Sunday, May 29, 2016

২৫৬ বছরে ২৩ টা বিয়ে!

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা:
২০০ বছরেরও বেশি বেঁচেছিলেন চীনের বাসিন্দা লি চিং ইউয়েন। ১৬৭৭ সালে তার জন্ম। ১৯৩৩ সালে ২৫৬ বছর বয়সে মারা যান তিনি। এই দীর্ঘ জীবনে তিনি ২৩টি বিয়ে করেন। তার সন্তানের সংখ্যা ১৮০ জন।

কীভাবে এতবছর বেঁচেছিলেন লি? দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার মন্ত্র সম্পর্কে লি বলেছিলেন, ‘হৃদয় শান্ত রাখো, বসো কচ্ছপের মতো, কবুতরের মতো হাসিখুশিভাবে চলাফেরা করো এবং ঘুমাও কুকুরের মতো।’

চীনের সিচুয়ান প্রদেশের কুইজিয়াং জিয়ান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন লি চিং ইউয়েন। তার হৃদস্পন্দন ছিল অত্যন্ত ধীরগতির। তিনি শিল্প ও গাছপালা নিয়ে দিন কাটাতেন। একাধারে হারবালিস্ট, মার্শাল আর্টের শিক্ষক এবং যুদ্ধকৌশলী ছিলেন লি।

লি চিং দাবি করেছিলেন, তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৭৩৬ সালে। কিন্তু কাগজপত্রে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ ছিল ১৬৭৭ সাল। ১৬৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করলে তার বয়স দাঁড়ায় ২৫৬ বছর এবং ১৭৩৬ সালে হলে বয়স ১৯৭ বছর। তবে তিনি যখনই জন্মগ্রহণ করুন না কেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকা ব্যক্তি কিন্তু তিনিই। এতদিন কোনো ব্যক্তিরই বেঁচে থাকার রেকর্ড নেই।

ধারণা করা হয়, তার দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকার কারণ ছিল খাদ্যাভ্যাস। তিনি প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি, রাইস ওয়াইন এবং নানারকম বনজ ফলমূল খেতেন। এ ছাড়া তিনি মার্শাল আর্টের নানা কৌশল রপ্ত করায় শরীরের গঠন ঠিক ছিল তার। নিয়মিত সেগুলো চর্চা করতেন তিনি। তার বয়স যখন ৭১ বছর, তখন তিনি মার্শাল আর্টের শিক্ষক হিসেবে চীনের আর্মিতে যোগদান করেন।

‘টাইম’ ম্যাগাজিন ১৯৩০ সালে একটি লেখা ছাপায়। সেখানে লি চিং-ইউয়েনের জীবনযাপন এবং এত দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার বর্ণনা প্রকাশিত হয়েছিল

তথ্যসূত্র: নতুনসময়.কম



সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
Share:

স্ত্রীকে দাফনের সময় স্ত্রীর ফোন!

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা: স্
ত্রীর লাশ ভেবে এক নারীকে দাফন করার সময় হঠাৎ আসল স্ত্রীর ফোন আসে মুঠোফোনে। আর তখনই বন্ধ হয়ে যায় ওই নারীর দাফন কাজ এবং ফিরিয়ে দেয়া হয় হাসপাতাল মর্গে।
ছবি প্রতিকি
শুক্রবার (২৭ মে) রাতে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কাটাশকোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কাটাশকোল গ্রামের নজরুল ইসলাম নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে তার স্ত্রীর লাশ ভেবে এক নারীর লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেই লাশ ঘিরে আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা আহাজারি করছিলেন। লাশ দাফনের জন্য কবর খনন করা হয়। এমন সময় নজরুলের মুঠোফোনে ফোন আসে তার স্ত্রীর কাছ থেকে।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনা বেগম বলেন, গত বুধবার বাগাতিপাড়া উপজেলার বিলগোপালহাটি এলাকা থেকে মস্তকবিহীন এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটির কোনো ওয়ারিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার নজরুল দাবি করেন, লাশটি তার স্ত্রী আশরাফুন বেগমের। তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে শুক্রবার বিকেলে তাকে লাশ দিলে তিনি লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন। রাতে দাফনের জন্য কবরও খোঁড়া হয়।

হেলেনা বেগম বলেন, আশরাফুনের মেয়ে তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে রাতেই ঢাকা থেকে নাটোরের উদ্দেশে রওনা দেন। বাসে আসার পথে হঠাৎ মা আশরাফুনের ফোন পান মেয়ে। মেয়ের কাছে বিস্তারিত জেনে আশরাফুন তার স্বামী ও স্বজনদের কাছে ফোন করেন। পরে সবাই নিশ্চিত হন ওই মস্তকবিহীন লাশটি আশরাফুনের নয়। পরে শনিবার সকালে আশরাফুন বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর লাশটি পুনরায় নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নজরুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রী আশরাফুন বেগম পাঁচ দিন আগে তার সঙ্গে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, মস্তকবিহীন লাশটি দাফনের জন্য আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: নতুনসময়.কম


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
Share:

Saturday, May 28, 2016

পর্ন তারকা সানি লিয়ন এখন লেখক

ক্যামেরার সামনে সানি লিয়ন। ছবি: এএফপি
প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা:
সাবেক পর্নস্টার ও বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওন এখন লেখালেখিতেও মন দিচ্ছেন।  তবে তিনি লিখছেন যৌন কামনা নিয়ে রসালো কেচ্ছা। দিল্লির এক প্রকাশনা সংস্থা জাগারনাট গত মাসে সানি লিওনের একটি বই প্রকাশ করেছে।

সুইট ড্রিমস্ নামে এই বইটিতে সানি লিওন যৌন কামনা নিয়ে ১২টি গল্প লিখেছেন।  তবে এই গল্পগুচ্ছ বই আকারে বের হয়নি।

এগুলো প্রকাশ করা হয়েছে এমনভাবে যেন পাঠকরা মোবাইল ফোনেই গল্পগুলো পড়তে পারেন।

কী থাকছে সানি লিওনের লেখায়?

সুইট ড্রিম ম্যাগাজিনের প্রচ্চদ
একটি গল্প লেখা হয়েছে নিউ ইয়র্কের পটভূমিতে। একজন ভারতীয় আইটি এক্সপার্ট কিভাবে স্ট্রিপ ক্লাবের একজন নর্তকীর সাথে সেক্স করেন সেই গল্প বলা হয়েছে।

আরেকটি গল্পে দেখানো হয়েছে সাদাসিধে এক ভারতীয় নারীকে যিনি তার মৃত স্বামীর ভূতের সাথে সহবাস করেন।

সানি লিওনের প্রকৃত নাম কারানজিৎ কর।

তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, "লস অ্যাঞ্জেলসে আমার বাড়ি কিংবা মুম্বাইয়ে ফিল্মের সেট -- যখনই সুযোগ পেয়েছি, তখনই বসে ল্যাপটপে এসব গল্প লিখেছি। প্রথম খসড়া তৈরি করতে সময় লেগেছে চার মাস।``

ক্যানাডায় পাঞ্জাবি শিখ পরিবারে বড় হওয়া সানি লিওন স্বীকার করেন যে ছোটবেলায় তিনি কোন গল্পে বই পড়েননি।

তার ঝোঁক ছিল খেলাধুলা আর ফটোগ্রাফির দিকে।

ভারতের প্রকাশনা শিল্পের সাথে যারা জড়িত তারা বলছেন, সানি লিওনের যৌন-গল্পের প্রকাশনার সময়টি সঠিক।

কারণ এধরনের গল্পের বাজার ভারতে ক্রমশই বিস্তার লাভ করছে।

এর পাশাপাশি তার নিজের ফ্যান বেজও খুবই বড়।

ফেসবুক, টুইটার এবং ইন্সটাগ্রাম মিলিয়ে তার মোট অনুসারীর সংখ্যা দুই কোটি ২০ লক্ষ।

এরা সবাই যে একজন গল্পকার হিসেবে সানি লিওনের স্বাদ পেতে চাইবেন এতে কোন সন্দেহ নেই বলে তারা বলছেন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

এই প্রতিবেদনটি শেয়ার করুন

Share:

Thursday, May 26, 2016

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স
 
ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সৃষ্ট সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৩) আওতায় শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের এই নিয়োগ দেওয়া হবে।

তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ছাড়া বাকি ৬১ জেলা থেকে ৩ হাজার ৪৪০টি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) অধিদফতরটির মহাপরিচালক মো. আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলে এ তথ্য জানা যায়।

আগামী ৩০ মে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ৩০ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ওয়েবসাইট (http://dpe.teletalk.com.bd) বা  (www.dpe.gov.bd) লগইন করে আবেদন করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীকে পরীক্ষার ফি বাবদ সার্ভিস চার্জসহ ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হবে।

পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য http://www.mopme.gov.bd ও http://www.dpe.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে পাওয়া যাবে।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

অল্প সময়ে মোবাইল চার্জ দেওয়ার পদ্ধতি

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা:
এই প্রশ্ন নিশ্চয়ই আপনাকে কখনো না কখনো পীড়িত করেছে। আপনার কি মোবাইলে চার্জ কমে এসেছে? এদিকে বেশিক্ষণ মোবাইলটিকে চার্জারে বসিয়ে রাখাও হয়তো সম্ভব নয়। তখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগে, কোনো উপায়ে কি খুব তাড়াতাড়ি মোবাইলে চার্জ দেওয়া কি সম্ভব? আসুন, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক।



অনেকেই বলেন, মোবাইলটি এয়ারপ্লেন মোডে বা ফ্লাইট মোডে রেখে চার্জ দিলে নাকি দ্রুত চার্জ হয়ে যায়। কারণ আপনার মোবাইল যখন এয়ারপ্লেন মোডে থাকে তখন আপনার ফোন যাবতীয় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির আওতার বাইরে থাকে।

কিন্তু এই ধারণা কতটুকু সত্যি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লাইট মোডে থাকলে ফোন থেকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ঠিকই কিন্তু তাতে ফোনের চার্জিং-এ কোনো প্রভাব পড়ে না বললেই চলে। দেখা গেছে, স্বাভাবিক অবস্থায় একটি মোবাইল চার্জ দিতে যতটা সময় লাগে, ফ্লাইট মোডে ফোনটিকে রেখে চার্জ দিলে তার চেয়ে মাত্র চার মিনিট সময় কম লাগে। কাজেই দ্রুত চার্জিংয়ের এই উপায়টির কোনো কার্যকারিতা নেই।

তাহলে কীভাবে দ্রুত চার্জ দেবেন ফোনে? রইল কয়েকটি পরামর্শ—

১) বাজারে ফাস্ট চার্জার বলে এক ধরনের চার্জার পাওয়া যায়। এগুলোর পাওয়ার আউটপুট বেশি হওয়ার কারণে এগুলোর মাধ্যমে ফোনে তাড়াতাড়ি চার্জ হয়। চার্জিং-এর সময় এই ধরনের একটি চার্জার ব্যবহার করুন।

২) ফোনটিকে ব্যাটারি সেভিং মোডে রেখে চার্জ দিন।

৩) অপ্রয়োজনীয় ফিচারগুলো (যেমন ওয়াই ফাই বা ব্লু টুথ) চার্জিংয়ের সময় বন্ধ রাখুন।

৪) চেষ্টা করুন চার্জিংয়ের সময় মোবাইল ব্যবহার না করতে। মনে রাখবেন, মোবাইলের স্ক্রিনটি যত বেশিক্ষণ অন থাকবে ফোনের ব্যাটারি খরচ তত বাড়বে। তাই কিছুক্ষণ বাদে বাদেই কারণে অকারণে ফোনের স্ক্রিনটি অন করলে চার্জিংয়ের সময়ও বৃদ্ধি পাবে।

তথ্যসূত্র: নতুনসময়.কম
Share:

পা দিয়ে স্ত্রীর গর্ভপাত

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম  ডেক্স

ঢাকা:
দাবিকৃত যৌতুকের টাকা পরিশোধ না করায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের বোরাদী গরঙ্গল গ্রামে এক অন্তঃসত্বা গৃহবধূর ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে তাকে মাটিতে ফেলে তলপেটে আঘাত করে এবং পা দিয়ে পাড়িয়ে গর্ভপাত ঘটায়।

নির্যাতনে গর্ভপাত ও অসুস্থ গৃহবধূর রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসা না দিয়ে তাকে ঘরের মধ্যে ৭ দিন আটকে রাখেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে স্থানীয়রা মূমূর্ষ গৃহবধূকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে বুধবার তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় স্বামী ও শ্বশুরকে আসামি করে গৌরনদী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

নির্যাতিত গৃহবধূ, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের মুলাদী উপজেলার রামারপোল গ্রামের মৃত সেকেন্দার হাওলাদারের মেয়ে সেলিনা বেগমের (২৫) সঙ্গে গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের বোরাদী গরঙ্গল গ্রামের মো. দুলাল খানের ছেলে আনোয়ার খানের (৩০) দেড় বছর পূর্বে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বামী আনোয়ার খানকে বিভিন্ন আসবাবপত্র ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল দিয়ে দেন।

গৃহবধূ সেলিনা বেগম জানান, বিয়ের ৮ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে স্বামী আনোয়ার খান বিদেশ যাওয়ার জন্য বাবার বাড়ি থেকে ৭০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করলে সে বাবার বাড়ি থেকে তা এনে দেন। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পরে গত নভেম্বর মাসে তার শ্বশুর দুলাল খান নতুন করে ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। টাকা আনতে অস্বীকার করলে শ্বশুর দুলাল খান তাকে বেদম মারধর করে। বিষয়টি ফোনে স্বামী আনোয়ার খানকে জানিয়ে বাড়িতে আসতে বললে স্বামী গত জানুয়ারি মাসে বাড়িতে ফিরে আসেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি বর্তমানে ৪ মাসের অন্তঃসত্বা। কিছুদিন আগে আমার স্বামী তার বাবার কু-পরামর্শে আমাকে বলেন, তুই যদি বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে না দিস তাহলে তোর গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দিব। আমি বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকার করলে স্বামী ও শ্বশুর মিলে আমাকে বিভিন্ন সময় লাঠিপেটা করে।

সেলিনার বড় বোন লিলি বেগম (৩০) জানান, বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা আনতে অস্বীকার করায় গত ১৭ মে স্বামী আনোয়ার খান ও শ্বশুর দুলাল খান সেলিনাকে বেদম মারধর করে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে তাকে মাটিতে ফেলে তলপেটে আঘাত করে এবং পা দিয়ে পাড়িয়ে গর্ভপাত ঘটায়। এতে সেলিনা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিনা চিকিৎসায় ৭ দিন ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।

নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সহিদ খান জানান, তিনি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়দের নিয়ে মঙ্গলবার রাতে সেলিনাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মীর মহিউদ্দিন বলেন, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া আঘাতজনিত কারণে রোগীর অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। যে কারণে বুধবার তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার খান ও শ্বশুর দুলাল গা ঢাকা দিয়েছেন।

এ ঘটনায় সেলিনা বেগম বাদী হয়ে স্বামী আনোয়ার খান ও শ্বশুর দুলাল খানকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে গৌরনদী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তথ্যসূত্র: নতুনসময়.কম
Share:

Wednesday, May 25, 2016

রণবীরকে চুমু খাবে না ঐশ্বরিয়া

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা:
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক করণ জোহর চেয়েছিলেন, ঐশ্বরিয়া ও রণবীরের মধ্যে একটা গাঢ় চুম্বন। তার ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে। রণবীর কাপুর রাজি। কিন্তু রাজি হলেন না ঐশ্বরিয়া। সাফ জানিয়ে দিলেন, মেয়ে বড় হচ্ছে। পর্দায় আর ওসব করতে পারবেন না।

করণের জোরাজুরিও কাজে আসেনি। অবশেষে চুমুর বদলে একটি দৃশ্যে আপাতত রণবীরের সঙ্গে একটি চকোলেট ভাগ করে খাবেন অ্যাশ। তাও শর্ত, সরাসরি কিছু দেখানো যাবে না। তাতেও বেশ হতাশ করণ। এই ছবিতে বয়সে বড় ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে রোমান্স করবেন রণবীর। অন্য চরিত্রে অনুষ্কা শর্মা এবং ফাওয়াদ খানও রয়েছেন।

তথ্যসূত্র: নতুনসময়.কম
Share:

এক ব্যক্তির ৬০ জন স্ত্রী!

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স
 
ঢাকা: ভারতের নাগাল্যান্ডের মন জেলার লংওয়া গ্রামে এক ব্যক্তির ৬০ জন স্ত্রী রয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ভারত-,মায়ানমার সীমান্তবর্তী লংওয়ার গ্রাম প্রধান মূলত কোনয়াক নামের আদিবাসী গোষ্ঠীর রাজা। ভারতের এই গ্রাম তো বটেই, সেইসঙ্গে মায়ানমারে ভেতরে থাকা সত্তরটি গ্রামও শাসন করেন তিনি। এই গ্রাম প্রধানের মোট ৬০জন স্ত্রী রয়েছেন এবং সব স্ত্রী-ই জীবিত।

খবলে বলা হয়, লংওয়া গ্রামের বাসিন্দা রান্না-বান্নার কাজ করেন মায়ানমারে আর রাতে এসে ঘুমান ভারতে। শুধু গ্রামের প্রধানই নন, এই গ্রামের বাসিন্দা বেশ কিছু পরিবারেরই রান্নাঘর মায়ানমারে এবং বাড়ির বাকি অংশ ভারতের লংওয়া গ্রামে।

গ্রামের একপাশে মায়ানমার, একপাশে ভারত। আর গ্রামের প্রধানের বাড়িটিও দুদেশে ছড়িয়ে রয়েছে।

লংওয়া নামের এই গ্রামটি রয়েছে নাগাল্যান্ডের মন জেলার ভারত-মায়ানমার সীমান্তে। সবথেকে মজার তথ্য হল, এই গ্রামটির প্রধানের কুঁড়ে ঘরের মধ্যে দিয়ে মায়ানমার সীমান্তে প্রবেশ করতে হয়। গ্রামের প্রধানকে এখানে ‘অংঘ’ বলে সম্বোধন করা হয়। তার বাড়ির রান্নাঘরটি রয়েছে মায়ানমারের মধ্যে আর শোয়ার ঘরটি ভারতের মধ্যে।


ভারত এবং মায়ানমারের মধ্যে থাকা একটি বিশেষ চুক্তির ফলে ১৬৪০ কিলোমিটার লম্বা ভারত-মায়ানমার সীমান্তে এই গ্রামের বাসিন্দা ভারতীয়রা মায়ানমারের ভেতরে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত এবং মায়ানমারের নাগরিকরা ভারতের ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়াই যাতায়াত করতে পারেন।

তাদের মধ্যে জিনিসপত্রও আদান প্রদান হয়। ভারতীয় মুদ্রার অনুপাতে মায়ানমারের মুদ্রার মূল্য অনেক কম হওয়ার কারণেই এখনো জিনিসপত্র আদান প্রদানের ব্যাপারটা এখানে বেশি জনপ্রিয়। অবশ্য বড়সড় কোনো সমস্যা হলেই মায়ানমার সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী ফ্ল্যাগ মিটিং করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেন।

তথ্যসূত্র: নতুনসময়.কম
Share:

Tuesday, May 24, 2016

৬ হাজার চালক নিয়োগ দেবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

প্রথম আলো  টোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা:
আর আউট সোর্সিং নয়, এবার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সরাসরি নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণীর গাড়ি চালকসহ ৬ হাজার ৫৫টি পদ সৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৪৯৯টি নতুন পদ।

এসব পদে নিয়োগের জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও পেয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। নিয়োগের জন্য অর্গানোগ্রাম প্রস্তুত করা হয়েছে।

নিয়মানুযায়ী নতুন যারা নিয়োগ পাবে তাদের চুক্তিভিত্তিক বা আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার কথা। তবে মন্ত্রণালয় চাইছে আর আউট সোসিং বা চুক্তিভিত্তিক নয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে কয়েক হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্পদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এমন উদ্যেগ নেওয়া হচ্ছে বলে সংসদীয় কমিটির কাছে অভিমত প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের চতুর্থ এবং তৃতীয় শ্রেণীর গাড়ি চালকের পদগুলো আউট সোসিংয়ের আওতা বহির্ভুত করার জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি নোট সার সংক্ষেপ পাঠিয়েছেন। এছাড়া অর্থমন্ত্রণালয় বরাবর একটি চাহিদা পত্র (ডিও) দেওয়া হয়েছে।

এখন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রণালয়ের অভিমত পেলেই নতুন ৫ হাজার ৪৯৯ টিসহ মোট ৬ হাজার ৫৫ জন গাড়ি চালক সরাসরি নিয়োগ দেবে মন্ত্রণালয়।

আউট সোসিং লোক নিয়ে গ্রামগঞ্জে পাউবো’র স্ট্রাকচারগুলোর নিরাপত্তা দেওয়া যাচ্ছে না বলে সংসদীয় কমিটি নোট দেয় মন্ত্রণালয়কে। এর ভিত্তিতেই আউট সোসিং বাদ দিয়ে সরাসরি নিয়োগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন জানান, গ্রামগঞ্জে পাউবো কর্তৃক নির্মিত স্ট্রাকচারগুলোর নিরাপত্তার জন্য নিডবেস সেটআপ খুবই দরকার এবং ওইগুলোর নিরাপত্তা আউট সোর্সিং জনবল দিয়ে যে সম্ভব নয়- সেটি প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে বুঝাতে হবে।

গত ১৯ মে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১৯তম বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটি বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সদস্য এ কে এম ফজলুল হক বাংলানিউজকে জানান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে অনেক জনবল দরকার। এই মুহুর্তে জনবল সংকটের হার অনেক। তাই মন্ত্রণালয় একটি অর্গানোগ্রাম তৈরি করেছে, এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে সেগুলো নিয়ে আগাবে মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, এতদিন চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণীতে বেশির ভাগই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হতো এর ফলে অনেককেই সময় মতো পাওয়া যেত না। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি বাড়াতে চুক্তিভিত্তিক পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে সরাসরি নিয়োগ দেওয়াটাই মনে হয় উত্তম হবে।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

Sunday, May 22, 2016

মুস্তাফিজের সাথে সাকিবের বাঁচা-মরার লড়াই আজ

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা:
প্লে-অফ নিশ্চিত করা সানরাইজার্স হায়দ্রবাদের লক্ষ্য শীর্ষ দুইয়ে থেকে সরাসরি কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলা। অন্যদিকে, প্লে-অফ নিশ্চিত করতে কলকাতার নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) জয়ের বিকল্প নেই। সাকিব-গম্ভীরদের জন্য এটি বাঁচা-মরার ম্যাচও বটে! এমনই পরিসংখ্যানে গ্রুপ স্টেজে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে হায়দ্রাবাদ-কলকাতা।


 
রোববার (২২ মে) ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে। একই দিনের অপর ম্যাচে রাত সাড়ে ৮টার ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে মাঠে নামবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা গুজরাট লায়ন্সের সংগ্রহ পূর্ণ ১৪ ম্যাচে ১৮। এক ম্যাচ কম খেলা সানরাইজার্স ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে। এখন পর্যন্ত এই দুই দলেরই প্লে-অফ নিশ্চিত। সমান ম্যাচে ১৪ পয়েন্টে তিনে বেঙ্গালুরু ও একই পয়েন্টে চারে কলকাতা। দিল্লি ও সবকটি ম্যাচ সম্পন্ন করা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পয়েন্টও সমান ১৪।

তবে নেট রাট রেটে সবার চেয়ে এগিয়ে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু। এ মুহূর্তে শীর্ষ ছয় দলের নেট রান রেট যথাক্রমে -০.৩৭৪, +০.৩৫৫, ০.৯৩০, +০.০২২, -০.১০২, -০.১৪৬।

মুস্তাফিজ-ওয়ার্নারদের সানজার্সের কাছে হেরে গেলেও কলকাতার প্লে-অফে উঠার সম্ভাবনাটা শেষ হয়ে যাবে না। সেক্ষেত্রে দিল্লির বিপক্ষে জিততে হবে বেঙ্গালুরুকে। এতে কলকাতা, দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মধ্যে যে দল রান রেটে এগিয়ে থাকবে তাদেরই শীর্ষ চার নিশ্চিত হবে। কিন্তু, দিল্লি জিতলে জিততে হবে কলকাতাকেও। অন্যথায়, নেট রান রেটের সুবিধায় বেঙ্গালু‍রুই এগিয়ে থাকবে।

টুর্নামেন্টে প্রথম দেখায় (১৬ এপ্রিল) নিজেদের মাঠেই কলকাতার কাছে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হার মানে সানরাইজার্স। অন্যদিকে, ঘরের মাঠে ১৯১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও কুইন্ট ডি ককের শতকে ভর করে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে সাত উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায় দিল্লি।

ইনজুরি আক্রান্ত আন্দ্রে রাসেল ফিট না থাকলে তার জায়গায় নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার কলিন মুনরো অথবা অস্ট্রেলিয়ান ‘বিগ হিটার’ ক্রিস লিন কলকাতার একাদশে থাকতে পারেন। অপরদিকে, অপরিবর্তিত দল নিয়ে মাঠে নামতে পারে হায়দ্রাবাদ।

সানরাইজার্সের সম্ভাব্য একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, যুবরাজ সিং, দিপক হুদা, ময়েজেস হেনরিকস, ইয়ন মরগান, নামান ওঝা (উইকেটরক্ষক), ভুবনেশ্বর কুমার, করন শর্মা, মুস্তাফিজুর রহমান, বারিন্দার স্রান।

কলকাতার সম্ভাব্য একাদশ: গৌতম গম্ভীর (অধিনায়ক), রবিন উথাপ্পা (উইকেটরক্ষক), মানিশ পান্ডে, সুরিয়াকুমার যাদব, সাকিব অাল হাসান, উইসুফ পাঠান, জেসন হোল্ডার/কলিন মুনরো/ক্রিস লিন, পিয়ুস চাওলা, মরনে মরকেল, সুনীল নারাইন, অঙ্কিত রাজপুত/উমেশ যাদব।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

Saturday, May 21, 2016

চট্টগ্রামে আঘাত হানলো ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা: চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু।  এর ফলে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।  চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ উপেজেলার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

শনিবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার কিছুক্ষণ পরে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে।  এসময় ঘূর্ণিঝড়ের একটানা গতিবেগ ছিল ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। 

একই গতিবেগে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু বর্তমানে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে উত্তর-পূর্বদিকে মায়ানমারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা আতিকুর রহমান।

এদিকে রোয়ানুর প্রভাবে চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে প্রচণ্ড বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে।  একইসঙ্গে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।

ঝড়ো হাওয়ায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সামনে তিনটি গাছ রাস্তার উপর ভেঙে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম নগরীর ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন।

জোয়ারের পানিতে নগরীর মধ্যম হালিশহর, পতেঙ্গার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর জেসমিনা খানম।

পতেঙ্গায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।

এদিকে বাঁশখালী, আনোয়ারা ও সন্দ্বীপ উপজেলায় প্রচণ্ড জোয়ারে বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে গেছে লোকালয়ে।  বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

দুপুরেই পরই আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ উপকূলের দিকে আরো এগিয়েছে। এটি শনিবার দুপুর নাগাদ বরিশাল-চট্রগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাসহ সারাদেশে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

শনিবার (২১ মে) সকাল ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিন ১৭-তে এ তথ্য জানানো হয়।

এই বুলেটিনে আরো বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড বাতাস বইছে, সঙ্গে হচ্ছে প্রবল বৃষ্টিপাত।ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা সম্পর্কে আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ নম্বর বিপদ সংকেত বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস সম্পর্কে জানানো হয়, উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ৬২-৮৮ কি.মি. বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এদিকে শুক্রবার দুপুর থেকেই মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া শুরু হয়েছে। ১৮টি জেলার ৩ হাজার ৮৫১টি আশ্রয়কেন্দ্রে এসব মানুষকে আনা হয়। তাদের থাকা, খাওয়া ও চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছেন ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির (সিপিপি) ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। মাঠে থাকবেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রোভার স্কাউট ও আনসার ভিডিপি সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ ও সচিব মো. শাহ কামালসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ১৮ জেলার প্রায় সাড়ে ২১ লাখ মানুষকে। বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীন রুটের নৌ চলাচল। ঘূর্নিঝড়টির প্রভাবে গত দু’দিন ধরে দেশের সব অঞ্চলেই বৃষ্টি হয়েছে, যা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি মোকাবেলায় ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।

রোয়ানুর প্রভাবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)। সংস্থাটির পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মফিজুর রহমান জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার বিকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামে ৪৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোজবাহ উদ্দিন।  দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রামে ২৪২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সাথে ঘূর্ণীঝড় পরবর্তী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধস ঠেকাতে ইতোমধ্যে মাইকিং শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

তথ্যসূত্র: বাংলামেইল২৪ডটকম
Share:

Friday, May 20, 2016

৭ নং বিপদ সংকেত, সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স:

ঢাকা:
ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রেক্ষিতে সতর্ক সংকেত বাড়ানোর ফলে চার জেলার উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

একই সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল।



শুক্রবার (২০ মে) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭, কক্সবাজারে ৬ এবং মংলা নমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলে।

দুর্যোগ সচিব বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন কাজ শুরু করেছে।

এছাড়া কক্সবাবাজার উপকূলের লোকজনদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সতর্কতা বাড়লে তাদের যে কোনো সময় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।

উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে নিতে স্থানীয় দুর্যোগ কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ শুরু করেছেন।

তিনি বলেন, সাগরে অবস্থানরত  সকল মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে নির্দেশ না দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বুলেটিনে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর জেলা ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের মধ্যে আসবে বলে জানানো হয়।

কক্সবাজার ও আশেপাশের এলাকায় ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত ছাড়াও এর আশেপাশের ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা অঞ্চল পড়বে।

রোয়ানুর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও আশেপাশের দ্বীফ ও চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস আসতে পারে।

এছাড়া অতিক্রমকালে কক্সাবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিমি বেগে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীল সমুদ্রে অবস্থানরত সকল মাছ ধরা নৌকা ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়।  

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ঘর্ণিঝড়, ক্রমেই উপকূলে এগিয়ে আসছে। আগের দিন দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে থাকলেও এখন হাজার কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে।

সর্বশেষ বেলা ১২টা নাগাদ ঘুর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৬৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৪৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিম, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৭৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিম ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮১০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

সতর্কতা সংকেত ২ থেকে ৪ এবং সর্বশেষ ৭, ৬ ও ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

৭ নম্বর বিপদ সংকেতের অর্থ বন্দরে ছোট বা মাঝারী তীব্রতার ঝঞ্জাবহুল এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত।

ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিমি। ঝড়টি বন্দরকে উপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৬ নম্বরের অর্থ, বন্দর ছোট বা মাঝারী তীব্রতার ঝঞ্জাবহুল এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিমি। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিক রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আর ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের অর্থ, বন্দর ছোট বা মাঝারী তীব্রতার ঝঞ্জাবহুল এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতি।
ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিমি। ঝড়টি বন্দরকে বাম দিক রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

Thursday, May 19, 2016

‘জঙ্গিদের সাথে সরকারের হুবহু মিল রয়েছে’

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স:

ঢাকা:
জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে বর্তমান সরকারের আচরণেরই হুবহু মিল রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিহত অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পরিবারকে সমবেদনা জানানো শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক রেজাউল হত্যার প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত ও জনদৃষ্টিকে ঝাঁপসা করানোর জন্যে নয়, প্রকৃত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

রিজভী বলেন, এ সরকারে সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীর অনেক ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। জঙ্গিরা যেমন যে মতাদর্শে বিশ্বাস করে, তাছাড়া অন্য মতাদর্শকে বরদাস্ত করে না, তাদের হত্যা করে, রক্তপাত ঘটায়। বর্তমান সরকার তেমনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে, গণতন্ত্রের ন্যূনতম নিয়মকে মান্য করে না, সরকারের সমালোচনা সহ্য করে না, বিরোধী সহ্য করতে পারে না। বিচারবর্হিভূত হত্যা, গুপ্ত হত্যা, গুম ও খুনই হচ্ছে এই সরকারের শাসন পরিচালনার অন্যতম শর্ত।

বিএনপির এ বলেন, আজকে যে জঙ্গিদের কথা বলা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে এরা একের পর এক মানবতাবিরোধী, সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিরোধী জঘণ্য প্রাণ বিনাশী কর্মকাণ্ড করছে। অথচ প্রশাসনের লোকজন তাদের খুঁজে বের করতে পারেনি।

বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, সরকার নিজেদের বেশি সেক্যুলার দাবি করে, ধর্মনিরপক্ষ দাবি করে কিন্তু এদের সময় সবচেয়ে বেশি ধর্মের ওপর আঘাত দেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক প্রসঙ্গে বিএনরি কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, চারজন শিক্ষক খুন হলেন, অথচ এই সরকার এখন পর্যন্ত এর বিচারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এর জন্য কারা দায়ী, কীভাবে শিক্ষকদের একের পর এক জীবন চলে যাচ্ছে-এটা বের করতে সরকার উদাসহীন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ চারদিকে দেশ নৈরাজ্য ও অন্ধকারে নিপতিত হয়েছে। এখানে চারদিকে হত্যা এবং রক্তপাত-এটাই এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রকম পরিস্থিতির মধ্যে কারো কোনো নিরাপত্তা নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহীর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, নিহত অধ্যাপক রেজাউল করিমের স্ত্রী হোসনে আরা, মেয়ে রিজওয়ান হাসিন শতভিসহ অন্যরা।

প্রসঙ্গত, ২৩ এপ্রিল সকালে শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিমকে।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

প্লে-অফ নিশ্চিতের ম্যাচে আজ মাঠে নামছে সাকিবের কলকাতা

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা:
আইপিএলের ৫১তম ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও গুজরাট লায়ন্স। আসরের প্লে-অফ নিশ্চিতের জন্য এ ম্যাচটি দু’দলের জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

কানপুরের এ ম্যাচের আগে দু’দলই ১২ খেলায় ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলের তিন অবস্থান করছে কলকাতা। আর পাঁচে রয়েছে গুজরাট।

এ ম্যাচের নামার আগে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কলকাতার কপালে। কারণ ইনজুরির কারণে গম্ভির-সাকিবরা পাচ্ছেন না সতীর্থ অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে। কিন্তু ম্যাচে দলটির একান্ত কাম্য জয়।

অন্যদিকে টুর্নামেন্টে দারুণ শুরু করা গুজরাট মধ্যপথে এসে পথ হারিয়ে ফেলেছে। শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে সুরেশ রায়নার দল চারটিতেই হেরেছে। কিন্তু দলটিতে রয়েছে বেশ কয়েকজন ম্যাচ উইনার।

সম্ভাব্য একাদশঃ
গুজরাট লায়ন্সঃ ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম, ডোয়েন স্মিথ, সুরেশ রায়না (অধিনায়ক), দিনেশ কার্তিক (উইকেটরক্ষক), অ্যারন ফিঞ্চ, ডোয়েন ব্রাভো, রবীন্দ্র জাদেজা, প্রভিন কুমার, কুলকার্নি, কৌশিক, প্রভিন তাম্বে।

কলকাতা নাইট রাইডার্সঃ রবিন উথাপ্পা (উইকেটরক্ষক), গৌতম গম্ভির (অধিনায়ক), মানিশ পান্ডে, ইউসুফ পাঠান, সাকিব আল হাসান, উমেশ যাদব, জেসন হোল্ডার, পিযুষ চাওলা , সুনিল নারিন, অঙ্কিত রাজপূত, মরনে মরকেল।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

আলোচিত শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে স্বপদে বহাল

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জে লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে স্বপদে বহাল রেখে স্কুল পরিচালনা কমিটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি একথা জানান। 

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষকদের অপমান বরদাস্ত করা হবে না।  এটা জাতির জন্য অপমানজনক।

সম্মেলনে শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাসচির ফাহিমা খাতুন বক্তব্য রাখেন। 

শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে  শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটন‍ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) তদন্ত প্রতিবেদন পড়ে শোনান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

Tuesday, May 17, 2016

বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায়

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা:
নতুন করে ভাবিয়ে তোলা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বজ্রপাতের পূর্বাভাস ছয় ঘণ্টা আগে আবহাওয়ার তথ্যে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

এছাড়া ‘১০৯৪১’ নম্বরে কল করে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বজ্রপাতের তথ্য পাওয়া যাবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, গত ১২ ও ১৩ মে বজ্রপাতে দেশের ২৬ জেলায় ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ে মারা গেছেন আরও ৫ জন।

সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতে ব্যাপক প্রাণহানির মধ্যে মঙ্গলবার (১৭ মে) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী।
 
সংবাদ সম্মেলনে বজ্রপাত থেকে রক্ষায় বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় জনসাধারণের জন্য পরামর্শ দিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে মোবাইল টাওয়ার এবং ধাতব দণ্ড থেকে দূরে থাকার পরামর্শও আসে। মোবাইল টাওয়ারের কারণে বেশি বেশি বজ্রপাত ঘটছে- বিশেষজ্ঞদের এমন মতামতের ওপর ভিত্তি করে সে বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

সারাবিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে এবং বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে গেছি, সারা বাংলার মানুষ আতঙ্কিত হয়েছে, সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে।’

বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারকে ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বিতরণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা করা হয়েছে। এছাড়া আহতদের সাড়ে ৭ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ সহায়তা দেওয়া হয় বলে জানান মন্ত্রী।

গত বছরের ২৭ আগস্ট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে বলে জানান সচিব শাহ কামাল। সেই বার ১৭ জন প্রাণ হারান বলে জানান সচিব শাহ কামাল।

গত ১৫ ও ১৬ মে মন্ত্রণালয়ে দুই দফা সভায় বজ্রপাতের সময় এবং পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ মত পাওয়া যায় বলে জানান মন্ত্রী।

বজ্রপাতে করণীয়:
বৃষ্টিপাতের সময় বজ্রপাত হবে কিনা- তা ৬ ঘণ্টা আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায় উল্লেখ করে সচিব নিয়মিত আবহাওয়া তথ্য শোনার পরামর্শ দেন সচিব শাহ কামাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, স্থপতি ও বিশেষজ্ঞদের বজ্রপাত নিয়ে বেশকিছু পরামর্শও এসেছে।

১. আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখা দিলে বজ্রপাতের আশঙ্কা তৈরি হয়। ৩০-৪৫ মিনিট বজ্রপাত স্থায়ী হয়, এ সময়ে ঘরে অবস্থান করাই শ্রেয়।

২. ঘনকালো মেঘ দেখা দিলে খুব প্রয়োজন হলে রাবারের জুতা পরে বাইরে যাওয়া যেতে পারে।

৩. বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।

৪. এ সময়ে ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি হাঁটু গেড়ে, কানে আঙ্গুল দিয়ে, মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।

৫. যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। টিনের চালা যথা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

৬. উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার থেকে দূরে থাকুন।

৭. বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতর অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।

৮. বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকবেন না।

৯. বাড়ির জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।

১০. মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং এগুলো বন্ধ রাখুন।
১১. এ সময়ে ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে প্লাস্টিকের অথবা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।

১২. খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত থাকুন।

১৩. বজ্রপাতের সময় ছাউনি বিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না, তবে এ সময় নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।

১৪. বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ি রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।

১৫. প্রতিটি ভবনে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

ড. রেজাউল হত্যায় জেএমবি জড়িত: আরএমপি কমিশনার

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন। ছবি: সাজিদ হোসেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মো. শামসুদ্দিন বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে হত্যায় চারজন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তাঁরা সবাই জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য। বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার মাসকাওয়াত হাসান সাকিব ওরফে আবদুল্লাহ (২৩) আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে এসব জানিয়েছেন বলে আরএমপি কমিশনার দাবি করেন।|
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আরএমপি কমিশনার মো. শামসুদ্দিন এসব কথা বলেন।


সংবাদ সম্মেলনে আরএমপি কমিশনার বলেন, গত রোববার বগুড়া থেকে মাসকাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজশাহীর ২ নম্বর মহানগর হাকিম আদালতে অধ্যাপক রেজাউল হত্যা মামলায় তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে মাসকাওয়াথ বলেন, চারজন হত্যার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনজন সরাসরি হত্যায় অংশ নেন। আরেকজন মোটরসাইকেলে ছিলেন। অধ্যাপককে হত্যার পর দুজন মোটরসাইকেলে এবং দুজন অন্যভাবে পালিয়ে যান। হত্যাকাণ্ডের পর তাঁরা রাজশাহীর খরখড়ি এলাকায় আশ্রয় নেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুলিশ ওই আশ্রয়দাতাদের তিনজনকে আটক করেছে। তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ওই তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদন করা হবে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে।

আরএমপি কমিশনার বলেন, মাসকাওয়াদের বাড়ি বগুড়ায়। তিনি রংপুর পলিটেকনিক থেকে পাস করেছেন। কেন অধ্যাপককে হত্যা করা হয়েছে—এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদে মাসকাওয়াথ বলেছেন, কারণটা তাঁরা জানেন না। ওপর থেকে নির্দেশ পেয়ে তাঁরা হত্যা করেছেন।

গত ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার সামনে অধ্যাপক রেজাউলকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
Share:

সিলিকা ব্যাগ কী কী কাজে লাগে?


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স:

ঢাকা:
সিলিকা (আগ্নেয় ধাতব পদার্থবিশেষ) সর্বসাধারণের কাছে খুব বেশি পরিচিত না। তবে সিলিকার তৈরি ব্যাগ সম্বন্ধে কম-বেশি সবাই জানে। যেকোনো পণ্য কেনার পর দেখবেন এর মধ্যে ছোট একটি ব্যাগ আছে। কেনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যাগটি ফেলে দেই। অথচ ওই ছোট্ট সিলিকা ব্যাগটি আপনার পছন্দের পণ্যটিকে নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে। কারণ এটি বাতাসের আর্দ্রতা শোষণ করে। আর এই ব্যাগের ওপর বড় করে লেখা থাকে ‘ডু নট ইট’ অর্থ্যাৎ ‘দয়া করে খাবেন না’।

এখন থেকে কোনো পণ্যের মধ্যে এই ব্যাগ পেলে ভুলেও ফেলে দেবেন না। কারণ সিলিকা ব্যাগ দৈনন্দিন জীবনে আরো অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়, যার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টে। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন-    

*  পানিতে ফোন পরে গেলে সেটা আর ফিরে পাওয়ার কোনো আশাই থাকে না। কিন্তু সিলিকা ব্যাগ সে আশা জিইয়ে রাখে। একটি  বাটির মধ্যে অনেকগুলো সিলিকা ব্যাগ রেখে এর মধ্যে পানিতে ভেজা ফোনটি রেখে দিন। দেখবেন, ফোনের সব পানি শুকিয়ে যাবে এবং ফোনটি নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যাবে।

* পাউডার ধরনের মেকআপের (কমপ্যাক্ট পাউডার, আইশ্যাডো, ফেস পাউডার) মধ্যে একটা-দুইটা সিলিকা ব্যাগ রেখে দিন। এতে এগুলো বহুদিন ভালো থাকবে।

* অনেক সময় বৃষ্টিতে ভেজার পর ছাতা ব্যাগে রাখা সম্ভব হয় না। আবার বাইরে রাখলে হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এ ক্ষেত্রে ছাতার প্যাকেটের মধ্যে কয়েকটি সিলিকা ব্যাগ রেখে ছাতাটা ঢুকিয়ে রাখুন। দেখবেন, খুব কম সময়ের মধ্যে ছাতাটা শুকিয়ে যাবে।

* ভেজা জুতাকে দ্রুত শুকিয়ে ফেলে সিলিকা ব্যাগ। এমনকি জুতার স্যাঁতস্যাতে ভাবও দূর হয় সহজেই।

* স্টিলের কাটলারি সেট খুব পরিষ্কার করে সিলিকা ব্যাগ। এই ব্যাগ দিয়ে পরিষ্কার করলে কাটলারি সেটে মরিচা ধরে না।

* অনেকদিন ব্যবহারের পর তোয়ালে যখন তুলে রাখবেন তখন এর ভাজে ভাজে সিলিকা ব্যাগ দিয়ে রাখবেন। কয়েকদিন পর দেখবেন এটি নতুনের মতোই সতেজ রয়েছে।

* জিমে গেলে ঘামের কারণে পোশাক ভিজে যায়। এগুলো যখন ব্যাগে করে আনা হয় তখন গন্ধ হয়ে যায়। জিমের এই ব্যাগে কয়েকটি সিলিকা ব্যাগ ছড়িয়ে রাখুন। ভেজা পোশাকে আর গন্ধ হবে না।

* পুরোনো ছবিগুলো নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে চাইলে ছবির ভাজে ভাজে সিলিকা ব্যাগ রেখে দিন। এভাবে দীর্ঘদিন ছবি ভালো থাকবে।

* গয়না ভালো রাখতে চাইলে গয়নার বাক্সের মধ্যে কয়েকটি সিলিকা ব্যাগ ছড়িয়ে রাখুন।

তথ্যসূত্র: এনটিভিবিডি.কম
Share:

Monday, May 16, 2016

পবিত্র কাবা শরীফের ভেতরের দূর্লভ ৯টি ছবি

সৌজন্য: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পবিত্র কাবার ভেতরের দূর্লভ ৯টি ছবি

সৌদি আরবের বাসিন্দা ইয়াসির আহমেদ। এই সৌভাগ্যবান মানুষটি ২০১৫ সালের মে মাসে পবিত্র কাবা শরিফের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ পান। তখন তিনি কাবার ভেতরের কিছু ছবি উঠিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি আরবি ক্যাপশনসহ তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ওই ছবিগুলো পোস্ট করেছেন। ওই ছবিগুলো হলো-

এই কোণ বরাবর বাইরে রুকনে ইয়ামানি অবস্থিত। রুকনে ইয়ামানি কাবা শরিফের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ।

মার্বেল পাথরের ওপর আরবি ক্যালিওগ্রাফি। এ ক্যালিওগ্রাফিতে লেখা রয়েছে, নবী করিম সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। অনুমান করা হয়, এ জায়গাটি বিশেষ কোনো জায়গা। কিংবা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এখানে বসে ইবাদত-বন্দেগি করেছেন।

কাবা শরিফের মেঝের এই সাদা চিহ্নসূচক পাথর দ্বারা নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেছেন।

কাবার ভেতরে ঝুলন্ত লন্ঠন। আর ভেতরকার থামের স্বর্ণালী কারুকাজ বিশেষ।

এগুলো কাবার শরিফের ভেতরে ঝুলন্ত নানা স্মৃতিবাহী প্রাচীন আমলের লন্ঠন। যা কাবার ভেতের দুই থামের মাঝে ঝুলছে।

এই দরজা দিয়ে কাবা শরিফের ভেতর থেকে ছাদে যাওয়া যায়। তবে এ দরজা ছাদে যাওয়ার জন্য খুব কমই ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে কাবার ছাদে যাওয়ার কাজটি সম্পন্ন হয় ট্রলি লাগানো বিশেষ ক্রেন দ্বারা।

কাবার ভেতরের দেয়ালে লাগানো এই শিলালিপিতে কাবার সর্বশেষ সংস্কারক হিসেবে বাদশা খালেদের নাম লেখা আছে। এখানে দেখা যাচ্ছে- প্রথমে লেখা হয়েছে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। এর পর প্রশংসা করা হয়েছে মহান সৃষ্টিকর্তা ও উভয়জাহানের মালিক আল্লাহতায়ালার। পরে সালাম ও দরূদ পাঠ করা হয়েছে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। লেখার পরের অংশে রয়েছে, আল্লাহর অশেষ রহমতে সম্পাদিত খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন বাদশা খালেদ বিন আবদুল আজিজ আলে সউদের সব ভালো কাজ আল্লাহ কবুল করে নিন।  রবিউল আউয়াল মাস, ১৩৯৭ হিজরি। আমিন।

এটা একটি টেবিল। এর ওপর বিশেষ এক প্রকারের সুগন্ধি রাখা হয়। যার ফলে কাবার ঘর বন্ধ থাকলেও আবদ্ধ ঘরের গুমোট গন্ধ সৃষ্টি হয় না।

এই অংশের ঠিক বাইরে হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথার লাগানো। এটা কাবা শরিফের দক্ষিণ কোণ।
Share:

তিন কার্যদিবস পর বাড়লো সূচক

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স:

ঢাকা: টানা তিন কার্যদিবস দরপতনের পর উত্থানের দেখো পেলো দেশের পুঁজিবাজার। দিনভর সূচকের ওঠানামা শেষে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৬মে) উভয় বাজারে বেড়েছে সূচক, লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।



এদিন ঢাকার বাজারে সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট, চট্টগ্রামের বাজারে বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট।

এর আগের তিন কার্যদিবস বুধ, বৃহস্পতি এবং সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার উভয় বাজারে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইসিবিসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের মার্কেট সার্পোটের ফলে তিনদিন পর সূচক সামান্য বেড়েছে।

নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ দশমকি ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ২৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ডিএসইএক্স শরীয়াহ সূচক আগের দিনের চেয়ে ২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৩ পয়েন্ট ও ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ২৫৮ কোটি টাকা।

এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৭টির, কমেছে ৯৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসইএক্স ৩৫ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

লেনদেন হওয়া ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ৪৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫টি।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

মুস্তাফিজকে সেরা উদিয়মান তারকা বানাতে ভোট দিন।

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের হয়ে ধুমকেতুর মতো আভির্ভূত মুস্তাফিজুর আইপিএলেও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে দ্যুতি ছড়াতে থাকায় তাকে রাখা হয়েছে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের তালিকায়। বিশ্ব গণমাধ্যমের সঙ্গে মুস্তাফিজে ‘বুঁদ’ হয়ে আছে আইপিএলের অফিসিয়াল পেজ।

মোস্তাফিজুর রহমান
আইপিএলের নবম আসর মাতানো হাতে গোনা কয়েকজন বিশ্বসেরা ক্রিকেট তারকার মাঝে অন্যতম বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজ। নবম আসরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন টাইগার এই পেসার। আইপিএলের অফিসিয়াল পেজে নতুন একটি বিভাগ চালু হয়েছে। যেখানে ভোটিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচন করা হচ্ছে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়। ‘Emerging Player of the Season’ শিরোনামে অনলাইনে ভোটের মাধ্যমে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি করা হচ্ছে। অনলাইনে এই ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন যে কেউ।

বাংলাদেশের বোলিং পোস্টারবয় খ্যাত মুস্তাফিজুর এই তালিকায় রয়েছেন বেশ দাপটের সঙ্গেই। আইপিএলে উদয়ীমান খেলোয়াড় নির্বাচনের তালিকায় রয়েছেন মোট পাঁচজন বোলার। মুস্তাফিজ ছাড়াও সেখানে জায়গা পেয়েছেন ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ, মুরুগান অশ্বিন, শিভিল কৌশিক ও অস্ট্রেলিয়ার কেন রিচার্ডসন।

এ রিপোর্ট লেখা অবধি (১৬ মে, দুপুর ৩টা ৫০ মিনিট) মুস্তাফিজ ৯৪.১ শতাংশ ভোট নিয়ে শীর্ষে আছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিভিল কৌশিক ২.৫ শতাংশ ভোট নিয়ে আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। তৃতীয় স্থানে থাকা জাসপ্রিত বুমরাহ পেয়েছেন ২.৪ শতাংশ ভোট। আর অজি বোলার কেন রিচার্ডসনের এখন পর্যন্ত সংগ্রহ ০.৬ শতাংশ ভোট। পঞ্চম স্থানে থাকা ভারতের মুরুগান অশ্বিন পেয়েছেন ০.৫ শতাংশ ভোট।

মুস্তাফিজকে উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত করতে আপনারাও ভোট দিতে পারেন। টাইগার এই পেসারকে ভোট দিতে http://www.iplt20.com/polls ঠিকানায় প্রবেশ করুন। বামপাশের উপরের দিকে রয়েছে ইমার্জিং প্লেয়ারের (Emerging Player of the Season) একটি অপশন। যেখানে মুস্তাফিজের নামের পাশে ‘Vote Now’ লেখা রয়েছে। মুস্তাফিজকে ভোট দিতে সেখানে ক্লিক করতে হবে। এরপরই ভোটিংয়ের ফলাফল দেখতে পারবেন আপনিও।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম


Share:

চট্টগ্রাম ষোলশহরে বাস-ট্রেন সংঘর্ষ নিহত-২, আহত অর্ধশত

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স:

ঢাকা: চট্টগ্রাম ষোলশহরে বাস-ট্রেন সংঘর্ষ নিহত-২, আহত অর্ধশতাধিক।

ছবি: প্রতিকী
নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের সাথে সংঘর্ষে একটি বাস চুরমার হয়ে গেছে। এতে নিহত-২ ও আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। তেলবাহী ট্রেনটি বটতলী স্টেশন থেকে দোহাজারীর দিকে যাচ্ছিল । অক্সিজেন থেকে শহরের দিকে আসছিল ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি।

সোমবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Share:

মুরগি খেলেই ক্যান্সার!!

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা:
মুরগি খেলেই ক্যান্সার! গোটা বিশ্বে ক্যান্সারের আতঙ্ক ছড়িয়ে দিচ্ছে মুরগি। ইতিমধ্যে আমেরিকায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। বাজারে যে মুরগি বিক্রি হয় তার মাংসে যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে, তা স্বীকার করেছে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। 


 
বিশেষজ্ঞরা জানান, বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান আর্সেনিক রয়েছে মুরগির মাংসে। এফডিএ জানায়, মুরগির দেহে যথেষ্ট পরিমাণ আর্সেনিক মিশছে খাবার থেকে। সেই মাংস খাচ্ছে মানুষ। আক্রান্ত হচ্ছি আমরা। গত ষাট বছর ধরে আমেরিকানরা মুরগি খেয়ে আর্সেনিক নিচ্ছেন দেহে।

এতে বাড়ছে ক্যান্সার। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে মুরগির মাংসে বিষাক্ত উপাদান নিয়ে গবেষণা হলে একই ফলাফল বেরিয়ে আসবে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। অনেক দিন ধরেই আমেরিকায় মুরগির মাংস নিয়ে অভিযোগ তুলছিলেন সবাই। তারই প্রেক্ষিতে অবশেষে এফডিএ সংশ্লিষ্ট গবেষণা চালায়।

আর প্রথমবারের মতো স্বীকার করে নেয় যে, অভিযোগ সত্য। আর আগে মুরগির খামার ও এফডিএ বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল। বাণিজ্যিকভাবে পালনকৃত এসব মুরগির খাবারে প্রচুর পরিমাণে আর্সেনিক থাকে। এফডিএ’র নিজস্ব গবেষণায় বলা হয়, খামারের মুরগিকে রোক্সাসোন নামের এক ধরনের খাবার খাওয়ানো হয়। খাবারের তালিকা থেকে একে সরিয়ে ফেলতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

আবার বিভিন্ন রোগে যে ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়, তার বেশ কয়েকটি বিষাক্ত উপাদান ছড়িয়ে দেয় মুরগির মাংসে। ফাইজার অ্যানিমেল হেলথস ভেটেরিনারি মেডিসিনের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের স্কট ব্রাউন জানান, তারা মুরগির বেশ কয়েকটি ভ্যাক্সিন প্রস্তুত করে। এগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করা হয়। তাই বলে একে মারাত্মক অবস্থা বলে স্বীকার করতে রাজি নয় এফডিএ। তারা জানায়, মুরগিতে পাওয়া আর্সেনিক নগন্য পরিমাণে থাকে। এতে তেমন ক্ষতি হয় না। কাজেই এসব মুরগি খেতে পারবেন সবাই। এফডিএ-কে সমর্থন জানায় আমেরিকার ন্যাশনাল চিকেন কাউন্সিল। ’

তারা বলছে, এই মুরগি নিরাপদ। কিন্তু বহু বিশেষজ্ঞ এবং ক্রেতারা এফডিএ’র বক্তব্য মানতে রাজি নন। কেউ কি চাইবে যে, প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ আর্সেনিক তার দেহে প্রবেশ করতে থাকুক? এখন আমেরিকানদের অভিযোগ, আমরা এমন এক ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পেয়েছি যারা বলছে, আর্সেনিক খাওয়া যাবে। অন্যান্য কিছু খাবার রয়েছে যার মধ্যেও বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে বলে তা খেতে মানা করে দিয়েছে এফডিও। যেমন এল্ডারবেরি জুস। আবার ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে অজুহাতে তারা কাঁচা দুধ পর্যন্ত খেতে সাবধান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

অথচ আর্সেনিকের মতো ক্ষতিকর উপাদান খাওয়াকে নিরাপদ বলে মত দিয়েছে। এখন দারুণ সমালোচনার মুখে পড়ে রয়েছে এফডিএ। অবশেষে আরেকটি বিষয়ে জানান দিলেন বিশেষজ্ঞরা। বললেন, মুরগির কিছু বর্জ্য আবার খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় খামারের গরুর খাবারে।

এসব খাবার থেকে আর্সেনিক প্রবেশ করে গরুর দেহে। অর্থাৎ, গরুর মাংসতেও আর্সেনিক থাকা বিচিত্র নয়।

সূত্র : হেলদি হলিস্টিক লিভিং/অভিযাত্রা
Share:

Sunday, May 15, 2016

গভীর রাতে এসএমএস দেওয়া যাবে না

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স
 
ঢাকা: মোবাইল ফোন গ্রাহকদের রাত ১২টার পর সার্ভিস বা প্রমোশনাল এসএমএস না দেওয়ার জন্য অপারেটরদের ফলোআপ করতে বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। 


 
রোববার (১৫ মে) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে অপারেটরদের প্রতিনিধিদের নিয়ে কলড্রপের বিষয়ে এক সভায় গভীর রাতে এসএমএস পাঠানোর বিষয়ে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তারানা হালিম বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে বিগত সময়ে একটা মিটিং করেছি।

অপারেটরদের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা একটু ফলোআপ করবেন। আপনারা কথা দিয়েছিলেন, রাতে কোনো ম্যাসেজ যাবে না।

‘অন্ততপক্ষে রাত ১২টা থেকে থেকে শুরু করে ভোরে নামাজ পর্যন্ত কোনো টেক্সট ম্যাসেজ যাবে না। আশা করি আপনারা এটা ফলোআপ করবেন।’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিষয়টি অবশ্যই দৃষ্টি দেবেন। কোনো টেক্সট ম্যাসেজ রাত ১২টা থেকে ভোরে ফজরের আজান পর্যন্ত পাঠাবেন না।

রাতে ব্যবসায়িক বা প্রমোশনাল এসএমএস দিয়ে বিরক্তির অভিযোগ করে আসছিলেন মোবাইল ফোন গ্রাহকরা।

টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, ২০১৩ সালে টেলিমার্কেটিং কোম্পানির বিজ্ঞাপন বা প্রমোশনাল এসএমএস বা অনাকাঙ্ক্ষিত ফোন কল থেকে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের মুক্তি দিকে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ নীতিমালা করার উদ্যোগ নিয়েছিল বিটিআরসি। তবে, সেই নীতিমালা আর চূড়ান্ত হয়নি।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Share:

‘জয়ের টাকার’ তদন্ত চায় বিএনপি

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স: 

ঢাকা:
সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাংক হিসাবে ৩০ কোটি ডলার রয়েছে বলে বিএনপির তোলা দাবিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অসত্য’ বললেও সে বিষয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে দলটির স্থায়ী কমিটি।


শুক্রবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবির কথা জানান।
তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে পেশকৃত অভিযোগপত্রে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্ত বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাংকের রক্ষিত ৩০০ মিলিয়ন ডলারের যে উল্লেখ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে সরকার নিরব রয়েছে।

“এই পরিমাণ রক্ষিত অর্থ সম্পর্কে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত বিষয় জাতির সামনে প্রকাশের দাবি জানানো হচ্ছে।”
জয়ের বিষয়ে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের কারাদণ্ডের রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রীপুত্রের নামে ৩০ কোটি ডলার থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি করে আসছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের নেতারা।

এর প্রতিক্রিয়া এর মধ্যে জয় ফেইসবুকে খালেদার উদ্দেশ্যে লিখেছেন, “ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।”

ছেলের পক্ষে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনাও সংসদে বলেছেন, “কয়েকদিন আগে বিএনপিনেত্রী জয় সম্পর্কে একটি অসত্য তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চাইলেন। জয় সেটা চ্যালেঞ্জ করেছে। আমি আশা করি, সেই চ্যালেঞ্জের জবাব তিনি দেবেন এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন।”
যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রায়কে কেন্দ্র করেই ঢাকায় পুলিশ গত বছর জয়কে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়, যাতে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বিএনপি ঘনিষ্ঠ সম্পাদককে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি করেন ফখরুল।
“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে পেশকৃত অভিযোগে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের নাম উল্লেখ নেই। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও প্রমাণিত হয়নি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেশে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির গত বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডাকা এই সংবাদ সম্মেলনে দলকে নিয়ে গণমাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।

“গত কয়েকদিন যাবত দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক চ্যানেলে বিএনপির ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন এবং সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে অত্যন্ত সুপরিকল্পিভাবে। বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ও দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই প্রচারণা চালাচ্ছে বলে জাতীয় স্থায়ী কমিটি করে।”

এধরনের প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় প্রায় ৬০ জনের প্রাণহানির তথ্য দিয়ে এটাকে ‘প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন’ আখ্যায়িত করেন বিএনপির মহাসচিব।

“সভায় অবিলম্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি  নির্বাচন কমিশন গঠনের আহ্বান জানানো হয়।”

তার সঙ্গে ‘দেশে চলমান সঙ্কট উত্তরণে’ একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিও স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জানানো হয়েছেন বলে তিনি জানান।

সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড বিশেষ করে বিদেশি ও ভিন্নমত পোষণকারীদের হত্যার কয়েকটি ঘটনা এবং সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ ও তাদের সম্পদ দখলের ঘটনা ঘটেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
“বিরোধী দলকে দোষারোপ না করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সেইসঙ্গে জঙ্গি দমনে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সংলাপে বসারও আহ্বান জানান তিনি। যুদ্ধাপরাধী নিজামীর ফাঁসির প্রতিক্রিয়া
যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “এটা তুরস্কের সিদ্ধান্ত, সুতরাং তারা জবাব দেবে।

“আর যুদ্ধাপরাধীর বিষয়ে আমরা আমাদের অবস্থান বার বার পরিষ্কার করেছি। আমরা সবসময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে। কিন্তু সেই বিচার হতে হবে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যতীত, স্বচ্ছ ও ন্যায়বিচার; দ্যাটস অল।”
নির্বাহী কমিটির বাকিটা শিগগির।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আপনারা কমিটি ইতিমধ্যে পেয়েছেন। বাকিটা যথাসময়ে শিগগিরই পাবেন।”
১৯ মার্চ ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটউশন প্রাঙ্গণে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হয়। এরপর দলটি তিন দফায় মহাসচিব, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষসহ ৪০ পদে নাম ঘোষণা করে।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Share:

খালেদার জিয়ার মামলা স্থগিতের আবেদন খারিজ

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স
 

ঢাকা: জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে নতুন করে জেরার আবেদন নাকচ হওয়ার পর মামলা স্থগিত চেয়ে বেগম খালেদা জিয়ার দুটি আবেদনও খারিজ করেছে হাই কোর্ট।



বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ রোববার (১৫ মে)এই আদেশ দেয়।
এর ফলে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে নিতে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। 
আগামী ১৯ মে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে এ দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন রাখা আছে।

বিচারের শেষ পর্যায়ে থাকা এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নিয়ে আপত্তি তুলে খালেদার আইনজীবীরা ১৭ এপ্রিল নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার আবেদন করলে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার তা নাকচ করে দেন।

ওই আদেশ বাতিল চেয়ে পরদিন হাই কোর্টে দুটি আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন, যা ১৯ এপ্রিল অবকাশকালীন একটি বেঞ্চে উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা।

এর ধারাবাহিকতায় ২১ এপ্রিল হাই কোর্টের একটি অবকাশকালীন বেঞ্চ আদালত খোলার পর নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন দুটি উপস্থাপন করতে বলে।

এরপর ১৯ এপ্রিল খালেদার আইনজীবীরা জানান, তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা এবং তদন্ত নথি (কেস ডকেট) প্রদান ও দেখানোর আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতের দেওয়া আদেশ বাতিল এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আলাদা দুটি আবেদন করেছেন তারা।

সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শেষে ২ মে হাই কোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন দুটি উপস্থাপন করেন খালেদার আইনজীবীরা, যা ৪ মে শুনানির জন্য ওঠে। তিন দিন শুনানি করে বিচারক আদেশের জন্য ১৫ মে দিন ঠিক করে দেন।

খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এম বদরুদ্দোজা বাদল ও  ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম।

মামলা বৃত্তান্ত

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য চার আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আদালত খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য

তথ্যসূত্র: বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

Saturday, May 14, 2016

দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা:
বিচার বিভাগ ও সংসদের মধ্যে ‘বিরোধে’ দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোট শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ দাবি করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নয়ন আগে গণতন্ত্র পরে-আওয়ামী লীগের নতুন এই স্লোগান জনগণ গ্রহণ করবে না জেনেই ওই অবস্থান থেকে তারা সরে এসেছে। সরকার কী উন্নয়ন করেছে? সাধারণ মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি, উন্নয়ন হয়েছে ক্ষমতাসীনদের।’

শাসকদলের নেতা-কর্মীরা শত শত কোটি টাকা লুণ্ঠন করে দেশের বাইরে পাঠিয়েছেন বলেও এ সময় অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে সত্যিকার অর্থে সেটি একটি বড় রকমের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। তারা আসলে গণতন্ত্রের লেবাসে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়।’

খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রাম পর্যায়েও মানুষ আজ মামলায় জর্জরিত। সত্যিকার অর্থে মানুষের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না।’

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার ফিরে পেতে আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন-জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ।

তথ্যসূত্র: আরটিএনএন
Share:

Thursday, May 12, 2016

জনসংখ্যা সঙ্কট নয়, সম্পদ: প্রধানমন্ত্রী


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স: দেশের জনসংখ্যা সঙ্কট নয়, সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের মানুষই হচ্ছে আমাদের মূল সম্পদ। এই সম্পদকে জনসম্পদে রূপান্তর করবো।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) আইডিবি’র জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জনসংখ্যা অনেক বেশি বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু আমি মনে করি, এ বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের সম্পদ, যা পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই নেই। এ সম্পদকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে কাজ করছে সরকার। শিক্ষিত ও দক্ষ-যোগ্য করে তুলে এদেশের মানুষকে জনসম্পদে পরিণত করবো।
মানুষকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষারে প্রসার ও এর উন্নয়ন করার নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আগে আমরা বলতাম, দু’টি সন্তানই যথেষ্ট, একটি হলো ভালো হয়। কারো যদি ৫টি সন্তান হয় বাবা-মা কী ফেলে দিতে পারে? মানুষগুলোকে জনসম্পদে পরিণত করবো এটাই লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্য দেশগুলো আমাদের মতো এতো তরুণ মানুষের সম্পদের অধিকারী নয়। সেসব বৃদ্ধদের দেশ হয়ে গেছে। আর আমরা সেসব দেশের উন্নয়নে আমরা লোক দেই। আমাদের দেশ এমন সঙ্কটে পড়ুক তা আমরা চাই না।

কারিগরি শিক্ষা ও এর উন্নয়নে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা নীতিমালায় কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছি। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষায় নিয়ে এসেছি এবং এ সময় থেকেই কারিগরি শিক্ষা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। মেয়েদের জন্য ২৫টি পলিটেকনিট ইনস্টিটিউট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকায় একটি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। দেশের ৬৪টি টেকনিক্যাল কলেজে ডিপ্লোমা ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বেসরকারি ৪ শতাধিক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বেতন-বৈষম্য দূরীকরণের জন্য পলিটেকনিক শিক্ষকদের স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। শিক্ষক সঙ্কটের সমাধান করা হয়েছে। লেকচারার-প্রফেসর পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

অন্য যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলোরও সমাধান হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে দেওয়া সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দু’টি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, আপনাদের বাকি সমস্যারও সমাধান হবে।

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Share:

Khloe Kardashian Defends Herself After Photoshopping Her Legs in Selfie

Photo: Instagram/Khloe Kardashian/Yahoo
Prothom Alo24 Desk: The Kardashians are well-known for many things, but if there’s one thing that they all stand out for, it’s their unbelievable ability to take flawless selfies. Still, Khloe Kardashian has recently come under fire for posting a picture of herself in the gym, post-workout, showing off her muscular abs and toned physique. So, what’s the problem, you ask? The image is apparently digitally altered.

After carefully looking at the image, fans were able to see a bend in the door behind Khloe, confirming that she had altered the size of her thighs in the picture. Seemingly unashamed, Khloe quickly told everyone that she had indeed distorted the shot, but left out a reason for why she did it.
After carefully looking at the image, fans were able to see a bend in the door behind Khloe, confirming that she had altered the size of her thighs in the picture. Seemingly unashamed, Khloe quickly told everyone that she had indeed distorted the shot, but left out a reason for why she did it.

Unsurprisingly, a confession simply wasn’t good enough for the Kardashian-Jenner fans. And their constant pestering eventually led Khloe to explain her reasoning behind the image — though it’s likely not what you’d expect.

“Whenever I post a picture of my legs on Instagram, everyone comments on how f***** up my knees look,” she explained on her app. “It’s because I’ve had reconstructive surgery, you a*******! My right leg is an inch and a half thinner than my left because my muscles deteriorated and never recovered.”

So, just like the rest of us, Khloe was just trying to fix a part of herself that she felt insecure about. And considering how often we likely do that with our own social media posts, maybe it’s time to lay off with the judgment.  

Source: Yahoo
Share:

Wednesday, May 11, 2016

বদরপ্রধানও মন্ত্রী হয়েছিল!!!


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স: মৃত্যুদণ্ড এড়াতে পারলেন না বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক মন্ত্রী একাত্তরের ঘাতক বাহিনী আলবদর প্রধান মতিউর রহমান নিজামী।

অস্ত্র চোরাচালান মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭৩ বছর বয়সী জামায়াত আমিরকে ফাঁসির দড়ি পড়তে হয়েছে চার দশক আগের হত্যা, ধর্ষণ এবং বুদ্ধিজীবী গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে।

যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডের আদেশের চূড়ান্ত বিচার ও আইনি সব প্রক্রিয়ার পর বুধবার প্রথম প্রহরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর আগে বিচারের সর্বশেষ ধাপে গত বৃহস্পতিবার এই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

নিজামীকে গ্রেপ্তারের চার বছর পর ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাকে মৃতুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের বিরুদ্ধে নিজামী উচ্চ আদালতে গেলে ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি আপিলের রায়ে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সব শেষে এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনও খারিজ হয়।

২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছিল তার পর্যবেক্ষণে বলা হয়, মতিউর রহমান নিজামী একাত্তরে বাঙালি জাতিকে সমূলে ধ্বংস করার লক্ষ্যে তরুণদের উসকে দিতে সচেতনভাবে ইসলাম ধর্মের অপব্যবহার করেন।

আদালত বলে, “আমরা ধরে নিতে বাধ্য হচ্ছি যে, মতিউর রহমান নিজামী ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও সচেতনভাবে এবং স্বেচ্ছায় আল্লাহ ও পবিত্র ধর্ম ইসলামের নামের অপব্যবহার করে বাঙালি জাতিকে সমূলে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।”

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সেই নিজামীই বাংলাদেশের মন্ত্রী হয়ে গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
একাত্তরে ন্যাক্কারজনক ভূমিকার পরও তাকে মন্ত্রিত্ব দেওয়াকে লাখো শহীদদের প্রতি চপেটাঘাত বলে মন্তব্য করা হয় ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর্যবেক্ষণে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ করে ১৪ ডিসেম্বর শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক ও পেশাজীবীদের হত্যাযজ্ঞে মূল নকশাকারী ও তা বাস্তবায়নকারী বলে প্রমাণিত একাত্তরের আল-বদর প্রধান নিজামী ১৯৪৩ সালের ৩১ মার্চ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামে জন্ম নেন।
জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের পাকিস্তান প্রধান হিসেবে তিনি আল-বদর বাহিনীর প্রধান নেতা ছিলেন। ১৯৬১ সালে তখনকার জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ, পরে যেটা ইসলামী ছাত্র শিবির নাম পায়, তাতে যুক্ত হন।
১৯৬৬ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত পরপর তিনবার পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর ২২ এপ্রিল গঠিত হয় আল-বদর বাহিনী এবং এই বাহিনীর সারা পাকিস্তান প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পান নিজামী।

২৩ এপ্রিল ১৯৭১ সালে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- ‘যেখানে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী আলবদর সেখানেই’। ১৬ অগাস্ট ১৯৭১ সালে দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত হয়-‘পাকিস্তান ভূখণ্ডের নাম নয় আদর্শের নাম- মতিউর রহমান নিজামী’।

সে সময় নিজামী জনসম্মুখে মুক্তিকামী বাঙালি ও মুক্তিযোদ্ধাদের ‘দুর্বৃত্ত’ আখ্যায়িত করে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে নিজের সংগঠনের সদস্যদের উৎসাহিত করতেন এবং উসকানি দিতেন বলে এ মামলার বিচারে প্রমাণিত হয়।
নিজামী বিভিন্ন সময়ে তার বক্তৃতায় ‘পাকিস্তান আল্লাহর ঘর’, ‘হিন্দুরা সবসময়ই মুসলিমদের শত্রু’ এবং ‘ইসলাম আর পাকিস্তান এক ও অভিন্ন' বলেও জনসভায় প্রচার করতেন।
দেশ স্বাধীনের পরপরই জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেন তখনকার সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর ক্ষমতায় আসীন জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামীকে দেশে ফিরে আসার অনুমতি দেয়ার মাধ্যমে আবার বৈধভাবে দেশে রাজনীতি শুরু হয় দলটির।

সামরিক সরকারের সেই বৈধতার সুযোগে মতিউর রহমান নিজামী প্রথমে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত জামায়াতের ঢাকা মহানগরীর আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং ১৯৮৮ সালে সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পান। ‘জামায়াতগুরু’ গোলাম আযম আমিরের পদ থেকে অবসরে গেলে ২০০০ সাল থেকে নিজামীর নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় জামায়াতে ইসলামী।

১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চার বার জামায়াতে ইসলামীর হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিজামী দুই বার নির্বাচিত হন তার নির্বাচনী এলাকা পাবনা-১ আসন থেকে। ১৯৯১ সালের পর ২০০১ সালে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি জয়ী হন এবং তখনকার সরকার তাকে প্রথমে কৃষি মন্ত্রী (২০০১-২০০৩) ও পরে শিল্পমন্ত্রীর (২০০৩-২০০৬) দায়িত্ব দেয়।

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, “এটা বিশ্বাস করা খুবই কঠিন যে, সক্রিয়ভাবে যিনি বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন, তাকে এই প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

“আমাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, তৎকালীন সরকার কর্তৃক এই অভিযুক্তকে মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া একটা বড় ধরনের ভুল (ব্লান্ডার) ছিল। পাশাপাশি এটা ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ নারীর প্রতি ছিল সুস্পষ্ট চপেটাঘাত। এই লজ্জাজনক ঘটনা পুরো জাতির জন্য অবমাননাকর।”

ওই সময়েই ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার জন্য পাচারের পথে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ে, যে মামলার রায়ে ২০১৪ সালে নিজামীর ফাঁসির রায় আসে। কন্টেইনার ডিপোর ইজারা নিয়ে গেটকো দুর্নীতি মামলারও আসামি সাবেক শিল্পমন্ত্রী নিজামী।

২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার একটি মামলায় গ্রেপ্তারের পর ওই বছরের ২ অগাস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় জামায়াতের আমির নিজামীকে।
Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন