আখেরি মোনাজাতের
মধ্য দিয়ে রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব ইজতেমার শেষ হয়েছে প্রথম পর্ব। আল্লাহর দরবারে
দুই হাত তুলে কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চেয়েছেন মুসল্লিরা। দেশও জাতির মানবতার সমৃদ্ধি ও কল্যাণ
কামনা করেছেন।
আখেরি মোনাজাতে
অংশ নিতে টঙ্গীর তুরাগতীরে লক্ষ লক্ষ মুসল্লির ঢল নামে। ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশ এলাকা
জনসমুদ্রে পরিণত হয়। যত দূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। বেলা ১১টা ৮ মিনিটে শুরু
হয় আখেরি মোনাজাত শেষ হয় বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে।
মোনাজাত
পরিচালনা করেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় তাবলিগ মুরব্বি মাওলানা সা’দ। তাঁর সঙ্গে লাখো মুসল্লি
দুই হাত তুলে ‘আমিন’ ‘আমিন’ ধ্বনি তোলেন। বিশ্ব ইজতেমার ময়দান ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার
এলাকাজুড়ে লাগানো মাইকে সেই ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে।
মোনাজাতে
অংশ নিতে গতকাল থেকে পাঁয়ে হেঁটে বা অন্য উপায়ে ইজতেমাস্থলে আসেন অনেক মুসল্লি। ভোর
থেকে ইজতেমার মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলিগলিতে
অবস্থান নেন।
ইজতেমাস্থলে
পৌঁছাতে না পেরে অনেক মুসল্লি মহাসড়ক ও সড়কে অবস্থান নেন। তাঁরা পুরোনো খবরের কাগজ,
সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে মোনাজাতে অংশ নেন।
পার্শ্ববর্তী
এলাকার বাসাবাড়ি, কলকারখানা, অফিস, দোকান ও যানবাহনের ছাদ এবং তুরাগ নদে নৌকায় অবস্থান
নেন মুসল্লিরা।
ইজতেমার
তিন দিনের বয়ান শুনতে মুসল্লিদের বেশির ভাগ শুক্রবার (প্রথম দিন) থেকে তুরাগতীরে সমবেত
হন। যাঁরা শুরু থেকে বয়ান শুনতে পারেননি, তাঁদের মধ্যে অনেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে
নিয়ত করেন।
রাজধানী
ঢাকা ও আশপাশের এলাকার মানুষ ভোররাত থেকেই ইজতেমা মাঠ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন আখেরি
মোনাজাতে অংশ নিতে। নারী, পুরুষ, শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা
মাঠে আসেন।
0 comments:
Post a Comment