Monday, August 29, 2016

রামপাল বিশয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উন্মুক্ত বিতর্কের চ্যালেঞ্জ সিপিবি’র


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক:
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখান করে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্য, উন্মুক্ত বিতর্কে অংশ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

রোববার (২৮ আগস্ট) সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক বিবৃতিতে এ চ্যালেঞ্জ জানান।

গত শনিবার (২৭ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বক্তব্য দেন এবং রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে ও সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না বলে জানান।

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা বলেন, ঘরের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে ভুল, মনগড়া, অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বা তার কোনো প্রতিনিধিকে উন্মুক্ত, প্রকাশ্য বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য আবারও চ্যালেঞ্জ জানাই। আমরা বিদ্যুৎ চাই, কিন্তু তা কোনোভাবেই সুন্দরবনকে ধ্বংস করে নয়। বিদ্যুৎপ্রকল্প রামপাল থেকে সরিয়ে অন্যত্র করা সম্ভব। কিন্তু সুন্দরবন ধ্বংস হলে আরেকটা সুন্দরবন বানানোর ‘কৌশল’ নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রীর হাতে নেই। আমরা সুন্দরবনও চাই, বিদ্যুৎও চাই। সুন্দরবনকে ক্ষতিগ্রস্ত না করেই বিদ্যুৎ উৎপাদন ও উন্নয়ন সম্ভব।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন শুধুমাত্র আবেগনির্ভর নয়, যুক্তির ওপর নির্ভর করেই দেশবাসীর সমর্থনে এই আন্দোলন গড়ে উঠেছে এবং অগ্রসর করা হচ্ছে। রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যে সুন্দরবন ধ্বংস হবে, তা যুক্তি ও তথ্য দিয়ে প্রমাণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তথ্যভিত্তিক যুক্তি খণ্ডন না করে, সুন্দরবন ধ্বংসের পথে হাঁটার কথাই বলেছেন। সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনের যৌক্তিকতা ভুল প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে, প্রধানমন্ত্রী গায়ের জোরে রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলেছেন।

সিপিবি নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বামপন্থীদের সম্পর্কে বিষোদগার ও কুৎসা করেছেন। বামপন্থীদের সম্পর্কে তার মন্তব্য অসত্য এবং বাস্তবতার পরিপন্থী। যুগে যুগে বামপন্থীরা আদর্শিক দায়বোধ থেকেই নানা নির্যাতন সহ্য করে জনগণের স্বার্থে আন্দোলন গড়ে তুলেছে। দেশের স্বার্থে বামপন্থীরা অনন্য অবদান রেখে চলেছে- এ কথা সর্বজনবিদিত। বামপন্থীদের সম্পর্কে অসত্য ও অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী নিজেকেই প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করেছেন। 


তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Share:

Sunday, August 28, 2016

অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নয়, গাঁজা পাঁচার!


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

নিউজ ডেস্ক:
  রোগী পরিবহনের ভান করে অ্যাম্বুলেন্সে করে গাঁজা পরিবহনের পথ বেছে নিয়েছিল একদল মাদক ব্যবসায়ী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড মোড় থেকে ৬৪ কেজি গাঁজাসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

রোববার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে গাঁজাসহ অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করা হয়। তবে অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ মাদক পাচারকারীরা পালিয়ে গেছে।

খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ূন কবীর জানান, সকালে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে টহলরত হাইওয়ে পুলিশ সিলেট থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সকে থামার সংকেত দেয়। এসময় অ্যাম্বুলেন্সটি সংকেত অমান্য করে ঢাকার দিকে ছুটতে থাকে। পুলিশ ধাওয়া করলে খাটিহাতার কাছে ফাঁকা জায়গায় গাড়ি থামিয়ে চালক ও পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশি চালিয়ে সিটের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ২৪ প্যাকেট গাঁজা (৬৪ কেজি) উদ্ধার করা হয়।

তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

চারুলার ছাত্রী ভাবনা


প্রথম আলো২৪

বিনোদন ডেস্ক: 
চারুকলায় যারা পড়াশোনা করে তাদের চলাফেরা সাজগোজ একটু অন্যরকম হয়। তাদের একটু অন্যরকম চোখেও দেখে কিছু কিছু মানুষ। এবার চাড়ুকলার ছাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মডেল এবং অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। আর এই চরিত্রের জন্য আড়ং থেকে তিনটি নোলক বানিয়েছেন শনা হাবিব ভাবনা। ‘চিলেকোঠার গল্প’ নামের নাটকে তাকে এগুলো পড়তে দেখা যাবে।

এখানে ভাবনার চরিত্রের নাম রানু। সে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ছাত্রী। বাবা-মা থাকেন গ্রামে। রাত জেগে ছবি আঁকে। দিনে টিউশনি করে, ছবি বিক্রি করে, ফ্রিল্যান্স আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে দিনরাত কাজ করে কোনোভাবে চলে।

ঢাকায় পড়াশোনা করতে এসে যে সমস্যাটা রানুকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে তার নাম আবাসন। চারুকলায় পেইন্টিং নিয়ে পড়ার কারণে তার জীবনযাত্রার ধরন ও অনুষঙ্গ একটু অন্যরকম।

মেয়েদের হোস্টেলের সীমিত সুযোগে সৃষ্টিশীলতার চর্চা যথাযথভাবে হয়ে উঠবে না সেটা ভালোই বুঝতে পেরেছিলো রানু। তারপর থেকেই নানারকম প্রচেষ্টা। কয়েকজন মিলে ফ্ল্যাট ভাড়া, আত্মীয়ের বাসায় পেইং গেস্ট, বান্ধবীর বাসায় সাবলেট। সবখানেই প্রথম কিছুদিন খুব সুন্দর যায়, তারপর মাস শেষ না হতেই শুরু হয় নানারকম সমস্যা।

তাই রানু চাইছে নিজের মতো করে থাকার জন্য আলাদা এক টুকরো জায়গা। সেটা চিলেকোঠা হলে বেশি ভালো হয়। অনেক ঘুরে অবশেষে ছয়তলা বাড়ির ছাদে এক রুমের একটি চিলেকোঠা ভাড়া নিতে পারে রানু। এটা পেতে লম্বা সাক্ষাৎকারের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মালিকের প্রধান শর্ত একটাই- কোনো ব্যাচেলর ভাড়া দেবেন না। ‘বাচ্চা-কাচ্চাহীন শিক্ষিত দম্পতির অগ্রাধিকার।’

পরিচিত বড় ভাই রাশেদের বুদ্ধিতে তাকেই স্বামী সাজিয়ে চিলেকোঠা ভাড়া পায় রানু। প্রেমিক জামাই সেজে মিথ্যে কথা বলতে চায় না। পরে ধরাও পড়ে। একদিন বাড়িওয়ালার কাছ থেকে বাসা ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ আসে। নিয়তি মেনে আবার নতুন বাসা খুঁজতে পথে নামে রানু। এবার প্রকৃতই তার সঙ্গী হয় রাশেদ।

নাটকটিতে রাশেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর রাব্বী। এ ছাড়াও আছেন ঝুনা চৌধুরী, ফারহানা মিঠু প্রমুখ। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন প্রসূন রহমান, পরিচালনায় ফয়সাল রাজিব।

গত ২৫ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নাটকটির দৃশ্যধারণ হয়েছে। আসছে ঈদুল আজহায় দেশ টিভির বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় প্রচার হবে ‘চিলেকোঠার গল্প’

তথ্য: ইন্টারনেটে থেকে সংগৃহীত
Share:

এবার জাজের ছবি থেকেই বাদ পরীমনি


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

বিনোদন ডেস্ক:
‘রক্ত’র শুটিং চলাকালিন নতুন খবর আসে জাজ মাল্টিমিডিয়ার আরো একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন হালের ক্রেজ অভিনেত্রী পরীমনি। কিন্তু হঠাৎ করেই শোনা গেলো জাজের ‘পাষান’ ছবি থেকে বাদ পড়ছেন পরী। নতুন নায়িকা হিসেবে নেয়া হয়েছে এমিকে। জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকার উত্তরার একটি লোকেশনে এই নতুন নায়িকাকে নিয়ে ছবিটির শুটিং শুরু করেছেন পরিচালক সৈকত নাসির।

জানা গেছে, চার মাস আগে ‘পাষাণ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন পরীমনি। বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাদ দেওয়ার বিষয়টিকে উড়িয়ে দেন তিনি।

পরীমনির বলেন, বাদ দেওয়া হয়নি। নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য হাতে শিডিউল না থাকার কারণে নিজ থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। পরীমনি বলেন, ‘একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ‘রক্ত’ ছবিটি কিন্তু ঈদে মুক্তি পাচ্ছে। এখনো এই ছবির শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া হাতে আরও চারটি ছবির কাজ রয়েছে। তাই সরে দাঁড়াতে হয়েছে।’

নায়িকা বাদ দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানালেন ছবিটির পরিচালক সৈকত নাসির। পরিচালক কথা না বললেও প্রযোজক ঠিকই কথা বলেছেন। আবদুল আজিজ বলেন, ‘সময়মতো শুটিংয়ে আসেন না পরীমনি। তিনি আমাকে নানাভাবে ভুগিয়েছেন। তাঁর কারণেই ‘রক্ত’ ছবিতে প্রায় এক কোটি টাকা বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে। নতুন কোনো ছবিতে তাঁকে নিয়ে আর ভুগতে চাই না। তাই বাদ দিয়েছি।’

‘পাষাণ’ ছবিতে আরও অভিনয় করছেন কলকাতার ওম, বাংলাদেশের বিপাশা কবির, মিশা সওদাগর, সাদেক বাচ্চু, শিমুল খান, মিজু আহমেদ প্রমুখ।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
Share:

প্রত্যাহার হচ্ছে জিয়ার স্বাধীনতা পুরস্কার, সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কবরও

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম। নিউজ ডেক্স

ঢাকা:
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারে এরইমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এবার জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে তার কবর সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানালেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৭ আগস্ট) গাজীপুরের কাশিমপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে, গত বুধবার (২৪ ‍আগস্ট) মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জিয়ার স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং যুদ্ধপরবর্তী বিতর্কিত ভূমিকা প্রমাণ করে, তিনি স্বাধীনতা চাননি। এ ধরনের বিতর্কিত ব্যক্তির কবর পবিত্র সংসদ এলাকায় থাকতে পারে না। তাই সংসদ এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরানো হবে।

বঙ্গবন্ধু হত্যায় যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচার হলেও নেপথ্যে যারা ছিল তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে দেশি বা বিদেশি যারা জড়িত ছিল তাদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করা হবে।

এর আগে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

অন্যদিকে, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারে মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে বিষয়টি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। তখন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

২০০৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জিয়াউর রহমানকে পুরস্কার দেওয়ায় আপত্তি জানিয়ে তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ ওই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে। তখন এই পদক দু’টি বিতরণ না করে প্রদর্শন ও সংরক্ষণের জন্য জাতীয় জাদুঘরে দিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমানের পদকটি গ্যালারি থেকে সরিয়ে গুদামে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মন্ত্রিসভা কমিটি জিয়াউর রহমানের পুরস্কার প্রত্যাহারের পাশাপাশি জাতীয় জাদুঘর থেকে ওই পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্রও সরিয়ে ফেলার সুপারিশ করেছে।

সূত্রমতে, মন্ত্রিসভা কমিটি মনে করে একইসঙ্গে দু‘জনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে জিয়াউর রহমানকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছাকাছি মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তাছাড়া, স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। যারা দেশ ও মানুষের কল্যাণে অসাধারণ অবদান রেখেছেন তারাই পান এই পুরস্কার। জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রপতি পদ বা রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আরোহণের বিষয়টি হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করায় তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আমলে নিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এ জন্যই কমিটি পুরস্কার প্রত্যাহার এবং মেডেল ও সম্মাননাপত্র জাদুঘরে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কমিটি মনে করে, এই পুরস্কার যদি জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে আগামী প্রজন্মের কাছে ভুল ইতিহাস উপস্থাপিত হবে এবং একটি ভুল বার্তা যাবে।

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

Saturday, August 27, 2016

নারায়ণগঞ্জে অভিযানে জঙ্গিনেতা তামিমসহ নিহত ৩

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম । নিউজ ডেক্স
 
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে ‘নব্য জেএমবি’র শীর্ষনেতা তামিম আহমেদ চৌধুরীসহ অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।

কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি তামিম (৩০) গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে পুলিশ দাবি করে আসছে। তাকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা ছিল।  

২০১৩ সালে কানাডা থেকে আসার পর তামিম বাংলাদেশেই ছিলেন বলে গোয়েন্দারা ধারণা করছিলেন। তার নির্দেশনায়ই গত ১ জুলাই জঙ্গিরা গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়েছিল বলে গোয়েন্দাদের দাবি।  

গুলশান হামলার পর বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি আস্তানার সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ। এর মধ্যে ঢাকার কল্যাণপুরে একটি আস্তানায় অভিযানে নয় জঙ্গি নিহত হন।  

এরপর শনিবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়ায় বড় কবরস্থানের পাশের একটি তিনতলা ভবন ঘিরে অভিযানে নামে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল।

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকা থেকে এসে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দল পাইকপাড়ার একটি বাড়ি ঘিরে এই অভিযান চালাচ্ছে।”

এরপর অভিযানে র্যাব ও জেলা পুলিশ সদস্যরাও যোগ দেন। ভোর থেকে ঘিরে রাখার পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গোলাগুলি শুরু হয়।

সেখানে উপস্থিত নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন তখন সাংবাদিকদের বলেন, “ভবনটির ভেতরে ঢুকতে অভিযান শুরু হয়েছে।”

প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গোলাগুলির পর শব্দ কমে আসে।  এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই বাড়িতে থাকা তামিমসহ তিনজনের নিহত হওয়ার খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার ছানোয়ার হোসেন।
খানিক পর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামও তিনজনের মধ্যে তামিমের থাকার খবর খবর নিশ্চিত করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাকি দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

সন্ত্রাস দমনে গঠিত ডিএমপির এই শাখার প্রধান মনিরুল বলেন, “জেএমবির এক সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যে এই আস্তানার খোঁজ মেলে। এরপর এখানে ‘অপারেশন হিট স্টর্ম’ চালানো হয়।”  অভিযান শেষ হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানালেও পাইকপাড়ার ওই এলাকা বেলা ১১টার দিকেও ঘিরে রাখা ছিল। সেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। 

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযান শুরুর পর জঙ্গিরা বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, তারা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলেছে।”

তামিমকে গ্রেপ্তার করা গেলে জেএমবির ‘নতুন ধারার’ আদ্যোপান্ত বেরিয়ে আসবে বলে আশা করেছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক।   

গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলায় ঘরছাড়া তরুণ-যুবকদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিখোঁজ ১০ জনের যে প্রথম তালিকা দিয়েছিল, তাতে সিলেটের তামিমের নাম এসেছিল। 

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিভিন্ন প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে তাকে সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখার সমন্বয়ক বলা হচ্ছিল আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে।

তবে আইএস-সংশ্লিষ্টতার দাবি প্রত্যাখ্যান করে আইজিপি শহীদুল এক সংবাদ সম্মেলনে তামিমকে ‘নব্য জেএমবি’র শীর্ষনেতা বলে চিহ্নিত করেন। 

তিনি বলেছিলেন, “এখানে (গুলশান হামলা) মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী। নিও জেএমবির নেতৃত্ব সে দিচ্ছে। এই তামিম চৌধুরীর পর যারা দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রধান তাদেরকেও আমরা চিহ্নিত করেছি।”

কানাডার পাসপোর্টধারী তামিম ২০১৩ সালের অক্টোবরে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে আসার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন বলে গত ২ অগাস্ট জানিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল।

তামিম সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মজিদ চৌধুরীর নাতি। মজিদ চৌধুরী একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে স্থানীয়দের তথ্য। 

তামিমের বাবা শফি আহমদ জাহাজে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি সপরিবারে কানাডায় পাড়ি জমান।

তামিমের মতোই ২০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা রয়েছে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের জন্য। তিনি আরেক জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে পুলিশের দাবি। 

তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ


Share:

Saturday, August 20, 2016

ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীসহ কুমিল্লায় নিহত ৫

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম। নিউজ ডেক্স

ঢাকা: কুমিল্লার মুরাদনগরে মালবোঝাই ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।

শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে মুরাদনগরের দাররা ইউনিয়নের মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কের পায়ব গ্রামের ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। পরে দুপুরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৪ জন মারা যান।

নিহতরা হলেন- মুরাদনগর উপজেলার কাচারকান্দী গ্রামের আ. লতিফ মিয়ার ছেলে অটোরিকশাচালক মো. রুবেল (৩৫), তার ছোট ভাই মো. সোহেল (৩২), পাঁচপুকুরিয়া গ্রামের সোহাগ মিয়া (৪০), তার স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত এলাহী বক্সের ছেলে আব্দুল মান্নান (৬৫)।

আহত ব্যক্তি হলেন- উপজেলার পাঁচপুকুরিয়া গ্রামের মাসুম মিয়ার ছেলে হিমেল (১২)। আহত হিমেল বর্তমানে কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হতাহতরা সবাই সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রী।

স্থানীয়রা জানান, মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কের পায়বে পান্নারপুল থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে পাঁচপুকুরিয়া থেকে আসা অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে সোহেলের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় রুবেল ও মান্নানকে দেবিদ্বার এবং সোহাগ, হিমেল ও নাছিমাকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের পর রুবেল, নাছিমা, মান্নান ও সোহাগের মৃত্যু হয়।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (২০ আগস্ট) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

২৮ আগস্ট দেশব্যাপী পেট্রোল পাম্প বন্ধ

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম। নিউজ ডেক্স

ঢাকা:
ইজারা মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী আগামী ২৮ আগস্ট (রোববার) পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ওইদিন সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সাময়িক এই ধর্মঘট পালিত হবে।

শনিবার (২০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে হোটেল রাজমনী ইসাখানে ‘পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্ক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজমুল হক।

সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) ইজারা মাশুল অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, আমরা ধর্মঘটের মতো কঠিন কর্মসূচি দিতে চাই না, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান চাই। সে কারণেই বিগত ছয় বছর ধরে কোনো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। তেল বিক্রয়ের কমিশন বৃদ্ধিসহ অন্য বেশ কিছু বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি থাকার পরও ছয় বছরেও এর কোনো বাস্তবায়ন নেই।

‘আগামী ২৮ আগস্টের পূর্বে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করা হলে ওইদিন ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেশের সব পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্কলরি মালিক শ্রমিকরা কর্ম-বিরতির প্রতীকী কর্মসূচি পালন করবেন। ট্যাঙ্কলরির মাধ্যমে তেল উত্তোলন, পরিবহন এবং বিপণনও বন্ধ থাকবে’।

উদাহরণ দিয়ে নাজমুল হক বলেন, পেট্রোল পাম্পগুলোর অবস্থান সড়ক, মহাসড়কের পাশে। এ কারণে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের জমি সংযোগ সড়ক হিসেবে ইজারা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর পরপরই সওজের জমির ইজারা মাশুল বাড়ানো হচ্ছে। যা অযৌক্তিক বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, মালিকদের অসহায়ত্বের বিষয় ১২ দফা দাবি তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের চলতি বছরের ২১ মার্চ, ১৭ এপ্রিল ও ৩০ জুন তারিখে আবেদনপত্র দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্কলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান রতন, আলহাজ মো. শাজাহান, সদস্য সচিব আকতার হোসেন প্রমুখ।
সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

আপনার সহযোগিতায় বাঁচতে চায় করিম



প্রথম আলো২৪.কম
 
নিউজ ডেক্স:  তোর কিছুই হবে না, ১৪ দিনেই সুস্থ হয়ে যাবি আপা। ডাক্তার বলছেন না, শুনিস নাই?

বড় বোন চায়নার কাছে এই আকুতি ছোটভাই আব্দুল করিমের।

বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার করিম দুই বছর চাকরিও করেছেন। এখন তার বউ খোঁজার সময়, কিন্তু ভাগ্যের কি খেলা, আজ তার খুঁজতে হচ্ছে একটি কিডনি। পরিবারে বাবা মা অনেক আগেই মারা গেছেন। ছয়-ভাইবোনের সবার ছোট করিমকে নিয়ে এখন আর তেমন আগ্রহ নেই বাকী ভাইবোনদের। অন্যরা তো বলেই দিয়েছে, বাঁচলে বাঁচবে, মরলে তো তাদের কিছু করার নেই।

শুধু বড় বোন চায়না ফেলতে পারেন নি আদরের ছোট ভাইটিকে। আগলে রেখেছেন মায়ের আদরে, পাশে রয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে তিনবার ডাইলাইসিস করতে হচ্ছে। এই চিকিৎসা ব্যববহুল।

করিমের সুস্থ জীবনে ফিরে আসার জন্য প্রয়োজন একটি কিডনি। ডাক্তার বলেছেন, কিডনি ট্রান্সফার করা গেলে এযাত্রা বেঁচে যাবেন করিম।পাবেন সুস্থ জীবন। কিন্তু কিডনি বদলানো ওপরবর্তী চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ছয় লাখ টাকা। তার দরিদ্র বোনের পক্ষে এই চিকিৎসা চালিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।


অসুস্থ করিম এসেছিলেন বাংলানিউজের অফিসে। কথা বলার সময় তার চোখে যে আকুলতা দেখেছি, এই পৃথিবীতে আরও কিছুদিন নিশ্বাস নিতে চায় করিম, দুচোখ ভরে দেখতে চায় প্রিয় জন্মভূমিকে, হয়তো সুস্থ হলে একদিন সবার সাথে আড্ডা দিতে চায় কোনো নদী তীরে।

আরও কতো যে স্বপ্ন...নিজের একটি ছোট ঘর হবে...কেউ একজন তার জন্য ভাত রেধে ‍অপেক্ষায় থাকবে...

যারা সুস্থভাবে আজ বেঁচে আছি, তাদের পক্ষে করিমের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারা সত্যিই সম্ভব নয়। আমরা একবার নিজেকে করিমের জায়গায় চিন্তা করি...

এই তরুণ আমাদের জন্য অনেক কিছু দিতে পারবে, যদি সে বেঁচে থাকতে পারে। আমরা সবাই মিলে কি পারিনা, একজন করিমকে তার বেঁচে থাকার স্বপ্ন পূরণে সাথী হতে...


করিমকে সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করুন:
হিসাব নং-০১০০০৫০০১৫৮৬১
জনতা ব্যাংক, উত্তরা শাখা।
মোবাইল ও বিকাশ নম্বর: ০১৭১২২৪০৩৭৯


তথ্যসূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
Share:

আওয়ামী লীগও বিশ্বাস করে জিয়া দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি: খন্দকার মোশাররফ

প্রথম আলো২৪.কম


নিউজ ডেক্স: শহীদ জিয়াউর রহমানই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, তা আওয়ামীও বিশ্বাস করে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী সাইয়েদুল আলম বাবলু।

‘বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নানের মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এ সভায় তিনি বলেন, বর্তমান কতৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা ছাড়ার আর বেশী সময় নেই। ইতিমধ্যে তাদের নিজেদের মধ্যেই শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের এক সংসদ বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমানই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। একথা বলে তারা প্রমান করেছেন, আওয়ামী লীগও মনে মনে বিশ্বাস করে শহীদ জিয়াই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। সুতরাং আওয়ামী লীগের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটবে যে ঘটনায় তাদের নিজেদের পতন নিজেরাই ডেকে আনবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অধ্যাপক এম এ মান্নানের মুক্তির দাবিতে গাজীপুরে দোকানে দোকানে আলোচনা ও রাস্তায় প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। আর এই প্রতিবাদি এক সময় গণআন্দোলনে রুপ নেবে। আর এই অত্যাচারি, ফ্যাসিস্ট এবং অনির্বািচত সরকার বেশী দিন টিকে থাকতে পারবে না। কারণ বিএনপি চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে দেশের জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলে তাদের ‘সরকার’ পতন নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশ একটি কারাগারে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির নেতা বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে বিরোধী দলকে নির্যাতিত হতেই হয়। আর তাই দেশের বিরোধী মত, জনগণ ও বিরোধী দল আজ কারাগারে বন্দি রয়েছে। কিন্তু এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।

জঙ্গিবাদ দমন না করে ক্ষমতাসীনরা বিএনপির সাথে ব্লেইম গেম খেলছে বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে মোশাররফ বলেন, তিনি ‘প্রধানমন্ত্রী’ আমেরিকার যাওয়ার জন্য টিকিট করে রেখেছেন। কারণ বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেই তিনি ‘ প্রধানমন্ত্রী’ যাতে দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন।

তথ্যসূত্র: আমাদরে সময়
Share:

সরকারের পরবর্তী টার্গেটে ১০৮ বিএনপি নেতা!

 প্রথম আলো২৪.কম 


নিউজ ডেক্স: বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আত্মগোপনে থেকে অনেকে দলের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এরই মধ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল ককবির রিজভী আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গ্রেপ্তারের তালিকায় অনেক সিনিয়র নেতা রয়েছেন। সরকারের গ্রিন সিগনাল পেলেই তাদের গ্রেপ্তার করবে পুলিশ।

সিনিয়র নেতাদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, গাজীপুর সিটি মেয়র এম এম মান্নান, বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসলাম চৌধুরী। এছাড়া থানা ও জেলা পর্যায়ের অনেক সিনিয়র নেতা কারাগারে রয়েছেন। পাঁচ মামলায় মোট গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হলেন ১০৮ জন।

রাজধানীর মতিঝিল থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

১৮ আগস্ট গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা মামলা দুটির অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

এদিন মতিঝিল থানার মামলায় ৯৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার ধার্য তারিখে সেলিমাসহ ৬৭ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন মারুফ কামাল খান সোহেল, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শিরিন সুলতানা, মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়ুম কমিশনার, লতিফ কমিশনার প্রমুখ। হরতাল-অবরোধ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারিতে আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

এদিকে পল্টন থানার মামলায় পরোয়ানাপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য অন্যরা হলেন জাতীয়তাবাদী যুব দলের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম নিরব, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু ও শফিউল বারী বাবু। মামলায় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানসহ ১৪ জন জামিনে রয়েছেন। গত বছরের ১১ জানুয়ারি বিএনপির হরতাল-অবরোধ চলাকালে পল্টন থানাধীন হোটেল অর্চাড এর সামনে ভিআইপি রোডে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পল্টন থানায়  এ মামলাটি করে পুলিশ।
রাজধানীর দারুস সালাম থানায় দায়ের করা নাশকতার পাঁচ মামলায় বিএনপির যুগ্মমহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
১০ আগস্ট বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে বিচারক আগামী ১০ অক্টোবর গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এই মামলায় পরোয়ানাভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সফু, মারুফ কামাল খান সোহেল ও সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া। ২০১৫ সালে বিএনপির হরতাল-অবরোধ চলাকালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে এ মামলাগুলো করে পুলিশ। ২০১৬ সালের প্রথমদিকে দারুস সালাম থানার পুলিশ আসামিদের পলাতক দেখিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

রাজধানীর পল্লবী থানায় করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কিবর রিজভীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ২৬ জুলাই সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুহুল আমিন মামলাটির অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এই আদেশ দেন। আদালত আগামী ২৩ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছেন।

আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়া আত্মসমর্পণ করে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে জামিন নেন।

আদালত সূত্র বলেছে, গত বছরের ২৭ জানুয়ারি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে পল্লবী থানার পুলিশ এ মামলা করে। পুলিশ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৩ মে রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রে ১০ জনকে পলাতক দেখিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে পুলিশ।
এ মামলায় সাতজন জামিনে ছিলেন। গতকাল রফিকুল ইসলাম মিয়া জামিন নেন। আদালত রুহুল কবির রিজভীসহ বাকি নয়জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

সকল মামলায় জামিনে থাকা সত্ত্বেও কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পাওয়া ঢাকা মহানগর দারুস সালাম থানা বিএনপি সভাপতি মো: আবদুর রহমানকে ১৬ আগস্ট রাতে তার বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।

নাটোরের সিংড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও  সাবেক মেয়র শামিম আল রাজিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৪ আগস্ট দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম এ আদেশ দেন। এরআগে আদালতে উপস্থিত হয়ে নাশকতা মামলায় জামিনের আবেদন করলে তার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। শামিম আল রাজি সিংড়া পৌরসভার জয়নগর মহল্লার ডা. মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি পরিবহনে হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

পরে সিংড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হোসেন বাদী হয়ে পুলিশের কাজে বাধা ও মারধর এবং নাশকতার অভিযোগে একটি এবং পরিবহন মালিক রায়হান আলী বাদী হয়ে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে সিংড়া থানায় ২৮ জনকে আসামি করে আরো একটি মামলা করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক শাহজাহান মিয়াকে নাশকতার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ৬ জুন দুপুরে জামিনের জন্য আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। বিস্ফোরক মামলায় জেলা ও দায়রা জজ মো. এনামুল বারী জামিন নামঞ্জুর করার পর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাসহ অপর একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম একটি মামলায় জামিন মঞ্জুর এবং অপর মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

কুমিল্লায় ২০ দলীয় জোটের শরীকদল এলডিপি’র দায়ের করা মামলায় জোটের প্রধান শরীকদল বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ২১ জুন কুমিল্লার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের দায়ের করা মামলায় শুনানি হয়।

মামলার প্রধান আসামি কুমিল্লা জেলা বিএনপি ও চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সভাপতি খোরশেদ আলমসহ আরও তিন আসামি হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নব বেগম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কুমিল্লা জর্জ কোর্টের এপিপি এডভোকেট সহিদুল হক জানান, ২০১৪ সালের ৩০ আগস্ট চান্দিনায় এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের গাড়ি বহরে হামলা চালায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ওই দিনই ড. রেদোয়ান বাদী হয়ে বিএনপি সভাপতি খোরশেদ আলমসহ ২২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় খোরশেদ আলম উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করলেও গতকাল তিনি নিম্ন আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়।

কিশোরগঞ্জে নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ছয় নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২১ জুলাই আজ জেলা ও দায়রা জজ মাহবুব উল ইসলামের আদালতে তাঁরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত এ আদেশ দেন।

২০১৪ সালে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে মহাসড়কে নাশকতার অভিযোগে ভৈরব উপজেলার পাঁচজন এবং গত ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্র দখলসহ সহিংসতার অভিযোগে করা এক মামলায় করিমগঞ্জ উপজেলার এক বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন আদালত। এই আসামি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ভৈরব পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, ভৈরব উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন, শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল বাকের, হাজি আসমত কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম ও ভৈরব পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দামসহ বিএনপির নয়জন নেতা-কর্মী ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতে আজ বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মাহবুব উল ইসলাম চারজনের জামিন মঞ্জুর করলেও উল্লিখিত পাঁচজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ ছাড়া চলতি বছরের ৪ জুন ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও সহিংসতার অভিযোগে করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও দলীয় প্রার্থী তাজুল ইসলাম আজ জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মাহবুব উল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে করা একটি মামলায় কক্সবাজারে বিএনপির চার নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এর প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশ করেছে যুবদল ও ছাত্রদল। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা ওই মামলায় আত্মসমর্পণের জন্য  ০৪ আগস্ট বিএনপি নেতারা কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল ইসলাম জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চার নেতা হলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম নুরুল বশর চৌধুরী, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ খান চৌধুরী, কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম কুতুবী এবং উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা চৌধুরী ও সাহেবেরহাট ইউনিয়ন যুব দলের আহ্বায়ক মো. হেলালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ১৬ আগস্ট  দুপুরে ওই দুই নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করেলে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ ড. একে এম আবুল কাসেম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম ও অ্যাডভোকেট মো. হাসিবুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাশকতার মামলায় নড়াইল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার রিজভি জর্জের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৯ আগস্ট  নড়াইল সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ এ আদেশ দেন। গাইবান্ধায় জমিনের আবেদন করতে এসে বিএনপি নেতা কারাগারে।

নাশকতা মামলার আসামী গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছাইফুল ইসলাম (৩৫) কে জেলা কারাগরে পাঠাণো হয়েছে । গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচার জামিন না মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন । ছাইফুল ইসলাম উপজেলার কোচার শহর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রজ্জব আলীর ছেলে ।

গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র  চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিএসআই রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি  জাতীয় নির্বাচনের আগে দিন রাতে গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলার কোরশহর ইউনিয়নের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় নাশকতা মামলা হয় । উক্ত মামলায় তিনি গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র  চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন,  আবেদনের দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালতের বিচারক এএসএম তাশকিনুল হক  জামিন না মঞ্জুর করে তাকে  জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ।

পুলিশের দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় যশোর নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু ও নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান ধনিসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২৬ জুলাই যশোর সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করলে বিচারক বুলবুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল আহম্মেদের (৪৬) জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৩১ জুলাই দুপুরে গাইবান্ধা নিম্ন আদালতের বিচারক জয়নাল আবেদীন এ আদেশ দেন। এর আগে, সকালে নাশকতা মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিনের আবেদন করেন তিনি। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তুলসীঘাটে চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলাসহ একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে মুকুলের বিরুদ্ধে। সকালে আদালতে তিনি জামিনের আবেদন করেন।পরে বিচারক শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গাইবান্ধার গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলায় নাশকতা মামলার আসামি বিএনপি’র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলামকে (৩৫) জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৮ জুলাই তিনি উপজেলার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সাইফুল উপজেলার কোচার শহর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রজ্জব আলীর ছেলে।

বগুড়ার ধুনটে পুলিশের দায়েরকৃত বিস্ফোরক আইনের মামলায় মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ বিএনপি ও জামায়াতের ৭ নেতাকে কারাগারে প্রেরন করেছে আদালত। ২১ জুলাই বুধবার বিকেলে বগুড়ার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দেন। তারা হলেন, মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফিরোজ (৪৮), পৌর ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নিয়ামুল তালুকদার (৩৭), কাদাই দাখিল মাদ্রাসার সুপার জামায়াত নেতা মোকসেদ আলী (৪৬), বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান (৫৫), যুবদল নেতা আল-আমিন (৩৮), হাওয়ার্ট (২৫) ও এলাঙ্গী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক সেলিম হোসেন (৩২)।

২০ জুন চট্টগ্রামের একটি আদালত চেক জালিয়াতির ৮টি পৃথক মামলায় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরিকে সোমবার কারাগারে পাঠিয়েছে। আদালত সুত্র জানায়, ব্যাংক চেক জালিয়াতির ৮টি পৃথক মামলায় পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করার পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট আব্দুল কাদেরের আদালত এই রায় দেয়।

নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসলাম চৌধুরী ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় পূবলী ব্যাংক লি.এর মহানগর সিডিএ শাখা থেকে মোট ৩৬ কোটি ৮০লাখ টাকা উত্তোলন করেন। ব্যাংক ঋণ পরিশোধে তার দেয়া চেক প্রত্যাখ্যাত হলে এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় পৃথক ৮টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ গত ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরিকে গ্রেফতার করে এবং পরে তার বিরুদ্ধে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সংগে আঁতাত করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রাষ্ট্রোদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।

তথ্যসূত্র: আমাদের সময়

Share:

Thursday, August 18, 2016

অফিসে সিনেমায় দেখায় মগ্ন কর্মকর্তা, পিছনে চুপে চুপে এসে হাজির মন্ত্রী , অতঃপর কি ঘটল দেখুন ভিডিওতে


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলিতে মাঝেমধ্যেই আচমকা হানা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজে ফাঁকি চোখে পড়লে হাসপাতালের বড় কর্তা থেকে শুরু করে সাফাইকর্মী, কাউকেই রেয়াত করেন না তিনি। এই দৃশ্যের সঙ্গে কলকাতা-সহ রাজ্যবাসী পরিচিত। এবার একই ধরনের ঘটনা দেখা গেল দিল্লিতে।

সরকারি হাসপাতালের বাইরে রোগীদের ভিড়, দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে অপেক্ষা— এগুলোই পরিচিত ছবি। কিন্তু সেই সময়ে হাসপাতালের ভিতরে কর্মীরা কী করেন? সবাই যে ফাঁকি মারেন, এমনটা নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু কয়েকজন কর্মী যে সরকারি চাকরির সুবিধে নিয়ে অফিসে এসে কাজে চূড়ান্ত ফাঁকি দেন, তার প্রমাণ আবারও হাতেনাতে পাওয়া গেল। সাক্ষী থাকলেন খোদ দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া। দিল্লির একটি সরকারি হাসপাতালে সম্প্রতি আচমকা হানা দিয়েছিলেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী।

হাসপাতালের তখন রোগীদের যথেষ্টই ভিড় ছিল। কাউন্টারে, কাউন্টারে পরিষেবা পাওয়ার জন্য লম্বা লাইন। এরই মধ্যে মণীশ শিশোদিয়ার নজর যায় এক কর্মীর দিকে। বাইরে যখন রোগীদের লম্বা লাইন, তখন নিজের আসনে বসে দিব্যি কম্পিউটারে সিনেমা দেখছিলেন ওই কর্মী।

সিনেমা দেখায় ওই কর্মী এতটাই মগ্ন ছিলেন যে খোদ উপ-মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পিছনে এসে দাঁড়ালেও তিনি টের পাননি। মণীশ শিশোদিয়া তাঁকে হাল্কা ধাক্কা দিয়ে ডাকতেই সম্বিত ফেরে ওই কর্মীর।

ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়ে যতক্ষণে কম্পিউটারে চলতে থাকা সিনেমা বন্ধ করলেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এরপরেই দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমকাতে শুরু করেন। ওই কর্মীর তখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। ওই কর্মী কোন আধিকারিকের অধীনে কাজ করেন তাও জানতে চান মণীশ। বাইরে যখন রোগীদের লম্বা লাইন, তখন কীভাবে তিনি অফিসে এসে সিনেমা দেখছেন, ওই কর্মীকে সেই প্রশ্নও করেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী।

অভিযুক্ত কর্মীটি বারবার অনুরোধ করলেও কাজ হয়নি। ওই দফতরের ইন্সপেক্টরকে অবিলম্বে ওই কর্মীকে সরিয়ে দিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। গোটা পর্বের ভিডিওটি আম আদমি পার্টির নিজস্ব ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: এবেলা
Share:

এবার ট্রেনের চাকায় মারা গেলো চার হাতি

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স
ঢাকা: বাংলাদেশে হাতি বঙ্গবাহাদুর মৃত্যুর একদিন পরেই শ্রীলঙ্কায় প্রাণ গেলো তিন শাবকসহ এক বয়স্ক হাতির। ট্রেনে কাটা পড়ে হাতি চারটির মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির রাজধানী কলম্বোর উত্তর অংশে সদ্য উন্নয়ন করা রেললাইনের মধ্যে কাটা পড়ে হাতি চারটির নির্মম মৃত্যু হয়।

লঙ্কান বন্যপ্রাণি বিভাগের পরিচালক ডাব্লুউএসকে পাঠিরাত্না বলেছেন, মূলত ট্রেনটি রাতে না দেখার কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতি এড়াতে হাতি চলাচলের রাস্তায় রাতে ট্রেন চলাচলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হবে; প্রয়োজনে দেওয়া হবে বিশেষ আলোক ব্যবস্থা।

দেশটিতে প্রতি বছর বহু হাতির মৃত্যু হচ্ছে। এরমধ্যে মানবসৃষ্ট কারণে মৃত্যু কমপক্ষে ২০০ হাতির। এছাড়া ৫০টি হাতির মৃত্যু হয় স্বাভাবিক নিয়মে। এতে করে হাতির সংখ্যা কমতে কমতে শ্রীলঙ্কায় এখন দাঁড়িয়েছে মাত্র সাত হাজারে। যা ১৯৯০ সালে ছিল ১২ হাজারের মতো।

সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হল শেয়ার করুন
Share:

জিপিএ-৫ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৫৮২৭৬


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স
ঢাকা: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার মেধা তালিকায় সর্বোচ্চ ৫৮ হাজার ২৭৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর মধ্যে ৮টি সাধারণ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৫০ জন শিক্ষার্থী। আর মাদ্রাসা, কারিগরি মিলে পেয়েছেন ৯ হাজার ৩২৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতবারের তুলনায় এবার ১৫ হাজার ৩৮২ জন বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

ঢাকা বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৮ হাজার ১১০ জন। এর মধ্যে ছেলে ১৫ হাজার ২৪৫ জন এবং মেয়ে ১২ হাজার ৮৬৫ জন। ২০১৫ সালে এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৮ হাজার ৮৯৩ জন। তার মধ্যে ছেলে ১০ হাজার ৩০২ জন এবং মেয়ে ৮ হাজার ৫৯১ জন।

রাজশাহী বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৫ জন। ছেলে ৩ হাজার ৫৮০ জন, মেয়ে ২ হাজার ৪৯৩ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া ৫ হাজার ২৫০ জনের মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৮৬৫ জন, মেয়ে ২ হাজার ৩৮৫ জন।

কুমিল্লা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৯১২ জন। ছেলে ৯৫৮ জন এবং মেয়ে ৯৪৪ জন। গত বছর ছিল ১ হাজার ৪৫২ জন। যার মধ্যে ছেলে ৭৫৪ জন, মেয়ে ৬৯৮ জন।

যশোর বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৬ জন। এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৬১৬ জন, মেয়ে ১ হাজার ৯৭০ জন। গত বছর বোর্ডটিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৯২৭ জন শিক্ষার্থী। তার মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৯৮ জন, মেয়ে ৮২৯ জন।

বরিশাল বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৮৭ জন। এর মধ্যে ছেলে ৪১৬ জন, মেয়ে ৩৭১ জন। ২০১৫ সালে একই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৩১৯ জন। তার মধ্যে ছেলে ৬৬০ জন এবং মেয়ে ৬৫৯ জন।

সিলেট বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৩৩০ জন। এর মধ্যে ছেলে ৭৯৪ জন, মেয়ে ৫৩৬ জন। ২০১৫ সালে সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ হাজার ৩৫৬ জন। যার মধ্যে ছেলে ৭৯৮ জন, মেয়ে ৫৫৮ জন।

দিনাজপুর বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৯৯ জন। এর মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৩৩৪ জন, মেয়ে ১ হাজার ৫৬৫ জন। ২০১৫ সালে এ শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ৩৯৫ জন। তার মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৫০৮ জন, মেয়ে ৮৮৭ জন।

এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৪১৪ জন। এর মধ্যে ছেলে ১ হাজার ৭৬৭ জন, মেয়ে ৬৪৭ জন। এইচএসসি ভকেশনাল এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৭ জন। এর মধ্যে ছেলে ৩ হাজার ২৩৪ জন, মেয়ে ৩ হাজার ৩৫৩ জন।

অন্যান্য ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২৫ জন। এর মধ্যে ছেলে ১৮৩ জন এবং মেয়ে ১৪২ জন।


সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হল শেয়ার করুন
Share:

বঙ্গ বাহাদুরের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা:
ভারত থেকে আসা বন্য হাতি বঙ্গ বাহাদুরের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং এক কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) হাইকোর্টে বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুচ আলী আকন্দ।

পরে ইউনুচ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সরকার। কিন্ত ভারত থেকে আসা হাতিটি সংরক্ষণ ও তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি। তাই এ রিট দায়ের করা হয়েছে।

রিটে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সভাপতি করে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আবেদন জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি বণ্যহাতিটির মৃত্যুর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

রিটে মৎস ও পশু সম্পদ, বন ও পরিবেশ, স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  এবং জামালপুরের জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়েছে।

গত ২৬ জুন বন্য হাতিটি ভারতের আসাম থেকে বন্যার পানিতে ভেসে কুড়িগ্রাম সীমান্ত হয়ে বিভিন্ন জেলা ঘুরে শেষে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার কামড়াবাদ ইউনিয়নের কয়বা গ্রামে গত ১৬ আগস্ট মারা যায়।


সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন
Share:

Wednesday, August 17, 2016

ডায়াবেটিস কি? কেন হয়?

 
প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স 

আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের শক্তির জন্য প্রয়োজন গ্লুকোজ। খাবার খাওয়ার পর জটিল বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া গ্লুকোজ রক্তের মাধ্যমে শরীরের কোষ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এ গ্লুকোজ কোষে প্রবেশ করার পর শক্তির উৎস হিসাবে কাজ করবে। তবে গ্লুকোজ কোষের ভিতরে প্রবেশের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় চাবি হলো ইনসুলিন নামক প্রোটিন হরমোন। এটা অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হবার পর রক্তবাহিত হয়ে কোষের আবরণী পর্যন্ত পৌঁছে যায়। সেখানে পৌঁছে তা জৈব রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলস্বরূপ কোষের রুদ্ধ দুয়ার খুলে দেয়। আর তারপরই গ্লুকোজ পৌঁছে যায় কোষের ভেতরে, শক্তি জুগিয়ে উজ্জীবিত করে তোলে দেহকে।

কিন্তু কোন কারণে যদি অগ্ন্যাশয়ে গোলযোগ দেখা দেয় তবে ইনসুলিন আর ঠিকমতো নি:সৃত হতে পারে না। কিংবা কোষীয় আবরণের কাছাকাছি পৌঁছে ঠিকমত কাজ করতে পারেনা। ফলে কোষে গ্লুকোজের জোগান ব্যাহত হয়। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে থাকে, শক্তির অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে কোষ। মোদ্দাকথা অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেলে তখনই শরীরের ভেতর নানা জৈব-রাসায়নিকের বিপাকীয় কর্মকান্ডের হেরফের হয়।

অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিক মেলাইটাস (ইনসুলিন ডিপেনড্যান্ট ডায়াবেটিস মেলাইটাস) বা টাইপ ১ ডায়াবেটিস হয়। অন্যান্য দেশে টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা মোট ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যার ১০ থেকে ১২ শতাংশ। আমাদের দেশে এর হার ৩ – ৮ শতাংশের মত। অন্যদিকে প্রয়োজনের তুলনায় কিছুটা কম ইনসুলিন নিঃসরণ হলে বা প্রতিবন্ধকতার কারণে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করতে না পারলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলাইটাস (ইনসুলিন ইনডিপেনড্যান্ট ডায়াবেটিস মেলাইটাস) হয়। আমাদের দেশে এটিই প্রধান ডায়াবেটিস।

লেখক: ডা. শাহজাদা সেলিম, সহকারী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
Share:

জঙ্গি মারজান ‘শিবিরের সাথী’

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

রাজধানীর গুলশান হামলার সন্দেহভাজন পরিকল্পনাকারী জেএমবি নেতা নুরুল ইসলাম মারজান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, আরবি বিভাগের এ শিক্ষার্থী ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা অসম্পূর্ণ রাখেন। এরপর আর ভর্তি হননি তিনি।

এরমধ্যে গত নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে পুলিশি তল্লাশিতে উদ্ধার কয়েকটি ল্যাপটপ ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের নথিপত্র যাচাই করে মারজানের সংগঠনটির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, পুলিশ ওই সব নথিপত্র যাচাই বাছাই করে বলেছিল, নুরুল ইসলাম ইসলামী ছাত্র শিবিরের ‘সাথী’।

মারজান গুলশানের ক্যাফেতে হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে গণমাধ্যমে সংবাদ আসার পর তার সনদ ও ছবি দেখে আরবি বিভাগের নুরুল ইসলাম হিসেবে শনাক্ত করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী জানান।

নজিরবিহীন এ হামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বলছে, কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরী এ হামলার হোতা। তিনি ‘নিও জেএমবি’র নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন।

গুলশান হামলার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নিখোঁজ ছাত্রদের তালিকা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিখোঁজ ছয় ছাত্রের তালিকা দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের সবার খোঁজ পাওয়া যায়। তবে ওই তালিকায় ছিলেন না মারজান।

মারজানকে নিয়ে উপাচার্য বলেন, ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় বর্ষের ষষ্ঠ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পর থেকে তার আর খোঁজ নেই।
তৃতীয় বর্ষে পুনঃভর্তি না হওয়ায় নুরুল ইসলাম আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন।

পাবনার হেমায়েতপুরের আফুরিয়া গ্রামের হোসিয়ারি শ্রমিক নিজাম উদ্দিনের ছেলে মারজান পঞ্চম শ্রেণি পাসের পর পাবনা শহরের পুরাতন বাঁশবাজার আহলে হাদিস কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিলেন।

এরপর পাবনা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে দাখিল ও আলিম পাস করেন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি।

এরমধ্যে মারজান বিয়ে করেন জানিয়ে তার পরিবার বলছে, গত আট মাস ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তাদের।

মারজান ছাড়াও বগুড়ায় বোমা বানামোর সময় বিস্ফোরণে নিহত জেএমবি নেতা ফারদীনের সহযোগী হিসেবে গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম নগরী থেকে গ্রেপ্তার চবির তিন শিক্ষার্থীর একজন নাইমুর রহমান নয়নও (২৫) ইসলামী ছাত্র শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ।-বিডিনিউজ।

গত জুনে মাদারীপুরে এক কলেজ শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার সময় জনতার হাতে আটকের পর পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমও ছাত্র শিবিরের কর্মী ছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা ও হত্যাকাণ্ডের জন্য জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সম্পৃক্ততার কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালও।

গত রোববার গাইবান্ধায় জঙ্গিবাদবিরোধী এক সভায় তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পরে যারা রগ কাটত, তারাই এখন নিজেদের আইএস বলছে।

গুলশান হত্যাকাণ্ডসহ গত দুই বছরে বাংলাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্যে অনেকগুলোতেই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের নামে দায় স্বীকারের বার্তা এসেছে। তবে বাংলাদেশে তাদের অস্তিত্ব নাকচ করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মারজানের বিভাগ আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের গ্রন্থাগার থেকে বিপুল পরিমাণ ‘ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টিকারী’ বই ও প্রচারপত্র জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ।

প্রক্টর আলী আজগর বলেন, “আমরা বিভিন্ন বিভাগ থেকে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টিকারী বই জব্দ শুরু করেছি।

“বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরি, মসজিদ লাইব্রেরি ও হল লাইব্রেরিগুলোতে অনেক বই আছে, যেগুলো কোনো অ্যাকাডেমিক কাজে লাগে না বরং ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টি করে। সাতদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্থান থেকে এসব বই তুলে নেওয়া হবে।”

রোববার আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে উদ্ধার বইগুলোর মধ্যে জামায়াতের তাত্ত্বিক গুরু আবুল আলা মওদুদী, যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও বিতর্কিত ভারতীয় বক্তা জাকির নায়েকসহ বিভিন্ন লেখকের দুই শতাধিক বই রয়েছে বলে সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক বিভাগকে তাদের গ্রন্থাগোরে সংরক্ষিত বইয়ের তালিকা দিতে বলেছিল। এর প্রেক্ষাপটে বিভাগগুলো যে তালিকা দিয়েছিল তাতে এসব বই নেই।

“আরবি বিভাগ থেকে বেশ কিছু লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলো ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী।’’

এ বিষয়ে আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান ইসমাইল চৌধুরী বলেন, “বিভাগে কিছু লিফলেট আমার আগের চেয়ারম্যান হজ থেকে আসার সময় এনেছিলেন। আর কিছু লিফলেট কীভাবে এখানে এলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

উপাচার্য জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের তালিকা চাইলে আরবি বিভাগ তা দেয়নি বলে তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

তথ্য: সংগৃহীত
Share:

Tuesday, August 16, 2016

মারা গেলো বঙ্গ বাহাদুর


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স

ঢাকা:
ভারতের আসাম থেকে বন্যার পানিতে ভেসে জামালপুরে আসা হাতি ‘বঙ্গ বাহাদুর’ মারা গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল পৌনে ৭টার দিকে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কয়ড়া গ্রামের বাইদা বিলে মারা যায় হাতিটি।

হাতি মারা যাওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন হাতি উদ্ধার দলের প্রধান ঢাকা বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন বিভাগের পরিদর্শক অসীম মল্লিক।

স্থানীয়রা জানায়, হাতিটি সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যা রাতেই মারা যায়। কিন্তু এই হাতির মৃত্যু নিয়ে র‍াতভর চলে চরম নাটকীয়তা। শেষ পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাতির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন হাতি উদ্ধারকারী দলের প্রধান অসীম মল্লিক।

সোমবার ২য় দফা শিকল ছিড়ে ছুটে যাওয়ার পর ৪টি ট্র্যাঙ্কুলাইজার গান দিয়ে ডার্ট ইনজেকশন দিলে অসুস্থ হয়ে পড়ে হাতিটি। পরে অসুস্থ হাতিটি দুপুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত আজ সকাল পৌনে ৭টার দিকে মারা যায়।

ভারতের আসাম রাজ্যের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের দলছুট এই বন্যহাতিটি বন্যার পানিতে ভেসে গত ২৮ জুন কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশে।

দেড় মাস ধরে এটি কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও জামালপুরের চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। হাতিটি উদ্ধারে ৪ আগস্ট একটি ভারতীয় বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসে। ৫ থেকে ৭ আগস্ট চেষ্টা করেও হাতিটিকে উদ্ধার করতে না পেরে ৮ আগস্ট ভারতীয় দল ফিরে যায়।

পরে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বন বিভাগের উদ্ধারকারী দল দূরনিয়ন্ত্রিত চেতনানাশক ছুড়ে হাতিকে উদ্ধার করে।

তথ্য: সংগৃহীত
Share:

Monday, August 15, 2016

হে আল্লাহ! পবিত্র হজের জন্য আমাদের কবুল করো


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম ডেক্স
 
প্রেমময় এক ইবাদতের নাম পবিত্র হজ। হজ বিশ্ব মুসলিমের এক মহাসমাবেশ। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের, বিভিন্ন বর্ণের, ভাষা এবং আকার-আকৃতির মানুষ একই ধরনের পোশাকে সজ্জিত হয়ে সমবেত হন। আল্লাহপ্রেমের চূড়ান্ত প্রেমিকদের এই পবিত্র সফরে নেই কোনো পার্থিব চাওয়া-পাওয়া। শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিই কাম্য।

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তার পবিত্র ঘর বাইতুল্লাহ নির্মাণের আদেশ দেন। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ দিলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী (ইতিকাফকারী) এবং রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো।’ -সূরা বাকারা: ১২৬

উল্লিখিত আয়াতদ্বয়ে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কাবাকে নিজের ঘর হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাই প্রতিটি মুমিনের অন্তরই যেন সে ঘরটির সঙ্গে আধ্যাত্মিক সুতোয় বাঁধা। মুসলিম মাত্রই হৃদয়ের মণিকোঠায় পোষণ করেন এই পবিত্র ঘরে হাজিরা দেওয়ার আকুল মিনতি।

হজরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বাইতুল্লাহকে পুনঃনির্মাণ করে তার শ্রমকে স্বার্থক করার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন। আল্লাহতায়ালা হজরত ইবরাহিমকে (আ.) তার দোয়া কবুল করে নিদের্শ দিলেন, ‘আর হে (ইবরাহিম! তুমি) মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও। তারা দূর-দূরান্ত থেকে তোমার কাছে আসবে হেঁটে। আসবে সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রসমূহের পিঠে সওয়ার হয়ে।’ -সূরা হজ: ২৭

এ আয়াতের তাফসিরে হজরত আবুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ইবরাহিম (আ.) পবিত্র কাবা শরিফ নির্মাণের পর আল্লাহকে বললেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার নির্দেশে বাইতুল্লাহকে নির্মাণ করেছি। অতপর আল্লাহ তাকে হজের ঘোষণা দিতে আদেশ দিলেন- তিনি বললেন, আমার আওয়াজ কী করে (অতদূর) পৌছবে? আল্লাহতায়ালা বললেন, তুমি ঘোষণা করে দাও। তোমার ঘোষণার আওয়াজ বিশ্ব মানবতার কানে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার। হজরত ইবরাহিম (আ.) বললেন হে রব! ঘোষণায় কী বলব? আল্লাহতায়ালা বললেন, বলো- ‘হে মানবমন্ডলী! তোমাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিতে এবং জান্নাতে পৌঁছাতে আল্লাহতায়ালা তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন।’

হজরত ইবরাহিম (আ.) ঘোষণা দিলে আসমান ও জমিনের সবাই সে ঘোষণা শুনতে পায়। -তাফসিরে কুরতুবি: ১২/৩৭
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, হজরত ইবরাহিম (আ.) আবু কুবাইস পাহাড়ে উঠে নিজের দু’কানে আঙ্গুল দিয়ে সুউচ্চ কণ্ঠে ঘোষণা করলেন, হে মানব সম্প্রদায়! আল্লাহ তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। তোমরা তোমাদের প্রভুর আহবানে সাড়া দাও। তখন পুরুষের ঔরসে ও নারীর গর্ভে যারা ছিল সবাই ‘লাব্বাইকা’ বলে সাড়া দিল। -তাফসিরে রুহুল মাআনি: ১৩/৪৮

বর্ণনান্তরে হজরত ইবরাহিম (আ.) সাফা পাহাড় অথবা মাকামে ইবরাহিমে দাঁড়িয়ে এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। হজরত সাইদ ইবনে জুবাইর (রা.) বলেন, হজের জন্য বিশ্বমানবতাকে আহবান করার পর পাহাড় ঝুঁকে পড়ে। সমস্ত দুনিয়ায় এ ঘোষণার আওয়াজ গুঞ্জরিত হয়। পিতার ঔরসে, মায়ের গর্ভে যারা ছিল তাদের কানেও আল্লাহতায়ালা সে শব্দ পৌঁছে দেন। পাথর, বৃক্ষরাজি এবং প্রত্যেক ওই ব্যক্তি যার হজ নসিব হবে সবাই সমস্বরে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলে ওঠে। -তাফসিরে ইবনে কাসির: ৫/৪১৪

মুফাসসির মুজাহিদ (রহ.) বলেন, অতএব যে লোক এ পর্যন্ত হজ করেছে সে অবশ্যই সেই আওয়াজ শুনেছিল এবং (লাব্বাইকা বলে) সাড়া দিয়েছিল। এ আহবান শুনে সাড়া দেয়নি এমন কোনো ব্যক্তি কিয়ামত পর্যন্ত হজ করবে না। যে ব্যক্তি সে আহবানে একবার সাড়া দিয়েছিল, সে জীবনে একবার হজ করবে, আর যে দুই বা ততোধিকবার সাড়া দিয়েছিল, সে সেই অনুযায়ী ততবার হজ করার সৌভাগ্য অর্জন করবে। -তাফসিরে কাবির, ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি: ১১/১০২

সেদিন হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর আজানের জবাব দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল কি-না জানি না। তবু যতদিন লাব্বাইকের এই পবিত্র মিছিলে শরিক হয়ে আল্লাহর মেহমান হওয়ার ডাক না পড়বে, ততাদিন পতীক্ষায় প্রহর গুণতেই থাকব। হে মাওলা! তুমি আমাদের মনে আকুতিকে কবুল করো!

লেখক: যুবায়ের আহমাদ, খতিব, বাইতুশ শফিক মসজিদ, বোর্ড বাজার, গাজীপুর

Share:

Sunday, August 14, 2016

৫০০ কোটি রুপি খরচের সেই বিয়েও টিকলো না

আন্তর্জাতিক ডেক্স। প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম
৫০০ কোটির বেশি রুপি খরচ করে ভারতের ইস্পাত সম্রাট লক্ষী মিত্তাল তার ২৩ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন ব্যাংকার অমিত ভাটিয়ার সঙ্গে।কিন্তু ২০০৪ সালে হওয়া বিশ্বের এই মহার্ঘ্য স্বপ্নসম বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হলো না।

মেয়েকে কথা দিয়েছিলেন তার বিয়ের কথা অনেক দিন মনে রাখবে দুনিয়া। মেয়েকে দেওয়া সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন মিত্তাল। ২০০৪ সালে তার একমাত্র মেয়ে বানিশার বিয়ে হয় প্যারিসে। কিন্তু এক দশক পূর্ণ হওয়ার আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা আদালতে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে আলাদা হয়ে যান বানিশা-অমিত।

৫০০ কোটির বেশি ভারতীয় রুপি খরচ করে মিত্তাল তার মেয়েকে বিয়ে দেন। প্যারিসে বিয়ের অনুষ্ঠান হলেও কলকাতা থেকে শেফ মুন্না মহারাজ গিয়ে রান্নার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে‚ ভার্সেই প্রাসাদকে চতুর্দশ লুইয়ের রাজত্বকালের থেকে কোনো অংশে কম করেননি লক্ষ্মী মিত্তাল।

বিয়ের পোশাক বানিয়েছিলেন দুনিয়ার সেরা ডিজাইনাররা। লুভর মিউজিয়ামের উল্টোদিকে বসেছিল সংগীত-এর আসর। কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান শিখিয়েছিলেন নাচের ঝটকা।বিয়ের আসর বসেছিল ঐতিহাসিক ভ্য লো ভক্নতে এস্টেটে। ভারত থেকে শিল্পীরা গিয়ে বানিয়েছিলেন উদ্যানের সরোবরে নকল পদ্ম। সেই প্রস্ফুটিত পদ্মে বসে বিয়ে করেছিলেন বানিশা-অমিত। মণ্ডপ সাজাতে হল্যান্ড থেকে গিয়েছিলেন ফ্লোরিস্টরা। অতিথিদের রাজকীয়ভাবে রাখার জন্য খরচ হয়েছিল কয়েক কোটি রুপি। ঐশ্বরিয়া রাইয়ের নাচ ছিল বিয়ের রাতের মূল আকর্ষণ।

কিন্তু ২০০৪ সালে হওয়া বিশ্বের এই মহার্ঘ্য স্বপ্নসম বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।এক দশক পূর্ণ হওয়ার আগেই ২০১৪ সালে আলাদা হয়ে যান বানিশা-অমিত।

তথ্য: সংগৃহীত
Share:

আইসক্রিম চোরদের ধরিয়ে দিলেই পাবেন পুরস্কার!


আন্তর্জাতিক ডেক্স। প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম
 
আইসক্রিম চোরদের আটকের জন্য তথ্য দিলে পুরস্কার দেয়া হবে, এমন ঘোষণা দিয়েছেন নিউইয়র্কের ধনকুবের জন ক্যাটসিমাটিডিস। গ্রোসারি শপ টাইকুন হিসেবে পরিচিত এ কোটিপতি একসময় মেয়র পদে নির্বাচনও করেছিলেন।

তার ঘোষণা অনুযায়ী দোকান থেকে যারা আইসক্রিম চুরি করে তাদের বিষয়ে তথ্য দিলে পাঁচ হাজার ডলার পুরস্কার দেবেন তিনি। মার্কিন এক পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, চোরেরা বড় দোকানগুলো থেকে আইসক্রিমের কার্টুন চুরি করে ছোট ছোট দোকানে বিক্রি করে।

পত্রিকাটি বলছে পুলিশ এসব চোরদের বিষয়ে আড়াইশর মতো অভিযোগ পেয়েছে আর আটক করেছে অন্তত ১৩০ জনকে। ধনকুবে ক্যাটসিমাটিডিস বলছেন, বোডেগাস নামে পরিচিত ছোট দোকানগুলোই চোরগুলোকে উৎসাহিত করে আইসক্রিম চুরি করতে।

ম্যানহাটনের কাছে নিজের দোকানে আইসক্রিম চুরির ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন মোবাইল ফোন ক্যামেরায় ভিডিও থেকে তাদের ধরা গেছে। ‘সেখানে এক পুরুষ ও নারীকে ৬০ কাপ আইসক্রিম ব্যাগে ভরে দোকান থেকে দৌড় দিয়েছিল।’

সিটি কর্মকর্তারা বলছেন চুরি করা আইসক্রিমকে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এখন দেখা যাক স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বক্তব্য আর মিস্টার ক্যাটসিমাটিডিসের পুরস্কার আইসক্রিম চুরি কমাতে পারে কিনা।

তথ্য: সংগৃহীত


সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন
Share:

Saturday, August 13, 2016

নিষেধাজ্ঞা উঠলেও অপেক্ষায় আশরাফুল


স্পোর্টস ডেক্স। প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম
 
ঢাকা: বিপিএলে ফিক্সিংয়ের দায়ে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ থাকা মোহাম্মদ আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে গেল শনিবার (১৩ আগস্ট, ২০১৬)। বিষয়টি এতদিন মুখে মুখে থাকলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবার আনুষ্ঠানিকভাবে আশরাফুলের প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে।

শনিবারই আশরাফুল লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। ২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় সংস্করণে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় আশরাফুলকে ৩ বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিবির গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। পরে আশরাফুল আপিল করলে সেই নিষেধাজ্ঞা কমে আসে দুই বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ পাঁচ বছরে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় আজ (১৩ আগস্ট)।

তবে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলেও এই ব্যাটসম্যান কোন ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবেন সেটা নিয়ে ছিল সংশয়। আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চেয়ে আইসিসির কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে বিসিবি। শনিবার আইসিসি থেকে কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে, মিরপুরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি সুজন জানান, ‘আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। তবে, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইসিসির সার্টিফিকেট অব গুড কন্ডাক্ট পেলেই তার ঘরোয়া লিগে খেলতে কোনো বাধা থাকবে না। কিন্তু, কোনো ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক দলের হয়ে যেমন বিপিএলের মতো আসরে খেলা থেকে বিরত থাকতে হবে আশরাফুলকে।’

ধারণা করা হচ্ছিলো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লংগার ভার্সন ক্রিকেট বিসিএল দিয়েই হয়তো আবার মাঠে নামবেন আশরাফুল। যেটি শুরু হবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু চার দলের বিসিএলে দল নির্বাচনে উঠে আসবে পারফরম্যান্সের ব্যাপারটি। ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা পারফরমাররাই সুযোগ পাবেন বিসিএলে।

আশরাফুলকে কবে নাগাত আইসিসি থেকে সেই সার্টিফিকেট দেওয়া হবে সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের উত্তরে সুজন জানান, ‘দুই-এক দিনের মধ্যেই আমরা সেটি জানতে পারবো।’

দীর্ঘ সময় ক্রিকেটের বাইরে থাকা আশরাফুল বিসিবির ক্রিকেটীয় অবকাঠামো ব্যবহার করতে পারবেন কী না জানতে চাইলে সুজন যোগ করেন, ‘বিসিবির অন্য ক্রিকেটারদের মতোই আশরাফুল সব অবকাঠামো ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, তার আগে তাকে আইসিসির সেই সার্টিফিকেট পেতে হবে।’

তথ্য: সংগৃহীত


সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন

Share:

সিরিয়ায় রাশিয়ান বিমান হামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভ‍ূত তরুণী নিহত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: 
সিরিয়ার রাক্কায় রাশিয়ান বিমান হামলায় খাদিজা সুলতানা নামে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক তরুণী নিহত হয়েছে।

গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ যোগদানের উদ্দেশে সিরিয়ায় যায় খাদিজা।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) খাদিজার পরিবারের আইনজীবী তাসনিম আকঞ্জি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এমন তথ্য দিয়েছেন।

তাসনিম জানান, চলতি বছরের মে মাসে রাক্কায় যে ভবনে খাদিজা থাকতো সেই ভবনে হামলা চালায় রাশিয়ান বাহিনী। এরপর থেকে খাদিজার সঙ্গে পরিবারের কেউ যোগাযোগ করতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে-ওই হামলায় খাদিজা নিহত হয়েছেন।

খাদিজার মৃত্যুর বিষয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তেমন কিছু জানাতে পারেনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সিরিয়ার সঙ্গে ব্রিটেনের সব কনসুলার সার্ভিস বিচ্ছিন্ন থাকায় এ ধরনের খবর আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ফেব্রয়ারি মাসে পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন থেকে তিন কিশোরী আইএস এ যোগদানের লক্ষ্যে গেটউইক বিমানবন্দর হয়ে সিরিয়ায় পালিয়ে যায়। এর মধ্যে খাদিজাও ছিলেন।

তথ্য: সংগৃহীত


Share:

মেসি ফিরলেন আর্জেন্টিনা দলে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কেউ বৃষ্টিতে ভিজে প্ল্যাকার্ড নিয়ে তার যাতায়াতের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলো। কেউ দীর্ঘ আবেগময়ী চিঠি লিখলো। কেউ ইভেন্টের পর ইভেন্ট খুললো। কেউ সভার পর সভা, র্যালির পর র্যালি করলো। কেউ স্ট্যাটাসের পর স্ট্যাটাস দিলো। কেউ হ্যাশট্যাগের পর হ্যাশট্যাগ চালু করলো। কর্তা ব্যক্তি বা কিংবদন্তিরা গণমাধ্যমে কথা বলতে থাকলেন। সবারই এক ডাক, ‘ফিরে এসো মেসি!’

এতো ডাক হয়তো আবেগী করে তুলছিল তাকে। কিন্তু লুকোতে চাইছিলেন। তবে সবচেয়ে বেশি যে আবেগ, দেশ এবং দেশের প্রিয় জার্সির প্রতি, সেটা আর লুকোতে পারলেন না। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের চার চারটি ফাইনালে গিয়েও শিরোপা হাতছাড়া করার সব অভিমান উড়িয়ে দিয়ে দেশের জার্সিতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন লিওনেল মেসি।

খোদ মেসিই শুক্রবার (১২ আগস্ট) এক বিবৃতির মাধ্যমে জাতীয় দলের হয়ে ফের খেলতে নামার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ক্রীড়া সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আর্জেন্টিনার নতুন কোচ এদগার্দো বাউজা বার্সেলোনায় উড়ে গিয়ে মেসির সঙ্গে বৈঠক করার পর এমএল১০ এই আলোচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে মেসি বলেন, “শেষ ফাইনালটায় হারের পর আমি অনেক কিছু ভেবেছি এবং অবসরের ব্যাপারটা গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছিলাম। কিন্তু এই দেশ (আর্জেন্টিনা) এবং এই জার্সিকে আমি খুব ভালোবাসি।”

২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল, গত বছরের কোপা আমেরিকার ফাইনালের পর গত জুনে শতবার্ষিক কোপা আমেরিকার ফাইনালেও হেরে যাওয়ায় জাতীয় দলকে আকস্মিক বিদায় বলে দেন মেসি। এ নিয়ে প্রায় পুরো ফুটবলবিশ্ব বিস্মিত হয়।

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে দেশটির কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা, ব্রাজিলিয়ান গ্রেট পেলে, আরেক কিংবদন্তি রোনালদো এমনকি মেসির এসময়ের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলেন বার্সেলোনার প্রাণভোমরাকে। রাস্তায় নেমে, ইভেন্ট খুলে, চিঠি লিখে কোটি ভক্ত মেসিকে ফিরে আসার আহ্বান জানাতে থাকেন। কিন্তু কিছুতেই সাড়া দিচ্ছিলেন না এমএল১০।

এরমধ্যেই ক’দিন আগে আর্জেন্টিনা দলের কোচ হন এদগার্দো বাউজা। কোচ হওয়ার পরপরই দল গোছানোর সঙ্গে সঙ্গে মেসিকে জাতীয় দলে ফেরানোর মিশনে নামেন তিনি। হাতে তার ক্লাবের ম্যাচ বাকি থাকা সত্ত্বেও তিনি যোগাযোগ করতে থাকেন মেসির সঙ্গে। এরপর গত সপ্তাহে বার্সেলোনায় উড়ে গিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এলএম১০ এর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তার আগে কোচের সামনেই মেসি হুয়ান গাম্পার ট্রফিতে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে মাঠ মাতান। তার জোড়া  গোলের সুবাদে ৩-১ ব্যবধানে জয় পায় বার্সেলোনা।

বৈঠকে আলোচনার পর দেশে ফিরে বাউজা জানান, তিনি মেসির ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছেন। কিন্তু সে বিষয়টি মেসি জানাবেন বলে তার ওপরই ছেড়ে দেন। অবশ্য, সেপ্টেম্বরে উরুগুয়ে ও ভেনেজুয়েলার সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিনগত রাত ৩টায় (আর্জেন্টাইন সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা) দল ঘোষণার কথা কোচ বাউজার। তার আগে তিনি মেসিকে ফোন করবেন বলেও জানান।

আর ফোন করার আগেই বিবৃতি দিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন পাঁচবারের বিশ্বসেরা ফুটবলার বা ব্যালন ডি’অর খেতাবজয়ী মেসি। সিদ্ধান্ত জেনে গেলেন বাউজা, সুখবর পেয়ে গেলো আর্জেন্টিনাও।

তথ্য: সংগৃহীত



Share:

Saturday, August 6, 2016

খোলা মাঠে পায়খানা করে ৪.৪ ভাগ ভারতীয়


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

ভারতের ৪.৪ ভাগ নাগরিক খোলা ময়দানে মলত্যাগ করেন বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত মন্ত্রী আমলারা মাঠে ঘাটে ছুটে যাচ্ছেন এই কাজ বন্ধ করতে। কিন্তু কে শোনে কার কথা? ঘরে টয়লেট আছে, তবু অনেকেই নাকি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ছুটছেন খোলামাঠে।

স্বচ্ছ ভারত অভিযানের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যেক বাড়িতে শৌচাগার থাকতেই হবে এটাই এখন সরকারের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য। তবে একটা কথা আছে না ‘আ মরি স্বভাব তো কখনো যাবে না’, এই মাঠে ঘাটে মলত্যাগের স্বভাবটাই কিছুতেই পরিবর্তন করা যাচ্ছে না। স্রেফ খারাপ স্বভাবের কাছে হার মানতে হচ্ছে সরকারকে। লোকসভায় প্রকাশিত একটি তথ্যই তার প্রকৃষ্ট উদাহারন।

বুধবার লোকসভায় বিবৃতি দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় পানীয় জল ও স্যানিট্রেশন মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ চন্দাপ্পা জিগাজিনাগি জানান, এত অভিযানের পর এখনও দেশের ৪.৪ শতাংশ মানুষ ঘরে টয়লেট থাকা সত্ত্বেও খোলামাঠে যান যাচ্ছেন প্রাতঃকৃত্য সারতে। ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিসের সূত্রেই এই তথ্য উঠে এসেছে তার কাছে।

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে, ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসের পর থেকে সরকার গ্রামে ২১০.৬২ লাখ টয়লেট তৈরি করেছে। নির্মল গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ৭২,০৯৬টি গ্রামকে। কিন্তু এখন ওই ৪.৪ শতাংশই কেন্দ্রের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। তাই শুরু করতে হচ্ছে নয়া প্রচারাভিযান।

তথ্য: সংগৃহীত
Share:

ঐক্যের নামে নতুন খেলা শুরু করেছে খালেদা জিয়া : হানিফ


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জঙ্গিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যের ডাকের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ‘তার দল এবং জোটের সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের’ তালিকা দিলেই জঙ্গি-সন্ত্রাস নির্মূল হবে।

শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় গুলশান হামলার পর সাধারণ মানুষ জঙ্গি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে দাবি করে খালেদার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের নামে ‘নতুন খেলা’ শুরু করার অভিযোগও করেন তিনি।

হানিফ বলেন, ‘গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর যখন দেশের সাধারণ মানুষ জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখন বিএনপিনেত্রী নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে খেলা শুরু করেছেন। এই খেলার নাম হচ্ছে ‘জাতীয় ঐক্য-ঐক্য খেলা।’

খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের ডাকের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আপনি কিসের ঐক্য চান বেগম জিয়া? দেশবাসীও জিজ্ঞাসা করে, আপনি কিসের ঐক্য চান? আমরা তো বহুবার বলেছি, আপনার সঙ্গে ঐক্যের প্রয়োজন নেই।

তথ্য: সংগৃহীত
Share:

সৌদি আরবে মানবেতর জীবন যাপন করছে বাংলাদেশী শ্রমিকরা


প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম
সৌদি আরবে আটকা পড়া শ্রমিকদের একজন ফরিদপুরের মিজানুর রহমান। আঠারো বছর ধরে তিনি সেখানে কাজ করছেন। কিন্তু হঠাৎ করে কাজ হারানোয় এবার তার দিন কাটছে কোনও রকমে একবেলা খেয়ে।

তিনি টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এখন একবেলা খানা খাই। তিন বেলার খাবারের জায়গায় দিনের মধ্যে একবেলা খাই। ভারতের কিছু বড় বড় কোম্পানি আছে তারা সাহায্য করছে। তারা মূলত ভারতীয়দের সাহায্য করছে, সেখান থেকে আমরাও কিছু কিছু পাই”।

বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকদের একটি বড় অংশই কাজ করে সৌদি আরবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ক্রমাগত পড়তে থাকায় সৌদিতে বহু কোম্পানিতে কাজ বন্ধ হতে শুরু করেছে গত বছর থেকেই।

সবচেয়ে বেশি শোচনীয় অবস্থা নির্মাণ সংস্থাগুলোর। অনেক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের হঠাৎ করেই ছাঁটাই করা হয়েছে। অনেকে মাসের পর মাসে বেতন পাচ্ছেন না, শ্রমিকদের জন্য নির্মিত শিবিরগুলোতে তাদের দিন কাটছে প্রায় অভূক্ত অবস্থায়।

মিজানুর রহমান জানান, যেখানে তিনি কাজ করতেন সেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ফিলিপিন্স এবং শ্রীলংকার শ্রমিকরা কাজ করতো। একবছর আগে কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়। এরপর থেকে বেতন বন্ধ করে দেয়া হয়।

গত চারমাস ধরে খাওয়াও বন্ধ করে দেয়া হয় । ইসলামী দাওয়াত সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রমজান মাসে খাবার দিয়েছিল। এরপর আরেকটি কোম্পানি কিছু চাল-ডাল দিয়ে যায়। পাকিস্তান এবং ভারতীয় কোম্পানি সাহায্য করেছে।

“এখন করুণ অবস্থা কারও কাছে এক টাকাও নাই” বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, “দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু তারা ব্যবস্থা নিবেন কিভাবে? দূতাবাসের কোনও কর্মকর্তা এসে দেখেন নি আমারা কি অবস্থায় আছি। খেয়ে আছি না না খেযে আছি এসে কেউ দেখে নাই। শুধু বলে আসবো আসবো”।

তিনি আরও বলেন, কারও আকামা নাই। আকামা ছাড়া গেটের বাইরে যাওয়া যায় না। গেটের বাইরে গেলেই পুলিশ আক্রমণ করে। একবার পুলিশ ধরলেই ২০হাজার টাকা জরিমানা করে।

“এখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনও মন্ত্রী বা বড় কোন বড় মানুষ যদি আমাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে হয়তো একটা কিছু হবে। যদি কোনও প্রতিষ্ঠানে বদলি হয়ে কাজ করতে পারি, তা বদলি হতেও ৭০/৮০ হাজার টাকা লাগে। মানুষ খেতেই পায় না এত টাকা কোথা থেকে দিব?”

আরেকজন বাংলাদেশী শ্রমিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার আব্দুল করিম জানান, ১৪০ জনেরও বেশি বাংলাদেশী শ্রমিক এখন এ অবস্থায় আছেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শ্রমিক, যারা সে দেশে বেকার রয়েছেন, তারা যাতে অন্য চাকরিতে ঢুকতে পারেন বা দেশ ত্যাগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।

ভারতীয় শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় আট হাজার বেকার হয়ে পড়েছেন। তবে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলতে সেদেশের মন্ত্রী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিং এখন জেদ্দায় রয়েছেন। পাকিস্তানেরও কয়েকশো শ্রমিক এখন সেখানে কর্মহীন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
Share:

সহজে চুল পড়া বন্ধ ও খুসকি দূর উপায়

প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

চুল নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সেইসব সমস্যার মধ্যে অকালে চুল পড়ে যাওয়া যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে খুসকি। এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন, সাহায্য নিতে হয় দামি ওষুধের। কিন্তু কেমন হয়, যদি কোনো ঘরোয়া কৌশলে মুক্তি মেলে এসব সমস্ত ঝামেলা থেকে?

ক্যাস্টর অয়েল এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যাতে আছে রাইসিনোলেইক অ্যাসিড ও ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদানগুলো চুল পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, নারকেল তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে রাতে শোওয়ার আগে মাথায় মেখে নিতে হবে। বালিশে তেল লেগে যাওয়ার ভয় থাকলে মাথায় একটি শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। তারপর ঘুমিয়ে পডুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

যারা খুসকির সমস্যায় ভুগছেন, তারা এক চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে সমপরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল আর অর্ধেক করে কাটা পাতি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথায়, চু‌লের গোড়ায়, লাগিয়ে আধ ঘণ্টাখানেক পরে ধুয়ে ফেলুন মাথা। দিন সাত এমনটা করার পরেই মুক্তি মিলবে খুসকি থেকে। আসলে ক্যাস্টর অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ফাংগাল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ রয়েছে। সেই গুণগুলিই খুসকির হাত থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

তথ্য: সংগৃহীত
Share:

Thursday, August 4, 2016

আল্ট্রাসনোগ্রাফি কি এবং কেন? আল্ট্রাসনোগ্রাফির উপকারিতা ও অপকারিতা


Ultrasonography
প্রথম আলো টোয়েন্টিফোর.কম

আল্ট্রাসনোগ্রামের কথা শুনলেই আমাদের চোখের সামনে মনিটরের পর্দায় গর্ভবতী মায়ের অনাগত বাচ্চার ছবি ভেসে উঠে। আল্ট্রাসনোগ্রাফিকে সনোগ্রাফিও বলা হয়। সনোগ্রাফির মাধ্যমে চিকিৎসক স্ক্রিনের ছবি বিশ্লেষণ করে রোগ নির্ণয় করে থাকেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফি মূলত গর্ভকালীন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ডাক্তারি পরীক্ষা। তথাপি আল্ট্রাসনোগ্রামের আরো অনেক উল্লেখযোগ্য ব্যবহার রয়েছে যা আমাদের অজানা।
আল্ট্রাসনোগ্রাফির ব্যবহারঃ

১। গর্ভাবস্থাঃ সনোগ্রাফির মাধ্যমে বাচ্চা ডেলিভারি তারিখ থেকে শুরু করে বাচ্চার গঠন-প্রকৃতি, লিঙ্গ, মায়ের সম্ভাব্য কোন অসংগতি যা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর, মায়ের পেটের ভিতর বাচ্চার অবস্থান, বাচ্চার নড়াচড়া, জমজ বাচ্চা-সহ বিভিন্ন বিষয় জানা যায়। গর্ভকালীন যেকোন ইমার্জেন্সিতে আল্ট্রাসনোগ্রাফি একজন চিকিৎসকের জন্য সর্বোত্তম নির্ভরযোগ্য ডাক্তারি পরীক্ষা পদ্ধতি। আল্ট্রাসনোগ্রাফির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অন্যান্য রেডিওলোজীকাল পরীক্ষার তুলনায় কম বলে এটা বেশ নিরাপদ।

২। রোগ নির্ণয়ঃ সনোগ্রাফির মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন লিভার, স্প্লিন বা প্লিহা, কিডনি, অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলী, পিত্তথলি, চক্ষু, থাইরয়েড, মূত্রথলীসহ নারী ও পুরুষের যৌনাঙ্গের নানাবিধ রোগ সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব।

৩। বায়োপসি ও চিকিৎসার উদ্দেশ্যেঃ বায়োপসি ও চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সনোগ্রাফি ব্যবহার করা যায়। যেমন শরীরের কোন অঙ্গের পাথর নিরাময়ের জন্যও সনোগ্রাফি বহুল ব্যবহৃত হয়।
৪। রক্তনালীর গতিপথ ও প্রবাহ নির্ণয়ঃ বর্তমানে সনোগ্রাফির আরেকটি উল্লেখযোগ্য ব্যবহার হল রক্তনালীর গতিপথ ও প্রবাহ নির্ণয় করা। এতে করে আমাদের রক্তসঞ্চালন ব্যবস্থার রোগও ডায়াগনোসিস করা সম্ভব।
৫। ইকোকার্ডিওগ্রামঃ হৃৎপিন্ডের গতি-প্রকৃতি বোঝার জন্য যে ইকো করা হয় তা মূলত সনোগ্রাফিরই অন্য আরেকটি ব্যবহার।
আল্ট্রাসনোগ্রাফির উপকারিতাঃ১. এক্স-রে কিংবা সিটি স্ক্যানে ক্ষতিকর আয়োনাইজিং তরঙ্গ ব্যবহৃত হয় যা বিকিরণ নি:সরণ করে শরীরের ক্ষতি সাধন করে। সনোগ্রাফি এক্ষেত্রে খুবই নিরাপদ। এতে কেবল শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। এর কোন ক্ষতিকর বিকিরণজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

২. সনোগ্রাফি ব্যথামুক্ত এবং কোন ধরনের ইঞ্জেকশান বা কাঁটা ছেড়া মুক্ত পরীক্ষা পদ্ধতি। ফলে এটা রোগীর জন্য স্বস্তিদায়ক এবং চিকিৎসকের জন্য সহজগম্য।

৩. শরীরের বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য এক্স-রে কিংবা সিটি স্ক্যান অপেক্ষা সনোগ্রাফি বেশি নির্ভরযোগ্য।
৪. সনোগ্রাফি রোগীর জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী।

আল্ট্রাসনোগ্রাফির অপকারিতাঃ
যুগের উন্নতির সাথে সাথে টেকনোলজি অনেক অগ্রসরমান হওয়ায় সনোগ্রাফির জগতেও অনেক উদ্ভাবন ঘটেছে। এখন খুব সহজেই 4D ব্যবহার করে বাচ্চার মুখাবয়ব পর্যন্ত নির্ণয় করা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার প্রয়োজনের অতিরিক্ত টেকনোলোজির ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। তাই বাচ্চা ও মা সুস্থ থাকলে শুধুমাত্র ফ্যান্টাসি বা বিনোদন হিসেবে 4D ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে 4D তে অনেক বেশি উচ্চ কম্পাংকের শব্দ তরংগ ব্যবহৃত হয়, যাতে মায়ের পেটের ভিতরে অবস্থানরত বাচ্চার অতি সংবেদনশীল টিস্যুর ক্ষতিসাধন হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় সনোগ্রাফির সময় এ ব্যাপারে চিকিৎসক ও রোগী উভয়েরই সচেতন থাকা জরুরী।

আল্ট্রাসনোগ্রাফির জন্য প্রস্তুতিঃ
১। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে কখনও ভরা পেট কিংবা খালি পেট, কখনও পূর্ণ মূত্রথলি কিংবা শূন্য মূত্রথলি এবং প্রয়োজন ভেদে সারারাত খালি পেটেও সনোগ্রাফি প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য পরীক্ষার পূর্বে চিকিৎসকের দিক নির্দেশনা রোগীকে অবহিত করতে হবে।

২। পোশাকঃ সনোগ্রাফির জন্য আরামাদায়ক সুতি পোশাক পরিধান করা উত্তম।

৩। সময়ঃ সাধারনত একটি সনোগ্রাফি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা সময় লাগতে পারে। এটি নির্ভর রোগীর রোগের অবস্থা ও চিকিতসকের দক্ষতাভেদে বিভিন্ন সময় পার্থক্য হতে পারে।

লেখক: ডা. ফাতেমা তুজ জোহরা, এম.ফিল (ইন কোর্স), নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এলাইড সাইন্সেস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

Share:

AD

Popular Posts

আগামীকালের ইফতার সময়

AD

Blog Archive

Definition List

Support

আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে

Name

Email *

Message *

বিজ্ঞাপন