প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স
ঢাকা: জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে নতুন করে জেরার আবেদন নাকচ হওয়ার পর মামলা স্থগিত চেয়ে বেগম খালেদা জিয়ার দুটি আবেদনও খারিজ করেছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ রোববার (১৫ মে)এই আদেশ দেয়।
এর ফলে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে নিতে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আগামী ১৯ মে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে এ দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন রাখা আছে।
বিচারের শেষ পর্যায়ে থাকা এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নিয়ে আপত্তি তুলে খালেদার আইনজীবীরা ১৭ এপ্রিল নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার আবেদন করলে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার তা নাকচ করে দেন।
ওই আদেশ বাতিল চেয়ে পরদিন হাই কোর্টে দুটি আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন, যা ১৯ এপ্রিল অবকাশকালীন একটি বেঞ্চে উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা।
এর ধারাবাহিকতায় ২১ এপ্রিল হাই কোর্টের একটি অবকাশকালীন বেঞ্চ আদালত খোলার পর নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন দুটি উপস্থাপন করতে বলে।
এরপর ১৯ এপ্রিল খালেদার আইনজীবীরা জানান, তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা এবং তদন্ত নথি (কেস ডকেট) প্রদান ও দেখানোর আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতের দেওয়া আদেশ বাতিল এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আলাদা দুটি আবেদন করেছেন তারা।
সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শেষে ২ মে হাই কোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন দুটি উপস্থাপন করেন খালেদার আইনজীবীরা, যা ৪ মে শুনানির জন্য ওঠে। তিন দিন শুনানি করে বিচারক আদেশের জন্য ১৫ মে দিন ঠিক করে দেন।
খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এম বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম।
মামলা বৃত্তান্ত
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য চার আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আদালত খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে নতুন করে জেরার আবেদন নাকচ হওয়ার পর মামলা স্থগিত চেয়ে বেগম খালেদা জিয়ার দুটি আবেদনও খারিজ করেছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ রোববার (১৫ মে)এই আদেশ দেয়।
এর ফলে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে নিতে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আগামী ১৯ মে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে এ দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন রাখা আছে।
বিচারের শেষ পর্যায়ে থাকা এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নিয়ে আপত্তি তুলে খালেদার আইনজীবীরা ১৭ এপ্রিল নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার আবেদন করলে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার তা নাকচ করে দেন।
ওই আদেশ বাতিল চেয়ে পরদিন হাই কোর্টে দুটি আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন, যা ১৯ এপ্রিল অবকাশকালীন একটি বেঞ্চে উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা।
এর ধারাবাহিকতায় ২১ এপ্রিল হাই কোর্টের একটি অবকাশকালীন বেঞ্চ আদালত খোলার পর নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন দুটি উপস্থাপন করতে বলে।
এরপর ১৯ এপ্রিল খালেদার আইনজীবীরা জানান, তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা এবং তদন্ত নথি (কেস ডকেট) প্রদান ও দেখানোর আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতের দেওয়া আদেশ বাতিল এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আলাদা দুটি আবেদন করেছেন তারা।
সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শেষে ২ মে হাই কোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন দুটি উপস্থাপন করেন খালেদার আইনজীবীরা, যা ৪ মে শুনানির জন্য ওঠে। তিন দিন শুনানি করে বিচারক আদেশের জন্য ১৫ মে দিন ঠিক করে দেন।
খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এম বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম।
মামলা বৃত্তান্ত
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য চার আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আদালত খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম
0 comments:
Post a Comment