Wednesday, January 18, 2017

ওরা রাতের ‘ভয়ঙ্কর’ সুন্দরী!

ছবি প্রতীকি
প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স: পুলিশের ঘুম হারাম করা রাজধানীর দুর্র্ধষ ডাকাত মোকিম গাজী ও লাল গাজীর রাজত্ব অনেক আগেই শেষ হয়েছে। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত দুই গাজী ছাড়াও রাজধানীবাসীর মনে আতঙ্ক ছিল গ্যাং ডাকাত। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জুয়েলারী, ব্যাংক থেকে শুরু করে বাসা-বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতি ছিল নিত্যকার ঘটনা। 

এসব অধ্যায় এখন আর নেই। তবে নতুন একটি অধ্যায় হচ্ছে সুন্দরী কলগার্ল রূপী মহিলা ডাকাত। রাজধানীর সোহরওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যান, বলধাগার্ডেন, শাহবাগ শিশু পার্ক, ইন্দিরা রোডের ফুটপাত, গ্রীণ রোড, কাকরাইল মোড়, মতিঝিল এলাকায় শিকার ধরার জন্য ঘুরে বেড়ায় ভাসমান সুন্দরী কলগার্ল। বিশেষ করে সন্ধ্যা হলেই রিকশা কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পুরুষ শিকার নিয়ে তারা চেপে বসে। অপরদিকে ফুটওভারব্রিজ সন্ধ্যার পর কলগার্লের দখলে চলে যায়। 

পরিবারের লোকজন নিয়ে সাধারণত কেউই সন্ধ্যার পর ফুটওভারব্রিজ পার হতে চান না। পুলিশের সূত্র জানায়, রাজধানীতে আশি ও নব্বই দশকের মতো ডাকাতির ঘটনা তেমন একটা ঘটে না। বারো থানার রাজধানী এখন ৪৯ থানায় উন্নীত হয়েছে। বেড়েছে পুলিশের সংখ্যা। পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে র‌্যাব। তবুও থেমে নেই কৌশল ডাকাতি। রাতের সুন্দরীদের একটি বড় অংশ চিহ্নিত দুর্র্ধষ অপরাধীর হয়ে কাজ করে। বাসা-বাড়ি, দোকানপাটসহ যে কোন স্থানে টাকাসহ মালামাল লুটের ঘটনায় পুলিশের ভাষায় চারজনের বেশি জড়িত থাকলে সেটি ডাকাতি। আর চারজন হলে দস্যুতা। অপরদিকে রাস্তায় এমন ঘটনাকে ছিনতাই হিসেবে ধরা হয়। 

পুলিশের সূত্র জানায়, সুন্দরী মহিলার সঙ্গে রিকশা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বয়স্ক পুরুষ থাকলে দম্পতি ভাবাটা ভুল নয়। আর সুবিধাজনক ফাঁকা জায়গায় যাওয়ার পরই অপরাধীরা ঘিরে ফেলে সুন্দরীসহ পুরুষ সঙ্গীর বাহন। পুরুষটির কাছ থেকে মোবাইল ফোন, হাত ঘড়ি ও মানিব্যাগসহ মূল্যবান যা কিছু থাকে তার সবাই ছিনিয়ে নেয়।

 এ ধরণের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টার মধ্যে অভিনব ছিনতাই হচ্ছে। অপরদিকে ফাঁকা বাসা-বাড়িতে সুন্দরী কলগার্ল নিয়ে যাওয়ার পর ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের খাতায় ঘটনাটি ডাকাতি হিসেবে নয়। রেকর্ড করা হয় চুরি হিসেবে। কারণ গৃহকর্তা নিজেই থানায় দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করেন, তালা দেয়া বাসার দরজা ভেঙ্গে অজ্ঞাত চোররা মালামাল চুরি করেছে। 

পুলিশ জানায়, সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এটিএম বুথের নৈশ প্রহরীদের সামনে টোপ হিসেবে সুন্দরী ঠেলে দেয়। যে কয়েকটি এটিএম বুথে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে তার প্রতিটির নেপথ্যে রয়েছে সুন্দরী কলগার্লের উপস্থিতি। নৈশ প্রহরীকে অসামাজিক কাজে প্রলুব্ধ করে কলগার্ল রূপী সুন্দরী। এরপরই সংঘটিত হয় অপরাধ। ডাকাতি-ছিনতাই মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সুন্দরী কলগার্ল মানেই শুধুমাত্র কলগার্ল নয়। আড়ালে এদের অনেকেই রাতে ভয়ঙ্কর রূপে ধরা দেয়। অপরাধ চক্রের পুরুষ সদস্যরা কলগার্লের আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়। কলগার্ল রূপী সুন্দরী এবং তাদের দলের পুরুষ সদস্যদের থেকে সাবধান না থাকলে যে কোন সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে।
Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন