Saturday, March 3, 2018

‘লাইফ সাপোর্টে’ চলছে পুঁজিবাজার

ডিএসই ও সিএসই লোগো
ঢাকা: আস্থা ও তারল্য সংকটে পুঁজিবাজারে চলছে দরপতন। এই দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে ‘পুঁজি হারানোর’ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিচ্ছেন।

এছাড়া কৌশলী প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ না করে বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী নিয়োগ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার টালবাহানা।

এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক একটাই ‘শেয়ারের দাম আরো কমবে’, তাই ‘এখন বিনিয়োগ করলেই ক্ষতি হবে’। এসবের ফলে বিক্রেতার তুলনায় কমেছে ক্রেতা, এতে শেয়ারের দামও দিনদিন কমছে। এ কারণে চলতি বছরের শুরু থেকেই থেমে থেমে পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। তবে পুঁজিবাজারের এই দরপতন থামাতে সবশেষ সপ্তাহে সরকার ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ‘লাইফ সার্পোট’ দিয়ে বাজার চাঙ্গা রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।

এর ফলে গত সপ্তাহে ডিএসইতে দুই কার্যদিবস সূচক পতন আর তিন কার্যদিবস উত্থানের মধ্য দিয়ে পার করেছে। পুরো সপ্তাহের দিনগুলোতে লেনদেন শুরু হয় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়, কিন্তু দিনের শেষ ঘণ্টা লেনদেন হয়েছে নিন্মমুখী প্রবণতায়।

এ বিষয়ে লংকা বাংলা সিকউরিটিজের বিনিয়োগকারী সুবল কুমার বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, পুঁজিবাজার সহসাই ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তার কারণ ব্যাংক খাতে এখন চলছে তারল্য সংকট, এই সংকট ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং মার্চেন্ট ব্যাংকসহ পুঁজিবাজারে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে ব্যাংকগুলোর আমানত-ঋণের অনুপাত কমানোর ফলে ঝুঁকি ছাড়াই ডিপোজিট রেখে মুনাফা বেশি পাওয়ার পুঁজিবাজার ছেড়ে ব্যাংকে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা।

বাজার পর্যালোচনা দেখা গেছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি টানা সাত কার্যদিবস পর্যন্ত দরপতন হয়েছে। এই দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি) দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি দেয়। এরপর ডিএসই-সিএসই, ডিবিএ, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ডিএসইর শীর্ষ ৩০ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিরা জরুরি বৈঠকে বসেন।

বৈঠক শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর এমডি কেএএম মাজেদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মুদ্রানীতির

কারণে ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুঁজিবাজারের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্থের উৎসে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিলো। সেগুলো অত্যন্ত সাময়িক। আমরা আশা করছি শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তারা দ্রুতই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন এবং আশা করছি বাজারে এর পজেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে।

এরপর দিন বাজারের সার্বিক অবস্থা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। অর্থমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বলেন, যেকোনো মূল্যে পুঁজিবাজার যেনো ভালো থাকে।

তারপর গত সপ্তাহে টানা তিন কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। ওই তিনদিন সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ (আইসিবি) প্রথম সারির অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠান (ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক) শেয়ার কিনে মার্কেট সার্পোট দিয়েছে। ফলে দরপতন থেমেছে। বেড়েছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এই সার্পোটকে ‘লাইফ সার্পোট’ বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মানি মার্কেটে টাকা নেই। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নেই। পুঁজিবাজার কীভাবে ভালো থাকবে?

ডিএসইর সদস্য এনকোর সিকিউরিটিজের সিইও সাইফুল ওয়াদুদ বাংলানিউজকে বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন ‘গুমট’। আর্থিকখাতে চলছে চরম অনিয়ম। এই সময়ে নতুন করে যারা বিনিয়োগ করছেন তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে কেউ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন না। আশা ছিলো নির্বাচনের বছর বাজার ভালো থাকবে। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো।

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

Thursday, March 1, 2018

অর্থ আত্মসাৎ করেননি, অনিয়ম করেছেন

ড. কামাল হোসেন/ছবি: ফাইল ফটো
বেগম জিয়া অর্থ আত্মসাৎ করেননি, তবে সরকার অর্থব্যবস্থাপনার অনিয়ম করেছেন এমনটাই মনে করেন ড. কামাল হোসেন। রায়ের কপি নিয়ে গত বুধবার ড. কামাল তাঁর চেম্বারের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এই মনোভাব জানান। তবে, এই মামলায় তিনি বা তাঁর চেম্বার জড়িত হবেন না বলে স্পষ্ট মনোভাব ব্যক্ত করেছেন, ড. কামাল হোসেন।

গত সোমবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁকে বেগম জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে লড়ার জন্য অনুরোধ করেন। ড. কামাল ক্রিমিনাল প্র্যাকটিস করেন না, এই যুক্তিতে মামলা গ্রহণ করেননি। তবে বিএনপি মহাসচিবের অনুরোধে ড. কামাল অধ:স্তন আদালতের রায়ের কপি গ্রহণ করেন।

ড. কামাল হোসেনের চেম্বারের সূত্রে জানা গেছে, তাঁর দুই আইনজীবী রায় তাঁকে পড়ে শুনিয়েছে। ড. কামাল নিজেও রায়ের বিভিন্ন অংশ পড়েছেন। এরপর তিনি তাঁর সহকারী আইনজীবীদের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনাও করেন। সূত্র মতে, ড. কামাল তার জুনিয়রদের বলেছেন, টাকাটা যে সরকারি টাকা এতে কোনো সন্দেহ নেই। সরকারি টাকা যে কেউ তাঁর ইচ্ছা মতো এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে পারে না। এটা অন্যায় এবং অনিয়ম। আলোচ্য মামলায় সরকারি টাকা বেআইনি ভাবে বিভিন্ন হাত ঘুরেছে। তবে ড. কামাল মনে করেন, বেগম জিয়া টাকা আত্মসাৎ করেননি। বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ঘুরে টাকা আবার ফান্ডের অ্যাকাউন্টেই এসেছে।

সূত্র মতে, কামাল হোসেন মনে করছেন, হাইকোর্টে ভালো আর্গুমেন্ট করলে বেগম জিয়ার শাস্তি কমবে। এমনকি শুধু অর্থদণ্ডেই শাস্তি সীমাবদ্ধ হতে পারে। তবে এব্যাপারে তিনি বিএনপির আইনজীবীদের কোনো আইনি সহায়তা দেবেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।

যোগাযোগ করা হলে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মামলার রায়ের প্রথম রিডিং হয়েছে। কিছু পয়েন্ট নোট করেছি। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’ বেগম জিয়ার পক্ষে মামলা লড়বেন কিনা, জানতে চাওয়া হলে ড. কামাল বলেন ‘না, তবে দেখি তাদের কিছু পরামর্শ দিতে পারি কিনা।’

তথ্যসূত্র: বাংলা ইনসাইডার
Share:

আওয়ামী লীগকে আয়নায় মুখ দেখতে বললেন ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর/ছবি: ফাইল ফটো
বিএনপিকে ‘দুর্নীতিপরায়ণ দল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বক্তব্য আসার পর দলটিকে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখার পরামর্শ দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক অধিকার মঞ্চ’ নামের একটি সংগঠন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংসদে প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু আপত্তিকর কথা বলেছেন। একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল (বিএনপি) যা প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঁচবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে, যে দল বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে, সেই দলটিকে তিনি বললেন দুর্নীতিপরায়ণ দল।’

অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, ‘এসব কথা বলার আগে তো আয়নায় নিজের মুখ দেখতে হবে। মানুষ কী বলে আপনাদের সম্পর্কে তা শুনতে হবে তো। প্রয়াত সাংবাদিক এ বি এম মুসা বলে গিয়েছিলেন যে, ‘আওয়ামী লীগ দেখলেই বলবা চোর’। বদরউদ্দিন ওমর সাহেব কয়েকদিন আগে কলকাতার এয়ারপোর্টে একেবারে নাম ধরে বলেছেন চোর। মেগা প্রজেক্টের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলো থেকে হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। দেশের মানুষ খুব ভালো করে জানে, কারা দুর্নীতি করছে, কারা দুর্নীতি করছে না।’

‘যেনতেন নির্বাচন করতে’ খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে নিচ্ছে সরকার এই অভিযোগ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রীর নামে চারটি মামলা। আর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ছিল পনোরটা। ১৫টি মামলা তুলে নিয়ে এই চারটি রেখে দিলেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া সাত হাজার মামলা তুলে নিয়েছেন। আর আমাদের মামলা বেড়ে দাড়িয়েছে ৭৮ হাজার। আসামির সংখ্যা একমাস আগে পর্যন্ত ছিল ১৮ লাখের ওপরে। গোটা কারাগার ভরে গিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীতে।’

খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি ও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি আদায়ে নেতাকর্মীদের আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।

‘আমাদের কাজ এখন খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্ত করে আনা। আরেকদিকে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আদায় করার সংগ্রাম। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এই দানব সরকারকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে একটি নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রমুখ।

তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম
Share:

স্কুল শিক্ষার্থীদের সঞ্চয় ১৩শ’ কোটি টাকা ব্যাংকে

ছবি: প্রতীকি
ব্যাংকে বেড়েই চলছে খুদে শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের পরিমাণ। স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় শিক্ষার্থীরা ব্যাংক হিসাব খুলেছে ১৪ লাখ ৫৩ হাজর ৯৩৬টি। এসব হিসাবে সঞ্চয় হয়েছে ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিসেম্বর ২০১৭ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্কুল শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের অভ্যাসে উৎসাহিত করতে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। মাত্র ১০০ টাকা জমা করে নিজের নামে হিসাব খুলতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে যেমন উপকৃত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা, তেমনি বাণিজ্যিক ব্যাংকেরও আমানতের পাল্লা ভারী হচ্ছে। এছাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের সঞ্চিত টাকা বিনিয়োগ হয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ৫৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় ১৪ লাখ ৫৩ হাজর ৯৩৬টি হিসাব খোলেছে শিক্ষার্থীরা। এসব হিসাবের বিপরীতে সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে শহরের স্কুলের শিক্ষার্থীদের খোলা ৮ লাখ ৮৯ হাজার ২৯টি অ্যাকাউন্টে জমা ৯৪৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর গ্রামের শিক্ষার্থীদের ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯০৭টি অ্যাকাউন্টে জমা ৪১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫৬টি। আর এসব হিসাবে মোট স্থিতি ১ হাজার ১০৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা। রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে চার লাখ ২৪ হাজার ৩৩০টি হিসাব খোলা হয়েছে। এসব হিসাবের বিপরীতে সঞ্চয় দাঁড়িয়েছে ১৬৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি হিসাব খোলা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯৮টি। যা মোট হিসাবের ১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এরপরে অগ্রণী ব্যাংকের ১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৩৬টি হিসাব রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ডাচ-বাংলা ১ লাখ ৭১ হাজার ৩৬২টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ১ লাখ ১ হাজার ৩০১টি এবং উত্তরা ব্যাংকে ৮৪ হাজার ১০৮টি হিসাব রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল বশর বলেন, শিক্ষার্থীদের ব্যাংকমুখী করে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন সময় প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সঞ্চয়ের মনোভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০১০ সালে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষার্থীরা টাকা জমা রাখার সুযোগ পায় ২০১১ সালে। এদিকে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের মধ্যে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালে 'চাইল্ড অ্যান্ড ইউথ ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনালের' (সিওয়াইএফআই) 'কান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড' পুরস্কারে ভূষিত হয় বাংলাদেশ।

তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম
Share:

বাবা নয়, চিকিৎসা নিতে মাকে সঙ্গে আনতে হবে!

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে /ছবি: সংগৃহীত
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে বাবার সঙ্গে চিকিৎসা নিতে যাওয়া শিশুদের সেবা পেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। শিশুদের চিকিৎসায় বর্হিবিভাগের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে চিকিৎসা নিতে মায়ের সঙ্গে আসতে হবে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের প্রাঙ্গণে  নোটিশবোর্ড কিংবা বর্হিবিভাগেও কোনো নোটিশ দেখা যায়নি।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে। এ সময় বর্হিবিভাগের টিকিট না পেয়ে বাবার সঙ্গে আসা শিশুদের  ফিরে যেতে হয়েছে। এক-দু’জন অভিভাবক পরিচিত চিকিৎসকদের সহায়তা নিয়ে জরুরি বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাবার সঙ্গে সাড়ে পাঁচ বছরের এক শিশু দাঁতের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসে। তারা বর্হিবিভাগের চিকিৎসায় টিকিট পেতে লাইনেও দাঁড়ান। বেশ কিছু সময় পার করে কাউন্টারে পৌঁছে টিকিট চাইলে তাদের দেওয়া হয়নি। কেনো দেওয়া হচ্ছে না? তা জানতে চাইলে কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সেলিম বাংলানিউজকে জানান, টিকিট নিতে হলে বাবার সঙ্গে নয়, আসতে হবে মায়ের সঙ্গে।

টিকিট না পেয়ে ওই অভিভাবক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসনকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি জরুরি বিভাগ থেকে টিকিট নিয়ে শিশুর চিকিৎসা ব্যবস্থা করেন। এভাবে চলছে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের বর্হিবিভাগের চিকিৎসা সেবা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা সেলিম পাঁচ টাকার টিকিট রোগীদের অসহায়ত্বে সুযোগ নিয়ে ৫০টায় বিক্রি করেন। নানা অজুহাতে এবং মনগড়া নিয়ম করে রোগীদের কাছ বেশি দামে টিকিট বিক্রি করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে শত শত।

হাসপাতালের বর্হিবিভাগ থেকে টিকিট নিতে আসা বেশ কয়েকজন গৃহবধূর অভিযোগ তারা পাঁচ টাকার টিকিট ৫০ টাকায় কিনেছেন। অনেকেই মনে করছেন বাবার সঙ্গে আসা শিশুদের জন্য টিকিট বিক্রি না করার কারণ বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেওয়া।

কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা অভিযুক্ত সেলিম এ ব্যাপরে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ বলেন, চিকিৎসা নিতে মায়ের সঙ্গে আসতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

১০ টাকায় চাল বিক্রি শুরু ৪ মার্চ থেকে

ওএমএস চাল বিক্রি /ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল বিক্রি শুরু করেছে সরকার। এছাড়া আগামী ৪ মার্চ থেকে খোলা বাজারে (ওএমএস) ৩০ টাকা করে চাল বিক্রি করা হবে।

বৃহস্পতিবার (০১ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে কেজি প্রতি ১০ টাকায় মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে।

মার্চ, এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হবে। এ কর্মসূচির জন্য বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল প্রয়োজন হবে।

পাশাপাশি আগামী ৪ মার্চ থেকে সারা দেশে ওএমএস-এ স্বল্প দামে চাল বিক্রয় শুরু করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য অধিদফতর। প্রতি ডিলার ১ টন করে চাল বরাদ্দ পাবে। একজন ব্যক্তি সর্বাধিক ৫ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। প্রতি কেজি চালের মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৩০ টাকা।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইতোমধ্যেই ওএমএস-এ ১৭ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রয় করছে খাদ্য অধিদফতর।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে সরকারের গোডাউনে প্রায় ১১ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ৩ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন গম মজুদ আছে।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন