Friday, June 1, 2018

সময় এসেছে রুখে দাঁড়াবার

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ঢাকা:এখন সময় এসেছে প্রতিবাদ করার, প্রতিরোধ করার, রুখে দাঁড়াবার। আজ বাংলাদেশের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে, এই ভয়াবহ পরিণতি থেকে দেশকে রক্ষা করা।

শুক্রবার (১ জুন) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুণ নির্মিত ‘রণধ্বনি’ নামে গানের সিডি উদ্বোধন করতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।

তিনি বলেন, মাসের পর মাস খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমরা বহুবার সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি যে আলেচনা করুন, কথা বলুন, এর পরিসমাপ্তি ঘটান। কিন্তু তারা কর্ণপাতই করে না। তারা সব সময় বলে, সংবিধান অনুযায়ী সবকিছু হবে। আরে, এই সংবিধান তো আপনারা কেটেকুটে শেষ করে দিয়েছেন। আপনাদের সুবিধামতো আপনারা সংবিধান সাজিয়ে নিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এক নায়ক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি।  এরশাদের বিরুদ্ধে ৯ বছর লড়াই করেছি। কিন্তু এতো খারাপ সময় আমরা কখনও পার করিনি।  পাকিস্তানের সঙ্গে ৯ মাস যুদ্ধের সময় ভয়াবহ অবস্থা ছিল। কিন্তু তার আগে পাকিস্তানিরা এভাবে মানুষ হত্যা করেনি, আজ আওয়ামী লীগ যেভাবে করছে।

তিনি বলেন, গ্রামে যান-সাধারণ মানুষের কাছে যান। তারা কী ভাবছে কী চিন্তা করছে সেটা শুনুন।  তবে সেটা বোঝার মতো অবস্থা এখন সরকারের আর নেই। তারা এমন এক জায়গায় চলে গেছে যেখান থেকে জনগণের আশা-আকাঙ্খা বোঝার ক্ষমতা তাদের নেই।  

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বক্তৃতা দেওয়ার দিন শেষ। এখন আমাদের কাজে নামতে হবে, দেশ রক্ষার কাজে। খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক, দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের প্রতীক, তাকে এইভাবে গায়ের জোরে কারাগারে আটক রাখার অর্থই হচ্ছে দেশের গণতন্ত্রকে পুরোপুরি ধ্বংস করা, স্বাধীনতাকে বিপন্ন করা, জনগণের অধিকার ধ্বংস করা এবং একক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করা। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনসি বজলুল বাসিত আনজুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Share:

Thursday, May 24, 2018

ইলিয়াস আলী কি সত্যিই বেঁচে আছেন?

নিখোঁজ ইলিয়াস আলী
৬ বছর পর আবার আলোচনায় নিখোঁজ ইলিয়াস আলী। গত সোমবার ভোররাতে ডিবি পুলিশের একটি দল বনানীতে ইলিয়াস বাসভবনে অভিযান চালাতে যায়। কিন্তু নীচের দারোয়ান ‘সিলেট হাউসের’ গেট না খোলায় ভোর ৪টার দিকে সাদা পোশাকের লোকজন চলে যায়। ডিবি পুলিশ আসার খবর পেয়ে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনা, বিএনপির নেতাদের টেলিফোন করেন। তিনি দারোয়ানকেও মূল গেট না খোলার জন্য নির্দেশ দেন। পরদিন, গতকাল মঙ্গলবার ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা ছুটে যান ইলিয়াস আলীর বাসভবনে, যেখানে তাঁরা ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। ডিবির লোকজন সেখানে কেন গিয়েছিল, কিংবা আদৌ গিয়েছিল কিনা? এই প্রশ্নের পাশাপাশি, প্রশ্ন উঠেছে, তাঁর বাসায় কি এমন গুপ্তধন আছে যে ডিবি পুলিশ যাওয়া মাত্র অস্থির হয়ে উঠলেন ইলিয়াস আলীর স্ত্রী?

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলী। তাঁর গাড়ি পাওয়া যায় মহাখালীতে। ইলিয়াস আলীর সঙ্গে তাঁর ড্রাইভারও নিখোঁজ আছেন। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হবার পর থেকেই বিএনপি অভিযোগ করে আসছে ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। ইলিয়াস আলীর স্ত্রী সেসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করার জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করার জন্য নির্দেশ দেবেন।

কিন্তু গত ৬ বছরে ইলিয়াস আলীর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বিএনপির অনেক নিখোঁজ নেতাকেই বিভিন্ন সময়ে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে পাওয়া গেছে। বিএনপির আরেক নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে নিখোঁজ হওয়ার বেশ কিছুদিন পর ভারতে পাওয়া যায়। অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য এখন তিনি ভারতে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু ইলিয়াস আলীর ক্ষেত্রে এসব কিছুই ঘটেনি। তাঁর স্ত্রী সহ আত্মীয় স্বজন ধরেই নিয়েছেন তিনি আর নেই। কিন্তু একটা মানুষ যদি মারাও যায় তাঁর তো একটা ট্রেস পাওয়া যাবে। ইলিয়াস আলীর ক্ষেত্রে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।

আবার একটা পরিবারের অভিভাবক চলে যাওয়ার পর ঐ পরিবারে যে পরিবর্তন, সেটাও ইলিয়াস আলীর পরিবারে দেখা যায়নি। ইলিয়াস আলীর দুই ছেলেই লন্ডনে পড়াশুনা করছে। মেয়ে মায়ের সঙ্গে থাকে। গত ৬ বছরে ইলিয়াস আলীর পরিবারে কোনো দৈন্যতাও চোখে পড়েনি কারও। ইলিয়াস আলীর স্ত্রীও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হয়েছেন।

তিনি এখন বিএনপির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ইলিয়াস আলীর বেঁচে থাকার নানা গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়ানো হয়। ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান দিনে তার  স্ত্রীও গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তাঁর বিশ্বাস ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন। সত্যি কি  ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন? রাজনৈতিক হয়রানির ভয়ে কি তিনি দেশের বাইরে কোথাও পালিয়ে আছেন? তার সঙ্গে কি পরিবারের যোগাযোগ আছে? তার ‘ সিলেট  হাউজে’কি এমন কোনো আলামত আছে যেটা থেকে প্রমাণ করা সহজ হবে যে, ইলিয়াস আলী গুম হননি বরং সরকারকে বিব্রত করতেই এই গুম নাটক সাজানো হয়েছে? সেই আলামতের সন্ধানেই কি ডিবি পুলিশ সোমবার রাতে ইলিয়াস আলীর বাড়িতে গিয়েছিলেন? একারণেই কি ইলিয়াস আলীর স্ত্রী লুনা বিষয়টিকে রাজনৈতিক অবয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন? এজন্যই কি বিএনপির নেতারা পরদিন ছুটে গেছেন ঐ বাড়িতে? এসব কোনো  প্রশ্নেরই উত্তর নেই। আর সে কারণেই ‘ইলিয়াস রহস্য’থেকেই যাচ্ছে রাজনীতির বিতর্কে

সূত্র: বাংলা ইনসাইডার
Share:

রোজার ফিদইয়া আদায়ের নিয়ম জানতে চাই?


ঢাকা: অপার মহিমার মাস রমজান। আত্মশুদ্ধি-আত্মগঠনের এ মাসে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তোষ অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। রমজান মাসকে সঠিকভাবে পালনে করণীয় ও বর্জনীয়সহ নানা বিষয়ে জানার থাকে মুসল্লিদের।

পবিত্র কোরআন ও হাদিস শরিফের আলোকে পাঠকের জিজ্ঞাসার উত্তর দেবেন বিশিষ্ট মুফাস্সিরে কুরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী। এরইমধ্যে এই আয়োজনে প্রশ্নকর্তা পাঠকরা জেনে নিন তাদের উত্তর।

গোলাম আব্বাস  হাতিরপুল, ঢাকা।
প্রশ্ন: রোজার ফিদইয়া আদায়ের নিয়ম জানতে চাই?
উত্তর: বার্ধক্য বা জটিল কোনো রোগের কারণে যার রোজা রাখার সামর্থ্য একেবারেই নেই এবং পরে কাজা করার সামর্থ্য ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই এমন ব্যক্তি রোজার পরিবর্তে ফিদইয়া প্রদান করবেন। ফিদইয়া হলো, একজন মিসকিনকে দু’বেলা তৃপ্তিসহ খানা খাওয়ানো বা এর মূল্য দেওয়া। অর্থাৎ পৌনে দুই কেজি গম বা তার মূল্য।

আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর যাদের জন্য রোজা অত্যন্ত কষ্টকর হয় তারা এর পরিবর্তে ফিদইয়া তথা মিসকিনকে খাদ্য দান করবে।’ (সুরা বাকারা ২: ১৮৪)


এক রোজার পরিবর্তে এক ফিদইয়া ওয়াজিব হয়। (আদদুররুল মুখতার ২/৪২৬)

যাদের জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদইয়া দেওয়ার হুকুম রয়েছে তারা রমজান শুরু হওয়ার পর পুরো মাসের ফিদইয়া একত্রে দিয়ে দিতে পারবে। (আদদুররুল মুখতার: ২/৪২৭)

নজরুল ইসলাম বরপা, নারায়গঞ্জ।
প্রশ্ন: কাদের উপর ফিদইয়া জরুরি নয়?
উত্তর:  দুই শ্রেণির মানুষ (অর্থাৎ দুর্বল বৃদ্ধ ও এমন রোগী, বাহ্যত যার রোজা কাজা করার শক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই) ছাড়া আরও যাদের জন্য রোজা ভঙ্গ করা জায়েজ আছে (যেমন মুসাফির, গর্ভবতী ও শিশুকে স্তন্যদানকারিনী ইত্যাদি) তারা ওজরের কারণে রোজা না রাখলে রোজার ফিদইয়া দেবে না; বরং পরে কাজা করবে।

আর যদি ওজর অবস্থায় মারা যায় তাহলে তাদের ওপর কাজাও নেই, ফিদইয়ার অসিয়ত করাও জরুরি নয়। অবশ্য ওজর শেষ হওয়ার পর কাজার সময় পেয়েও যদি কাজা না করে থাকে অতঃপরমৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাহলে ওজরের পর যে ক’দিন রোজা রাখার সময় পেয়েছে সে ক’দিনের জন্য ফিদইয়ার অসিয়ত করে যেতে হবে। (রদ্দুল মুহতার: ২/৪২৩-৪২৪)
   
মো. রাজ্জাক, দেওয়ানগঞ্জ, জামালপুর।
প্রশ্ন: রোজার কাজা করা সম্ভব না হলে অসিয়ত করে যাওয়া কি জরুরি?
উত্তর: ওজরবশত ছুটে যাওয়া রোজার কাজা করা সম্ভব না হলে মৃত্যুর আগে ফিদইয়া দেওয়ার অসিয়ত করে যাওয়া জরুরি। অসিয়ত না করে গেলে ওয়ারিশরা যদি মৃতের পক্ষ থেকে এমনিতেই ফিদইয়া আদায় করে দেয় তবে আশা করা যায়, আল্লাহতায়ালা তা কবুল করবেন। (রদ্দুল মুহতার: ২/৪২৪-৪২৫)

রেজাউল করিম, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
প্রশ্ন: যাদের ফিদইয়া দেওয়া যাবে?
উত্তর: এক রোজার ফিদইয়া একজন মিসকিনকে দেওয়াই উত্তম। তবে একাধিক ব্যক্তিকে দিলেও ফিদইয়া আদায় হবে। তদ্রুপ একাধিক ফিদইয়া এক মিসকিনকেও দেওয়া জায়েজ। (রদ্দুল মুহতার : ২/৪২৭)

কাশেমী, শেরপুর সদর, শেরপুর।
প্রশ্ন: কাদের ফিদইয়া দেওয়া হলে আদায় হবে না?
উত্তর: ছোট বাচ্চা বা নাবালককে খাওয়ালে ফিদইয়া আদায় হবে না। (ফাতাওয়া খানিয়া : ২/২০)

মো. আবদুল মান্নান, জুরাইন, ঢাকা।
প্রশ্ন: সুস্থতা ফিরে ফেলে ফিদইয়ার বিধান?
উত্তর: অক্ষম বৃদ্ধ ও মৃত্যুমুখে পতিত রোগী যদি সুস্থতা ফিরে পায় এবং আবার রোজা রাখতে পারে তাহলে তাদের ছুটে যাওয়া রোজাগুলোর কাজা করতে হবে। এক্ষেত্রে আদায়কৃত ফিদইয়ার জন্য আলাদা সওয়াব পাবে। (আদদুররুল মুখতার: ২/৪২৭)

জবাব প্রদানে: মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
লেখক: বিশিষ্ট মুফাসসিরে কুরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।
চেয়ারম্যান: বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটি

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

Tuesday, May 22, 2018

ইলিয়াস আলীর বাসায় ডিবির তল্লাশির অভিযোগ রিজভীর

ঢাকা:‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর বনানীর বাসায় (সিলেট হাউস) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তল্লাশি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (২২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।


রিজভী বলেন, রাতে নিঁখোজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর বনানীর বাসায় তার অসুস্থ স্ত্রীকে দরজা খোলার জন্য বলে ডিবি পুলিশ। এসময় ডিবি সদস্যরা দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা আতঙ্কিত হয়ে তাকেসহ (রিজভী) বিএনপি নেতাদের ফোনে আকুতি জানান। পরে বাসার সামনে গণমাধ্যমের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে তারা চলে যান।

তিনি বলেন, বিরোধী দলের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি সরকারি সাদা পোশাকধারী বাহিনীর এ ধরনের ভূমিকার জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, গতরাতেও চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, নেত্রকোনা, দিনাজপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দশজনকে ক্রসফায়ার দেওয়া হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম এর পিছনে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে। সেটি এখন ফুটে ওঠতে শুরু করেছে। নেত্রকোনায় কথিত ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে ছাত্রদলের সদস্য আমজাদ হোসেনকে।

রিজভী আহমেদ আরও বলেন, রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল শহরের সাহেববাজার সিটি করপোশেনের মার্কেটে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ব্যানার ঝুলিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ সরকারি দলের নির্দেশে বর্তমান মেয়রের সেই শুভেচ্ছা ব্যানারটি খুলে ফেলেছেন। এ ব্যাপারে রাজশাহীর মেয়র পুলিশকে জিজ্ঞাসা করলে পুলিশ আওয়ামী ক্যাডারের মতোই আচরণ করে বেআইনিভাবে বর্তমান মেয়রের ব্যানারটি খুলে ফেলার কাজটির পক্ষে অবস্থান নেয়।


গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে গাজীপুরের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২১ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় গাজীপুর এলাকার সংসদ সদস্য ও সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির উদ্দেশে তিনি এ নির্দেশ দেন। যা আজ সব গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। যা নির্বাচন আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নির্বাচন কমিশনকেও প্রভাবিত করবে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হায়দার আলী, কবির মুরাদ, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।
Share:

খুলনায় নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ: সুজন


ঢাকা: খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যর্থ হয়েছে বলে মূল্যায়ন করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। কয়েকটি ভালো নির্বাচনের পর খুলনা সিটি নির্বাচনে একটি অস্বচ্ছ ও ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (২২ মে) রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন ও সুজন-এর দৃষ্টিতে নির্বাচন শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সুজন।

সংবাদ সম্মেলনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, খুলনা নির্বাচনে ইসি ব্যর্থ হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, কুমিল্লার অর্জন খুলনায় ম্লান হয়েছে। ইসি প্রার্থীদের হলফনামা পর্যবেক্ষণ করেনি। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ক্ষমতাহীন করেছে। পুলিশ বাহিনী ইসির অধীন, এটাইতো তারা জানে না। এমন ধরপাকড় কেউ আগে কখনো দেখেনি।

সুজনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সর্বশেষ তিনটি সিটি নির্বাচন অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জ,  কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সাথে তুলনা করলেও বলা যায় যে, কয়েকটি ভালো নির্বাচনের পর খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য একটি অস্বচ্ছ ও ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেননি। কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রতীকে সিল দেয়া কিন্তু উল্টা দিকে সিল-স্বাক্ষর বিহীন ব্যালটকে বৈধ ভোট হিসেবে গণনা করা হয়েছে। একই সাথে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, কারসাজিমুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। এই নির্বাচনে দৃশ্যত বড় কোনো ধরনের অঘটন ও সহিংসতা ছাড়া অনুষ্ঠিত হলেও নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, অনেক ভোট কেন্দ্রে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট না থাকা, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, সিল-স্বাক্ষর বিহীন ব্যালটে প্রদত্ত ভোটকে বৈধ ভোট হিসেবে গণ্য করা, কেন্দ্রের সামনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর কর্মী কর্তৃক জটলা সৃষ্টি করে কোনো কোনো ভোটারের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, অনেক ভোটারের ভোট দিতে না পাড়া, নির্বাচনের আগে থেকেই বিরোধী দলের প্রার্থী সমর্থকদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা, রিটার্নিং অফিসারের ওপর যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে সহায়তাকারী হিসেবে নিয়োগ করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তার ওপর চড়াও হওয়া ইত্যাদি ঘটনাবলী এ নির্বাচনকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার বিষয়ে বলা হয়েছে, কমিশনের প্রস্তুতি ভালো ছিল বলা হলেও এক পর্যায়ে এসে রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হলে রিটার্নিং অফিসারকে সহায়তার জন্য যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজনকে খুলনা পাঠানো। বিষয়টি একদিকে যেমন নজিরবিহীন, পাশাপাশি তা কতটুকু যৌক্তিক ও আইন সম্মত তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে। এর মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হয়েছে।

সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাহী সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দ আবুল মকসুদ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

একসাথে লাইভে এসে যা বললেন সৌন্দর্য চর্চা বিষয়ক এই শিল্পীরা

একসাথে লাইভে এসে যা বললেন সৌন্দর্য চর্চা বিষয়ক প্রতিযোগিতা "Battle With Brush" এর সেরা তিন প্রতিযোগি চ্যাম্পিয়ন  নিসা হাই, প্রথম রানারআপ সানজিদা খন্দকার ও দ্বিতীয় রানারআপ সেগুফতা আজমসহ  এ লাইভে রয়েছেন বিউটি এক্সপার্ট ও ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের সিইও ফারনাজ অালম এবং অন্যরা।




ভিডিওটি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন: https://youtu.be/fKLwggYyFEk
Share:

Tuesday, April 17, 2018

উলিপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্ষীরমোহন এখন ঢাকায়

ক্ষীরমোহনের নাম শুনলেই ভোজন রসিকদের জিভে জল এসে যায়। নামে আর স্বাদে এই উপমহাদেশে বিখ্যাত হলেও এতদিন এই মিষ্টান্নের স্বাদ পেতে মিষ্টিপ্রেমীদের ছুটে যেতে হত সেই সুদুর কুড়িগ্রামের উলিপুরে। কিন্তু এবার ঘুচতে চলেছে মিষ্টি প্রেমীদের যাত্রা পথের বিড়ম্বনা। কারন এখন থেকে অনলাইনেই মিলবে উলিপুরের বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী সেই ক্ষীরমোহন।

ক্ষীরমোহন ডটকম নামের (khirmohon.com) একটি ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যাবে এই সেবা। ২রা এপ্রিল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। প্রথম দিকে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকায় ও রংপুরে এই সেবা পাওয়া যাবে বলে পরিচালনা প্রতিষ্ঠানটির সূত্রে জানা গেছে। তবে পর্যায়ক্রমে পুরো দেশে এই সেবা পৌঁছে দেয়া হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

ক্ষীরমোহন ডট কমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রূপম রাজ্জাক বলেন, সর্বনিম্ন দুই কেজি  ক্ষীরমোহন অর্ডার দেওয়া যাবে এখানে। অর্ডার দেওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের নিজস্ব ডেলিভারি ব্যবস্থাপনায় গ্রাহকের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে ক্ষীরমোহন। ডেলিভারির জন্য আলাদা কোন চার্জ রাখছি না আমরা।

একজন গ্রাহক ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই অনলাইনে সর্বনিম্ন ২ কেজি শুরু করে নিজের ইচ্ছেমত পরিমাপের ক্ষীরমোহন অর্ডার দিতে পারবেন। ডেলিভারী চার্জমুক্ত পণ্যটি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই। আর অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে বিকাশ, মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন পেমেন্ট ছাড়াও রয়েছে ক্যাশ-অন-ডেলিভারীর এর সুবিধা।

প্রসঙ্গত, ক্ষীর ও মোহনের সংমিশ্রণে তৈরি হয় ক্ষীরমোহন। ক্ষীর হলো মিষ্টির রস। এক মণ দুধ জ্বাল দিয়ে এর সঙ্গে নানা ধরনের মসলা মিশিয়ে তৈরি করা হয় রস। মিষ্টির এই রসকে স্থানীয়ভাবে ক্ষীর বলা হয়। অন্যদিকে মোহন বলতে সাদা মিষ্টির অংশকে বোঝানো হয়েছে। দুধ ক্ষীরে পরিণত হলে ও মিষ্টির ভেতরে ক্ষীর ঢুকে গেলে তৈরি হয় অমৃত স্বাদের ক্ষীরমোহন।

বৃটেনের রাণী এলিজাবেথ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি প্রশংসা করেছেন ক্ষীরমোহনের। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আপ্যায়ন করা হয় এই ক্ষীরমোহন দিয়ে। ক্ষীরমোহন খেয়ে ভূঁয়সী প্রশংসা করেন বঙ্গবন্ধু। রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথের কাছেও পৌঁছে দেয়া হয়েছিল ক্ষীরমোহন। তিনিও প্রশংসা করেছিলেন অমৃত স্বাদের এই খাবারটির।

উল্লেখ্য, ক্ষীরমোহন ডট কম পরিচালিত হচ্ছে ঢাকাস্থ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান OS CLiCKS ও উলিপুরের সামাজিক অনলাইন প্লাটফর্ম Ulipur.com – এর যৌথ উদ্যোগে।
অর্ডার করতে যোগাযোগ করুন:  +8801795053560
Share:

Saturday, March 3, 2018

‘লাইফ সাপোর্টে’ চলছে পুঁজিবাজার

ডিএসই ও সিএসই লোগো
ঢাকা: আস্থা ও তারল্য সংকটে পুঁজিবাজারে চলছে দরপতন। এই দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে ‘পুঁজি হারানোর’ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিচ্ছেন।

এছাড়া কৌশলী প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ না করে বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী নিয়োগ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার টালবাহানা।

এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক একটাই ‘শেয়ারের দাম আরো কমবে’, তাই ‘এখন বিনিয়োগ করলেই ক্ষতি হবে’। এসবের ফলে বিক্রেতার তুলনায় কমেছে ক্রেতা, এতে শেয়ারের দামও দিনদিন কমছে। এ কারণে চলতি বছরের শুরু থেকেই থেমে থেমে পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। তবে পুঁজিবাজারের এই দরপতন থামাতে সবশেষ সপ্তাহে সরকার ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ‘লাইফ সার্পোট’ দিয়ে বাজার চাঙ্গা রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।

এর ফলে গত সপ্তাহে ডিএসইতে দুই কার্যদিবস সূচক পতন আর তিন কার্যদিবস উত্থানের মধ্য দিয়ে পার করেছে। পুরো সপ্তাহের দিনগুলোতে লেনদেন শুরু হয় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়, কিন্তু দিনের শেষ ঘণ্টা লেনদেন হয়েছে নিন্মমুখী প্রবণতায়।

এ বিষয়ে লংকা বাংলা সিকউরিটিজের বিনিয়োগকারী সুবল কুমার বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, পুঁজিবাজার সহসাই ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তার কারণ ব্যাংক খাতে এখন চলছে তারল্য সংকট, এই সংকট ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং মার্চেন্ট ব্যাংকসহ পুঁজিবাজারে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে ব্যাংকগুলোর আমানত-ঋণের অনুপাত কমানোর ফলে ঝুঁকি ছাড়াই ডিপোজিট রেখে মুনাফা বেশি পাওয়ার পুঁজিবাজার ছেড়ে ব্যাংকে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা।

বাজার পর্যালোচনা দেখা গেছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি টানা সাত কার্যদিবস পর্যন্ত দরপতন হয়েছে। এই দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি) দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি দেয়। এরপর ডিএসই-সিএসই, ডিবিএ, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ডিএসইর শীর্ষ ৩০ ব্রোকারেজ হাউজের প্রতিনিধিরা জরুরি বৈঠকে বসেন।

বৈঠক শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর এমডি কেএএম মাজেদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মুদ্রানীতির

কারণে ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুঁজিবাজারের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্থের উৎসে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিলো। সেগুলো অত্যন্ত সাময়িক। আমরা আশা করছি শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তারা দ্রুতই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন এবং আশা করছি বাজারে এর পজেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে।

এরপর দিন বাজারের সার্বিক অবস্থা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। অর্থমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বলেন, যেকোনো মূল্যে পুঁজিবাজার যেনো ভালো থাকে।

তারপর গত সপ্তাহে টানা তিন কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। ওই তিনদিন সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ (আইসিবি) প্রথম সারির অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠান (ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক) শেয়ার কিনে মার্কেট সার্পোট দিয়েছে। ফলে দরপতন থেমেছে। বেড়েছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এই সার্পোটকে ‘লাইফ সার্পোট’ বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মানি মার্কেটে টাকা নেই। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নেই। পুঁজিবাজার কীভাবে ভালো থাকবে?

ডিএসইর সদস্য এনকোর সিকিউরিটিজের সিইও সাইফুল ওয়াদুদ বাংলানিউজকে বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন ‘গুমট’। আর্থিকখাতে চলছে চরম অনিয়ম। এই সময়ে নতুন করে যারা বিনিয়োগ করছেন তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে কেউ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন না। আশা ছিলো নির্বাচনের বছর বাজার ভালো থাকবে। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো।

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন