিনি আওয়ামী
লীগের কার্যনির্বাহী
কমিটির সদস্য।
সরকারের অনুমোদন পাওয়ার
পর সোমবার
সকালে আদালতে
গিয়ে তিনি
এই রাষ্ট্রদ্রোহ
মামলার অভিযোগ
দাখিল করেন।
বিচারক পরে বাদীর
জবানবন্দি শুনে আদেশ দেন বলে
বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী আমিন উদ্দিন
মানিক জানান।
এদিকে বিচারক খালেদার
বিরুদ্ধে মামলা
আমলে নেওয়ায়
আদালতের বাইরে
বিক্ষোভ করেন
বিএনপি সমর্থক
আইনজীবীরা। এ সময় তারা সরকারের
বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন।
গত ২১ ডিসেম্বর
রাজধানীতে একটি আলোচনা সভায় খালেদা
জিয়া মুক্তিযুদ্ধে
শহীদের সংখ্যা
নিয়ে সংশয়
প্রকাশ করে
বলেন, “আজকে
বলা হয়
এত লক্ষ
লোক শহীদ
হয়েছেন। এটা
নিয়েও অনেক
বিতর্ক আছে
যে আসলে
কত লক্ষ
লোক মুক্তিযুদ্ধে
শহীদ হয়েছেন।
নানা বই-কিতাবে নানা
রকম তথ্য
আছে।”
ওই বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’
মনোভাবের পরিচয়
পাওয়া যাচ্ছে
অভিযোগ করে
গত ২৩
ডিসেম্বর তা
প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান
আওয়ামী লীগপন্থি
আইনজীবী নেতা
মেহেদী।
ওই নোটিসে খালেদাকে
জাতির কাছে
‘নিঃশর্ত ক্ষমা’
চেয়ে সাত
দিনের মধ্যে
বক্তব্য প্রত্যাহার
করে নিতে
বলা হয়।
নোটিসের জবাব না
পেয়ে গত
সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ে মামলা দায়েরের অনুমোদন চেয়ে
আবেদন করেন
মেহেদী। এর
ধারাবাহিকতায় গত ২১ জানুয়ারি অনুমোদন
মেলে।
বাংলাদেশের আইনে যে
কোনো বিচারপ্রার্থী
আদালতে গিয়ে
অভিযোগ জানিয়ে
প্রতিকার চাইতে
পারেন। তবে
কারও বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে চাইলে সেক্ষেত্রে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন হয়।
মেহেদীকে সেই অনুমতি
দেওয়ার কথা
জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল রোববার সাংবাদিকদের
বলেন, “এ
সংক্রান্ত একটি চিঠি আমাদের কাছে
এসেছিল। আমরা
একটা গাইডলাইন
দিয়েছি। এ
বিষয়ে আইন
অনুযায়ী ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।”
মামলা হলে খালেদা
জিয়াকে গ্রেপ্তার
করা হবে
কি না-
এমন প্রশ্নে
তিনি বলেন,
“তার বিরুদ্ধে
আইন অনুযায়ী
ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।”
অবশ্য বিএনপি চেয়ারপারসনের
উপদেষ্টা সুপ্রিম
কোর্ট আইনজীবী
সমিতির সভাপতি
খোন্দকার মাহবুব
হোসেনের দাবি,
খালেদার ওই
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ‘সংজ্ঞায় পড়ে না’। স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় আইনের দিকটি খতিয়ে না
দেখে ‘আবেগের
বশে’ সিদ্ধান্ত
নিয়েছে।
“এটি ভুল ধারণার
ওপর করা
হয়েছে…এবং
সরকারও আবেগের
বশবর্তী হয়ে
এই মামলা
করার অনুমতি
দিয়েছেন আইনের
বিধান মোতাবেক।
এটি সঠিক
হয় নাই।”