Sunday, July 31, 2016

গ্যাস্ট্রিক আলসারের ৫টি কারন ও চিকিৎসা


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

স্বাস্থ্য ডেক্স:
আহ্, গ্যাস্ট্রিক যদি না থাকতো। এই আশা আমাদের সমাজের শতকরা ৮০-৯০ জন মানুষের। আসলেই কি গ্যাস্ট্রিক না থাকা সম্ভব? না, গ্যাস্ট্রিক না থাকা সম্ভব না। কারন মেডিকেলের ভাষায় গ্যাস্ট্রিক মানে হলো পাকস্থলী। কিন্তু আমাদের সমাজে বেশিরভাগ মানুষ গ্যাস্ট্রিক বলতে যা বুঝায় সেটি হলো গ্যাস্ট্রিক আলসার। চলুন তাহলে গ্যাস্ট্রিক আলসার সম্পর্কে জেনে নেই-

গ্যাস্ট্রিক আলসার কি?


দীর্ঘদিন ধরে পাকস্থলীর ভিতরের স্তরে ঘা থেকে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তাকে গ্যাস্ট্রিক আলসার বলে। বেশিরভাগ সময় পাকস্থলীর অ্যান্ট্রাম নামক অংশের দিকে হয়।

যেসব কারনে গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়:

১. হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়ার কারনে গ্যাস্ট্রিক আলসার হতে পারে।
২. খাবারে অনিয়ম করলে বা নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে খাবার না খেলে।

৩. ভাজা-পোড়া খাবার বা তৈলাক্ত খাবার বেশি খেলে।

৪. দীর্ঘদিন ধরে কারো পাকস্থলীতে ঘা থাকলে।
৫. উচ্চ মাত্রার ব্যথার ওষুধ ব্যবহারকারীদের হতে পারে।
৫. ধূমপান।

যাদের ঝুঁকি বেশি:


১. নারীদের তুলনায় পুরুষদের গ্যাস্ট্রিক আলসার বেশি হয়।
২. ধূমপায়ীদের গ্যাস্ট্রিক আলসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

রোগ নির্ণয়:

১. সাধারণত রোগের উপসর্গ দেখেই গ্যাস্ট্রিক আলসার নির্ণয় করা যায়।
২. নিশ্চিত হওয়ার জন্য এন্ডোস্কপি করা যেতে পারে।
৩. রোগ নির্ণয়ে এইচ.পাইলরি কিট টেস্ট হচ্ছে আধুনিক পদ্ধতি।

চিকিৎসা:

১. যাদের হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া দিয়ে গ্যাস্ট্রিক আলসার হয় তাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শমত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা আবশ্যক। মনে রাখতে হবে ওষুধ নিয়ম মেনে গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে চিকিৎসা ফলপ্রসূ হবে না এবং পরবর্তীতে রোগ জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

২. এছাড়া রোগীকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়মিত ও সময়মত খাবার গ্রহণ করতে হবে। ভাজা পোড়া ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারের সাথে সাথে বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া যাবে না এবং খাবার গ্রহণের পরপরই ঘুমাতে যাওয়া যাবে না।

৩. সব ধরণের নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার করতে হবে। ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

লেখক: ডাঃ শেখ মইনুল ইসলাম, চিকিৎসক ও তরুণ উদ্যোক্তা। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, হিউম্যান এইড বাংলাদেশ।
Share:

Saturday, July 30, 2016

স্বামীর মৃত্যুতে ৩ সন্তানসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন স্ত্রী


আন্তজাতিক ডেক্স: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। স্বামী হারানোর বেদনা সহ্য করতে না পেরে তাই তিন সন্তান নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন স্ত্রী।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে ভারতের হায়দ্রাবাদে এ ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩০ জুলাই) দেশটির স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।

খবরে বলা হয়, স্বামী সত্যনারায়ণ এবং তিন সন্তানসহ কারে যোগে হায়দ্রাবাদ যাচ্ছিলেন স্ত্রী মেরাবি (৪৫)। হায়দ্রাবাদ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ভঙ্গাইর নামে একটি স্থানে একটি হোটেলে রাতের খাবার খান তারা। খাবার খাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন সত্যনারায়ণ। পরে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।

এরপর হাসপাতাল থেকে হায়দ্রাবাদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিন সন্তানসহ রওয়ানা হন মেরাবি। এ সময় হায়দ্রাবাদ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ঘাটকেসার নামক স্থানে পৌঁছলে দুই মেয়ে এবং এক ছেলেসহ চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন মা মেরাবি। দুই মেয়ে হলেন- সোয়াত (৩১) ও নিলিমা (২৯) এবং ছেলের নাম সিভারাম কৃষ্ণ (২৩)।

তবে এ ঘটনায় স্ত্রী ও তিন সন্তানের শেষ পরিণতির কথা জানা যায়নি। মৃত সত্যনারায়ণ পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এবং হাউজিং বোর্ডের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
Share:

আরও দু’টি এলএনজি, ডিজেল যাবে বেসরকারি খাতে


নিউজ ডেক্স: পায়রা ও কক্সবাজারের মহেশখালীতে আরও দু’টি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘এক্সিলারেট এনার্জি’র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে এক্সিলারেট এনার্জি প্রায় ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে, যা বাংলাদেশে শেভরনের পর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানির সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হতে যাচ্ছে।
 
এক্সিলারেট এনার্জি টার্মিনাল নির্মাণের পর বাংলাদেশ তা ১৫ বছর ব্যবহারের জন্য চুক্তি করেছে। প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার এলএনজি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন টার্মিনালটি থেকে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।

নগরীর শেরেবাংলা নগরে নিজ কার্যালয়ে বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, রামপাল, মাতারবাড়ী, পেকুয়া ও গজারিয়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

তিনি বলেন, ‘জ্বালানি খাত আরও উন্নত হবে। ডিজেল আমদানি বেসরকারি খাতকে দিয়ে দেবো। আমরা গ্যাস আমদানিতে বিশেষ নজর দেবো, যেজন্য এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে’।

মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাত স্বচ্ছন্দেই ডিজেল আমদানি করতে পারবে। ৪ হাজার ৯শ’ ৩৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গল পয়েন্ট মরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন প্রকল্পের’ অনুমোদন দিয়েছি। এটি বাস্তবায়িত হলে ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে প্রকল্পের খরচ উঠে আসবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে বন্দর থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে তেল সরবরাহের বিষয়টিও সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন’।

‘বর্তমানে আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের একটি জাহাজ খালাস করতে প্রায় ১১ দিন সময় লাগে। কারণ, যেসব বড় জাহাজে করে তেল আসে, তা কর্ণফুলী নদীতে প্রবেশ করতে পারে না। ওই জাহাজ গভীর সমুদ্রে রেখে লাইটারেজ ভেসেল নিয়ে বন্দরে আনা হয়। এতে ব্যয় ও সময় দু’টিই অনেক বেশি হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর মাত্র দু’দিনে একটি জাহাজ খালাস করা সম্ভব হবে। লাইটারেজ থেকে যে তেল চুরি হতো, সেটা বন্ধ হবে। বছরে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে’।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি(এডিপি) বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কোনো কোনো মন্ত্রণালয় শতভাগের ওপরে চলে গেছে। এ বছর যে ঘাটতি আছে তা হলো পিএ (প্রকল্প সাহায্য)। বিদেশি অনুদান ও প্রকল্প সাহায্যের টাকা সেভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। এ বছর নতুন পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী সপ্তাহে সচিবদের নিয়ে বসবো, যেন প্রকল্পের টাকা বছর শেষে শতভাগ বাস্তবায়ন করা যায়। প্রকল্প সাহায্যের টাকা খরচের নিয়ম-নীতি শেখানোর লক্ষ্যে পিডিদের (প্রকল্প পরিচালক) প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করবো। তবে সরকারি অর্থায়নের (জিওবি) অর্থ খরচের পরিমাণ ভালো।’।

‘কোথায় কি সমস্যা আছে সেগুলো চিহ্নিত করবো। মন্ত্রী, সচিব ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মিটিং করবো। যে সমস্ত মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে সাহায্যের পরিমাণ বেশি, সেসব মন্ত্রণালয় ভিজিট করবো’।

মন্ত্রীর আশাবাদ, ‘জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ থেকে আরও ওপরে উঠবে। এটা ৭ দশমিক ১০ থেকে ৭ দশমিক ১২ শতাংশও হতে পারে। রফতানি বাণিজ্য ও এডিপি বাস্তবায়ন ভালো হয়েছে বলেই প্রবৃদ্ধি বাড়বে। ব্যক্তি বিনিয়োগও অনেক বেড়েছে’।

‘বাংলাদেশে ব্যাংকে প্রাক্কলিত ঋণ সঞ্চালনের পরিমাণ ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এটা বেড়ে হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ’।

মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তদারকি করছেন। প্রতিটি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রতিমাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি মেগা প্রকল্পেরই কাজ সুন্দরভাবে চলছে, বাস্তবায়নের গতিও ভালো’।

‘এবার বড় প্রকল্প আসবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নির্মাণ প্রকল্প। চলতি বছরেই এটা অনুমোদন দিয়ে দেবো। প্রকল্পটির ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) করা হচ্ছে। এরপরেই ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) তৈরি করবো। পদ্মাসেতু হয়ে গেলে এ অঞ্চলে (গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর) আরও একটি অর্থনৈতিক হাব হবে। পদ্মাসেতুর পাড় মিনি ঢাকার চেয়ে বড় হওয়ায় এটি আরও একটি ঢাকা হবে’।

‘এ অঞ্চলটি ভারতের পাশেই। সুতরাং কলকাতাসহ ভারতের নানা অঞ্চলে বাণিজ্যিক কার্যক্রমও করতে পারবো’।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম


Share:

কুমিল্লায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, ৩ জনকে আটক


নিউজ ডেক্স: কুমিল্লা শহরের শুভপুর এলাকায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সেখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

কুমিল্লা র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করছে।

৩০ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে কুমিল্লার র‌্যাব সদস্যরা নগরীর শুভপুর এলাকার মসজিদের পাশের নয়ন ভিলা নামে বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করছে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় জানায়নি র‌্যাব।

এ বিষয়ে কুমিল্লা র‌্যাব-১১, এর কমান্ডার মুস্তাফা কায়জার জানান, র‌্যাবের অভিযান এখনও চলছে।
Share:

বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন ও করণীয়

স্বাস্থ্য ডেক্স: বুক  ধড়ফড় করা কোন রোগ নয়। রোগের উপসর্গ। আমাদের দেশে এ সমস্যা প্রচুর দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। বুক ধড়ফড় করলে সবাই ভয় পেয়ে যান। এই বুঝি প্রাণটা গেল। কিন্তু সবসময় যে জটিল কোন রোগের কারনে বুক ধড়ফড় করে তা নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ কিছু কারনে বুক ধড়ফড় হয়।

বুক ধড়ফড় আক্রান্ত রোগী এ সমস্যার বিভিন্ন রকম বর্ণনা দেন। অর্থাৎ বুক ধড়ফড় আক্রান্ত রোগীরা বিভিন্নভাবে তাদের সমস্যা চিকিৎসকের কাছে উপস্থাপণ করেন। কেউ শ্বাসকষ্টের কথা বলেন। কেউ বুকে ব্যথার কথাও বলেন। তাই চিকিৎসককে প্রথমেই সমস্যাটি ভালোভাবে বুঝে নিতে হয়।

বুক ধড়ফড় করার কারন:
১. বুক ধড়ফড় করার সবচেয়ে প্রধান কারন দুশ্চিন্তা।
২. রক্তস্বল্পতা থাকলেও বুক ধড়ফড় করে।
৩. অনেক সময় গর্ভাবস্থায় এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪. কারো থাইরোটক্সিকোসিস (দেহে অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোন তৈরির জন্য সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা) থাকলে বুক ধড়ফড় করে।
৫. আমাদের হৃৎপিন্ডে বিভিন্ন ভালব থাকে। ভালবগুলো একমুখী রক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করে। এই ভালবে সমস্যার কারনেও বুক ধড়্ফড়্ করে।
৬. হৃৎপিন্ডের বিভিন্ন জটিল রোগ (যেমন: AF, SVT, VT প্রভৃতি) থাকলে বুক ধড়ফড় করতে দেখা যায়।
৭. এছাড়া হৃৎপিন্ডের অলিন্দ এবং নিলয়ে যদি অতিরিক্ত সংকোচন হয় তবে মাঝে মাঝে খুব অল্প সময়ের জন্য বুক ধড়্ফড়্ হতে পারে। যারা অ্যালকোহল গ্রহণ করেন এবং ধূমপান করেন তাদের এমন বেশি হয়।
৮. অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভুগলেও হৃৎপিন্ডের অতিরিক্ত সংকোচন হয় এবং এতে বুক ধড়ফড় হতে পারে।

বুক ধড়ফড়-এর পেছনে ঠিক কি কারন লুকিয়ে আছে তা অভিজ্ঞ চিকিৎসক সহজেই বের করতে পারেন। একজন দক্ষ চিকিৎসক রোগীর ইতিহাস জেনে এবং শারীরিক পরীক্ষা করে উপরোক্ত রোগগুলো নির্ণয় করতে পারেন। তবে অনেক সময় নিশ্চিত হবার জন্য এক্সরে, ইসিজি, ইকো-কার্ডিওগ্রাম, এনজিওগ্রাম, ইটিটি টেস্ট এবং রক্তের কিছু পরীক্ষা করার দরকার হয়।

বুক ধড়ফড় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বড় কোন কারনে হয় না। তাই ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তবে যেহেতু হৃৎপিন্ডের জটিল কিছু রোগের কারনে এমনটি হতে পারে, তাই বুক ধড়ফড় করলে অবহেলা করা উচিত নয়। দ্রুত একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখানো উচিত এবং কারন খুঁজে চিকিৎসা করা উচিত। তা না হলে অকালেই ঝরে যেতে পারে অমূল্য প্রাণ।
 
লেখক: ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির ভূঁইয়া, সহকারী রেজিস্ট্রার, লিভার রোগ বিভাগ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
Share:

শিশুর ডায়রিয়া হলে ৭টি করণীয়

হেলথ ডেক্স: ডায়রিয়া বাচ্চাদের খুব পরিচিত একটা রোগ। এই সময় রোগটির প্রকোপও বেশি। ডায়রিয়া মূলত খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ। অর্থাৎ খাবার ও পানির মাধ্যমে জীবাণু শরীরের ভেতর প্রবেশ করে। ডায়রিয়া সাধারণত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। ডায়রিয়ার সবচেয়ে বড় জটিলতা হচ্ছে পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতা হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে, এমনকি শিশু মারাও যেতে পারে। ডায়রিয়া সাধারণত তিন ধরনের। যেমন:

১. একিউট ওয়াটারি ডায়রিয়া (Acute Watery Diarrohea): পাতলা পায়খানা যদি ১৪ দিনের কম স্থায়ী হয় এবং পায়খানার সাথে কোন রক্ত না যায়।

২. পারসিসটেন্ট ডায়রিয়া (Persistent Diarrohea): পাতলা পায়খানা ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হলে।

৩. ডিসেন্ট্রি (Dysentery): রক্তমিশ্রিত পায়খানা।

চলুন জেনে নেয়া যাক একিউট ওয়াটারি ডায়রিয়া (Acute watery Diarrhea) বা সাধারণ পাতলা পায়খানার লক্ষণ ও হলে কি করনীয়।

কোন শিশুর দিনে ৩ বারের অধিক পাতলা পায়খানা হলে এবং পায়খানার সাথে কোন রক্তমিশ্রিত না থাকলে তা সাধারণ পাতলা পায়খানা হিসাবে ধরে নিতে হবে। এর কারন প্রধানত রোটা ভাইরাস, E. coli বা Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়া। এ সময় পাতলা পায়খানার সাথে শিশুর হালকা জ্বর ও বমি থাকতে পারে।

বিপদজনক লক্ষণ:

 ডায়রিয়ার কিছু বিপদজনক লক্ষণ আছে যা সবার জানা প্রয়োজন। এর কোন একটা লক্ষণ দেখামাত্র চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে। লক্ষণগুলো হচ্ছে-

১. শিশুর নিস্তেজ হয়ে পড়া,

২. চোখ বসে যাওয়া,

৩. বুকের দুধ টেনে খেতে না পারা,

৪. অন্য কোন তরল খাবার না খাওয়া বা খুব কম পরিমানে খাওয়া,

৫. বারবার বমি করা।

করণীয়:

 ১. ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ায় পানিশূন্য হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ফলে শিশুকে বারবার তরল খাবার যেমন: ডাবের পানি, চিড়ার পানি, ভাতের মাড়, টক দই ও লবণ-গুড়ের শরবত ইত্যাদি বেশি করে খেতে দিতে হবে।

২. তরল খাবারের পাশাপাশি খাওয়ার স্যালাইন দিতে হবে। শিশুর ওরস্যালাইন এর পরিমান হচ্ছে, প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২৪ মাসের কম বয়সী শিশুর জন্য ৫০-১০০ মিলি, ২-১০ বছর বয়সী ‍শিশুর জন্য ১০০-২০০ মিলি এবং ১০ বছর এর অধিক বয়সীদের জন্য চাহিদা অনুযায়ী।

৩. যারা বুকের দুধ খায় তাদেরকে বারবার বুকের দুধ দিতে হবে।

৪. শিশু যদি বমি করে তাহলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার খাওয়াতে হবে।

৫. তাজা ফলের রস দিলে পটাশিয়াম এর ঘাটতি পূরণ হবে।

৬. ডায়রিয়া ভাল হয়ে গেলেও পরবর্তী ২ সপ্তাহ শিশুকে এরকমভাবে বাড়তি খাবার প্রতিদিন দিতে হবে।

৭.
চিকিৎসক এর পরামর্শ ব্যতীত কোন অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোন ওষুধ শিশুকে খাওয়ানো যাবে না (যেটা অনেক বাবা মা করে থাকেন)।

মনে রাখতে হবে, ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতার কারনে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর হার এখনো অনেক বেশি। কিছু সামাজিক কুসংস্কারের কারনে আক্রান্ত শিশুকে সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা হয় না বলেই আমাদের দেশের চিত্রটা এমন। কিন্তু সঠিক জ্ঞান থাকলে ঘরে থেকেই ডায়রিয়া জনিত পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

তথ্যসূত্র: সুস্বাস্থ্য২৪
Share:

সব দলের প্রতিনিধি নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি করা হবে: সৈয়দ আশরাফ


নিউজ ডেক্ষ: স্থানীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটিতে সবাইকে অর্ন্তভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ডিসিদের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। বৈঠকে জেলা প্রশাসকরা বাসস্থান, পরিবহন, চালকদের বেতনসহ অন্যান্য সুবিধা ও ছোটখাট বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এবং এসব চাওয়া পাওয়া পুরণের আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী কমিটি অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় পর্যায়ের এসব কমিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিটি ভূমিকা রাখবে।

সন্ত্রাসবিরোধী কমিটিতে নির্বাচিত বিএনপি-জামায়াতের জনপ্রতিনিধি অর্ন্তভুক্ত করা হবে কিনা জানতে চাইলে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘অফকোর্স করা হবে। স্থানীয় সরকার, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা সবাইকে অর্ন্তভুক্ত করা হবে। এটা (কমিটি) কোনো দলীয় অঙ্গ সংগঠন হবে না।’

জেলা পর্যায়ের সন্ত্রাসবিরোধী কমিটিতে সবদলকে রাখা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন স্থানীয়ভাবে এটা করা হয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তাদেরকে নিয়ে এটি করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরো বিস্তার করা হবে।

তিনি বলেন, ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে প্রশাসন সবসময় গতিশীল থাকে। আমরা সবসময় যেটা বলি যে আমরা দেখতে চাই প্রশাসন যেন অলটাইম গতিশীল থাকে। সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা। সেই কাজে মাঠ প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছে।’ পুলিশের সঙ্গে ডিসিদের সমন্বয়হীনতা নেই বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জনমত গঠনে জেলা প্রশাসকরা গরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিশেষ নির্দশনার কথাও জানান সৈয়দ আশরাফ। তিনি বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে অনেকবার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীরাও এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। জেলা প্রশাসকদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা। মাঠ প্রশাসন এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে।’ এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় ডিসিরা সবসময় প্রস্তুত বলেও জানান মন্ত্রী।

জাতীয় ঐক্য নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা (ডিসি সম্মেলন) রাজনৈতিক প্লাটফরম তো না, সেটা এখানে এ বিষয়ে উল্লেখ করতে চাই না। নিশ্চয় কাল পরশু পাবেন এ বিষয়ে কথা বলতে। তিনি এ নিয়ে বেশি কথা বলতে রাজি হননি।

মন্ত্রী বলেন, গল্প করার জন্য কিন্তু এই ডিসি সম্মেলন না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু আসে এসব ইস্যু মোকাবিলা করার জন্য আমরা ওদের থেকে মাঠ পর্যায়ের অবস্থা জানতে চাই, তারাও আমাদের জানিয়ে থাকেন। আমরা সবকিছু সমন্বয় করে কাজ করতে চাই। একটা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব কিন্তু অনেক অনেক বেশি। আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সববিষয়ে তারা জড়িত। এখানে তারা সবকিছু নিয়েই তাদের বক্তব্য রাখেন আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন আমরাও শেয়ার করি। জেলা প্রশাসকের পদটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সঙ্গে ইন্টারেকশন বাড়াতে এই ডিসি সম্মেলন।

তথ্যসূত্র: নতুনসময়

Share:

পুরুষ জঙ্গীদের পাশাপাশি সক্রিয় হচ্ছে নারী জঙ্গিরা!

নিউজ ডেক্ষ: দেশের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক নারী জঙ্গিদের আটকের ঘটনায় উগ্র সংগঠনগুলোর নারী শাখার দিকে শঙ্কিত চোখে তাকাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জেলা পর্যায়ে পাড়ায়-মহল্লায় ধর্মপ্রচারের এবং ছোট-ছোট সাপ্তাহিক ধর্মসভার আড়ালে কার্যক্রম চালাচ্ছে নারী জঙ্গিরা। বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে নারীদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করার বিষয়ে কিছুটা বেগও পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। পুলিশ বলছে, নিয়মিত নজরদারির পর ভেবেচিন্তে এ নারীদের আটক করা হচ্ছে। এ নারীদের বিষয়ে এখন তাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য আছে।

নারী জঙ্গিদের আটক করা ও শনাক্ত করার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, সম্প্রতি ঢাকার বাইরে বেশকয়েকটি জায়গায় সন্দেভাজন নারীদের আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশের সামাজিক বাস্তবতায় নারীদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা হুট করে শনাক্ত করা মুশকিল। তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর রয়েছে। এবং কার্যক্রম নজরদারিতে রাখার পর তাদের আটক করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও হিজবুত তাহরির এখন অনেকবেশি নির্ভর করছে তাদের নারী সংগঠকদের ওপর। বেশকিছুদিন থেকেই নতুন রিক্রুটমেন্ট বা গোপন সভার খবরাখবর দেওয়ার কাজ নারীদের দিয়েই করানো হচ্ছে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরুষ নেতাকর্মীরা একটু গা ঢাকা দিয়ে নারীদের দিয়েই সাংগাঠনিক কাজগুলো সক্রিয় রাখছে। গোয়েন্দরা বলেন, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বা জেএমবি-র সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর যোগাযোগ থাকতে পারে।

এ সংগঠনগুলো নারীকর্মীদের দিয়ে দৃশ্যমান কাজগুলো করানোর প্রমাণ মেলে সিরাজগঞ্জে জঙ্গি সন্দেহে আটক নারীদের কর্মকাণ্ড থেকেও। খেটে খাওয়া মানুষদের কাছে তারা ধর্মের বাণী প্রচার করতেন তারা। কিন্তু এর আড়ালে চালাতেন জঙ্গি তৎপরতা। নারী হওয়ায় কেউ সন্দেহ করবে না এমন বিশ্বাসে সিরাজগঞ্জের একটি টিনশেড বাসা ভাড়া নিয়ে সপরিবারে খুব গোপনে দলে নতুন সদস্য বাড়ানোর চেষ্টাও চালাচ্ছিলেন চার নারী। পুলিশের দাবি, এই চার নারী নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।

গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে সন্দেহভাজন একাধিক জঙ্গিকে আটক করার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আটকের বিষয়ে বরাবরের মতোই মুখ বন্ধ করে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত রোববার ভোররাতে সিরাজগঞ্জ শহরের মাছুমপুর মহল্লার উত্তরপাড়ায় হুকুম আলীর ভাড়া বাড়ি থেকে আটক করা হয় চার নারীকে। তাদের হেফাজত থেকে ছয়টি হাতবোমা, গ্রেনেডের চারটি খোল, নয়টি জিহাদি বই, ডেটোনেটর, সুইচ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এরও আগে গুলশান হামলায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে নরসিংদী থেকে রুমা আক্তার (৩৫) নামে এক নারীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। যদিও তার পরিবারের দাবি, রুমা মানসিক ভারসাম্যহীন।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছে তারা। গত ২৩ জুলাই গোপন বৈঠককালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আটিয়াতলী এলাকার একটি বাসা থেকে জামায়াতের ১১ নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

এছাড়া, জামায়াতের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ায় অভিযান চালিয়ে জলি খাতুন (২৮) নামে জামায়াতের এক নারীকর্মীকে আটক করে পুলিশ। জলি খাতুন জামায়াতের একজন সক্রিয় কর্মী। সে দীর্ঘদিন এ এলাকায় তার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছিলো। তবে কী ধরনের প্রশিক্ষণ তা এখনও জানা যায়নি। নারী হওয়ায় তার কর্মকাণ্ড সন্দেহের চোখে দেখা হয়নি বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

বছর দুয়েক ধরে হিযবুত তাহরীরের নারী সংগঠন কাজ করছে। যদিও ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে রাজধানীসহ সারাদেশে সংগঠনটির কর্মীরা যেমন সক্রিয় আছে ঠিক তেমনই বাড়ছে নারীকর্মী যাদের তারা মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।

এ বিষয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, আমরা আগে থেকেই বলে আসছি এ ধরনের জঙ্গি সংগঠনগুলো নানা কৌশলে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে। কঠোর হাতে এদের দমনের বাইরে এ কৌশল থামানোর আর কোনো উপায় নেই। তারা যখন সমাজে নানা কারণেই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তখন কার্য হাসিলের জন্য নারী উইংকে ব্যবহার করছে।

তথ্যসূত্র: নতুনসময়

Share:

গুলশান হামলার ‘মূলহোতা’ তামিম ভারতে

নিউজ ডেক্স: গুলশান হামলার পরিকল্পনাকারী কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) অন্তত পাঁচ সদস্য ভারতে প্রবেশ করেছে বলে সন্দেহ করছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে সেই পাঁচ সন্দেহভাজনের নামের তালিকা ভারত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সে দেশে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য নুরুল হক মণ্ডল ওরফে নাইমকে ফেরত দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ভারত সফররত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এক বৈঠকে সন্দেহভাজন ৫ জেএমবি সদস্যের ব্যাপারে আলোচনা করেন। সেই বৈঠকেই নাইমকে দেশে ফেরত পাঠানোর এ অনুরোধ জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সংক্রান্ত দুইটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সে দেশে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্য নুরুল হক মণ্ডল ওরফে নাইমকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর কলকাতা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শাকিল গাজী ও করিম শেখ নামের দু্ই ব্যক্তি নিহত হন। এনআইএর দাবি অনুযায়ী তারাও জেএমবির সদস্য ছিলেন। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএর দাখিল করা অভিযোগপত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে হটানোর বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অন্যতম নেপথ্য ব্যক্তি এই নাইম।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপটে নাইমকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে তাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। অনুরোধ বিবেচনা করে দেখতে সম্মত হয়েছেন রাজনাথ সিং।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার দাবি অনুযায়ী, এনআইএর জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছিলেন, তিনি বাংলাদেশে গিয়ে যাত্রাবাড়ী ও মিরপুরে প্রায় দেড় বছর কাটিয়েছিলেন। সেখানে বশির ওরফে তালহা ও আনিস ওরফে কাউসারের কাছে বোমা তৈরির ওপর প্রশিক্ষণ নেন। বশির জেএমবির জ্যেষ্ঠ সদস্য সাইদুর রহমানের ছেলে।

অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুলশান হামলার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়ার মতো ভারতীয় রাজ্যগুলোকে সতর্কতায় রাখা হয়েছে। সে সতর্কতার মধ্যেই এবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ সন্দেহভাজন জঙ্গির তালিকা ভারতকে দেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) যে ৬৮ জন নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করেছে তার মধ্যে ওই পাঁচজনের নাম রয়েছে। বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী, তারা সবাই জেএমবির কর্মী। তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ।

পাঁচ সন্দেহভাজনের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরীও রয়েছেন। তাকে গুলশান হামলার হোতা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠী এবং আইএস-এর সঙ্গে তার সংযোগ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
খবরে বলা হয়, তামিম চৌধুরী আবু ইব্রাহিম আল হানিফ চৌধুরী নামেও পরিচিত। ২০১৬ সালে আইএসের কথিত প্রপাগান্ডা ম্যাগাজিন দাবিক-এ তার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। কানাডাবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসে।

তথ্যসূত্র: নতুন সময়
Share:

Thursday, July 28, 2016

সাদা মনের ‘কালো মানিক’ সিরাজুল আলম

মো: মাসুদ রানা, প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম 

নাঙ্গলকোট: কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব এনকেএম সিরাজুল ইসলাম একজন খ্যাতিমান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। বতমান সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব আ.হ.ম মোস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে গত ২০১৫ সালের জুন মাসে নির্বাচিত হয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

রাজনীতিতে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনৈতিক অঙ্গণে পদচারণা শুরু করেন। পরবর্তীতে রাজনীতির পাশাপাশি ১৯৭৯ সালে বটতলী এ. মতিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে মহান পেশায় নিজেকে যুক্ত করেন।


রাজনীতে সিরাজুল আলম বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, গনতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সিরাজুল আলমের অমায়িক ব্যবহার ও নি:অহংকারী হওয়ার কারণে ছাত্র, যুবক, সুধিজন, গুনীজনসহ আওয়ামী ঘরানার বাইরেও অন্যান্য মতাদর্শীদের কাছে তিনি সমানভাবে সমাদৃত। গায়ের রং কালো হলেও মনটা তার একদম সাদা। তাই এলাকায় অনেকেই তাকে ‘কালো মানিক’ বলে ডাকেন। 

বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সিরাজুল আলমের সক্রিয় অংশগ্রহনের কারণে আশির দশকে তাকে দৌলখাঁড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে দেয়া হয়। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের পর তিনি একাধারে দৌলখাঁড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তীতে নাঙ্গলকোটের এক সময়ের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য মরহুম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া তাকে নাঙ্গলকোট থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করেন। উক্ত দায়িত্বের পর তিনি একাধারে থানা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ও যুগ্ম –সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।

রাজনীতির পাশাপাশি সিরাজুল আলম সমাজসেবক ও জনদরদী ব্যক্তিত্ব হিসেবেও সুপরিচিত। সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে তাঁর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তিনি বিভিন্নভাবে এলাকার গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষকে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন বিভিন্ন শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক সংগঠনের দায়িত্বও নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: বটতলী সমাজ কল্যান সমিতির সভাপতি, বটতলী ইয়ুথ ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান, বটতলী মুজিব সেনা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, দৌলখাঁড় অনুসারী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, আইটপাড়া আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসার গভনিং বড়ির সভাপতি, কাশিপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন। 

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ রূপকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় সাংসদ ও সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামালের (লোটাস কামাল)সহযোগীতায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্াকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই আগামীতেও কালো মানিক খ্যাত সিরাজুল আলমকে চেয়ারম্যান হিসেবে পাওয়ার আশা করছেন স্থানীয় লোকজন।
Share:

কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গিদের ৮ জনের পরিচয় মিলেছে

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম
 

নিউজ ডেক্স: রাজধানীর কল্যাণপুরে স্টর্ম-২৬ জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত নয়জনের মধ্যে আটজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে ব্যবহৃত ফিঙ্গার প্রিন্টের সঙ্গে ওই আট জঙ্গির ফিঙ্গার প্রিন্টের মিল পাওয়া গেছে।


২৭ জুলাই  সন্ধ্যা থেকে ২৮ জুলাই সকাল পর্যন্ত মোট আট জঙ্গির পরিচয় পাওয়া গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

১. আব্দুল্লাহ, বাবা মো. সোহরাব আলী
মা মোসা. মোসলেমা খাতুন
গ্রাম ভল্লবপুর, থানা নবাবগঞ্জ, জেলা দিনাজপুর।
এনআইডি-২৭২০৪৯০০০০৩০
জন্ম তারিখ: ১৫-০১-১৯৯৩।

২. আবু হাকিম নাইম
বাবা নুরুল ইসলাম
মা মোসা. হালিমা
গ্রাম কুয়াকাটা, থানা কলাপাড়া, জেলা পটুয়াখালী।
এনআইডি-৭৮১১০৩০০০৩৬৯
জন্ম তারিখ: ১৫-০১-১৯৮৩।

৩. তাজ-উল-হক রাশিক
বাবা রবিউল হক
মা জাহানারা বেগম
ওয়ার্ড নং-১৫; বাসা ৭২, রোড ১১/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা।
এনআইডি-২৬১৩৫০০০০৩৯৭
জন্ম তারিখ: ০৫-১২-১৯৯১।

৪. মো. মতিয়ার রহমান
বাবা নাসির উদ্দিন সরদার
মা মোসা. খাইরুন্নেসা
গ্রাম ওমরপুর, থানা তালা, জেলা সাতক্ষীরা
এনআইডি-৮৭০১৮১০০০০০৩
জন্ম তারিখ ০১-০১-১৯৯২।

৫. আকিফুজ্জামান খান
বাবা সাইফুজ্জামান খান
মা শাহানাজ নাহার
বাসা ২৫, রোড ১০, গুলশান, ঢাকা।
এনআইডি-২৬১১০৬০০১০০৬
জন্ম তারিখ: ১১-০৯-১৯৯২।

৬. সাজাদ রউফ অর্ক
বাবা তৌহিদ রউফ
ঠিকানা: থানা ভাটারা এলাকা, ডিএমপি, ঢাকা।
পাসপোর্ট নং- ৪৭৬১৪৫৯৯২ (যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক)
এছাড়া বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
এনআইডি-২৬২১৮৬০০০৫৩৬
জন্ম তারিখ: ০৬-০২-১৯৯২।

৭. মো জোবায়ের হোসেন (২০)
বাবা আব্দুল কাইয়ূম; মা আয়েরা বেগম
গ্রাম পশ্চিম মাইজদী আব্দুল্লাহ মেম্বারের বাড়ি
থানা সুধারাম, জেলা নোয়াখালী
এনআইডি-৭৫০৯৮১০০০৪৭৯
জন্ম তারিখ ০১-০১-১৯৯৬।

৮. মো. রায়হান কবির ওরফে ফারুক (২৮)
বাবা শাহজাহান কবির; গ্রাম পুরশুরা টাঙ্গাইল
উপজেলা পীরগাছা; জেলা রংপুর
পীরগাছা উপজেলার একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত জঙ্গিদের আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। ২৮ জুলাই রাত দেড়টায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

Share:

তথ্য-প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ : জয়

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

আইসিটি ডেক্স:
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে আয়ের দিক থেকে তথ্য-প্রযুক্তি খাত তৈরি পোশাক শিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে। বুধবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও এ সরকারের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগ ও বাংলালিংকের যৌথ উদ্যোগে দেশের প্রথম ‘আইটি ইনকিউবেটর’ উদ্বোধন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ আগামীতে বিশ্বে তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাস থেকে বলছি না। আমি জানি বাংলাদেশ আগামীতে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে। এ সময় তিনি আইটি খাতে বিভিন্ন সফলতা ও তরুণদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রশংসা করেন।’

জয় বলেন, ‘আমি আপনাদের আইডিয়া দেখেছি, আপনাদের কাজ দেখেছি, আমি এখন শুধু আত্মবিশ্বাসীই নই, আমি জানি বাংলাদেশ আগামীতে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে।’

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য অর্জনে চর্চা করতে হবে, সময় দিতে হবে। কীভাবে প্রযুক্তিকে আরও সহজ করা যায় তার সমাধান খুঁজতে হবে। মেধা ও কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। সরকার তরুণদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আইটিসহ বিভিন্ন সেক্টরে তরুণদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ রাখা হয়েছে সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।’

তথ্য-প্রযুক্তি ও জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমাদের নতুন নতুন উদ্ভাবন করতে হবে, তথ্য-প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। আইটি বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, সরকার আইটি ইন্ড্রাস্ট্রিসকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য সরকার পলিসি পরিবর্তন করেছে। আমরা সহজে সবার কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর সেক্রেটারি জেনারেল হাউলিন ঝাউ, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোসনে আরা বেগম, ভিম্পেলকমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অগি কে ফাবেলা, বাংলালিংকের সিইও এরিক অস্।

তথ্য: সংগৃহীত
Share:

মেসির জন্যই খেলেন নেইমার!


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

স্পোর্টস ডেক্স : অলিম্পিকে গোটা ব্রাজিল দলের স্বপ্ন যদি নেইমারকে ঘিরে পরিচালিত হয় সেটাকে বরং তিনি ইতিবাচকভাবে নিতে চান। বার্সেলোনার উদাহরণ টেনে খুঁজে নিতে চান এই চাপ থেকে মুক্তির উপায়। বলেন, ‘বার্সেলোনায় দারুণ দারুণ সব খেলোয়াড় আছে, কিন্তু বার্সেলোনায় তো আমরা সবাই মেসির জন্য খেলি।’

২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে একবার দেশের মানুষের প্রত্যাশার চাপ বইতে হয়েছে নেইমারকে। দলকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ-যাত্রা থমকে যায়। নেইমার অবশ্য দুঃস্বপ্নের সেই ম্যাচটি চোটের কারণে খেলতে পারেননি।

দুই বছর বাদে আবারো প্রত্যাশার চাপ। এবার অলিম্পিকের আসর। পাঁচবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের অলিম্পিক গৌরব আবার শূন্য, ব্রোঞ্জ আর রুপা জিতলেও সোনা যে জেতা হয়নি। এবার নেইমারকে সেটি এনে দিতেই হবে। অলিম্পিকটাও যে এবার হচ্ছে ব্রাজিলের রিওতে।

ব্যাপারটা রীতিমতো চাপই হয়ে এসেছে নেইমারের দলের জন্য। তবে নেইমার নিজে ব্যাপারটি মোটেও পাত্তা দিতে চান না, ‘দেখুন, জয়টা কিন্তু দারুণ ব্যাপার। চাপ থাকবে। চাপ ফুটবলেরই অংশ। আমি আছি এই চাপ সামলাতে। মাঠে নামার সময় চাপ আপনাকে ঘিরে থাকবেই। এটা খেলারই অংশ।’

চাপ সামলানোর শক্তিটা তিনি তার বার্সেলোনা সতীর্থ মেসির কাছ থেকেই নিতে চান, ‘আমি নিজের সম্পর্কে বলতে পছন্দ করি না। কিন্তু আমি এখানে বার্সেলোনার উদাহরণ টানতে পারি। বার্সায় দারুণ সব খেলোয়াড় আছে। কিন্তু কেউ কি অস্বীকার করবে যে আমরা সেখানে মেসির জন্য খেলি না? অবশ্যই আমরা বার্সেলোনায় মেসির ওপর নির্ভরশীল।

তথ্য: সংগৃহীত
Share:

Monday, July 25, 2016

১৫শ জন কোরআন হাফেজের শিক্ষক ৮৫ বছর বয়সী খ্রিষ্টান!

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম
 
ইসলাম ডেস্ক : মিশরের ৮৫ বছরে এক খ্রিষ্টান ব্যক্তি কোরআনের হাফেজ এবং দীর্ঘদিন যাবত কোরআন প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। এপর্যন্ত তিনি ১৫০০ অধিক মুসলিম শিশুকে কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন। 

মিশরের কাপটিক-ইসলামী (খ্রিষ্টান ও মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা) প্রদেশর সমূহের একটি অন্যতম প্রদেশ মিশরের 'মিনিয়া' প্রদেশ। এই প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহর এবং গ্রামে মুসলমানদের তুলনায় খ্রিষ্টানদের সংখ্যা অধিক।


এই প্রদেশের 'তাহনান' নামক একটি গ্রাম। সম্প্রতি এই গ্রামে খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আর এর ফলে মিশরের মিডিয়ার শিরোনামে এই অজানা গ্রামের কথা উঠে আসে।

খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষ ছাড়াও বিভিন্ন কার্যক্রমে সংগঠিত হয়েছে, যারফলে দুই গ্রুপের মধ্যে শান্তি স্থাপন হয়েছে এবং তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গ বৃদ্ধি পেয়েছে। কর্মসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খ্রিষ্টান বৃদ্ধার কোরআন প্রশিক্ষণ দেয়া। 

মিশরের ৮৫ বছরে খ্রিষ্টান ‘ইয়াদ হানা শাকের’ কোরআনের হাফেজ এবং দীর্ঘদিন যাবত কোরআন প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। ‘ইয়াদ আল আরেফ’ নামে প্রসিদ্ধ ইয়াদ শাকের। তিনি নিজে খ্রিষ্টান এবং একটি গির্জায় কর্মরত রয়েছেন।
ইয়াদ যুবক বয়সে কোরআন হেফজ করেন এবং তখন থেকেই কোরআন প্রশিক্ষণ দেন। এপর্যন্ত ১৫০০ জন মুসলিম শিক্ষার্থীকে কোরআন হেফজ প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

গ্রামের গির্জার একটি রুমে তিনি থাকেন এবং তিনি একটি মকতব খানারও পরিচালক। ইয়াদ হানা তার মকতব খানায় মুসলমানদের কোরআন প্রশিক্ষণ দেন এবং খ্রিষ্টানদের বাইবেল প্রশিক্ষণ দেন।

এপর্যন্ত ১৫০০ জন মুসলিম শিশুকে কোরআন প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং তারা সকলেই কোরআনের হাফেজ হয়েছেন।
ইয়াদ হানা তার কোরআন শিক্ষার ব্যাপারে বলেন, আমার পিতা একজন খ্রিস্টান যাজক ছিলেন। মুসলমানদের বিভিন্ন (শোক) অনুষ্ঠানে তিনি বক্তৃতা প্রদান করতেন। তার বক্তৃতায় তিনি পবিত্র কোরআনের আয়াত ব্যক্ত করতেন এবং সেই সম্পর্কে আলোচনা করতেন। আমি আমার পিতার নিকট হতে কোরআন শিখি।

তিনি বলেন, যুবক বয়সে সরকারী চাকরি করার জন্য আমাকে প্রস্তাব দেয়া হয়। আমি সেই চাকরির প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দেই এবং তখন থেকে সিদ্ধান্ত নেই, গ্রামের মানুষদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করব। তাহনান গ্রামের গির্জার পাশে একটি রুম নির্মাণ করে এবং তখন থেকেই ঐ রুমে আরবি ভাষা, ইসলাম ও খৃষ্টান ধর্মের শিক্ষা প্রশিক্ষণ দেন।

মুসলিম শিশুদের কোরআন প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি নিজে কোরআন শেখার পর সিদ্ধান্ত নেই, মুসলমানদের কোরআন শিক্ষা প্রদান করব।
 
তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট/ইকনা
Share:

Sunday, July 24, 2016

৩০০ টাকা বরাদ্দ হলে ১৫০ টাকা যায় এমপির পকেটে

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক :
দরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি ‘টিআর ও কাবিখা’ বরাদ্দের ৮০ শতাংশই চুরি হয়ে যায় বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ (একাংশ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলে ১৫০ কোটি টাকা (অর্ধেক) যায় এমপিদের পকেটে। বাকি ১৫০ কোটি টাকার সিংহভাগ যায় চেয়ারম্যান-মেম্বাদের পকেটে। আমরা চোখ বন্ধ করে এ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছি।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

রবিবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পিকেএসএফ ভবনে ‘গ্লোবাল সিটিজেনস ফোরাম অন সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট সামিট ২০১৬’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব এমপিই হয়তো চুরি করেন না। কিন্তু বেশির ভাগ এমপিই এ কাজটি করে থাকেন। এ জন্য উন্নয়ন বাজেটের অর্থ সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে দেওয়া উচিত। এতে উন্নয়ন বৈষম্য কমে আসবে।

পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ সামিট ২০১৬'র আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়েরে সচিব মনজুরুল ইসলাম ও বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও নিউইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন।
 
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত
Share:

গুলশান হত্যাকাণ্ডের মূল হোতার চিহ্নিত: পুলিশ কমিশনার

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স
গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার হোতাদের চিহ্নিত করার কথা জানিয়ে ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, জড়িতদের ধরা এখন সময়ের ব্যাপার।


রোববার নিজের কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “হলি আর্টিজানের বিষয়টি উদঘাটন করতে পেরেছি। সবাইকে গ্রেপ্তার করা সময়ের ব্যাপার। সে কাজ অব্যাহত রয়েছে।”
গত ১ জুলাই গুলশানে নজিরবিহীন সেই জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। পরদিন সকালে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডে অভিযানে হামলাকারী ৫ জঙ্গি নিহতসহ ছয়জন নিহত হন। জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩ জনকে।

মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি দল আইএস গুলশান হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে খবর এলেও বাংলাদেশের পুলিশ বলছে, জেএমবি ও সমমনা দেশীয় জঙ্গিদলগুলোই রয়েছে ওই হামলার পেছনে।
ওই ঘটনায় যে মামলা করা হয়েছে তাতে কমান্ডো অভিযানে নিহত ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া হামলাকারীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে নর্থ সাউথের উপ-উপাচার্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ঘটনার ২২ দিন পর রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বলেন, “কারা কীভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার সূত্র পেয়েছি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।"
তদন্তে ‘যথেষ্ট সাফল্য’ পাওয়ার দাবি করে তিনি বলেন, “অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনতে পারব। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Share:

মশা কানের কাছে ঘুরঘুর করার রহস্য

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

নিশ্চয়ই আপনার অনেকবার মনে হয়েছে, কেন মশা বারবার আমাদের কানের কাছেই উড়ে বেড়ায়? তাহলে জেনে নিন, জীববিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলছেন।

মশা মানবদেহকে চিহ্নিত করে শরীরের উষ্ণতা, আর্দ্রতা আর মানবশরীর থেকে নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাধ্যমে। আমরা কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত করি নিঃশ্বাসের সময় নাক ও মুখ দিয়ে। ফলে আমাদের মাথাকে মশারা খুব চট করে চিহ্নিত করতে পারে। সেই কারণেই মশাদের স্বাভাবিক প্রবণতা হলো মাথার আশেপাশে ঘুরঘুর করা। কিন্তু বেছে বেছে কানের কাছেই কেন আসে তারা?

জীববিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন,  কানের প্রতি মশাদের আলাদা কোনো আকর্ষণ নেই। তবে, কানের কাছে যখন কোনো কারণে তারা উড়তে উড়তে চলে আসে তখনই তাদের পাখার পোঁ পোঁ আওয়াজ আমরা শুনতে পাই। শরীরের অন্যান্য অংশের কাছাকাছি যখন তারা ঘোরে তাদের ডানা থেকে একই রকম শব্দ নির্গত হয়, কিন্তু সেই ক্ষীণ আওয়াজ আমরা তখন শুনতে পাই না।
 
তথ্যসূত্র: নতুনসময়.কম



Share:

বিয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ৩ ধরনের নারী!

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

রাশি মানুষের চরিত্রের অনেক না-বলা কথা বলে দেয়। বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রী বা পাত্রী নির্বাচনের সময় রাশিকে গুরুত্ব দেন বহু মানুষ। সেই `রাশিবিচার`ই বলছে, তিন ধরনের নারী বিয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।


ক্যান্সার `ক্যুইন` :
স্বামীর জন্য প্রেমের কোনো ঘাটতি নেই কর্কট নারীর। মন উজাড় করে ভালোবাসে এরা। শুধু তাই নয়, এদের হাতে রান্নার জাদু রয়েছে। স্বামী-সন্তান নিয়ে পরিবারই এদের কাছে সব। তাই এধরনের নারীকে চোখ বুজে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারেন। সারা জীবন সুখে থাকবে। স্বামীর কাছ থেকে এদের দাবি শুধুই সততা ও ভালোবাসা।

`এমপ্রেস` এরিজ : এরিজ বা মেষ রাশির নারীর প্রেমে একবার যে পড়েছে, একমাত্র সে-ই জানে এর মজাটা কোথায়। অত্যন্ত ঋজু ব্যক্তিত্বের মানুষ হন এরা। জীবন ও সম্পর্কের প্রতি এদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই পজেটিভ। এরিজ নারীদের সঙ্গে সম্পর্কে কখনও মরচে পড়ে না। সবসময় একটা বেশ `নতুন নতুন` ব্যাপার থাকে। এরিজ নারীর সাহচর্যে একজন স্বামীর কেরিয়ারে ও সামাজিক উন্নতি নিশ্চিত। এধরনের নারীরা খুবই বাস্তববাদী হন। একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষই এদের প্রথম পছন্দের তালিকায় স্থান পায়।

`রুলার` লিও : লিও বা সিংহ রাশির নারীরা যোদ্ধা। যেকোনো বিপদ থেকে এরা আপনাকে শক্ত হাতে রক্ষা করবে। এদের মানসিক শক্তি অসাধারণ। যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে এরা পিছপা হন না। এরা কখনো আবেগের জোয়ারে ভাসেন না। কোনো সাধারণ পুরুষ এদের পছন্দের নয়। অসাধারণ ব্যক্তিত্বের জন্যই এরা অন্যদের থেকে আলাদা। স্বামী অন্ত প্রাণ। খুব গভীর সম্পর্কে এরা বিশ্বাস করেন। দায়িত্ববান। সবরকম বিপদ থেকে সত্যিই `সিংহীর মত` স্বামী-সন্তানকে আগলে রাখেন। আঁচও পড়তে দেন না।
 

তথ্যসূত্র: নতুনসময়.কম



Share:

স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল মুস্তাফিজের

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডে খেলতে যাওয়া। একদিন যেতে না যেতেই  নতুন কন্ডিশনে মাঠেও নেমে পড়া। মাঠে নেমেই দুর্দান্ত অভিষেকে আবারও সারা বিশ্বে শোরগোল ফেলা দেওয়া, সবই যেন স্বপ্নের মতো হচ্ছিল মুস্তাফিজুর রহমানের। কিন্তু স্বপ্নটা দীর্ঘস্থায়ী হলো না তাঁর। ইনল্যান্ডের ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের দ্বিতীয় ম্যাচটি ভালো কাটেনি দ্যা ফিজের। তাঁর দলও সাসেক্স৬ উইকেটে হেরেছে সারের কাছে।

১৯তম ওভারে মুস্তাফিজ যখন বল করতে এলেন, জয়ের জন্য প্রতিপক্ষের তখন দরকার মাত্র ৮ রান। ১২ বলে ৮ রানের এই সহজ সমীকরণ মেলাতে ক্রিস মরিসের লাগল মাত্র ২ বল প্রথম বলে ২ রান নিয়ে দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাকিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় সারে। ফলাফল সাসেক্স হেরে গেল ১০ রান বাকি থাকতেই।

আজ প্রথম ওভার থেকেই মুস্তাফিজ ঠিক মুস্তাফিজ মনে হয়নি। এরপর এলেন তাকে বোলিংয়ে আনলেন চতুর্থ ওভারে। প্রথম ৪ বলে ২ রান, আশা জেগেছিল। কিন্তু পরপর দুটি চার মেরে জেসন রয় বুঝিয়ে দিলেন আজ মুস্তাফিজের দিন নয়। দ্বিতীয় ওভারে ৪ দিলেও পরের ওভারে দিলেন ৯ রান। আর শেষ ওভারের কথা বলাই হলো।

সব মিলিয়ে ৩.২ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকলেন বিশ্বসেরা এই বোলার।
অবশ্য মুস্তাফিজরা লড়ার অস্ত্রও পাননি আজ। ব্যাটসম্যানরা যে মাত্র ১৫৩ রানের পুঁজি দিতে পারল মুস্তাফিজদের। এবারের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে এটা যে কোনো পুঁজিই নয়! এর সাথে শেয় হয়ে গেল সেমিফাইনালে উঠার স্বপ্নও। মুস্তাফিজ আশা করেছিলেন তার দল সেমিফাইনালে উঠেল আরো কয়েকটি ম্যাচ খেলা হবে তার।

Share:

Saturday, July 23, 2016

পুরুষরা অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে করে যে কারণে...

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর নিউজ ডেক্স: 
 

আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে, শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত শ্রেণির প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষেরাই অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের বিয়ে করে থাকে কিন্তু বিস্ময়কর তথ্য হলো অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ের হার উচ্চবিত্ত থেকে নিম্ন-মধ্যবিত্ত সর্বত্রই প্রায় সমান। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশে ৬৬% মেয়েদের ১৮ বছর হওয়ার হওয়ার পূর্বেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়।

তবে পুরুষেরা কেন তাদের চেয়ে কম বয়সী মেয়েদের সঙ্গেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তার কিছু কারণ নিচে দেওয়া হলো:

আধিপত্য : সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, পুরুষেরা সর্বত্র আধিপত্য বিস্তারে অভ্যস্ত। আর তাদের এই আধিপত্য বিস্তারের যে চর্চা তার বৃত্ত থেকে তাদের পরিবার এবং পরিবারের সদস্যরাও বাদ যান না। আর আমাদের পুরুষশাসিত সমাজে স্ত্রীদের ওপর স্বামীদের আধিপত্য বিস্তার অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তাই, অল্প বয়সী মেয়েদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতেই তারা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। 
অস্বস্তিবোধ : বিস্ময়কর হলেও সত্যি, পুরুষেরা তার সমবয়সী মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে অস্বস্তিবোধ করে। পুরুষের সমযোগ্যতাসম্পন্ন নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না- এই ধারণাই পুরুষকে তার চেয়ে অনেক কম বয়সী নারীকে বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করে।

 
কুঁড়িতেই বুড়ি : আমাদের দেশে পুরুষেদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতা লাভ করতে করতে বয়স প্রায় ৩০ এর কোঠায় গিয়ে পৌঁছে। আর আমাদের সমাজের প্রচলিত ধারণা যে, মেয়েরা কুঁড়িতেই বুড়ি হয়ে যায়। তাই, স্বাভাবিকভাবেই স্বামী ও স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান আমাদের সমাজে অনেক বেশি।

দীর্ঘ ও সুখের যৌন জীবন : সাধারণত ৪০ এর পরেই অধিকাংশ নারীদের যৌন আবেদন ধীরে ধীরে স্তিমিত হতে থাকে। কিন্তু পুরুষদের যৌনাকাঙ্ক্ষা আরও দীর্ঘ সময় বজায় থাকে। তাই সমবয়সী নারীদের বিবাহে অনেক পুরুষদেরই অনীহা রয়েছে। তাদের ধারণা অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে করলে তারা দীর্ঘ ও সুখের যৌনজীবন লাভ করতে পারবে।


ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা : পুরুষদের একটি বদ্ধমূল ধারণা যে, তারা যখন বৃদ্ধ হয়ে যাবে তখন তাদের পরিচর্যা করবার মত কেউ থাকবে না। এমনকি সন্তানেরাও তাদের পরিচর্যা করতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। তাই, কম বয়সী স্ত্রীই এই সমস্যার সমাধান। তাদের ধারণা স্ত্রী রা তাদের যথাযথ পরিচর্যা করতে কখনই অস্বীকৃতি জানাবে না।

তথ্যসূত্র: নতুন সময়
Share:

Thursday, July 21, 2016

স্বর্ণের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল গাড়ী। না দেখলে চরম মিস



সম্পূর্ণ স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই গাড়িটি। এখন পর্যন্ত পৃথীবিতে যত গাড়ি তৈরি হয়েছে তার  মধ্যে এটিই সবচেয়ে দামি। 
এ গাড়িতে সব রকম সুবিধাই রয়েছে।  এই গাড়িতে চড়ে দূরের আনন্দদায়ক যাত্রায় আগ্রহী হবেন অনেকেই।

Share:

Wednesday, July 20, 2016

বন্যহাতির তান্ডবে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্থ (ভিডিওসহ)

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ী এলাকায়  প্রায় বন্য হাতি দেখতে পাওয়া যায়। এই বন্য হাতিগুলো মাঝে মধ্যে লোকালয়ে এসে বিভিন্ন ঘর-বাড়ি ও মানুষের ক্ষয়ক্ষতি করে। এমনি একটি ভিডিও আপনাদের জন্য দেওয়া হলো।

ভিডিওটি দেখার অনুরোধ রইল।



নতুন নতুন ভিডিও পাওয়ার জন্য একুশে মিডিয়া চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। 
Share:

প্রাকৃতিক উপায়ে পুরুষের শারিরীক সক্ষমতা বৃদ্ধির কৌশল

অধিকাংশ পুরুষের মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে। দিন যত যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে নপুংসকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যৌন ইচ্ছা যাচ্ছে ক্রমশ কমে। কাজেই যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার আগে থেকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন৷ জেনে নিতে পারেন কী করে এই চাহিদা ক্রমশ ক্ষয়মান হচ্ছে৷

হোম রেমেডি পুরুষের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছে৷ তারা যাতে আবার তাদের পূর্ণ যৌন ইচ্ছা ফিরে পায় তার উপায় বার করেছে হোম রেমেডি৷ যাদের মধ্যে এই অসুবিধা সবেমাত্র দেখা দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে হোম রেমেডি কার্যকরী হতে পারে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম রেমেডি দ্বারা চিকিৎসা করা যায় কিন্তু সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি প্রযোজ্য নয়৷

এবার আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিৎসাতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কি কি সামগ্রী কাজে লাগতে পারে বা তা ব্যবহারে কি উপকার হয়-

রসুন: যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুনকে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে৷ যা আমরা প্রায় প্রতিনিয়্তই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকি৷

আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোনো রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷ এছাড়া যদি কোনো ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশি হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রেও রসুন খুবই কার্যকরী৷

প্রতিদিন দু’ থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে৷ এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উৎপাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ্য স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷

পেঁয়াজ: কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসেবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ কিন্তু এটি কীভাবে এই বিষয়ে কার্যকরী তা এখনো পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি৷

সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷

এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন৷ এটির নিয়্মিত ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে৷

গাজর: দেড়শো গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
Share:

খোঁজাখুঁজি করে লাভ নেই পবিত্র জায়গায় আছি

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মাশুরগাঁও গ্রামের নুরুন নাহার ইরা (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী প্রায় এক মাস যাবত নিখোঁজ রয়েছে। সে শ্রীনগর সরকারি কলেজের একাদশ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

নুরুন নাহার ইরা
শিক্ষার্থী ইরা গত ১৯ জুন নিজ বাড়ি থেকে বের হলে আর ফিরে আসেনি। মা-বাবার ধারণা- তাদের সন্তান জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় গত ১০ জুলাই মা শামীমা আক্তার শ্রীনগর থানায় নিখোঁজের জিডি দায়ের করেন।
এদিকে, পুলিশ ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২টি জিহাদী বই উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের শ্রীনগর সার্কেল এএসপি শামসুজ্জামান বাবু।

তিনি জানান, গত রোববার (১৭ জুলাই) পুলিশ কলেজ শিক্ষার্থীর বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে বেহেস্তা যাওয়ার পথ ও মহিলাদের ওয়াজ-নামে ২টি জিহাদী বই উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে করা জিডির সূত্র ধরে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীর মা শামীমা আক্তার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন-তার সন্তান জঙ্গি সংগঠনের জড়িয়ে পড়েছে। নিখোঁজ হওয়ার পর একদিন মোবাইল ফোনে কথা হলে শিক্ষার্থী ইরা জানিয়েছে সে পবিত্র জায়গায় আছে। খোঁজাখুঁজি করে লাভ নেই।
বাবা ইয়াকুব আলী জানান- স্কুলে পড়ালেখার সময় নামাজি ছিল না। বোরকাও পড়ত না। কিন্তু নিখোঁজ হওয়ার কিছু দিন আগ থেকে হঠাৎ করেই বোরকা পড়া শুরু করে ইরা।

তারপর একদিন বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। কলেজে যাওয়ার কথা বলেই ওই দিন বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ইরা। এরপর আর ফিরেনি। শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর স্কুল অ্যান্ড ম্যানেজম্যান কলেজ থেকে ২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় নুরুন নাহার ইরা।

এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শ্রীনগর সরকারি কলেজের একাদ্বশ শ্রেনীতে ভর্তি হয় সে। সমষপুর স্কুল অ্যান্ড ম্যানেজম্যান কলেজের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম শিকদার বলেন- স্কুলে পড়াশোনর সময় কখনই ইরাকে বোরকা পড়তে দেখিনি। নামাজও পড়ত না।

হঠাৎ করেই ইরা নামাজী হয়ে যায়। বোরকা পড়তে শুরু করে। তারপর ওর নিখোঁজ হওয়ার কারনে ধারনা করা হচ্ছে-ইরা জঙ্গিদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। মা শামীম আক্তার ও বাবা ইয়াকুব আলী নিখোঁজ ইরার সন্ধানে পুলিশের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছেন। তারা সন্তানকে ফেরত চান।


তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ
Share:

ফোন ব্যবহারে র‌্যাবের সতর্কতা । +375, +371, +381 কোডগুলোর কল রিসিভ বা কলব্যাক করা যাবেনা


বন্ধুরা আশা করি আপনারা প্রত্যেকেই এই রকম কিছু ফোন নাম্বার থেকে মিস কলের শিকার হয়েছেন। +375602605281, +37127913091+37178565072 +56322553736 +37052529259+25 5901130460 …অথবা, এমন কিছু নম্বর যার শুরুতে এই code গুলি ছিল +375 +371 +381, এই টাইপের নম্বর থেকে একটা মিসড কল হলে অথবা কিছুক্ষণ রিং বেজে বন্ধ হয়ে গেলে, আপনি যদি এই সকল নম্বরের মধ্যে কোনো একটায় কল ব্যাক করেন তবে আপনার ব্যালেন্স থেকে 15-30$ কেটে নেওয়া হবে, আর তিন সেকেন্ডের মধ্যে আপনার কনট্যাক্ট লিস্ট এর সম্পূর্ণ কপি তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।

আপনার ফোনে যদি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস্ অথবা ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের তথ্য সেভ করা থাকে তবে সেগুলোও তারা কপি করতে সক্ষম হবে। জেনে নিন এই সকল ফোন কোন কোন জায়গা থেকে করা হয় ও কোন জঙ্গিগোষ্ঠি করে থাকে… +375 is from Belarus +93 is From Afghanistan +371 is code for Lativa +381 is from Serbia +563 is code of Valparaiso +370 is code of Vilnius +255 is code of Tanzania … এই সকল ফোন ISIS জঙ্গিরা করে থাকে।

সবাই সাবধান হোন। ভুল করেও ফোন রিসিভ করবেন না ও কল ব্যাক করবেন না। আপনার ফোন থেকে কখনও #90 ও #09 প্রেস করবেন না। কোনো নম্বর থেকে ফোন করে আপনাকে প্রলোভন মূলক কোনো কথা বলে যদি  #90 ও #09 চাপতে বলা হয়, দয়া করে তা কখনওই করবেন না। এতে আপনার ফোনের সিম কার্ড ক্লোনিং করে, আপনার নম্বরের আর একটি সিম কার্ড বানিয়ে নেবে তারা। তারপর আপনার নম্বর ব্যবহার করে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি বিভিন্ন অসামাজিক কাজ করবে, যার বিন্দুমাত্রও আপনি টের পাবেন না। ফোন ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করুন, সর্বদা সতর্ক থাকুন। 
সৌজন্যেঃ র‌্যাব -১

Share:

Tuesday, July 19, 2016

লন্ডনে হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

লন্ডন সফরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে, প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি আবার হোটেলে ফিরেছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
সোমবার (১৮ জুলাই) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এলাকায় হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান ফখরুল। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে  লন্ডন সেন্ট থমাস হাসপাতালে পাঠানো হয় তাকে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবার তাকে সফরকালীন আবাসস্থল হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। 

যুক্তরাজ্য বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে একটি সৌজন্য বৈঠকে অংশ নিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আসেন ফখরুল।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, প্রচণ্ড গরমে ডিহাইড্রেশনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ফখরুল। রোববার (১৭ জুলাই) রাতের খাবারের পর কিছুটা অসুস্থবোধ করলেও সোমবার সকালে সুস্থবোধ করায় পার্লামেন্টের এই বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি।

সেখানে অতিথিদের সঙ্গে কফি পানের সময় হঠাৎ করেই মাথা ঘুরে পড়ে যান বিএনপি মহাসচিব। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে সেন্ট থমাস হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে স্থানীয় সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে হোটেলে ফেরার অনুমতি দেন ডাক্তাররা। 

এম এ মালেক জানান, ডাক্তাররাও ধারণা করছেন, প্রচণ্ড গরমের প্রভাবে মির্জা ফখরুলের শরীর খারাপ হয়ে থাকতে পারে।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ বিষয়ক একটি সেমিনারে যোগ দিতে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে শনিবার লন্ডনে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব। প্রতিনিধি দলে তিনি ছাড়াও রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবিহ উদ্দীন আহমেদ ও কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী। 

যুক্তরাজ্য বিএনপি আশা করছে, অসুস্থতা কাটিয়ে উঠে সেমিনারে অংশ নিতে পারবেন ফখরুল।

মঙ্গলবারের এই সেমিনারে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পদক আবদুল মতিন খসরু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং আওয়ামী লীগ নেতা দীপঙ্কর তালুকদারের যোগদানের কথা রয়েছে। তারাও এরই মধ্যে লন্ডন এসে পৌঁছেছেন।

 
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম 
http://www.banglanews24.com/politics/news/503247/%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A7%8E-%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A6%96%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2
Share:

সন্তানদের মনের কথা শুনুন: প্রধানমন্ত্রী

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের কথা জানিয়ে এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “নিজের ছেলেমেয়েদের সাথে সময় কাটান। তাদের মনের কথাটা শোনার চেষ্টা করেন। তাদের সঙ্গ দেন। 

“তাদের কী চাহিদা সেটা জানা, তাদেরকে আরও কাছে টেনে নেওয়া, তাদের ভালো-মন্দ, সমস্যা দেখা, উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা যেন বাবা-মায়ের সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারে সে সুযোগটা তাদের দেওয়া।” 

সন্তানেরা কীভাবে চলছে, কী করছে, কাদের সঙ্গে মিশছে- সেদিকেও ‘বিশেষভাবে দৃষ্টি’ দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান। 

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তার এই আহ্বান আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা এখন তদন্ত করছি, আসামি ধরছি, সেটা করলেই শুধু হবে না। সামাজিকভাবে একটা আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেকটা মানুষের ভেতরে সচেতনতা আনতে হবে। প্রত্যেকের ভেতর জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি করে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।” 

দেশে এখন ‘ধর্মের নামে ধর্মান্ধতা’ সৃষ্টি করা হচ্ছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, যেসব ছেলেমেয়ে বিভ্রান্তির পথে চলে যাচ্ছে তাদের ‘সঠিক পথে’ নিয়ে আসতে হবে। 

সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর হামলাকারীদের সম্পর্কে যেসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাতে সরকার ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। 

দেখা যাচ্ছে, হামলায় অংশ নেওয়া তরুণদের অনেকেই দেশের নামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। তারা বেশ কয়েক মাস আগে বাড়ি পালিয়ে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয়েছে।  

এরকম আরও অন্তত ১৭ জনের সন্ধান কর্তৃপক্ষ পেয়েছে, যাদের সঙ্গে পরিবার বা স্বজনদের যোগাযোগ নেই বেশ কিছুদিন ধরে। তারাও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।    

বিত্তশালীদের সন্তানদের ‘জঙ্গি হয়ে যাওয়ার’ কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, “মনে হচ্ছে যেন অভাব না থাকাটাই তাদের একটা মানসিক কষ্ট দাঁড়াচ্ছে।” 

এ কারণে সন্তানদের সঙ্গে অভিভাবকদের সম্পর্ক আরও ‘নিবিঢ় ও দৃঢ়’ করার পাশাপাশি তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার আহ্বান জানান তিনি। 

“শিক্ষাটা যেন যথাযথ হয়। আমাদের ধর্মের মূল বাণীটা যেন সঠিকভাবে শিখতে পারে সে ব্যবস্থাটাও নেওয়া উচিৎ। একইসঙ্গে প্রত্যেকটা ধর্মেরই... প্রত্যেকটা ধর্মেই শান্তির বাণী বলা আছে। যথাযথভাবে যেন সেই শিক্ষাটা হয় সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া।”
ইংরেজি মাধ্যমে পড়া আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একজন তরুণ স্বাভাবিকভাবে ‘উদার মনোভাবসম্পন্ন’ হওয়ার কথা থাকলেও কিছু তরুণ কীভাবে ‘ধর্মান্ধ’ হয়ে উঠছে সেই প্রশ্নও শেখ হাসিনা তুলে ধরেন। 

“ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। কিন্তু সেই ইসলাম ধর্মকে আজ প্রশ্নের সম্মুখীন করে দিচ্ছে। কাজেই আমরা আমাদের ধর্মকে কোন মতেই অসন্মানিত হতে দিতে পারি না। যাদের কারণে এগুলি হচ্ছে অবশ্যই আমরা তাদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেব, এতে কোনো সন্দেহ নেই।”
কারা এর পেছনে- এ প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, “আসেম সম্মেলনে এই প্রশ্নটা রেখে এসেছি- কারা এর পেছনে? কারা অর্থ ও অস্ত্র প্রদান করে, প্রশিক্ষণ দেয় এবং এই ধর্মান্ধতার পথে ঢুকিয়ে দেয়, বিপর্যয়ের পথে ঠেলে দেয়। সেই উৎসটাই খুঁজে বের করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান এবং দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  “একথা কথা মনে রাখতে হবে যে, জনগণের শক্তিই হচ্ছে বড় শক্তি। কাজেই জনগণকে নিয়েই এ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।” 

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ধরন ইদানিং পাল্টে যাচ্ছে মন্তব্য করে এজন্য প্রতিটি বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। 

শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গুলশান বা শোলাকিয়ার ঘটনা, গুপ্তহত্যা, এর আগে ছিল অগ্নি সন্ত্রাস, মানুষকে পুড়িয়ে মারা। এসব ঘটনার ফলে আমার যেটা মনে হয়, যারা আমাদের স্বাধীনতা চায়নি বা স্বাধীন বাংলা বা বাঙালি জাতি এভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে, বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করবে সেটা যারা চায়নি, তাদেরই একটা চক্রান্ত এখানে কাজ করে।”
দেশের অর্থনীতিসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের চিত্রও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। 

এসএসএফের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ বাহিনীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা। তিনি এসএসএফ সদস্যদের ‘পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আনুগত্যের’ কথাও তুলে ধরেন। 

অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও এসএসএফের মহাপরিচালক শফিকুর রহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1185145.bdnews

Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন