Tuesday, September 27, 2016

বিএনপি নেতা হান্নান শাহ মারা গেছেন

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম নিউজ ডেস্ক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আ স ম হান্নান শাহ সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বিগত জরুরি অবস্থার সময়ে পাশে থাকায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা হান্নান শাহ ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আস্থাভাজনদের একজন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সিঙ্গাপুরের র‌্যাফেলস হার্ট সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন হান্নান শাহ। মঙ্গলবার ভোরে সেখানেই তার মৃত‌্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

শায়রুল কবির বলেন, “স্যারের ছোট ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান টেলিফোনে কাঁদতে কাঁদতে আমাদের খবরটা দেন।”

বিএনপি নেতারা জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর মহাখালী ডিওএইচএস এর বাসা থেকে আদালতে হাজিরা দিতে বের হওয়ার সময় হান্নান শাহ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে কয়েক দিন রাখার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে ১১ সেপ্টেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারও (এনজিওপ্লাষ্ট) করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা হান্নান শাহ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসরে যাওয়ার পর বিএনপিতে সক্রিয় হন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করলে হান্নান শাহকে পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন খালেদা জিয়া।

হান্নান শাহের মৃত্যুতে পৃথক বার্তায় শোক প্রকাশ করে তার বিদাহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সিঙ্গাপুরে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বুধবারই হান্নান শাহর মরদেহ দেশে আনা হবে।

হান্নান শাহ তার স্ত্রী নাহিদ হান্নান, মেয়ে শারমিন হান্নান ‍সুমি এবং দুই ছেলে শাহ রেজাউল হান্নান ও শাহ রিয়াজুল হান্নানকে রেখে গেছেন।
Share:

Saturday, September 24, 2016

কামড় দিয়ে স্বামীকে খুন করল স্ত্রী!

নিউজ ডেস্ক: অল্পতেই রেগে গেলেন স্ত্রী। স্বামী তাকে বাপের বাড়ি যেতে দেননি। আর সে কারণেই স্বামীকে কামড়ে হত্যা করল স্ত্রী! ভারতের উত্তরপ্রদেশের এই স্বামী হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। 

উত্তরপ্রদেশের এতোয়া জেলার বাসিন্দা অরবিন্দ তার স্ত্রী গোমতী, দুই সন্তান এবং মা গুলাবিকে নিয়ে এক সাথে থাকতেন। পরিবারে সবই ঠিক ছিল। কিন্তু গোমতী নিজের বাপের বাড়ি যেতে চাইলে- সেই কথায় রাজি হননি অরবিন্দ। আর বেড়াতে যেতে না পেরে বেশ রেগে গেলেন গোমতী। রাগের বশে প্রথমে ঝগড়া, পরে ধাক্কাধাক্কি এবং শেষ পর্যায় স্বামীর গলা, কাঁধ এবং পেটে কামড়ে দেয় সে। আর স্ত্রীর কামড়ে ঘোরতর জখম হয়ে মৃত্যু হয় অরবিন্দের।

অরবিন্দের মা গুলাবি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেড়াতে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই অরবিন্দ এবং গোমতীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। অরবিন্দ এবং গোমতী ঘরের দরজা বন্ধ করেই ঝগড়া করতে থাকে। প্রতিবেশীরা কিংবা আমি তাদের মধ্যে গেয়ে সমস্যা মেটাতে পারেননি। এরপর আমি লোকজন  ডেকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখি। গুরুতর আহত অবস্থায় অরবিন্দকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরেই নিজের সন্তানদের নিয়ে পালিয়েছে গোমতী। তার সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। স্বামীকে হত্যা করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা হয়েছে। সূত্র: এবেলা

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম/এসএস/
Share:

ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে ষষ্ঠ স্থান দখলের সুযোগ বাংলাদেশের!

নিউজ ডেস্ক: অনেক দিন আবার ওয়ানডে খেলতে নামছে টাইগাররা। আবার আইসিসির বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে আরো একধাপ উন্নতি করার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। শুক্রবার প্রকাশিত আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তমই আছে। কিন্তু আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারাতে পারলেই শ্রীলঙ্কাকে টপকে যাবে তারা। প্রথমবারের মতো বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ের ষষ্ঠ স্থান পাবে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।

আইসিসির হিসাব অনুযায়ী এখন বাংলাদেশের পয়েন্ট ৯৮। আগামীকাল শুরু আফগানিস্তানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ। এরপর ৩ ম্যাচের হোম সিরিজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এখন আফগানদের যদি মাশরাফি-সাকিবরা ৩-০ তে হারান এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অন্তত ২-১ এ সিরিজ জেতেন তাহলেই হলো। বাংলাদেশ ষষ্ঠ। ১২ অক্টোবর শেষ সিরিজ। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে ভগ্নাংশের হিসেবে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ হয়ে যাবে ষষ্ঠ। ইংল্যান্ড হারলেও তাদের র‌্যাংকিংয়ে পরিবর্তন হবে না। তারা পঞ্চম স্থানেই থাকবে।

এই যখন হিসেব নিকেশ তখন বলতেই হবে বাংলাদেশের এই সামর্থ্য আছে। গত বছর বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দিয়েছিল টাইগাররা। দারুণ জয়ে প্রথমবারের মতো খেলেছিল শেষ আটে। এরপর স্বপ্নের মতো কেটেছে বছরটা। টানা চারটি হোম সিরিজে শক্তিশালী সব দলকে হারিয়ে।

২০১৫ তে টাইগারা প্রথমে ৩ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে পাকিস্তানকে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ এ হারায়। তারপর ভারতকেও ২-১ হারিয়ে দেয়। বছরের শেষে জিম্বাবুয়েকেও ৩ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে। এখন নতুন এক সুযোগ টাইগারদের সামনে। তারা পারবে তো? জবাবের জন্য করতে হবে অপেক্ষা।

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম/এসএস/
Share:

দুনিয়া কাঁপানো ১০টি প্রেমিক জুটির অমর প্রেম কাহিনী

১। রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট

নিঃসন্দেহে রোমিও এবং জুলিয়েটের প্রেমের আখ্যান দুনিয়ার অন্যতম বিখ্যাত প্রেম কাহিনী। যেন ভালোবাসার অপর নাম রমিও-জুলিয়েট।  বিশ্ব বিখ্যাত ইংরেজ লেখক উইলিয়াম শেক্সপিয়র  এর কালজয়ী ট্রাজেডি হলো রোমিও-জুলিয়েট। সারা বিশ্বে যুগ যুগ ধরে পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে এ বিয়োগান্ত প্রেম কাহিনী।
রোমিও আর জুলিয়েটের পরিবারের মধ্যে শত্রুতার সম্পর্ক ছিল। দুটি ভিন্ন পরিবারের পূর্ববর্তী রেষারেষি, বংশীয় অহংকার ভেদ করে দুজন তরুণ-তরুণী প্রথম দর্শনে প্রেমে পড়ে যায়। পরবর্তীতে পরিবারের শত বাঁধা উপেক্ষা করে নানা নাটকীয়তার মাঝে তারা বিয়ে করে। সবশেষে,  দুই পরিবারের শত্রুতার জেরে  এবং ভুলবোঝা-বুঝি জনিত কারণে বিষপানে আত্মহত্যা করে এই প্রেমিক যুগল। তাই পৃথিবীতে যখনই প্রেমের জন্য ত্যাগ- তিতিক্ষার কথা বলা হয়, সবার আগেই উঠে আসে এই তরুণ যুগলের নাম! তরুণ এ যুগলের ভালবাসার জন্য মৃত্যুবরণ আজো পৃথিবীর মানুষকে একই আবেগে নাড়া দেয়।

২। প্যারিস এবং হেলেন

গ্রীক পুরাণের ফ্যাক্ট এবং ফিকশনের অপূর্ব এক সংমিশ্রণ হল, গ্রীকলেখক কালজয়ী হোমারের জগতবিখ্যাত এপিক “ইলিয়াড।” নাম করা সেই যুদ্ধের নাম হল, “Trojan War!” যে যুদ্ধে ধ্বংস হয়েছিল পুরো একটা শহর- ট্রয়! ইতিহাসে যা “Helen of troy” নামে বিখ্যাত। দেবরাজ জিউস এবং স্পার্টার রাজা টিন্ডারিউসের পত্নী লীডার মিলনের ফলে শ্রেষ্ঠ সুন্দরী হেলেনের জন্ম হয়। বিশ্বসাহিত্যে হেলেন সেরা সুন্দরীর আসনে অধিষ্ঠিত। স্পার্টার রাজা মেনিলাসের সঙ্গে হেলেনের বিয়ে হয়। ট্রয়ের ছোট রাজকুমার প্যারিস হেলেনের প্রেমে পাগল হয়ে অপহরণ করে তাঁর রাজ্যে নিয়ে এসেছিলেন। হেলেনকে উদ্ধারে মেনিলাসের ভাই অ্যাগামেমননের নেতৃত্বে বিরাট গ্রিক সেনাদল ট্রয়ের অভিমুখে যাত্রা করে। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চলে এই ঐতিহাসিক যুদ্ধ। যুদ্ধের এক পর্যায়ে গ্রিক সৈন্যরা ট্রয় রাজ্যে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে ট্রয়নগর। আগুনে পুড়ে হাজার হাজার সৈন্য আর নিরীহ নাগরিক মারা যায়। গ্রীক বীর একিলিসও হেলেনের অন্যতম পাণিপ্রার্থী ছিলেন। তাই একিলিস ছুটে যায় হেলেনকে বাঁচানোর আশায়; কিন্তু প্যারিস তীর বিদ্ধ করে মেরে ফেলে একিলিসকে। পালিয়ে যায় হেলেন, জয়লাভ করে গ্রিকরা। কিন্তু যে হেলেনের জন্য এত কিছু তাকে মেনেলাউস কাছে পেয়েছিল কিনা তা আজও অজানা।  প্রেমের জন্য এত রক্তপাত আর ধ্বংস পৃথিবীর ইতিহাসে আর নেই।

৩। লাইলি ও মজনু

মধ্যযুগের ইরানি কবি নিজামী তার কাব্য লায়লি-মজনুর জন্য ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। আরব মিথ ‘লায়লা-মজনু’ অবলম্বনে তিনি তার কাব্য রচনা করেন। অধরা প্রেমের এক বিয়োগন্ত গাথা এ কাব্য। কাব্য লিখিত হওয়ার আগে শতাব্দী থেকে শতাব্দীতে এই মিথ আরবে প্রচলিত ছিল। প্রেমের ইতিহাসে, বিশেষ করে এই উপমহাদেশীয় মুসলিম সমাজে কালজয়ী হয়ে উঠে দুটি চরিত্র, লায়লী ও মজনু। স্বর্গীয় প্রেমের প্রতীক মানা হয় এই জুটিকে। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে অর্থাৎ বাল্যকাল থেকেই লায়লা এবং কায়েস একে অপরের প্রেমে পড়েন। তাদের প্রেম সমাজের নজরে এলে দুজনের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করা হয়। বলা আছে, লায়লার পিতা মজনুকে আহত করলে লায়লারও আহত হতো, এমননি ছিল তাঁদের সেই স্বর্গীয় প্রেম। নিঃসঙ্গ কায়েস মরুপ্রান্তরে নির্বাসনে যান। বিরহকাতর কায়েসের ক্ষ্যাপাটে আচরণের জন্য তাকে ডাকা হতো মজনুন (পাগল) নামে। পরে বেদুঈনের দল মজনুর হার না মানা ভালোবাসা দেখে তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে এবং তাদের মধ্যে এক বৃদ্ধ বেদুইন লড়াই করে লায়লাকে পাওয়ার জন্য কায়েসকে প্রেরণা দেন। তাদের সহযোগিতায় যুদ্ধে লায়লার গোত্র ক্ষমতাচ্যুত হয়, তারপরও লায়লার বাবা কায়েসের সঙ্গে লায়লার বিয়েতে সম্মতি দেন না। লায়লাকে তাঁর পিতা জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। স্বামী মারা যাবার পর, যদিও লায়লা মজনুর কাছে ফিরে আসে, কিন্তু প্রচণ্ড দুঃখ আর অনাহারে মজনু মারা যায়। লায়লাও তাঁর ভালোবাসা মজনুর পথ অনুসরণ করে। মৃত্যুর পর তাদের পাশাপাশি সমাধিস্থ করা হয়।  “দুই দেহ এক আত্মা,” নামক বহুল প্রচলিত কথা এই যুগলের অনুপ্রেরণায় পাওয়া।  স্বর্গে গিয়েও ভালবাসার মানুষকে চাওয়ার তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের আকুতি এই কাহিনীকে অমর করে রেখেছে।

৪। সেলিম ও আনারকলি

মুঘল সম্রাট আকবরের পুত্র সেলিম প্রেমে পড়েন রাজ্যের নর্তকী অনিন্দ্য সুন্দরী আনারকলির। আনারকলির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রথম দর্শনেই তার প্রেমে পড়েন সম্রাটপুত্র সেলিম। সম্রাট আকবর এই সম্পর্ক কখনোই মেনে নেন নি। সম্রাট আনারকলিকে সেলিমের চোখে খারাপ প্রমাণ করতে নানা ধরনের চক্রান্ত করেন। পিতার এ কৌশলের কথা জানামাত্র সেলিম নিজ পিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু শক্তিশালী আকবর বাহিনীর কাছে সেলিম খুব সহজেই পরাজিত নিজ সন্তানের মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করেন আকবর। তখন প্রিয়তম সেলিমের জীবন বাঁচাতে আনারকলি নিজের জীবনের বিনিময়ে সেলিমের জীবন ভিক্ষা চান। তখন সম্রাট সেলিমের চোখের সামনে প্রিয়তমা আনারকলিকে জ্যান্ত কবর দেয়া হয়!!

৫। শাহজাহান ও মমতাজ

১৬১২ খ্রিষ্টাব্দে আরজুমান বানু নামক এক বালিকার সঙ্গে ১৫ বছরের শাহজাহা্নের বিয়ে হয়। পরে কিনা যিনি  মোঘল সম্রাজ্য পরিচালনা করেন। সম্রাট শাহজাহান তাঁর ১৪ সন্তানের জননী এবং প্রিয়তম স্ত্রীর নাম পরিবর্তন করে রাখেন মমতাজ মহল। ১৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে মমতাজের মৃত্যুর পর,  স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি স্থাপত্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। যাতে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করেছিল, প্রায় ১ হাজার হাতী ব্যবহার করা হয়েছিল এবং সেই স্থাপতের নির্মাণ কাজ শেষ হতে প্রায় ২০ বছর সময় লেগেছিল। তাজমহলের নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই শাহ জাহান তাঁর পুত্র আওরঙ্গজেব দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত ও আগ্রার কেল্লায় গৃহবন্দী হন। শেষ বয়সে সাম্রাজ্য হারিয়ে বন্ধী জীবন কাটিয়ে ছিলেন। তাই সেই অনিন্দ্য সুন্দর কালো মার্বেল পাথরের সৌন্দর্য তিনি সম্পূর্ণ দেখে যেতে পারেননি। যমুনাতীরে যেখানে “তাজমল” গড়ে ওঠেছিল, শেষ জীবনে শাহজাহান ওখানে একাকী সময় পার করেছেন। মৃত্যুর পর তাঁকে সেখানে সমাহিত করা হয়। তাঁর ভালোবাসার নিদর্শনে তিনি রেখে যান, পৃথিবীর সপ্তাচার্যের মাঝে একটি “তাজমহল!”

৬। মার্ক এন্টোনি অ্যান্ড ক্লিওপার্টা

ক্লিওপেট্রা এবং মার্ক অ্যান্টনির সত্য প্রেমের  কাহিনী পৃথিবীজুড়েই আলোচিত। এ দুই বিখ্যাত ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে নাটক লিখেছেন শেক্সপিয়র। নাটকটি এখনো পৃথিবীর সবখানেই সমাদৃত। অনিন্দ সুন্দরী মিসরীয় রাণী ক্লিওপেট্রা আর তাঁর প্রধান সেনাপতি এন্টোনি প্রথম দর্শনেই পরস্পরের প্রেমে পড়ে যান। এই দুই ক্ষমতাধর মানুষের প্রেমের বন্ধনে মিসর পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়। কিন্তু রোমান শাসকদের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়ায় এই প্রেম। কারণ এ প্রেমই মিসরকে শক্তিশালী করে তুলছিল। রাজকীয় ঘাত-প্রতিঘাত, জয়-পরাজয় উপেক্ষা করে তাঁরা বিয়ে করেন। ধারণা করা হয়, রোমানদের সাথে যুদ্ধরত অবস্থায় এন্টোনির মনোবল ভাঙার জন্য, তাঁকে যুদ্ধের ময়দানে মিথ্যে সংবাদ শুনিয়েছিলেন যে, শত্রুরা ক্লিওপেট্রাকে হত্যা করেছে। ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর বেদনা সইতে না পেরে অ্যান্টনি নিজ তলোয়ার দিয়ে আত্মহত্যা করেন। অন্যদিকে এন্টোনির মৃত্যুসংবাদ শুনে রাণী ক্লিওপেট্রাও নিজ ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেন। Shakespeare তাঁদের জন্য বলেছিলেন, “great love demands great sacrifices!”.

৭। ল্যান্সলট অ্যান্ড গুনিভেয়ার

আরেকটি রাজকীয় এবং সেই সঙ্গে ট্র্যাজিক লাভ স্টোরিগুলোর মধ্যে অন্যতম হল, এই আর্থারিয়ান প্রেম কাহিনী স্যার ল্যাঞ্ছলট অ্যান্ড লেডী গুনিভেয়ার। ইংলিশ কিং আর্থারের স্ত্রী, রাণী গুনিভেয়ার প্রেমে পড়েছিলেন সেই রাজ্যের বীর একজন নাইট, স্যার ল্যাঞ্ছলট। প্রথমদিকে গুনিভেয়ার ল্যান্সলটকে এড়িয়ে  চলেছিলেন, কিন্তু রাজা আর্থারের অবহেলা আর অবজ্ঞার কারণে, একসময় রাণী গুনিভেয়ারও তাঁর প্রেমে পড়ে যায়। এক রাতে, রাজা আর্থারের ভাতিজা স্যার আগ্রাভিয়ান এবং স্যার মোড্রেড ১২ জন নাইটকে রানী গুনিভেয়ারের সভাকক্ষে প্রেরণ করে। তারা এই যুগল-বন্দিকে আক্রমণ করেন। এ সময় ল্যান্সলট ত্বরিত পলায়নে সক্ষম হন কিন্তু গুনিভেয়ারের ভাগ্য এতটা সুপ্রসন্ন ছিল না। পরকীয়ার অপরাধে রাণী গুনিভেয়ারকে আগুনে পুড়িয়ে মারার শাস্তি ঘোষণা করা হয়। স্যার ল্যাঞ্ছলট তাঁর প্রেমিকা লেডী গুনিভেয়ারকে যুদ্ধ করে বাঁচিয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়, কিন্তু তাঁদের এই প্রেমের জন্য পুরো রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং অনেক মৃত্যুর জন্য তাঁরা নিজেদের দায়ী করে, নিজেদের মধ্যে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। ল্যান্সলট তার জীবনের শেষ দিনগুলো নিভৃতে নিঃসঙ্গভাবে কাটিয়েছিলেন। অন্যদিকে, গুনিভেয়ার অ্যামসবারিতে একজন যাজিকা হিসাবে নিজের জীবন শুরু করেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।

৮। ত্রিস্তান এন্ড ইসলদে
ত্রিস্তান আর ইসলদের ট্র্যাজিক প্রেমগাথা যুগ যুগ ধরে নানা কাহিনী আর পান্ডুলিপিতে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এটি মধ্যযুগে রাজা আর্থারের রাজত্বকালের ঘটনা। ইসলদে ছিলেন আয়ারল্যান্ডের রাজকন্যা। ছিলেন কর্নওয়েলের রাজা মার্কের বাগদত্তা। তিনি রাজকুমারী অ্যাইসোলেইডকে নিজ রাজ্য কর্নওয়েলে ফিরিয়ে আনার জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁর ভাইয়ের ছেলে ত্রিস্তানকে। কিন্তু সেই ভ্রমণে ত্রিস্তান এবং ইসলদে একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। যদিও শেষ পর্যন্ত অ্যাইসোলেইড রাজা মার্ককেই বিয়ে করতে বাধ্য হন। কিন্তু ভালবাসা অব্যাহত থাকে ত্রিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু তাঁদের প্রেমের কথা রাজ্যে গোপন থাকে না। এক সময় এই প্রেম রাজা মার্কের নজরে আসে। তিনি তাঁদের দুজনকেই মাফ করে দেন, কিন্তু ত্রিস্তানকে কর্নওয়েলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ত্রিস্তান চলে যান ব্রিটানিতে। সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় আইসিলতের সঙ্গে। ইসলদের  সঙ্গে এই তরুণীর নামের সাদৃশ্য ত্রিস্তানকে আইসিলতের প্রতি আকৃষ্ট করে। পরে ত্রিস্তান, আইসিলতের সাথে নামের মিল থাকার কারণে  আইসিলত নামক ওই রমণীকে বিয়ে করেন। কিন্তু এই বিয়ে কখনোই পূর্ণতা পায়নি, কারণ ত্রিস্তানের হৃদয় ছিল ইসলদের প্রেমে আচ্ছন্ন। এক পর্যায়ে ত্রিস্তান ইসলদের বিরহে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। খবর পাঠান ইসলদের কাছে, যেন একবার ত্রিস্তানকে দেখে যান এবং একটি জাহাজ পাঠিয়ে দেন। তাঁর স্ত্রী আইসিলতকে বলেছিলেন, ইসলদে যদি আসে তাহলে জাহাজের পালের রং হবে সাদা আর না আসতে চাইলে পালের রং হবে কালো।তার স্ত্রী জাহাজে সাদা পতাকা দেখতে পেয়েও তাকে জানান যে, জাহাজের পালের রং কালো। তখন ত্রিস্তান ভাললেন ইসলদে আর আসবে না। ত্রিস্তান ভাবলেন ইসলদের আর আসবেন না। তার ইসলদে তার কাছে পৌঁছানোর আগেই ত্রিস্তান মারা যান। তাঁর শোকে ভগ্ন হৃদয় নিয়ে ইসলদেও কিছুদিন পর তাঁরই রাজ্যে মারা যান।

৯। অরফিয়াস এবং ইউরিডাইস


এটি প্রাচীন গ্রিসের এক অন্ধ প্রেমের কাহিনী। অরফিয়াস সাগর, বন, পর্বতের অধিষ্ঠানকারিনী উপদেবী ইউরিডাইসের প্রেমে পড়েন। এক পর্যায়ে বিয়ে হয় দুজনের। আনন্দেই কাটছিল দুজনের জীবন। ভূমি এবং কৃষির দেবতা পরিস্টিয়াসের নজর পড়ে ইউরিডাইসের ওপর। কিন্তু ইউরিডাইসের প্রেমে সাড়া না পেয়ে তার ক্ষতি করতে উদ্যত হন। পরিস্টিয়াসের হাত থেকে বাঁচার জন্য পালাতে গিয়ে ইউরিডাইস এক সাপের গর্তের পড়লে সাপ তার পায়ে বিষাক্ত ছোবল হানে। শোকে কাতর অরফিয়াসের হৃদয় বিদীর্ণ করা হাহাকার শুনে পরী আর দেবতাদের চোখেও জল আসে। দেবতাদের পরামর্শে অরফিয়াস পাতালপুরীতে প্রবেশ করেন। পাতালপুরীতে তার গান শুনে হেডস-এর মন গলে যায়। মুগ্ধ হয়ে হেডস ইউরিডাইসকে অরফিয়াসদের সঙ্গে পৃথিবীতে পাঠাতে রাজি হন। কিন্তু সেজস্য একটা বিশেষ শর্ত দেন। শর্তটি হলো অরফিয়াসকে ইউরিডাইসের সামনে থেকে হেঁটে যেতে হবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পৃথিবীতে না পৌঁছবে ততক্ষণ অরফিয়াস পেছনে ফিরতে পারবে না। কিন্তু উৎকণ্ঠিত অরফিয়াস হেডসের সেই শর্তের কথা ভুলে গিয়ে হঠাৎ করে ইউরিডাইসকে দেখতে পেছনে ফেরেন। আর তখনই অরফিয়াসের জীবন থেকে চিরদিনের মতো অদৃশ্য হয়ে যান প্রিয়তমা ইউরিডাইস। বলা হয়ে থাকে, এই যে প্রেম কিংবা বিরহে সঙ্গীত ও মিউজিক অনেক বড় ভুমিকা থাকে, সেটা নাকি অরফিয়াস আর ইরিডাইসের প্রেমকাহিনী থেকেই অনুপ্রাণিত হওয়া।

১০। নেপোলিয়ান এবং জোসেফাইন

২৬ বছর বয়সী মহাবীর নেপোলিয়ান তার চেয়ে বয়সে বড়, বিখ্যাত এবং বিত্তশালী জোসেফাইনের প্রেমে পড়েন। তাঁরা দুজনেই তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে শ্রদ্ধাবোধ, এবং ত্যাগ বজায় রেখেছিলেন এবং সমঝোতার মাধ্যমে তারা বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা পরস্পরের প্রতি গভীর ভালবাসায় নিমগ্ন হন। তাদের স্বভাব, আচার-আচরণে অনেক পার্থক্য ছিল, কিন্তু এগুলো তাদের প্রেমবন্ধনকে আরো দৃঢ় করেছে, ফলে তাদের ভালবাসা কখনো ম্লান হয়ে যায়নি। কিন্তু পরিশেষে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে কারণ, নেপোলিয়ন খুব চাইতেন জোসেপাইনের গর্ভে যেন তাঁর সন্তান হয়, কিন্তু মাতৃত্ব ধারণে অক্ষম ছিলেন জোসেপাইন। তাই জোসেফাইন নেপোলিয়ানের উত্তরাধিকার অর্জনের উচ্চাকাক্সক্ষা পূরণে ব্যর্থ হন। তাই পরস্পরের প্রতি গভীর আসক্তি এবং ভালবাসা থাকা সত্ত্বেও তারা একত্রে জীবনযাপন করতে পারেননি।
 
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
Share:

শিশুটি কার? বাবা মা’কে খুজে পেতে শেয়ার করুন

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
নিউজ ডেস্ক: মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সী ফুটফুটে চেহারার খালি গায়ের এক শিশু। নাম বলছে নাজনীন। তবে বলতে পারছে না বাসার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর সিটি কলেজের সামনের তালতলার মোড়ে এক নারী তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এ সময় শিশুটির কানে থাকা স্বর্ণের দুল খুলে নিয়ে যাওয়ায় কাঁদতে থাকে সে। পরে স্থানীয় এক সেলুন মালিক অসীম কুমার শীল শিশুটিকে উদ্ধার করে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম টিটোর জিম্মায় দেন। টিটো খুলনা সদর থানায় খবর দিয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবরের কাছে হস্তান্তর করেন শিশুটিকে।

অসীম বাংলানিউজকে বলেন, এক নারী শিশুটিকে ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে কান্নারত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাকে কোনো কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করা হলেও সে কাঁদতে থাকে।

ফয়েজুল ইসলাম টিটো বাংলানিউজকে বলেন, অনেক আদর করে তার কাছ থেকে জানা যায় তার নাম নাজনীন। বাবার নাম আলাউদ্দিন, মায়ের নাম মনি। তবে বাসা বা বাড়ির কোনো ঠিকানা সে বলতে পারছে না।

কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি বলতে থাকে, ‘নানুর দেওয়া কানের দুল নিয়ে গেছে। মা ঘুম থেকে উঠেছে। বাবা ঘুমে। আমাকে তাদের কাছে নিয়ে যান’।

শিশুটির স্বজনরা যোগাযোগ করতে পারবেন খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) ০১৭১৩৩৭৩২৮৫ নম্বরে।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

Friday, September 23, 2016

ডায়াবেটিস কি? কেন হয়?

আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের শক্তির জন্য প্রয়োজন গ্লুকোজ। খাবার খাওয়ার পর জটিল বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া গ্লুকোজ রক্তের মাধ্যমে শরীরের কোষ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এ গ্লুকোজ কোষে প্রবেশ করার পর শক্তির উৎস হিসাবে কাজ করবে। তবে গ্লুকোজ কোষের ভিতরে প্রবেশের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় চাবি হলো ইনসুলিন নামক প্রোটিন হরমোন। এটা অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হবার পর রক্তবাহিত হয়ে কোষের আবরণী পর্যন্ত পৌঁছে যায়। সেখানে পৌঁছে তা জৈব রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলস্বরূপ কোষের রুদ্ধ দুয়ার খুলে দেয়। আর তারপরই গ্লুকোজ পৌঁছে যায় কোষের ভেতরে, শক্তি জুগিয়ে উজ্জীবিত করে তোলে দেহকে।

কিন্তু কোন কারণে যদি অগ্ন্যাশয়ে গোলযোগ দেখা দেয় তবে ইনসুলিন আর ঠিকমতো নি:সৃত হতে পারে না। কিংবা কোষীয় আবরণের কাছাকাছি পৌঁছে ঠিকমত কাজ করতে পারেনা। ফলে কোষে গ্লুকোজের জোগান ব্যাহত হয়। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে থাকে, শক্তির অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে কোষ। মোদ্দাকথা অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেলে তখনই শরীরের ভেতর নানা জৈব-রাসায়নিকের বিপাকীয় কর্মকান্ডের হেরফের হয়।

অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিক মেলাইটাস (ইনসুলিন ডিপেনড্যান্ট ডায়াবেটিস মেলাইটাস) বা টাইপ ১ ডায়াবেটিস হয়। অন্যান্য দেশে টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা মোট ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যার ১০ থেকে ১২ শতাংশ। আমাদের দেশে এর হার ৩ – ৮ শতাংশের মত। অন্যদিকে প্রয়োজনের তুলনায় কিছুটা কম ইনসুলিন নিঃসরণ হলে বা প্রতিবন্ধকতার কারণে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করতে না পারলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলাইটাস (ইনসুলিন ইনডিপেনড্যান্ট ডায়াবেটিস মেলাইটাস) হয়। আমাদের দেশে এটিই প্রধান ডায়াবেটিস।

সূত্র: ইন্টারনেট
Share:

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ৭টি লক্ষণ ও জটিলতাসমূহ

অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগের নাম কমবেশি সবাই শুনেছি। বিভিন্ন ধরণের ঝুঁকির কারণে অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে সার্জিক্যাল ইমার্জেন্সি  (surgical emergency) হিসেবে গণ্য করা হয়। অর্থাৎ লক্ষণ দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করা লাগতে পারে। এ কারনে একে অবহেলা করা উচিত নয়।
 
অ্যাপেন্ডিসাইটিস কি?
অ্যাপেন্ডিক্স হচ্ছে খাদ্যনালীর বৃহদন্ত্র অংশের সংযোগস্থলে অবস্থিত আঙ্গুলের মতো দেখতে একটি ছোট থলি। পীড়া, আঘাত বা সংক্রমণের কারণে অ্যাপেনডিক্সে প্রদাহ হলে তা ফুলে ওঠে এবং ব্যথা অনুভূত হয়। ডাক্তারি ভাষায় এটাকেই অ্যাপেন্ডিসাইটিস বলা হয়।

কেন এবং কিভাবে হয়?কোন কারণে অ্যাপেন্ডিক্সে খাদ্য বা মল ঢুকে গেলে কিংবা কৃমি আটকে গেলে সেখানে রক্ত ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। এ অবস্থায় নানান জীবাণুর আক্রমণে অ্যাপেনডিক্সে প্রদাহ হয় এবং বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়।
 
উপসর্গ ও লক্ষণসমূহ:
১. পেটে ব্যথা। সাধারণত নাভীর কাছ থেকে শুরু হয়ে পেটের ডান দিকের নিম্নাংশে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।
২. ক্ষুধামন্দা
৩. বমি বমি ভাব হওয়া
৪. বমি হওয়া
৫. কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া
৬. জ্বর থাকতে পারে। তবে সাধারণত অতি উচ্চমাত্রায় নয়।
৭. অ্যাপেন্ডিক্স কোন কারণে ফেটে গেলে পেরিটোনাইটিসের উপসর্গ নিয়ে রোগী আসে। তখন সারা পেট জুড়ে অনেক বেশি ব্যথা অনুভূত হয়। পেট ফুলে যায় এবং পেটে শক্ত ও চাপ চাপ ভাব অনুভূত হয়।
 
জটিলতা:
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণগুলো দেখো দিলে খুব দ্রুত কোন সার্জারি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তৈরী হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস থেকে নিম্নোক্ত জটিলতাগুলো তৈরী হতে পারে-
১. গ্যাংগ্রিন বা পঁচন ধরা
২. অন্ত্র বা খাদ্যনালী ছিদ্র হয়ে যাওয়া
৩. পেরিটোনাইটিস
৪. শক (shock)
৫. অ্যাপেনডিকুলার লাম্প হওয়া

সূত্র: ইন্টারনেট
Share:

Thursday, September 22, 2016

দাফনের সময় নড়ে উঠলো নবজাতক


 প্রথম আলো২৪.কম নিউজ ডেস্ক : চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর নবজাতককে দাফনের সময় নড়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকায় এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ওই নবজাতক জন্ম নেবার কিছু সময় পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে দাফনের জন্য কবরস্থানে নেয়া হয়। দাফনের পূর্ব মুহুর্তে নড়ে উঠে শিশুটি। পরে দ্রুতই শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে ওই নবজাতককে শিশু হাসপাতালের ইনকিউবিটরে রাখা হয়েছে। এমন ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। চিকিৎসকের 'অবহেলা এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন' কর্মকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন তারা।

ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হোসেন মিঠুর স্ত্রী অ্যাডভোকেট নাজনীন আক্তার প্রসবজনিত ব্যথা নিয়ে বুধবার রাত ১১টার দিকে ফরিদপুরের বেসরকারি ডা. জাহেদ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা প্রসূতির তেমন একটা খেয়াল না রাখায় রাত ১টার দিকে নরমাল ডেলিভারি হয়। নাজনীন আক্তার একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এর কিছুক্ষণ পর শিশু হাসপাতালের কর্তব্যরত গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রিজিয়া আলম নবজাতকটিকে মৃত ঘোষণা করে। ওই রাতেই 'নবজাতকের' মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয় পরিবারের স্বজনদের কাছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে পরিবারের সদস্যরা নবজাতকটিকে দাফন করার উদ্দেশ্যে আলীপুর কবরস্থানে দাফন করার প্রস্তুতি নিলে দাফনের পূর্ব মুহুর্তে নড়ে-চড়ে উঠে শিশুটি। সাথে সাথেই ওই নবজাতককে আবার নেয়া হয় শিশু হাসপাতালে। তাকে হাসপাতালের ইনকিউবিটরে নিবীর পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের এমন অবহেলায় হতবাক শিশুটির স্বজন ও স্থানীয়রা।

ওই নবজাতকের বাবা নাজমুল হোসেন মিঠু বলেন, মরদেহ দাফনের জন্য আলীপুর কবরস্থানে কবর খোঁড়া হয়। আলিপুর গোরস্থান মসজিদের ইমাম দাফনের সব আয়োজনও সম্পন্ন করেন। কিন্তু মরদেহের মাথা কোনদিকে আছে দেখতে গিয়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে ওঠে দাফন করার কাজে নিয়োজিতদের।

আলীপুর কবরস্থানের কেয়ারটেকার বিল্লাল হোসেন বলেন, শিশুটির মরদেহের কাফনের কাপড় খুললে দেখা যায় সে জীবিত রয়েছে। এ সময় অন্যরাও শিশুটিকে জীবিত দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

এ ব্যাপরে ডা. রিজিয়া আলম বলেন, এ ব্যাপরে যা রিপোর্ট দেয়ার আমি অফিসে তাই দিয়েছি। এখন কোনো কথা বলবো না।

এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান শিশু হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের সদস্য শওকত আলী জাহিদ।

হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণার পর বেঁচে উঠার ঘটনায় শহরজুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটির বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকদের এমন অবহেলায় আর যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই নবজাতকটির স্বজনরা।

সূত্র: ইন্টারনেট

Share:

জাতিসংঘ থেকে দুটি অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা



প্রথম আলো২৪.কম নিউজ ডেস্ক
লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদানের জন্য জাতিসংঘের দুটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের ইউএন প্লাজায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোরে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেয়া হয়।

পুরস্কার গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই স্বীকৃতির জন্য আমি গর্ববোধ করছি। আমাকে এই সম্মান দেয়ার জন্য জাতিসংঘ উইমেন অ্যান্ড গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরামকে ধনব্যাদ জানাই।

শেখ হাসিনা বলেন, এই পুরস্কার প্রমাণ করছে বাংলাদেশের নারীরা সত্যিকার অর্থেই পরিবর্তনের এজেন্ট। আমার এই পুরস্কার তাদের জন্য, যেসব নারী পুরুষের সঙ্গে সমান অংশীদারিত্বে কাজ করে যাচ্ছে। আমি এই পুরস্কার বাংলাদেশের সেসব মানুষের জন্য উৎসর্গ করছি, যারা আমার পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিশ্বাস রেখেছেন।

পুরস্কার গ্রহণের পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ উইমেনের উপনির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মী পুরি ভাষণ দেন এবং সম্মাননাপত্র পড়ে শোনান। জাতিসংঘ উইমেনের নির্বাহী পরিচালক পামজিলে ম্লামবো-নাকুকা এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরামের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী আমির দোসাল সমাপনী বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক, পররাষ্ট্র পতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন।

সূত্র: ইন্টারনেট

Share:

আজ বিকেলে ফিরছেন খালেদা জিয়া, শোডাউনের প্রস্তুতি

হজ পালন শেষে  আজ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইনের একটি ফ্লাইটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি।

এর আগে সপরিবারে সৌদি আরবের জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া।

সেখান থেকে বড় ছেলে তারেক রহমান এমিরেটস এয়ারলাইনের একটি ফ্লাইটে পরিবারসহ লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন, আর খালেদা জিয়া ঢাকার উদ্দেশে।

বিএনপির প্রেস উইং কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।

এদিকে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর বিএনপি এরইমধ্যে তার সব ইউনিটকে প্রস্তুত করেছে দলের চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য।

এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনগুলো নিজেদের মতো করে শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। খালেদা জিয়া বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগেই নেতা-কর্মীদের সেখানে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
Share:

মানসিক চাপ কমানোর কয়েকটি কৌশল

মানসিক চাপ তো থাকবেই। এটাই স্বাভাবিক। ধরুন, আপনি পাহাড়ে গেলেন, সেখানকার মনোরোম সুন্দর পরিবেশ দেখে মনে হলো এখানকার মানুষের কত শান্তি। তবে একটু ভাবলেই দেখবেন তাদেরও রয়েছে নানা কষ্ট বা ভোগান্তি। আমাদের দেশের পার্বত্য অঞ্চলে তো ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে পানি সংকট। কখনো কখনো খাদ্যাভাবও। যেখানেই যাবেন মানসিক চাপ থাকবেই। এর মধ্যেই টিকতে হয় আমাদের।

কাজের চাপ, সম্পর্কে টানাপড়েন, অর্থনৈতিক চাপ এসবে হয়তো মাঝে মাঝে দিশেহারা হয়ে পড়েন আপনি। তবে এর মধ্যেই লড়াই করতে হবে; জানতে হবে মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনার কৌশল।

স্বাস্থ্য বিষয়কওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমিডি জানিয়েছে মানসিক চাপ কমানোর কিছু কার্যকর পদ্ধতির কথা।

১. সুন্দর দৃশ্য কল্পনা

– শান্ত ও নিরিবিল পরিবেশে বসুন। চোখ বন্ধ করুন।
– ধীরে ধীরে কয়েকবার শ্বাস নিয়ে শরীর ও মনকে শান্ত করুন।
– এমন একটি জায়গা কল্পনা করুন যেখানে আপনি যেতে পছন্দ করবেন। সেটা হতে পারে পাহাড়, সমুদ্র বা ঘন অরণ্য।
– মন দিয়ে জায়গাটি অবলোকন করুন। এর ভেতরে প্রবেশ করুন।
– যতক্ষণ না পর্যন্ত শিথিল মনে হচ্ছে নিজেকে সেখানে থাকুন।
– এরপর ধীরে ধীরে আপনার মনকে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসুন।
– চোখ খুলুন এবং বর্তমান পৃথিবীতে প্রবেশ করুন।

২. গভীর শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম
– সোজা হয়ে বসে চোখ বন্ধ করুন।
– পেটের মধ্যে হাত রাখুন।
– ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিন।
– দমকে কিছুক্ষণ আটকে রাখুন। এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত গুনুন।
– এরপর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন।
– এইভাবে পাঁচ থেকে ১০ বার করুন।

৩. হাসুন
হাসা অনেক ভালো শিথিলায়ন পদ্ধতি। চমৎকার রসবোধ আপনার মনের চাপকে হালকা করবে। এটি মানসিক চাপের জন্য দায়ী হরমোন করটিসল ও এড্রেনালাইনকে কমাবে।

৪. একটু হেঁটে আসুন
হাঁটা মানসিক চাপ কমায়। খুব বেশি চাপ লাগলে অন্তত ১০ মিনিট বাহির থেকে হেঁটে আসুন। হাঁটা হাত ও পাকে ব্যস্ত রাখে। এর মানে আপনি বর্তমান সময়ের মধ্যে বেশি ব্যস্ত রয়েছেন। মানসিক চাপ ধীরে ধীরে কমাতে এটি বেশ কার্যকর।

৫. শিথিলায়ন সঙ্গীত শুনুন
গান শোনা শরীর ও মনে মধ্যে বেশ বড় প্রভাব ফেলে। প্রশমিত করার ধীর গতির সঙ্গীত শুনতে পারেন। ইন্টারনেটেই মন শান্ত করার অনেক সঙ্গীত পেয়ে যাবেন।  অথবা নিজের মনেও গাইতে পারেন কোনো উদ্দীপক গান। এতে মানসিক চাপ কমবে।
Share:

Wednesday, September 21, 2016

সত্যিই পাওয়া গেলো টাকার গাছ!



প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক: কথায় কথায় আমরা বলে থাকি ‘টাকা কি গাছে ধরে?’। টাকা আসলেই কোন গাছে ধরে না। কিন্তু স্কটিশ হাইল্যান্ড পার্কে এমন এক গাছ আছে যেখান থেকে ঝড়ে পড়ে টাকা! কী মুশকিলের কথা তাই না? অজস্র মুদ্রায় ছেয়ে রয়েছে বিশাল প্রাচীন গাছটি। এই গল্পের শুরু ১৭০০ বছর আগে-স্কটল্যান্ডে।

স্কটিশ হাইল্যান্ড পার্কটি ঘিরে কৌতূহলের শেষ নেই। পার্কের বিশাল বিশাল গাছগুলো বহু প্রাচীণ। তারই মধ্যে নজর কাছে লক্ষ লক্ষ মুদ্রায় মোড়া ১৭০০ বছরের পুরনো গাছটি। যে দেখে সেই চমকে যায়। সত্যি করেই এ এক আস্ত টাকার গাছ। সংস্কারের বশে গাছটিতে মুদ্রা গেঁথে দেওয়ার পর্ব চলছে। বহু প্রাচীন ব্রিটিশ মুদ্রা যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে বিভিন্ন দেশের মুদ্রা। ফলে গাছটি এক বিস্ময়। মনে করা হয় এই গাছে ভুত রয়েছে। তার পছন্দ হল মুদ্রা। তাকে খুশি করতেই হাজার বছর ধরে মুদ্রা উপহারে মুড়ে দেওয়া হয়েছে গাছটি।

অনেকে মনে করেন গাছটিতে দৈব শক্তি রয়েছে। তাই আশীর্বাদ পেতে এখানে কয়েন দেওয়া হয়। বিশেষ করে বড়দিনের উৎসবে এই উপহার দেওয়ার চল রয়েছে। আবার অনেক মনে করেন, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে এই গাছের আশীর্বাদ খুবই জরুরি। তার বদলেই মুদ্রা গেঁথে দেওয়া হয় গাছটিতে। বিশ্বের মুদ্রা বিবর্তনের রেখাচিত্রে গত ১৭০০ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  ব্রিটিশ মুদ্রার পরিবর্তনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও ক্রমাগত মুদ্রা পাল্টে গিয়েছে। অজান্তেই সেই ইতিহাস ধরা রয়েছে স্কটিশ হাইল্যান্ড পার্কের টাকার গাছে। সেদিক থেকেও গাছটি নিজেই এক ইতিহাস।

সূত্র: ইন্টারনেট
Share:

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াইয়ে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে তখনই ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারী ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গিদের নারকীয় সন্ত্রাসী হামলায় দেশী-বিদেশী নিরপরাধ ২৬ জনসহ ৪ পুলিশ নিহত হয়েছে।

বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার খুব সাফল্যের সঙ্গে দেশের আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখেছে এবং সাম্প্রতিক কালের সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরো জোরদার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে কয়েকটি জঙ্গি হামলার পরে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে যারা রাষ্ট্র এবং এর জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সেইসব জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারও সামাজিকভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে এবং জঙ্গিবাদের মূল দর্শন যে ভ্রান্ত তা বোঝাতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে জনগণকে সচেতন করতে কাজ শুরু করেছে।

এই বিশেষ প্রতিবেদনটাতে উঠে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ও দল কিভাবে জনসম্প্রক্ত কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।

আইনী পদক্ষেপ:
বাংলাদেশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে আইনী পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি হামলার মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৩৭ টি মামলার মধ্যে ১২টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রংপুরে জাপানী নাগরিক হোসিও কুনিও হত্যা মামলা এবং ঢাকার গুলশানে ইতালীর নাগরিক সিজার তাবেল্লা হত্যা মামলা। বাকি মামলাগুলোর তদন্ত খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। এটাও স্মরণ করা যেতে পারে যে, তদন্ত চলাকালে বেশ কিছু জঙ্গিরা ধরাও পরেছে। কিছু চাঞ্চ্যলকর হত্যা মামলার বেশ অগ্রগতি হয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েকটি জঙ্গি হামলার ঘটনার মামলায় অভিযোগ পত্র দেয়া হয়েছে। যেমন:

১. ৩০ জুন ২০১৬ তে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ- জেএমবি’র ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দিয়েছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বরে রংপুরের বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল আমিনকে হত্যার জন্য এই অভিযোগ আনা হয়। তারা জাপানী নাগরিক কুনিও হোসি এবং খাদেম রহমত আলীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

২. দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা রংপুরের কুনিয়া উপজেলাতে মাজারের খাদেম হত্যা মামলায় দায়ের করা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র ১৪ সদস্যের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে জুলাইয়ের ৩ তারিখে অভিযোগ পত্র দিয়েছে পুলিশ।

৩. রংপুরের দেবীগঞ্জে জগশ্বর রায়কে হত্যার ঘটনায় ১০ জুলাই ২০১৬ তারিখে জরিত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ পত্রে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন: জাহাঙ্গীর হোসাইন, মো: রমজান আলী, মো: হারেস আলী, খলিলুর রহমান, মো: রানা এবং মো: সাইফুল আলম। হত্যাকারীদের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবি, জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের লোক রয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন পুরোহিত হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

৪. ১০ জুলাই ২০১৬ তারিখে রংপুরের কাউনিয়ার পুলিশ ৮ জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে জাপানী নাগরিক হোসে কুনিও হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ৮ জন জঙ্গির মধ্যে ৩ জন ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে। উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে রংপুরে জাপানী নাগরিক হোসে কুনিও’কে হত্যা করে জঙ্গিরা।

জঙ্গিদের গ্রেফতার:
বাংলাদেশের আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী উগ্রবাদীদের ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এখানে কিছু উল্লেখযোগ্য অভিযানের খবর দেওয়া হলো:

•    ১০ জুন ২০১৬ তারিখে সপ্তাহব্যাপী জঙ্গিদের ধরতে অভিযানে ১৯৪ জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে ধরতে সক্ষম হয় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি, হিযবুত তাহরির, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, আনসার আল ইসলাম, হরকাতুল জিহাদ, আল্লাহর দলসহ বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের জঙ্গিরা। পুলিশের এই অভিযানের সময় অস্ত্র, গোলা-বারুদ এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়াই এমন কিছু জিহাদী বইও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

•    ৫ জুলাই ২০১৬ তারিখে টাঙ্গাইলের কালিহাতি থেকে পুলিশ জেএমবির তিন আত্মঘাতী নারী সদস্যকে গ্রেফতার করে। অভিযানের সময় পুলিশ জোকারচর লেবেল ক্রসিংয়ের কাছে একটি বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে জেএমবির ওই তিন নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ছুরি এবং মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইলে কিভাবে বোমা বানানোর কৌশল বিষয়ক ভিডিও ক্লিপও পাওয়া যায়। সেখানে ছুরি দিয়ে কিভাবে মানুষ খুন করতে হয় সেই ভিডিও পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। একই সঙ্গে সেই তিন মহিলার স্বামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার কারণে।

•    ১১ জুলাই ২০১৬ তারিখে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকা থেকে আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সন্দেহভাজন চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের অভিযানে তারা ধরা পরে। অভিযানের সময় চার জঙ্গিদের কাছ থেকে হাতে তৈরী বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই সেই চার জঙ্গির নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী।

•    ১২ জুলাই ২০১৬ তারিখে পুলিশ টাঙ্গাইল ও দিনাজপুর থেকে জঙ্গিবাদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে একজন জামায়াতের নারী নেত্রীসহ ৬ জন শিবির নেতাকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরীর সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক এবং জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়।

•    ১৩ জুলাই ২০১৬ তারিখে খুলনার কয়রা উপজেলাতে পুলিশ সন্দেহভাজন চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে একটি শর্টগান, তিন রাউন্ড গুলি এবং জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে।

•    ১৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে র্্যাব ঢাকার উত্তরা থেকে আনসার উল্লাহ্ বাংলা টিম এবং জেএমবির দুই নেতাকে আটক করে। তাদেও কাছ থেকে পিস্তল, গুলি এবং হাতে তৈরী বোমা উদ্ধার করে র্যাব।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারঃ
সাম্প্রতিক সময়ে গুলশান হামলা ও শোলাকিয়ায় হামলার পওে সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছে। নিয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কিছু পদক্ষেপ নিচে তুলে দেওয়া হলো:

•    আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী আমদানি কারক, রপ্তানি কারক এবং বিদেশীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে বলেছে সংশ্লিষ্টদের। গুলশানসহ ঢাকা শহরের আবাসিক এলাকা থেকে অতিসত্তর সকল প্রকার অনুমোদনহীন ও অবৈধ স্থাপনা, রেস্টুরেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হোটেল, গেস্ট হাউজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

•    সকল প্রকার কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন (কেপিআই), গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, রেলওয়ে স্টেশন, সারাদেশের রেল লাইন, বিমানবন্দর, পাবলিক প্লেস, বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল এবং সাধারণত যেসব জায়গাতে জনসমাগম ঘটে সেইসব জায়গাতে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছে।

•    নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর জোর দিয়ে সকল প্রকার অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। এখন থেকে কোন বিমান যাত্রীকে বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে একাধিক নিরাপত্তা বলয় পার হয়ে বিমানবন্দরের মূল প্রবেশ পথে ঢুকতে হবে। এই ব্যবস্থা অভ্যন্তরীণ ১২ টি এবং ৩ টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সবগুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। সব মিলে দেশের অভ্যন্তওে দেশী-বিদেশী মিলে ৩৮ টি কোম্পানীর বিমান চলাচল করছে।

•    ১১ জুলাই বাংলাদেশের সন্ত্রাস দমনের বিশেষায়িত বাহিনী র্যাব যেকোন সন্ত্রাসবাদ দমনে জনগণকে সম্প্রক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নিখোঁজ ব্যক্তি, খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক দ্রব্যেও ব্যবসা, অপহরণ বা যেকোন ধরনের অপরাধের কোন তথ্য যদি সাধারণ মানুষের কাছে থাকে তবে তা র্যাবকে জানানোর জন্য ‘রিপোর্ট টু র্যাব’ নামে একটি বিশেষ অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে র্যাব। এখন থেকে যে কেউ চাইলে তার কাছে থাকা জঙ্গিদের তথ্য র্যাবকে দিয়ে সন্ত্রাস দমনে সাহায্য করতে পারবে। এই অ্যাপে ছবি, ভিডিও পাঠিয়ে র্যাবকে সাহায্য করা যাবে। উল্লেখ্য, সাধারণ নাগরিক এবং তথ্যদাতার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সর্বোচ্চ পরিমাণে নিশ্চিত করা হবে বলে র্যাব এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। র্যাব অফিসিয়াল ওয়েব সাইট (www.rab.gov.bd) বা গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউন লোড করে নিতে পারবেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ১১ জুলাই রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ করে। সেখানে গুলশান হামলা ও পবিত্র ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গিহামলার প্রতিবাদে হাজার হাজার দলীয় নেতা-কর্মীর পাশাপাশি সকল গণতান্ত্রিক এবং প্রগদিশীল সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতৃবৃন্দ যেকোন মূল্যে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদকে উৎখাতের দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধেও মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে সবাই একমত পোষন করেন ওই সমাবেশে। বাংলাদেশ যেকোন ধরনের সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে জানে বলে জানানো হয় ওই সমাবেশে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল প্রতিটি জেলা-থানা গ্রাম পর্যায়ে সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি গঠনের ঘোষণা করে ১২ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। ওই কমিটিতে ডাক্তার, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, সুশীল সমাজের মানুষসহ সমাজের সব পর্যায়ের লোকদের নিয়ে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ বিরোধী একটি কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরীর ঘোষণা দেওয়া হয়। কমিটির কাজ হবে সমাজের মানুষকে জঙ্গিবাত বিরোধী জনসচেতনতা সৃষ্টি করার পাশাপাশি আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করা। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাতে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ, নৈরাজ্য এবং গুপ্ত হত্যার বিরুদ্ধে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ২৪ জুলাই থেকে।

প্রশাসনিক ব্যবস্থা:
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বেশ কিছু প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে। নিচে তার কয়েকটা তুলে ধরা হলো:
•    সরকার দেশব্যাপী সকল সরকারী প্রসিকিউটরদের নির্দেশ দিয়েছে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ বা স্পর্শকাতর মামলাগুলোতে খুব সতর্কতার সঙ্গে নিষ্পত্তির জন্য। তাদের জামিনের ব্যাপারেও যেন যথাযথ আইনী বিষয়গুলো দেখা হয় যাতে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে তারা জামিন পেয়ে পরবর্তীতে কোন ধরনের নাশকতা করতে না পারে।

•    শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে কোন শিক্ষার্থী যদি উপযুক্ত কোন কারণ ছাড়া ১০ দিন অনুপস্থিত থাকে তবে তাদের তালিকা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। নিয়মিত বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মন্ত্রণালয় মিটিং করছে। কোন শিক্ষাঙ্গণ সন্ত্রাসের চারণ ভূমি হতে পারে না এইটা নিশ্চিত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

•    শুক্রবারে জু’মার নামাজের আগে ও পরে মসজিদে ইমামদের খুৎবা এখন থেকে সরকার পর্যবেক্ষণ করবে। সরকার ইমামদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে তারা যেন ইসলামের মূল বাণী শান্তি ও কল্যানের দিকটি মাথায় রেখে তাদেও বক্তব্য দেন একই সাথে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা ইসলাম সমর্থন করে না, যারা করছে তারা ভুল পথে পা দিয়েছে তাদেরকে ইসলামের আলোকে উগ্রবাদের পথ থেকে সরে আসার জন্য ইমামরা যেন বক্তব্য দেয় তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদেও প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।

•    ১৫ জুলাই দেশব্যাপী প্রায় ৩ লক্ষ মসজিদে ইমামরা জু’মা নামাজের আগে এবং পরে কুরআন এবং হাদিসের আলোকে সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে খুৎবা দিয়েছেন। খুৎবায় ইমামরা জঙ্গিবাদের ভয়াবহতা সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করেন। এর আগে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কুরআন ও হাসিদের আলোকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের বিপক্ষে খুৎবা প্রতিটি মসজিদে পাঠিয়ে দেয়। প্রতিটি মসজিদে খুৎবায় ইমামরা মা-বাবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাদের সন্তানদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য যাতে কোন সন্তান বিপথগামী না হয়।

•    সরকার ইতিমধ্যে একটি মনিটরিং সেল খুলেছে যেখানে অভিযোগ জানানো যাবে এবং সেই অনুযায়ী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য যা জঙ্গিবাদ উস্কে দেয় এমন ধরনের সব বক্তব্যকে নজরদারি করা হচ্ছে। এই নীতি অনুযায়ী সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া দুই জঙ্গি পিস টিভির বির্তকিত বক্তব্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়ার পর ওই ধরনের সব বক্তব্যকে বাতিল করা হয়েছে।

•    বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশেষ প্রয়োজনে যেকোন জায়গাতে এক মিনিটের মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মত সক্ষমতা বাড়ানোর। কোন জায়গায় যদি জঙ্গি হামলা হয় তবে সেই এলাকায় তাৎক্ষনিকভাবে মোবাইল সংযোগসহ ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেবে বিটিআরসি। বর্তমানে এই কাজ করতে ৩-৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়। সরকারও বিটিআরসির এই সক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।

•    সরকার ঘোষণা দিয়েছে তারা মাঠ পর্যায়ের অফিসার, সরকারী কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার, রুলাল ডেভলোপমেন্ট এবং সমবায়ীদেরকে পুরস্কৃত করবে যদি তারা জঙ্গিবাদের কোন তথ্য দিয়ে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য করে। সরকারের স্থানীয় পর্যায়ের নানা ধরনের অংশগুলোকে জঙ্গিবাদ বিরোধী কর্মকাণ্ডে কাজে লাগানোর কাজ শুরু করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান:

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পরে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি পুর্ন:ব্যক্ত করেছেন। ওই হামলার পরে তিনি বিভিন্ন সময় তাঁর বক্তব্যে সন্ত্রাসের শেকড় উপড়ে ফেলার কথা বলেছেন। গুলশান হামলার পরে জাতির উদ্দেশ্যে তিনি ভাষণ দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, রেডিওসহ সকল গণমাধ্যমে প্রচারিত সেই ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির সামনে তাঁর বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণের বিষয় তুলে ধরেছেন। প্রধানন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, যখন বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করেছে একটি আত্মনির্ভরশীল এবং আত্মমর্যদাশীল দেশ হিসেবে তখনই এই অগ্রযাত্রাকে বাঁধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী তাদের অপতৎপরতা শুরু করেছে। শন্তিপ্রিয় বাংলাদেশের মানুষের কাছে কখনো কোন জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদের মদদ দাতাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দিবে না বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন যারা এই উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদের পিছনে কলকাঠি নাড়ছেন তাঁরা সমাজের খুবই ক্ষুদ্র অংশ, তাই আমাদের এখন সম্মিলিতভাবে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। তিনি প্রতিটি জেলা, উপজেলায় সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার উপর জোড় দিয়েছেন। সমাজের সবাইকে নিয়েই এক সঙ্গে জঙ্গিবাদ মোকাবেলার ঘোষণা দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রতিটা মা-বাবার প্রতি সন্তানদেরকে সুশিক্ষা দেওয়ার আহবান জানান তাঁর ওই ভাষণে। সন্তানদেও প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে প্রতিটি মা-বাবাকে অনুরোধ জানান তিনি যাতে করে তারা জঙ্গিবাদের দিকে না পা বাড়ায়। যারা ইতিমধ্যে বিপথগামী হয়েছে তাদেরকে সেই পথ ছেড়ে সুপথে ফিরে আসার আহবান প্রধানমন্ত্রীর। জঙ্গিবাদের পথ ছেড়ে দিলেই ধর্মের মর্যদা রক্ষা হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি দ্বার্থ্যহীন ভাষায় জঙ্গিবাদের সকল শেকড় উপড়ে ফেলার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবো। বাংলাদেশকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্রই বাংলাদেশের অগ্রগতিকে রুখতে পারবে না। সকল বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদের মোকাবেলা করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবার প্রতি আহ্বান জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা:

ঢাকা এবং শোলাকিয়ায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসকদেরকে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তার নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে;

•    জনগণ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। তারা সরকারের প্রতি জঙ্গিবাদ নির্মূলের জন্য সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সরকার ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এক হলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব।

•    জনগণের ক্ষমতাই সর্বোচ্চ ক্ষমতা। তাই সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয় তবে সন্ত্রাসীদের জায়গা হবে না এই দেশে।

•    সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে হবে; পালন করতে হবে অগ্রনী ভূমিকা। বিশেষ করে শিক্ষকদেরকে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে হবে এবং তাদের সজাগ দৃষ্টিই রুখতে পারে সমাজের যুব সমাজের অবক্ষয়ের হাত থেকে।

•    গ্রাম পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ প্রশাসনকে প্রতিনিয়ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে যদি তাঁর এলাকায় কোন রকম সন্দেহজনক কোন কিছুর খোঁজ পায় তারা ।

•    জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রচারণা এবং কমিউনিটি পুলিশিং জোর করা করা হবে।

•    বিপথগামী তরুণদেরকে মানসিক চিকিৎসা করা হবে, তারা যদি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে সে ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

•    আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য কোর কমিটি করা হবে প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে। তারা জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকাতে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে সব সময় এবং তা আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীকে জানাবে।

•    এই কমিটি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সকলকে নিয়ে কাজ করবে এবং জনগণের মধ্যে জঙ্গিবাদ বিরোধী জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।

•    জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণায় দেশের সকল মসজিদকে সম্পৃক্ত করা হবে।

•    সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণার কাজ করার ক্ষেত্রে ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতির আলোকের করতে হবে যাতে করে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার কোন ক্ষতি না হয়।

•    বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল বিদেশীদের সকল প্রকার নিরপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

•    মা-বাবা, অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরকে আরো বেশি করে সতর্ক হতে হবে তাদের সন্তান ও শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে। যাতে করে তারা কোন অপশক্তির টার্গেট হয়ে বিপথে পা না বাড়ায়।

•    বাংলাদেশে সকল ধর্মের ও মতের যে ঐতিহ্য চলে আসছে হাজার বছর ধরে তা রক্ষা করতে হবে। এই বৈচিত্রই বাংলাদেশের আসল সৌন্দর্য।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন:

সম্প্রতি মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলাবাটোরে ১১তম আসেম সম্মেলন শেষে দেশে ফিরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ১৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাস ভবন গণভবনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটা মন্তব্য করেন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে। সেই সংবাদ সম্মেলনের মূল বিষয়গুলো এ রকম:

•    জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ এখন আর কোন এক দেশের ব্যাপার নয়। সমগ্র বিশ্বই সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহতা সম্পর্কে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে এই জঙ্গিবাদ ইস্যু নতুন করে ভাবাচ্ছে সব দেশকে। বিশ্বের সব দেশই ইতিমধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।

•    বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে একটি স্বাভাবিক ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা হয়েছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। যারা এই জঙ্গিবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতা এবং মদদ দাতা তারা ছাড়া সবাই এই দানবকে রুখতে একজোট হয়েছে। যুদ্ধাপরাী এবং অতীতে যারা অগ্নি সংস্ত্রাস করেছে তারা ছাড়া সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাই সচ্চার ভূমিকা পালন করছে।

•    আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের উপর জোর দিয়েছে যাতে করে বের হয়ে আসে কারা আছে এইসব জঙ্গিবাদের পেছনে। কারা তাদের অর্থ দিচ্ছে, কারা তাদের অস্ত্র দিচ্ছে কারাই বা তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ধর্মের নামে সাধারণ নিরাপরাধ মানুষ মারার জন্য।

•    বাংলাদেশ আইনের শাসন এবং শান্তিপূর্ণ অবস্তানের কারণে সারা বিশ্বে স্বীকৃত। বাংলাদেশ সব সময়ই প্রস্তত রয়েছে বিশ্বের যেকোন বন্ধুপ্রতিম দেশেই সন্ত্রাসী হামলা হোক না কেন সেখানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।

•    জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সকল প্রকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাদের জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে।

তথ্যসূত্র: albd.org (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া)


Share:

উপকূলীয় এলাকায় আরও ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক:
উপকূলীয় এলাকায় আরও ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সিডর ২০০৭ সাল পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মূল্যায়নে গঠিত উপকূলীয় এলাকায় আরও দুই হাজার ৯৭টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে।

যার মধ্যে এক হাজার ৭২টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা কমিশন নির্দেশ দিয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে আরও ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৮৮ কোটি টাকা।
জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ মেয়াদে এগুলো নির্মাণ করা হবে।  

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের সময় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ আশ্রয়, গবাদিপশু এবং গৃহস্থালীর মূল্যবান সম্পদ দুর্যোগের ক্ষতি থেকে রক্ষায় এ উদ্যোগ। দুর্যোগ পরবর্তী এবং স্বাভাবিক সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা ও অন্যান্য জনহিতকর কার্যক্রম সম্পন্ন করা, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণকালীন সময়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাময়িক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

সরকারে অর্থায়নে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১৬টি জেলার ৮৬টি উপকূলীয় উপজেলায় ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি-২) মোহসীন  বলেন, আমাদের দেশে বার বার নানা ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে হলে আমাদের পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানো আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আশ্রয়কেন্দ্র আরও বেশি নির্মাণ করলে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমে যাবে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা প্রায় পাঁচ হাজার। সেই কৌটা পূরণের লক্ষ্যেই আমরা আরও ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছি। আশা করছি যথাযথ সময়ে পাঁচ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবো।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিটা আশ্রয়কেন্দ্র  তিন তলা বিশিষ্ট মোট আয়তন ৭৩৯ দশমিক ৫০ বর্গমিটার। দুর্যোগ কবলিত এলাকায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এ সব আশ্রয়কেন্দ্র দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একইভাবে দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Share:

Tuesday, September 20, 2016

কুতুবদিয়ায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহি ট্রলার উদ্ধার


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার আকবর বলী ঘাটের কাছে ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহি ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ নিখোঁজ বা হতাহত হয়নি।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের আকবর বলী ঘাটে ট্রলারটি ডুবে গিয়েছিল।বিকেল ৪টার দিকে ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়।

কুতুবদিয়া থানার ওসি অংসা থোয়াই বাংলানিউজকে জানান, কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং এলাকার আবুল কালাম কালুর মালিকাধীন এমএল উপহার নামের ট্রলারটি যাত্রী এবং মালামাল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সকালে রওনা দিয়েছিল। উত্তর ধুরুংয়ের একটি ঘাটে কিছু যাত্রী নামিয়ে দিয়ে আকবর বলী ঘটে যাওয়ার সময় এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় ৫০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের দেয়া তথ্যমতে ওখানে আর কোন যাত্রী নেই। ফলে কেউ নিখোঁজও ছিল না।

কোস্টগার্ডের কুতুবদিয়া স্টেশনের ইনচার্জ সুচিং অং বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ট্রলারটির উদ্ধার কাজ শুরু হয়। যা বিকেল ৪টার দিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।


Share:

কোরআন মুখস্থ করলেই জেল থেকে মুক্তি


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক:
আলজেরিয়ার কারা অধিদপ্তর ঘোষণা করেছে, জেলখানায় যে সব বন্দি কোরআনে কারিম হেফজ (মুখস্থ) করবে, তাদেরকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।

আলজেরিয়ার কারা অধিদপ্তরের প্রধান মুখতার ফালিউন জেলখানার বন্দিদের কোরআন হেফজের প্রতি উৎসাহিত করতে এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, যে সব বন্দি পবিত্র কোরআন হেফজ করবে, তাদেরকে জেল থেকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষে মুক্তি দেওয়া হবে।

‘কারা বন্দিদের ধর্মীয় নির্দেশনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ ঘোষণা দেন। ঘোষণায় তিনি বলেন, কারা বন্দিদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আলজেরিয়ার সংবিধানেও এ বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

সেমিনারে আলজেরিয়ার ধর্ম ও বিচার মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে তিনি জানান, ইতোমধ্যেই কারাবন্দীদের ধর্মীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৪২২ জন ধর্ম প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বন্দিরা তাদের কাছে ধর্মীয় নানা বিধানসহ কোরআন শেখার সুযোগ পাবেন।


Share:

২৫ লাখ মোবাইল ফেরত নিয়ে নতুন মোবাইল দিবে স্যামস্যাং

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কমনিউজ ডেস্ক: কারিগরী ত্রুটির কারণে বিশ্বের বেশ কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরিত হওয়ার ঘটনার পর গ্যালাক্সি নোট হ্যান্ডসেটগুলো ফেরত নিতে শুরু করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

বিশ্বে ২৫ লাখ গ্যালাক্সি নোট-৭ বিক্রি করেছিলো কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি। ফেরত দেয়া ফোনের বদলে গ্যালাক্সি এস-৭ কিংবা এস-৭ এজ দেয়া হবে।

মাত্র একমাস আগেই নতুন এই ফোনটি বাজারে নিয়ে আসে স্যামসাং।

চার্জে লাগানো অবস্থায় হ্যান্ডসেটটিতে আগুন লাগতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এক বিবৃতিতে স্যামসাং জানায়, এই মডেলের ফোনে ব্যবহৃত ব্যাটারিতে সমস্যা থাকার কারণে চার্জিংয়ের সময় ফোনে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা দেখা গেছে। যারা এই ফোনটি কিনেছেন, তাদের এটি বদলে নতুন ফোন দেয়া হবে। এ ছাড়া ভোগান্তির জন্য ২৫ ডলারের গিফট কার্ড পাবেন ব্যবহারকারীরা।

তবে স্যামসাংয়ের দাবি চীনে বিক্রিত ফোনগুলো ঠিক আছে কারণ সেখানে অন্য ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যে ইতোমধ্যে ফোন বদলে দেয়া শুরু হলে হয়েছে।



Share:

শিশুর দূর্ব্যবহার বন্ধ করতে ১টি মাত্র অভ্যাস করান

ছবি: bestpickr.com
প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক:
আজকের দিনে একটি শিশুকে মনের মত করে গড়ে তোলা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০/৩০ বছর আগেও বিষয়টি এত জটিল ছিল না। কিন্তু এখন প্রতিযোগিতা আমাদের শিশুদের পরিণত করে যন্ত্রে, প্রযুক্তি বাড়ায় মানসিক দূরত্ব। ফলাফলে শিশুদের মাঝে সেই শ্রদ্ধাবোধ, ভক্তি গড়ে ওঠে না। বড় হতে হতে তারা কেমন যেন আত্মকেন্দ্রিক মানুষে পরিণত হয়।

শিশুর আচরণগত সমস্যা, বেয়াদবি, অশ্রদ্ধা এগুলো বদলে ফেলতে পারি আমরা বাবা-মায়েরাই। কিভাবে? গবেষণা বলছে মাত্র ১টি অভ্যাস বদলে দিতে পারে আপনার শিশুকে। শিশুর শিষ্ঠাচারকে সঠিক ধারায় নিয়ে আসতে প্রতিদিন পুরো পরিবার একসাথে রাতের খাবার গ্রহণ করুন। হ্যাঁ, মাত্র এই একটি অভ্যাসের চর্চা করুন। আপনি ভাবছেন, এটা কীভাবে সম্ভব? শিশুর ব্যবহার, আচার-আচরণের সাথে এর কী সম্পর্ক? জেনে নিন কিভাবে এই অভ্যাসটি কার্যকর হতে পারে আপনার শিশুর জন্য-
 
সাধারণ খাবার তৈরি করুন

খাবার কতটা চমকপ্রদ হল সেদিকে কম খেয়াল করুন। বরং খেয়াল করুন শিশুর দিকে। সাধারণ খাবার রান্না করুন। খাবার টেবিলে সবাই সেই খাবার ভাগ করে খান। এটা শিশুর মাঝে একাত্মতা তৈরি করবে। লোভনীয় খাবারের পরিবর্তে শুরু থেকেই তার মাঝে স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আগ্রহ গড়ে তুলুন।

ডাইনিং টেবিলে কোন ইলেক্ট্রনিক পণ্য নয়
রাতের এই খাবার সময়টুকু শুধু এবং শুধু নিজের পরিবারের জন্য বরাদ্দ করুন। খাবার টেবিলে কোন মোবাইল বা ল্যাপটপ নিয়ে বসবেন না। অনেকেই কাজ আছে বলে খেতে খেতেই কাজ করতে থাকেন। এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। একই সাথে আপনি যেখানে শিশুকে নিয়মের আওতায় আনতে চান আবার নিজেই নিয়ম মানেন না তখন তা শিশুর মাঝেও বিরোধিতা তৈরি করে।

সবাই হাতে হাতে কাজ করুন
শুধু খাবার তৈরি করবে আর কাজের লোক টেবিলে পৌঁছে দেবে এই নিয়ম থেকে বেরিয়ে আসুন। সবাই মিলে করুন প্রতিটি কাজ। নিজেদের মাঝে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলুন। শিশু যখন পুরো পরিবারকে একটি টিমের মত কাজ করতে দেখবে তখন সেও এই টিমের একজন হিসেবে কাজে সাহায্য করবে। এতে বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।

গল্প করুন
সারাদিন কে কি করলেন, কোথায় গেলেন এসব গল্প করতে করতে খাবার গ্রহণ করুন। শিশুকেও উৎসাহিত করুন নিজের সারাদিনের কাজকর্মের কথা বলতে। জবাবদিহি নয়, গল্পের ছলে জেনে নিন তার সব খবর। সবাই যখন নিজের কথা বলছে তখন সেও বলতে আপত্তি করবে না। এভাবে একটা বন্ধুত্বের পরিবেশ গড়ে উঠবে আপনার পরিবারে। পরিবার নিয়ে শিশুর মাঝে তৈরি হবে গর্ব।

কোন পরিবারই একদম পারফেক্ট নয়। তবে সব পরিবারই একটা অনন্য ভালবাসার বন্ধনে জড়িয়ে রাখে সন্তানদের। ছোট ছোট ভুলে তৈরি হওয়া বিচ্ছিন্নতাগুলো মুছে দিন যত্নে। সময় কাটান একসাথে। আর এজন্য রাতের খাবারের সময়ের চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে?

তথ্য: সংগৃহীত

Share:

Sunday, September 18, 2016

বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নেবে রাশিয়া

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক:
রাশিয়ার অর্থনীতির বড় অংশই প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল। আয় বাড়াতে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরতা কমিয়ে শিল্পায়নের দিকে ঝুঁকছে দেশটি। অবকাঠামো উন্নয়নে ২০২০ সালের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া সরকার।

কিন্তু সে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মত পর্যাপ্ত শ্রমিক নেই রাশিয়ায়। বাড়তি চাহিদা পূরণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নেবে দেশটি। এ শ্রমবাজার ধরার প্রাথমিক প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামছুন নাহার এ প্রসঙ্গে বলেন-
‘আমরা প্রাথমিকভাবে রাশিয়ায় শিল্পখাতের জন্য ২০০ কর্মীর চাহিদা পেয়েছি। তাদেরকে আগামী মাসে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’

রাশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে আগ্রহী জনশক্তি রপ্তানীকারকদের সংগঠন ‘বায়রা’ও। বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমেদ রাশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য ভালো সম্ভাবনা দেখছেন।

‘রাশিয়ায় শ্রমিক চাহিদা অনেক বেশি। আমরা যেমন মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া এবং ইতালীতে দক্ষতা দেখিয়ে সুনাম অর্জন করেছি, সেভাবে রাশিয়ায় আমাদের দক্ষতা দেখাতে পারলে বড় একটি শ্রমবাজার হাতে পাবো আমরা।’

অক্টোবরে বাংলাদেশী কর্মীদের প্রথম যে দল রাশিয়ায় যাবে বলে আশা করছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সে দলটি তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে, রাশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারিত হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

তথ্য: সংগৃহীত

Share:

লাকসামে মাইক্রোবাস খাদে পড়ে নিহত ৫


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক:
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার চিলনিয়া এলাকায় মাইক্রোবাস খাদে পড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো একজন।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে তিনটি শিশু, একজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন। হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা একই পরিবারের সদস্য হতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

লালমাই হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট ইব্রাহিম খলিল এ তথ্য জানিয়েছেন।

তথ্য: সংগৃহীত
Share:

আফগানিস্তান-ইনল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন তাসকিন-সানি!

 প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

স্পোর্টস ডেস্ক:
১৪ দিনের মধ্যেই তাসিকন আহেমদ ও আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশনের রেজাল্ট আসার কথা। নির্বাচকরা আশা করছে তাসকিন-সানির ইতিবাচক ফলাফলই আসবে। সেজন্য তাদের দলে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস শনিবার মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেছেন। 

তিনি বলেন, আফগানদের বিপক্ষে সবগুলো ম্যাচই দিবা-রাত্রির হবে। দুপুর আড়াইটা থেকে ম্যাচ শুরু হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবার কঠিনই হবে। ভালোভাবে চেকিং হবে। তাছাড়া স্টেডিয়ামের প্যারামিটারে ফিজিক্যাল চেকটা করা হবে।’

উল্লেখ্য, আগামী বুধবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছে আফগানিস্তান। শুক্রবার একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আফগানরা। এরপর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। একই ভেন্যুতে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে শেষ দুটি ম্যাচ।

তথ্য: সংগৃহীত
Share:

Saturday, September 17, 2016

ওষুধ ছাড়াই প্রেসার স্বাভাবিক রাখার কয়েকটি ট্রিপস

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
ক্রমেই বদলাচ্ছে জীবনযাপনের ধরন। আর সেই বদলির বাড়তি পাওনা ঘরে ঘরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। বাড়তি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাইফস্টাইল মডিফিকেশন না করে বেশিরভাগ মানুষই দারস্থ হন ওষুধের। 


ক্রমেই বদলাচ্ছে জীবনযাপনের ধরন। আর সেই বদলির বাড়তি পাওনা ঘরে ঘরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। বাড়তি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাইফস্টাইল মডিফিকেশন না করে বেশিরভাগ মানুষই দারস্থ হন ওষুধের কিন্তু জানেন কি কয়েকটি সহজলভ্য খাবারেই আপনি হার মানাতে পারেন রক্তচাপের চোখ রাঙানিকে?

নারকেলের পানি –
গবেষণায় দেখা গিয়েছে ডাব বা নারকেলের পানি রক্তচাপ কমাতে পারে ১২ পয়েন্ট পর্যন্ত। ২০ আউন্স নারকেলের জলে ১৫০০ মিলিগ্রাম পট্যাশিয়াম আছে। এই খনিজ মানুষের স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
 
তিলের তেল –
এই তেলে স্বাস্থ্যকর পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। আর রয়েছে সিসামিন কম্পাউন্ড। ব্লাড ভেসেলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এই তেল। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ। রান্নায় ব্যবহার করার পাশাপাশি স্যালাড ড্রেসিং হিসেবেও ব্যাবহার করতে পারেন তিলের তেল।
 
দারচিনি –
যাঁদের হাইপারটেনশনের সমস্যা আছে তাঁরা যদি নিয়মিত আধ চা-চামচ দারচিনিগুঁড়ো খেতে পারেন, তাহলে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে অবাধ্য রক্তচাপকে।
 
চা খান ইচ্ছেমতো –
গ্রিন টি-র মাহাত্ম্য নিয়ে সবাই সরব হলেও, ব্ল্যাক টিও কিন্তু একইভাবে উপকারী। এতে আর্টারি রিল্যাক্সিং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
 
সবুজের সংস্পর্শে থাকুন –
প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক তো কবেই হারিয়ে গেছে। কিন্তু হৃদয়কে বাঁচাতে আর রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবুজ প্রকৃতির জুড়ি মেলা ভার। সবুজের সু-প্রভাব আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখে, স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের প্রভাব কম পড়ে শরীরে। তাই চেষ্টা করুন, সামান্য হলেও কিছুটা সময় প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটাতে।
 
সোজা হয়ে বসুন –
শিড়দাঁড়া সোজা করে বসার চেষ্টা করুন সব সময়। ঘাড়ের কাছে এমন কিছু স্পর্শকাতর স্নায়ু আছে যা মস্তিষ্কে শান্তির বার্তা পাঠায়। কুঁজো হয়ে বা বেঁকে বসলে এই সব স্নায়ুর স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়।
 
আলু রাখুন খাবারে –
হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। আলু রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাবারে সিদ্ধ বা বেকড আলু রাখুন। এতে রয়েছে পট্যাশিয়াম, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং ট্রাইপটোফান। রক্ত ধমনীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে আলু। ।
 
জোরে শ্বাস নিন –
ধীরে ধীরে গভীর নিঃশ্বাস নিন। প্রতিমিনিটে ১০টি গভীর শ্বাস নিন। এতে স্ট্রেস দূর হয়। ফলে হৃদয়ের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে না, আর রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

Share:

বিয়েতে লাল শাড়ি ব্যবহার করা হয় কেন? জেনে নিন রহস্য


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রাচীনকাল থেকেই বিয়েতে লাল শাড়ির ব্যবহার চলছে৷ আধুনিক বিজ্ঞান মতে, রঙ মানুষের মনকে প্রভাবিত করতে পারে৷ যেমন কোনও হাল্কা বা সাদা রঙ মনকে শান্ত ও স্নিগ্ধ করে তোলে৷ ঠিক তেমনই কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ প্রেমিক প্রেমিকার মনকে রাঙিয়ে তুলতে সক্ষম৷ আবার কালো রঙ নির্বাক শোক ও প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেই ধরা হয়৷ 

সেক্ষেত্রে বিয়ের দিনে লাল বেনারসী পরিহিতা নববধূকে দেখে যেমন মোহময়ী লাগে তেমনই বরের চোখও ঘনিয়ে আসে ভালবাসার নেশায়৷ তখনই বুকের মধ্য জ্বলে ওঠে প্রেমের আগুন এবং উথলে ওঠে আবেগ৷ অর্থাৎ লাল রঙ যেন মানুষের কামনা-বাসনা, ভালবাসার মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠে৷ ওই রঙ যেন যৌবনের দূত৷

তথ্য: সংগৃহীত
Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন